প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৯শে ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪টে ৩০ মিনিটে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেরালার বিদ্যুৎ ও শহরাঞ্চলীয় ক্ষেত্রের একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ ও নতুন এবং পুনর্নবিকরণযোগ্য জ্বালানী, আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
পুগালুর – ত্রিচুর বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প
প্রধানমন্ত্রী তামিলনাডুর পুগালুর থেকে কেরালার ত্রিচুর পর্যন্ত ৩২০ কিলো ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। হাই ভোল্টেজ ডায়রেক্ট কারেন্ট (এইচভিডিসি) ভিত্তিক ভোল্টেজ সোর্স কনভার্টার (ভিএসসি) প্রকল্পটি ভারতের প্রথম অত্যাধুনিক ভিএসসি প্রকল্প, যার এইচভিডিসি যোগাযোগ রয়েছে। এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৫০৭০ কোটি টাকা। পশ্চিমাঞ্চলের থেকে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেরালায় সরবরাহ করা হবে, যাতে রাজ্যের ক্রমবর্দ্ধমান বিদ্যুৎ-এর চাহিদা মেটানো যায়। এই ব্যবস্থায় এইচভিডিসি ক্রস লিঙ্কড পলিইথেলিন তার ব্যবহার করা হয়। যেটি স্বাভাবিকের থেকে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ-এর অপচয় রোধ করে।
কাসারগোড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প
প্রধানমন্ত্রী ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কাসারগোড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। জাতীয় সৌরবিদ্যুৎ মিশনের আওতায় এটি তৈরি করা হয়েছে। পাইভালিক, মিনজা এবং চিপ্পুর গ্রামে মোট ২৫০ একর জমিতে এই প্রকল্পটি গড়ে তোলা হয়েছে। কেন্দ্র, এই প্রকল্পে ২৮০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
সুসংহত নির্দেশ প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ –
প্রধানমন্ত্রী থিরুভানন্তাপুরমে একটি সুসংহত নির্দেশ প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ গড়ে তোলার জন্য শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৯৪ কোটি টাকা। এটি থিরুভানন্তাপুরম পুরসভার বিভিন্ন সমস্যার স্মার্টভাবে সমাধান করবে। এই কেন্দ্র আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সমন্বয় বজায় রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
স্মার্ট রোড প্রকল্প –
প্রধানমন্ত্রী থিরুভানন্তাপুরমে স্মার্ট রোড প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পটি নির্মাণে ব্য়য় ধরা হয়েছে ৪২৭ কোটি টাকা। এর ফলে থিরুভানন্তাপুরমের ৩৭ কিলোমিটার সড়ককে বিশ্বমানের করে তোলা যাবে। এছাড়াও রাস্তার উপরে থাকা বিভিন্ন তার মাটির তলায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আরুভিক্কুরায় জল শোধন কেন্দ্র –
প্রধানমন্ত্রী আমরুত মিশনের আওতায় আরুভিক্কুরায় একটি জল শোধন কেন্দ্রের উদ্বোধোন করবেন। এর ফলে থিরুভানন্তাপুরমে পানীয় জলের সমস্যা দূর হবে এবং খাওয়ার জল সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্নভাবে করা যাবে। বিশেষ করে আরুভিক্কুরায় যে জলাধারটি রয়েছে, সেটির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলার সময় জল সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না।