প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৪ই এপ্রিল সকাল ১১টার সময় প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয় উদ্বোধন করবেন। আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে এটি উদ্বোধন করা হবে, যেখানে ভারতের প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। স্বাধীনতার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের জীবন কাহিনী ও অবদানের বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে দেশের গল্প এখানে উপস্থাপিত করা হবে।
দেশ গঠনে ভারতের সব প্রধানমন্ত্রীর অবদানকে স্বীকৃতি দিতে শ্রী মোদীর দৃষ্টিভঙ্গীর ভাবনায় সংগ্রহালয়টি গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে স্বাধীনতার পর সব প্রধানমন্ত্রীকেই শ্রদ্ধা জানানো হবে, তাঁদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকার মেয়াদ বা তাঁদের অনুসরণ করা আদর্শ এখানে বিবেচিত হবে না । তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বদান, দেশ গড়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীর সাফল্যের কথা সকলকে জানানোর জন্য শ্রী মোদীর এটি একটি সমন্বিত প্রয়াস। প্রাচীনের সঙ্গে বর্তমানের মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠবে এই সংগ্রহশালা। এটিকে পূর্বতন তিনমূর্তি ভবনে প্রথম ব্লকের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয় ব্লকে নব নির্মিত ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। ১৫,৬০০ বর্গ মিটারের বেশি এলাকা নিয়ে দুটি ব্লক গড়ে তোলা হয়েছে ।
দেশের নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে ভারতের উত্থান হয়েছে। এই উত্থানে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগ্রহশালাটি তৈরি করা হয়। সংগ্রহশালার নক্সা তৈরির সময় স্থিতিশীল জ্বালানি সংরক্ষণের বিষয়টিকে বিবেচনা করা হয়েছে। এই প্রকল্প নির্মাণে কোনো গাছ কাটা হয়নি অথবা স্থানান্তরিত করা হয়নি। সংগ্রহালয়ের প্রতীকে ভারতের জনসাধারণ একটি ধর্মচক্র ধরে রয়েছেন, যা দেশ ও গণতন্ত্রের চিহ্ন স্বরূপ।
সংগ্রহশালার বিভিন্ন তথ্য প্রসারভারতী, দূরদর্শন, ফিল্ম ডিভিশন, সংসদ টিভি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, দেশ বিদেশের সংবাদ মাধ্যম ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আর্কাইভটি তৈরিতে বিভিন্ন সাহিত্যের নিদর্শন, প্রধানমন্ত্রীদের চিঠিপত্র, ব্যক্তিগত ব্যবহার সামগ্রী, উপহার, স্মরণিকা (বিভিন্ন সম্মাননা, পদক, স্মারক ডাক টিকিট, মুদ্রা ইত্যাদি), প্রধানমন্ত্রীদের ভাষণ, তাঁদের কাজের বিভিন্ন দিক এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
সংগ্রহশালায় প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়বস্তু মতবিনিময়ের ধরণে উপস্থাপন করা হবে।
এছাড়াও এখানে ডিসপ্লে বোর্ডে নানা তথ্য প্রদর্শিত হবে। নানা তথ্য জানাতে হলোগ্রাম, মাল্টিমিডিয়া, কিয়স্ক, কম্পিউটার ভিত্তিক ভাস্কর্য, স্মার্টফোন অ্যাপ, মতবিনিময়ের জন্য স্ক্রিন ইত্যাদি ব্যবহার করার সুযোগও এখানে থাকবে ।
সংগ্রহালয়ে মোট ৪৩টি প্রদর্শশালা থাকবে। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও সংবিধান রচনা দিয়ে সংগ্রহশালার প্রদর্শনী শুরু হবে । কিভাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীরা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছেন এবং দেশের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করেছেন তা এই প্রদর্শশালাগুলিতে তুলে ধরা হবে।