কেন্দ্রেরঅতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্ম সচিব পর্যায়ের ৮০ জন আধিকারিকের সঙ্গে এক আলোচনা ওমতবিনিময় বৈঠকে শনিবার মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।এই পর্যায়েরশীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে এটি হল প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় দফার বৈঠক।
কৃষি, পানীয়জল, নাগরিক-কেন্দ্রিক সরকারি প্রশাসন ও পরিচালন ব্যবস্থা, উদ্ভাবন, প্রশাসনিকক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করে যাওয়া, প্রকল্প রূপায়ণ, শিক্ষা, নির্মাণ ও উৎপাদন,অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং সৌরশক্তির মতো বিষয়গুলিতে আধিকারিকরাতাঁদের অভিজ্ঞতা ওমতামত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
বিভিন্ন প্রকল্পেরকাজ পর্যালোচনার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘প্রগতি’ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেনআধিকারিকদের কাছে। নির্মাণ ও উৎপাদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে বৈদ্যুতিন সাজ-সরঞ্জামউৎপাদনের পরিবেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে চিকিৎসার সাজ-সরঞ্জাম উৎপাদনের দিকেআরও বেশি করে নজর দেওয়া যায়।
সরকারিক্ষেত্রে কাজের পরিবেশকে ইতিবাচক করে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনিবলেন, সমগ্র ব্যবস্থাটিকে এক সচল উদ্যোগে পরিণত করতে হবে। নতুন নতুন আইন যেমন রচিতহচ্ছে, অন্যদিকে তেমনই অপ্রয়োজনীয় প্রাচীন আইনগুলিকে বিদায় জানানোওপ্রয়োজন।
বিশ্বেরবর্তমান পরিবেশ ও পরিস্থিতি যে ভারতের পক্ষে যথেষ্ট ইতিবাচকও অনুকূল একথারও উল্লেখকরেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে এক নতুন ভারত গঠনের লক্ষ্যেসুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণে উদ্যোগী হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান শীর্ষ আধিকারিকদের।
দেশের যে১০০টি জেলা এখনও সর্বাপেক্ষা অনগ্রসর তালিকায় রয়ে গেছে সেগুলির দিকে বিশেষ দৃষ্টিদেওয়ার জন্যও তিনি নির্দেশ দেন আধিকারিকদের। উন্নয়নের বিভিন্ন মাপকাঠিতে এইজেলাগুলিকেও জাতীয় গড়ের মাত্রায় উন্নীত করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।