আগামীকাল, অর্থাৎ ১৯শে মে, জোজিলা সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণ প্রকল্পের সূচনা করতে একদিনের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এর শিলান্যাস উপলক্ষে একটি ফলকেরও আবরণ উন্মোচন করবেন তিনি। লেহ-তে ১৯তম কুশোক বাকুলা রিনপোকে-র জন্ম শতবর্ষ পূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ জোজিলা সুড়ঙ্গ পথের নির্মাণ কাজ শেষ হলে তা হবে ভারত ও এশিয়ার এক দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গ পথ। এ বছরের গোড়ার দিকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির এক বৈঠকে এই সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হলে শ্রীনগর, কার্গিল এবং লেহ-র মধ্যে সকল রকম আবহাওয়ার উপযোগী এক সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। বর্তমানে জোজিলা পাস অতিক্রম করতে সময় লেগে যায় সাড়ে তিন ঘন্টার মতো। কিন্তু সুড়ঙ্গ পথে এই দৈর্ঘ্যই অতিক্রম করা যাবে মাত্র ১৫ মিনিটে। এর নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অধিবাসীদের আর্থ-সামাজিক তথা সাংস্কৃতিক বিকাশের প্রভূত সুযোগ ও সম্ভাবনা। তাছাড়া, কৌশলগত দিক থেকেও এই সুড়ঙ্গ পথটির গুরুত্ব হবে অপরিসীম।
শ্রীনগরের শের-এ-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ৩৩০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কিষাণ গঙ্গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এদিন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রীনগর রিং রোডের শিলান্যাসও করবেন তিনি।
অন্যদিকে, জম্মুর জেনারেল জোরাওয়ার সিং প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পাকুল দাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পাশাপাশি জম্মু রিং রোডের নির্মাণ কাজেরও সূচনা করবেন তিনি। শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী তীর্থ পর্ষদের রোপওয়ে এবং তারাকোট মার্গের উদ্বোধনও রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এদিনের কর্মসূচির মধ্যে। তারাকোট মার্গটি খুলে দেওয়া হলে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে বিশেষ সুবিধা হবে লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রীর।
জম্মু ও শ্রীনগরের রিং রোডগুলি এই দুটি শহরের যানজট কমিয়ে আনতে অনেকটাই সাহায্য করবে। এছাড়াও, সড়কপথে যাতায়াত হয়ে উঠবে আরও দ্রুত, নিরাপদ ও সুবিধাজনক। তাছাড়া, একটি পরিবেশ-বান্ধব প্রকল্প হিসাবেও এটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জম্মুতে শের-এ-কাশ্মীর কৃষিবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন শ্রী মোদী।