প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল রবিবার (১৩ জানুয়ারি) নতুন দিল্লির ৭, লোককল্যাণ মার্গ – এ আয়োজিত গুরু গোবিন্দ সিং জী-র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করবেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এক সমাবেশে ভাষণ দেবেন।
দশম শিখগুরু – গুরু গোবিন্দ সিং তাঁর আদর্শ ও শিক্ষার মাধ্যমে অগণিত মানুষের কাছে প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী ২০১৭-র ৫ জানুয়ারি পাটনায় শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং জী মহারাজের ৩৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এই উপলক্ষে তিনি একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছিলেন। শ্রী মোদী তাঁর ভাষণে গুরু গোবিন্দ সিং জী যে খালসা ভাবাদর্শ এবং ভারতের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি পঞ্চ-প্রয়াসের মাধ্যমে কিভাবে দেশকে এক জোট করার অভিনব প্রয়াস গ্রহণ করেছিলেন, সেকথা উল্লেখ করেন। গুরু গোবিন্দ সিং জী তাঁর শিক্ষাদর্শের জন্য জ্ঞানকেই প্রধান হাতিয়ার করেছিলেন বলেও প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন।
সমাজের দুর্বলতর শ্রেণীর মানুষের স্বার্থে গুরু গোবিন্দ সিং – এর সংগ্রামকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী গত ৩০ ডিসেম্বর বেতার অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’ – এ বলেছিলেন, গুরু গোবিন্দ সিং বিশ্বাস করতেন মানবজাতির দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা দূর করাই সর্বোত্তম সেবা। গুরু গোবিন্দ সিং জী-র বীরত্ব, আত্মত্যাগ ও আন্তরিকতারও প্রশংসা করেন শ্রী মোদী।
পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় ২০১৬-র ১৮ অক্টোবর আয়োজিত জাতীয় অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী, মানুষ সমগ্র মানবজাতিকে এক বলে মনে করবে – কোনও ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ বা হীন নয়, এমনকি কেউই স্পর্শনীয় বা অস্পৃশ্য নয় – গুরু গোবিন্দ সিং – এর এই বাণী আজও প্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেন। ২০১৬-র ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরও একবার দেশের স্বার্থে আত্মত্যাগের কাহিনী স্মরণ করে বলেন, মহান এই আদর্শ শিখ গুরুদের কাছে ঐতিহ্য।