প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল (২৬শে এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টায় সাত লোক কল্যাণ মার্গে শিবগিরি তীর্থ যাত্রার ৯০তম বার্ষিকী এবং ব্রহ্ম বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বর্ষব্যাপী যৌথ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। এই উপলক্ষে তিনি বর্ষব্যাপী যৌথ উৎসবের লোগো বা প্রতীক প্রকাশ করবেন। মহান সমাজ সংস্কারক শ্রী নারাণয় গুরুর আশীর্বাদ ও তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে শিবগিরি তার্থযাত্রা ও ব্রহ্ম বিদ্যালয়ের সূচনা হয়েছিল।
শিবগিরি তীর্থযাত্রা প্রতি বছর ৩০শে ডিসেম্বর থেকে পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত আয়োজিত হয়। শ্রী নারায়ণ গুরুর মতে, এই তীর্থযাত্রার উদ্দেশ্যই হল, মানুষের মধ্যে জ্ঞানের প্রসার ঘটানো এবং এই তীর্থযাত্রার মাধ্যমে তাদের সার্বিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
সেই অনুসারে এই তীর্থযাত্রায় সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এগুলি হল - শিক্ষা, স্বচ্ছতা, ধর্ম নিষ্ঠা, হস্তশিল্প, ব্যবসা ও বাণিজ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সমবেত প্রয়াস।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ১৯৩৩-এ কয়েকজন ভক্তকে নিয়ে এই তীর্থযাত্রার সূচনা হয়েছিল। এখন এটি দক্ষিণ ভারতে এক অন্যতম বড় কর্মসূচি হয়ে উঠেছে। প্রতিবছর ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও ভাষা নির্বিশেষে সারা বিশ্ব থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী এই তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য শিবগিরিতে আসেন।
শ্রী নারায়ণ গুরু সমস্ত ধর্মের আদর্শকে সমতা ও সমান সম্মানের সঙ্গে শিক্ষা দেওয়ার কল্পনা করেছিলেন। এই দূরদৃষ্টিকে বাস্তবায়িত করতে শিবগিরিতে ব্রহ্ম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এই বিদ্যালয়ে শ্রী নারায়ণ গুরুর মহৎ কর্ম এবং বিশ্বের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ সহ ভারতীয় দর্শন সম্পর্কে সাত বছরের একটি পাঠ্যক্রমে পঠন-পাঠন হয়ে থাকে।