প্রধানমন্ত্রী মহারাষ্ট্রে ৭৫ হাজার কোটি টাকার একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন
প্রধানমন্ত্রী নাগপুর ও শিরডির মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী সমৃদ্ধি মহামার্গের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন
দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে নাগপুর-মুম্বাই সমৃদ্ধি মহামার্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
নাগপুর শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটানোর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নাগপুর মেট্রো রেলের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের শিলান্যাস করবেন
প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে নাগপুর এইমস উৎসর্গ করবেন ౼ ২০১৭র জুলাই মাসে তিনি এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন
প্রধানমন্ত্রী নাগপুর-বিলাসপুরের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন
নাগপুর ও আজনি রেল স্টেশনের মানোন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী
নাগপুরে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওয়ান হেল্থ এবং নাগ নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন তিনি
চন্দ্রপুরে সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ পেট্রোকেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (সিপেট) এবং সেন্টার ফর
১০:৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী নাগপুর ও শিরডির মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সমৃদ্ধি মহামার্গের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন এবং ওই মহাসড়ক দিয়ে যাত্রা করবেন।
গোয়ায় বিকেল ৩:১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী নবম বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসের সমাপ্তি অধিবেশনে ভাষণ দেবেন এবং তিনটি জাতীয় আয়ুষ প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করবেন।
বিকেল ৫:১৫ মিনিটে গোয়ার মোপা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর উদ্বোধন করবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১১ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্র ও গোয়া সফর করবেন। 

সকাল ৯:৩০ মিনিটে তিনি নাগপুর স্টেশন থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন। বেলা ১০টায় শ্রী মোদী নাগপুর মেট্রো রেলের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন এবং ফ্রিডম পার্ক থেকে খাপরি স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো রেলে সফর করবেন। এই কর্মসূচিতে নাগপুর মেট্রো রেলের দ্বিতীয় পর্যায়ের শিলান্যাস করা হবে। ১০:৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী নাগপুর ও শিরডির মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সমৃদ্ধি মহামার্গের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন এবং ওই মহাসড়ক দিয়ে যাত্রা করবেন। এরপর ১১:১৫ মিনিটে তিনি জাতির উদ্দেশে নাগপুর এইমস উৎসর্গ করবেন। 

১১:৩০ মিনিটে নাগপুরে এক অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী ১৫০০ কোটি টাকার বেশি একগুচ্ছ রেল প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ ও শিলান্যাস করবেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি নাগপুরে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওয়ান হেল্থ এবং নাগ নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এছাড়াও চন্দ্রপুরে সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ পেট্রোকেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (সিপেট) এবং সেন্টার ফর রিসার্চ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কন্ট্রোল অফ হিমোগ্লোবিনোপ্যাথিস জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন তিনি। 

গোয়ায় বিকেল ৩:১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী নবম বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসের সমাপ্তি অধিবেশনে ভাষণ দেবেন এবং তিনটি জাতীয় আয়ুষ প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। বিকেল ৫:১৫ মিনিটে গোয়ার মোপা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর উদ্বোধন করবেন তিনি। 

নাগপুরে প্রধানমন্ত্রী

সমৃদ্ধি মহামার্গ

প্রধানমন্ত্রী ৫২০ কিলোমিটার দীর্ঘ নাগপুর ও শিরডির মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী সমৃদ্ধি মহামার্গের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন। দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে নাগপুর-মুম্বাই সমৃদ্ধি মহামার্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ৫৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৭০১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে দেশের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে উঠতে চলেছে। অমরাবতী, ঔরঙ্গাবাদ এবং নাসিকের মতো বিখ্যাত শহরাঞ্চলের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের ১০টি জেলার মধ্য দিয়ে এই মহাসড়ক যাবে। এর ফলে পার্শ্ববর্তী ১৪টি জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি হবে। ফলস্বরূপ বিদর্ভ, মারাঠাওয়াড়া এবং উত্তর মহারাষ্ট্রের ২৪টি জেলার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। 

পিএম গতিশক্তি প্রকল্পের মাধ্যমে একটি সুসংহত পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন তারই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ সমৃদ্ধি মহামার্গ। এই মহামার্গ দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে, জওহরলাল নেহরু পোর্ট ট্রাস্ট এবং অজন্তা-ইলোরা গুহা, শিরডি, ভেরুল, লোনারের মতো পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে। মহারাষ্ট্রের আর্থিক বিকাশে এই মহাসড়ক আগামীদিনে  গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা পালন করবে।
 
নাগপুর মেট্রো 

নাগপুর শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটানোর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নাগপুর মেট্রো রেলের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন। তিনি অরেঞ্জ লাইনের খাপরি থেকে অটোমোটিভ স্কোয়্যার পর্যন্ত এবং অ্যাকুয়া লাইনে প্রজাপতি নগর থেকে লোকমান্য নগর পর্যন্ত মেট্রো রেল চলাচলের সূচনা করবেন। ৮ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নাগপুর মেট্রোর প্রথম পর্যায়টি নির্মিত হয়েছে।  শ্রী মোদী নাগপুর মেট্রো রেলের দ্বিতীয় পর্যায়েরও শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। 

নাগপুর এইমস

দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মানোন্নয়নের যে অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রী করেছেন তারই অঙ্গ হিসেবে তিনি জাতির উদ্দেশে নাগপুর এইমস উৎসর্গ করবেন। এই হাসপাতালটি প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় নির্মিত হয়েছে। ২০১৭র জুলাই মাসে তিনি এই প্রকল্পটির শিলান্যাস করেছিলেন। 

১ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নাগপুর এইমস-এ বর্হিবিভাগ, অন্তর্বিভাগ, ডায়গোনেস্টিক শাখা, অপারেশন থিয়েটার এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের ৩৮টি বিভাগ থেকে রোগীরা স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। বিদর্ভ অঞ্চলের মানুষ নাগপুর এইমস থেকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। এছাড়াও গড়চিরোলি, গোন্ডিয়া এবং মেলঘাটে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলের জনগণও উপকৃত হবেন।   

রেল প্রকল্প

প্রধানমন্ত্রী নাগপুর স্টেশন থেকে নাগপুর-বিলাসপুরের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন। এছাড়াও ৫৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নাগপুর এবং ৩৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে আজনি রেল স্টেশনের মানোন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে আজনিতে গভর্নমেন্ট মেন্টেনেন্স ডিপো এবং নাগপুর-ইটারসি তৃতীয় রেললাইন প্রকল্পের কোহলি-নারখের শাখার উদ্বোধন করা হবে। 

নাগপুরে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওয়ান হেল্থ, 

ওয়ান হেল্থ কর্মসূচির আওতায় নাগপুরে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওয়ান হেল্থের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষের স্বাস্থ্যের সঙ্গে পশুপাখিদের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের যোগসূত্রের বিষয়টিকে স্বীকৃতি দিতে ওয়ান হেল্থ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাণীদের থেকে অনেক ব্যাধি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় গবেষণার জন্য ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হবে। 

অন্যান্য প্রকল্প

প্রধানমন্ত্রী নাগপুরে নাগ নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। জাতীয় নদী সংরক্ষণ পরিকল্পনার আওতায় ১৯২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।  

বিদর্ভ অঞ্চলে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সিকল সেল অসুখ একটি বড় সমস্যা। এছাড়াও থ্যালাসেমিয়া এবং এইচবিই-র মতো হিমোগ্লোবিনোপ্যাথির অন্তর্ভুক্ত অসুখগুলির কারনে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় গবেষণার জন্য ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রপুরে সেন্টার ফর রিসার্চ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কন্ট্রোল অফ হিমোগ্লোবিনোপ্যাথিস-এর শিলান্যাস করেছিলেন। ১১ ডিসেম্বর এই প্রকল্পটি তিনি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। আগামীদিনে এই সংস্থা হিমোগ্লোবিনোপ্যাথিস-এর গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং মানব সম্পদ সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি উৎকর্ষ কেন্দ্র হয়ে উঠবে। 

প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রপুরে সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ পেট্রোকেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (সিপেট) জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। পলিমার এবং অনুসারি শিল্পের জন্য এই প্রতিষ্ঠান থেকে মানব সম্পদের চাহিদা পূরণ হবে। 

গোয়ায় প্রধানমন্ত্রী

গোয়া মোপা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর

প্রধানমন্ত্রী ২ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গোয়ার মোপা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর উদ্বোধন করবেন। দেশজুড়ে আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ২০১৬র নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী এই বিমান বন্দরের শিলান্যাস করেছিলেন। বিমান বন্দরটিতে সুস্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, পরিবেশ বান্ধব ভবন, রানওয়েতে এলইডি আলোর ব্যবহার, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, পয়ঃনিকাশী ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও বিমান বন্দরে বাড়ি তৈরির সময় ত্রিমাত্রিক মোনোলিথিক প্রযুক্তি, ফাইভ-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির পরিকাঠামোর সুবিধার বিষয়গুলি নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৪টি পার্কিং বে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রথম পর্বে এই বিমান বন্দর থেকে প্রতি বছর ৪৪ লক্ষ যাত্রী আসা-যাওয়া করতে পারবেন। পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ যাত্রী পরিবহণ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই বিমান বন্দর সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পর্যটনের প্রসার ঘটাতে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ণ নিশ্চিত করবে। বিশ্বমানের এই বিমান বন্দরে পর্যটকরা গোয়ার বিভিন্ন বৈচিত্র্যের স্বাদ পাবেন। বিমানবন্দরের ভবন নির্মাণের সময় স্থানীয় আজুলেজোস টাইল্স ব্যবহার করা হয়েছে। এখানকার ফুড কোর্টটিতে গোয়ার বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী রাখা থাকবে।  

নবম বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেস এবং জাতীয় আয়ুষ প্রতিষ্ঠান 

প্রধানমন্ত্রী নবম বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসের সমাপ্তি অধিবেশনে ভাষণ দেবেন এবং তিনটি জাতীয় আয়ুষ প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। এই তিনটি প্রতিষ্ঠান হল, গোয়ার অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ আয়ুর্বেদ, গাজিয়াবাদের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ইউনানি মেডিসিন এবং দিল্লির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হোমিওপ্যাথি। এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে যেসব গবেষণাধর্মী কাজ করা হবে তার সুফল সাধারণ মানুষ পাবেন। ভবিষ্যতে আয়ুষ ব্যবস্থাপনায় স্বল্প মূল্যে রোগীরা চিকিৎসা করাতে পারবেন। এই প্রতিষ্ঠান নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯৭০ কোটি টাকা। আরো ৪০০ জন ছাত্রছাত্রী এখানে লেখাপড়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও এই তিনটি হাসপাতাল থেকে অতিরিক্ত ৫০০ জন চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন।  

নবম বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেস এবং আরোগ্য এক্সপো-তে ৫০টিরও বেশি দেশের ৪০০ জন প্রতিনিধি এসেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনা করছেন এ রকম ছাত্রছাত্রীরা এই কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করেছেন। নবম বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসের মূল ভাবনা ছিল ‘আয়ুর্বেদ ফর ওয়ান হেল্থ’। 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।