প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৭-৮ জুলাই চার রাজ্য সফর করবেন। সফরের প্রথম পর্যায়ে তিনি ৭ জুলাই ছত্তিশগড় ও উত্তরপ্রদেশ যাবেন। ৮ জুলাই যাবেন তেলেঙ্গানা ও রাজস্থানে।
৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০-৪৫ মিনিটে রায়পুরে এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এরপর বেলা ২-৩০ মিনিটে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে গীতা প্রেস-এর শতবার্ষিকী উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি গোরক্ষপুর রেল স্টেশন থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন। বিকেল ৫টায় শ্রী মোদী বারাণসীতে এক জনসভায় অংশগ্রহণ করবেন। সেখানে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি।
৮ জুলাই সকাল ১০-৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গলে পৌঁছবেন। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। বিকেল ৪-১৫ মিনিটে শ্রী মোদী বিকানেরে রাজস্থানের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।
রায়পুরে প্রধানমন্ত্রী
পরিকাঠামো ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ৬,৪০০ কোটি টাকার পাঁচটি জাতীয় সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এর মধ্যে রয়েছে জব্বলপুর-জগদলপুর জাতীয় সড়কের ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ চারলেনের রায়পুর-কোদেবোড় অংশটি । এই প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করার ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটবে। জগদলপুর সন্নিহিত বিভিন্ন ইস্পাত কারখানার কাঁচামাল ও উৎপাদিত সামগ্রী পরিবহণে সুবিধা হবে। প্রধানমন্ত্রী ১৩০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিলাসপুর-অম্বিকাপুর অংশে ৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ চারলেনের জাতীয় সড়কটির উদ্বোধন করবেন। বিলাসপুর থেকে পত্রপল্লী পর্যন্ত নবনির্মিত এই অংশটি ছত্তিশগড় ও উত্তরপ্রদেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ঘটাবে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের কয়লা খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা পরিবহণে সুবিধা হবে।
প্রধানমন্ত্রী ছয় লেনের গ্রিনফিল্ড রায়পুর-বিশাখাপত্তনম করিডরের ছত্তিশগড় শাখার আওতায় তিনটি জাতীয় সড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এর মধ্যে রয়েছে - ১৩০ নম্বর জাতীয় সড়কের মধ্যে ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ছয় লেনের ঝাঁকি-সার্গি শাখা, ৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ছয় লেনের সার্গি-বনসওয়াহি শাখা, ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ছয়লেনের বনসওয়াহি-মারাংপুরী শাখা। এই অংশের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল এখানে ২.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশে বন্যপ্রাণীদের যাওয়া-আসার জন্য ২৭টি পাস, উধান্তি অভয়ারণ্যে বন্যপ্রাণীদের বাধাহীন চলাচলের জন্য ১৭টি ছাউনি। এই প্রকল্পগুলি রূপায়িত হলে ধামতারি অঞ্চলের চালকল থেকে উৎপাদিত চাল, কাঁকের-এর বক্সাইট এবং কোন্ডাগাঁও-এর হস্তশিল্প পরিবহণের সুবিধা হবে। ফলস্বরূপ, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়ন ঘটবে।
প্রধানমন্ত্রী ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১০৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রায়পুর-খারিয়ার সড়ক রেল প্রকল্পটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এর ফলে ছত্তিশগড়ের জন্য কয়লা, ইস্পাত, সার সহ বিভিন্ন সামগ্রী বন্দর থেকে নিয়ে আসতে সুবিধা হবে। তিনি কেওটি-অন্তগড়ের মধ্যে ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেল লাইনটি উদ্বোধন করবেন। ২৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই রেল প্রকল্প ভিলাই ইস্পাত কারখানার সঙ্গে দাল্লি রাজহারা ও রাওঘাট অঞ্চলের লৌহ খনিগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে। এই রেল প্রকল্প দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের বনাঞ্চলকেও যুক্ত করবে।
প্রধানমন্ত্রী কোরবায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের একটি বটলিং প্ল্যান্টের উদ্বোধন করবেন। এখান থেকে প্রতি বছর ৬০ হাজার মেট্রিক টন গ্যাস সিলিন্ডারজাত করা হবে। এছাড়াও, ঐ অনুষ্ঠানে তিনি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় ৭৫ লক্ষ কার্ড সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেবেন।
গোরক্ষপুরে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী গোরক্ষপুরে গীতা প্রেস-এর শতবার্ষিকী উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি চিত্রময় শিব পুরাণ গ্রন্থের উদ্বোধন করবেন এবং গীতা প্রেস-এর লীলাচিত্র মন্দির দর্শন করবেন।
শ্রী মোদী গোরক্ষপুর রেল স্টেশন থেকে লক্ষ্ণৌগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন। ঐ অনুষ্ঠানে যোধপুর ও আমেদাবাদ (সবরমতী)-এর মধ্যেও আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন তিনি।
গোরক্ষপুর-লক্ষ্ণৌ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস অযোধ্যার মধ্য দিয়ে যাবে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ঘটবে যা পর্যটন শিল্পের পক্ষে সহায়ক। যোধপুর, আবু রোড এবং আমেদাবাদের মতো বিখ্যাত অঞ্চলগুলির মধ্যে যোধপুর-সবরমতী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলাচল করবে। ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক বিকাশ ত্বরান্বিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী গোরক্ষপুর রেল স্টেশনের পুনরুন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। ৪৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই স্টেশনটিকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তোলা হবে।
বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী
বারাণসী এক জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ১২,১০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।
শ্রী মোদী ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের আওতায় পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন ও শোননগরের মধ্যে নির্মিত অংশটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। ৬,৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্প পণ্য পরিবহণে সহায়ক হবে। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ৯৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আরও তিনটি রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। গাজিপুর সিটি-আউনরিহার, আউনরিহার-জৌনপুর এবং ভাটনি-আউনরিহার-এর মধ্যে রেল লাইনের বৈদ্যুতিকীকরণের সম্পূর্ণ হওয়ায় উত্তরপ্রদেশে রেলপথের ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ সম্পন্ন হল।
প্রধানমন্ত্রী ৫৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বারাণসী-জৌনপুর শাখার চারলেনের সড়কটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। ২,৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্প বারাণসী ও লক্ষ্ণৌ-র মধ্যে যাতায়াতকে আরও সুখকর করে তুলবে।
বারাণসীতে শ্রী মোদী যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তার মধ্যে রয়েছে - পূর্ত দপ্তরের নির্মিত ১৮টি সড়ক প্রকল্প, বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ছাত্রী আবাস, কারসারায় সিপেট-এর ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার, সিন্ধৌড়া থানার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, ভুল্লানপুরে পিএসি, পিন্দ্রায় দমকল কেন্দ্র, তারসাড়ায় সরকারি আবাসিক বিদ্যালয়, অর্থনৈতিক অপরাধ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভবন, মোহন কাটরা থেকে কোনিয়া ঘাটের মধ্যে পয়ঃনিকাশি ব্যবস্থা, রামনায় অত্যাধুনিক পয়ঃনিকাশি ব্যবস্থাপনা, ৩০টি এলইডি বাতিস্তম্ভ, রামনগরে এনডিডিবি দুগ্ধ প্রকল্পে গোবর থেকে উৎপাদিত জৈব গ্যাস প্ল্যান্ট, গঙ্গা নদীতে স্নান করতে আসা পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য দশাশ্বমেধ ঘাটে পোশাক পরিবর্তনের বিশেষ সুবিধা।
প্রধানমন্ত্রী চাউখান্দি, কাদিপুর এবং হরদত্তাপুর রেল স্টেশনে তিনটি রেল ওভারব্রিজ, ব্যাসনগর-পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন রেল ফ্লাইওভার এবং পূর্ত দপ্তরের ১৫টি সড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এগুলি নির্মাণে ব্যয় হবে ৭৮০ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী গ্রামাঞ্চলের জন্য ১৯২টি জল প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। জল জীবন মিশনের আওতায় এই প্রকল্পগুলি নির্মাণে খরচ হবে ৫৫০ কোটি টাকা। এর ফলে ১৯২টি গ্রামের ৭ লক্ষ নাগরিক বিশুদ্ধ পানীয় জল পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী মনিকর্ণিকা ও হরিশচন্দ্র ঘাটের পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এর ফলে সংশ্লিষ্ট ঘাটগুলিতে কাঠ রাখার সুবিধা হবে এবং দাহ করার পরিবেশ-বান্ধব ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে।
অন্যান্য যেসব প্রকল্পের শিলান্যাস করা হবে তার মধ্যে রয়েছে বারাণসীতে ছয়টি ধর্মীয় দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পোশাক বদলাবার জন্য ভাসমান ঘর, কারসারায় সিপেট ক্যাম্পাসে ছাত্রাবাস নির্মাণ।
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশে পিএম স্বনিধি প্রকল্পের ঋণ, পিএমএওয়াই গ্রামাঞ্চল প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বাড়ির চাবি এবং আয়ুষ্মান কার্ড সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেবেন। এর ফলে পিএমএওয়াই প্রকল্পের আওতায় ৫ লক্ষ পরিবারের গৃহ প্রবেশ নিশ্চিত হবে। ২ কোটি ৮৮ লক্ষ আয়ুষ্মান কার্ড বিতরণ ছাড়াও ১ লক্ষ ২৫ হাজার জনকে পিএম স্বনিধি ঋণ দেওয়া হবে। এছাড়াও, ২ কোটি ৮৮ লক্ষ আয়ুষ্মান কার্ড বিতরণ করা হবে।
ওয়ারাঙ্গলে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী তেলেঙ্গানায় ৬,১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। তিনি ৫,৫৫০ কোটি টাকার বেশি ১৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় সড়কের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাগপুর-বিজয়ওয়াড়া করিডরের মধ্যে ১০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মানচেরিয়াল-ওয়ারাঙ্গল শাখা। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মানচেরিয়াল এবং ওয়ারাঙ্গলের মধ্যে ৩৪ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে। ৫৬৩ নম্বর জাতীয় সড়কের ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ করিমনগর-ওয়ারাঙ্গল শাখার চারলেন নির্মাণের জন্য শিলান্যাস করার পাশাপাশি কাজিপেটে একটি রেলে ব্যবহৃত পণ্যসামগ্রী উৎপাদন কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। এর জন্য ধার্য করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রটিতে রেল ওয়াগনের রং রোবোটিক্সের সাহায্যে করা যাবে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
বিকানেরে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বিকানেরে ২৪,৩০০ কোটি টাকার বেশি একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এর ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পরিকাঠামো মানোন্নয়ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী আমৃতসর-জামনগর অর্থনৈতিক করিডরে ছয়লেন গ্রিনফিল্ড এক্সপ্রেসওয়েটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। হনুমানগড় জেলার ঝাকদাওয়ালি গ্রাম থেকে জালোর জেলার খেতলাওয়াসের মধ্যে ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১,১২৫ কোটি টাকা। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং শিল্প করিডরগুলির সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এই প্রকল্পের ফলে পণ্য পরিবহণে গতি আসবে। পাশাপাশি পর্যটন ও আর্থিক বিকাশকেও ত্বরান্বিত করবে।
বিদ্যুৎ ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী আন্তঃরাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের প্রথম পর্বের উদ্বোধন করবেন। এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১০,৯৫০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় ৬ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে যা পরিবেশ-বান্ধব। পশ্চিমাঞ্চলের পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ এবং তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে সমতাও বজায় থাকবে। এছাড়াও, উত্তরাঞ্চলে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ অন্যত্র সরবরাহ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বিকানের থেকে ভিওয়াড়ির মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন উদ্বোধন করবেন। এই প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১,৩৪০ কোটি টাকা। বিকানের থেকে ভিওয়াড়ি পর্যন্ত সরবরাহ লাইনে বিদ্যুৎ পরিবহণের ফলে রাজস্থানে ৮.১ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী বিকানেরে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের জন্য ৩০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল উদ্বোধন করবেন। এর ফলে এই হাসপাতালে ১০০টি বেড পাওয়া যাবে। স্থানীয় মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে এই হাসপাতাল সহায়ক হবে।
এছাড়াও তিনি বিকানের রেল স্টেশনের পুনরুন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি নির্মাণের কাজ শেষ হলে সংশ্লিষ্ট রেল স্টেশনে চলাচল করতে সুবিধা হবে।
শ্রী মোদী চারু ও রতনগড়ের মধ্যে ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের দ্বিতীয় লাইন বসানোর কাজের শিলান্যাস করবেন। এই রেল প্রকল্পটি রূপায়িত হলে জিপসাম, চুনাপাথর, খাদ্যশস্য এবং সার সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিকানের থেকে দেশের অন্যত্র পরিবহণে সুবিধা হবে।