জল-শক্তি অভিযান
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মন কি বাত বেতার অনুষ্ঠানে বলেন, জনগণের অংশগ্রহণের ফলে জল-শক্তি অভিযানে দ্রুত গতি আসছে। এ প্রসঙ্গে তিনি কয়েকটি সফল ও উদ্ভাবনী জল সংরক্ষণ মূলক প্রয়াসের কথাও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন।
রাজস্হানের জালোর জেলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে দুটি ঐতিহাসিক সিঁড়ি যুক্ত কুয়ো আস্তাকুড়ে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু একদিন ভদ্রায়ুন এবং থানাওয়ালা পঞ্চায়েতের শত শত মানুষ জল-শক্তি অভিযানের আওতায় ওই কুয়ো দুটির পুনরুজ্জীবনের সংকল্প গ্রহণ করেন। বর্ষার মরশুমের অনেক আগেই সাধারণ মানুষের আস্তাকুড়ে পরিণত হওয়া ওই কুয়ো দুটির সংস্কারে নিজেদের নিয়োজিত করেন। এই কর্মসূচির জন্য কিছু মানুষ অর্থদান করেন, কিছু মানুষ কায়িক শ্রম দিয়ে সাহায্য করেন। এর ফলস্বরূপ একদা আস্তাকুড়ে পরিণত হওয়া ওই ঐতিহাসিক কুয়ো দুটি এখন তাদের জীবনরেখা হয়ে উঠেছে।
একইভাবে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকির সারাহি হ্রদ গ্রামবাসীদের সমবেত প্রচেষ্টার দরুণ নতুন জীবন পেয়েছে। উত্তরাখন্ডে আলমোড়া-হালওয়ানি মহাসড়ক বরাবর সুনিয়াকোটের গ্রামবাসীরা তাদের গ্রামে পানীয় জলের বন্দোবস্ত সুনিশ্চিত করতে নিজেরাই উদ্যোগ নেন। এই কাজে কিছু মানুষ অর্থ সংগ্রহ করেন, কিছু মানুষ শ্রম দেন। এদের এই সমবেত প্রয়াসের ফলেই গ্রামে পাইপলাইন বসানো হয় এবং একটি পাম্পিং স্টেশন স্হাপন করা হয়। এভাবেই কয়েক দশকের পুরানো জলের সমস্যার সমাধান ঘটে।
প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেককে ‘#Jalshakti4India’- ব্যবহার করে জল সংরক্ষণ ও বৃষ্টির জল সঞ্চয়ের বিভিন্ন প্রচেষ্টার কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানান।
গত বছরের জুলাই মাসে জল সংরক্ষণ ও জল নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জলশক্তি অভিযানের সূচনা হয়। জল সংকটগ্রস্হ জেলা ও ব্লকগুলিতে এই অভিযানে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।