প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঝাঁসি সফর করবেন। সেখানে তিনি একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন বা শিলান্যাস করবেন।
শ্রী মোদী উত্তর প্রদেশের ঝাঁসি-তে প্রতিরক্ষা করিডর গড়ে তোলার কাজের শিলান্যাস করবেন। প্রতিরক্ষা সাজ-সরঞ্জাম উৎপাদন ক্ষেত্রে দেশকে স্বনির্ভর করে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার দুটি প্রতিরক্ষা করিডর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই অঙ্গ হিসাবে তামিলনাডু ও উত্তর প্রদেশে একটি করে করিডর গড়ে তোলা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশে গড়ে তোলা প্রতিরক্ষা করিডরটির ৬টি নোডাল পয়েন্ট বা মূল সংযোগ স্থানের মধ্যে ঝাঁসি অন্যতম। উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর প্রদেশ বিনিয়োগকারী সম্মেলনে রাজ্যের বুন্দেলখন্ড অঞ্চলে এ ধরণের একটি প্রতিরক্ষা করিডর স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
এরপর, প্রধানমন্ত্রী ২৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাঁসি – খাইরার শাখায় বিদ্যুতায়নের কাজের সূচনা করবেন। এই শাখায় বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হলে ট্রেনের গতিবেগ বাড়বে, কার্বন নিঃসরণ কমবে এবং পরিবেশ সুরক্ষা বজায় রাখা যাবে।
উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী পশ্চিম – উত্তর আন্তঃএলাকা বিদ্যুৎ পরিবহণ সুসংহতকরণ প্রকল্পে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন।
ঝাঁসি জেলায় ধাসান নদীতে গড়ে ওঠা পাহাড়ি বাঁধের আধুনিকীকরণের কাজের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সকলের কাছে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারের কর্মপরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী বুন্দেলখন্ডের গ্রামীন এলাকায় পাইপ বাহিত জল সরবরাহেরও সূচনা করবেন। খরা প্রবণ বুন্দেলখন্ড অঞ্চল এই জল সরবরাহ প্রকল্পের ফলে ব্যাপক লাভবান হবে। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী অম্রুত কর্মসূচির আওতায় ঝাঁসি শহরে পানীয় জল সরবরাহের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন।
শ্রী মোদী ঝাঁসিতে রেল কামরার রক্ষণা-বেক্ষণ সংক্রান্ত এক ওয়ার্কশপের শিলান্যাস করবেন। ওয়ার্কশপটি গড়ে উঠলে বুন্দেলখন্ড অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এরপর, প্রধানমন্ত্রী ৪২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাঁসি – মানিকপুর এবং ভীমসেন – খাইরার শাখার ডবল রেল লাইন স্থাপনের কাজের সূচনা করবেন। দ্বিতীয় রেল লাইন স্থাপনের কাজ শেষ হলে এই শাখায় ট্রেনের চলাচলে গতি আসবে এবং সমগ্র বুন্দেলখন্ড অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বিদ্যালয়ের শিশুদের মধ্যে অন্ন বিতরণ কর্মসূচি উপলক্ষে বৃন্দাবন ও প্রবাসী ভারতীয় দিবস উপলক্ষে বারাণসী সফর করেছিলেন।