প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর নেপাল সফরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার প্রাক্কালে আজ এক বিবৃতি মারফৎজানিয়েছেন যে নেপালের প্রধানমন্ত্রী মিঃ কে পি শর্মা ওলি-র আমন্ত্রণে আগামী দু’দিন, অর্থাৎ ১১ ও ১২ মে নেপাল সফর করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এটি হবে তাঁর তৃতীয় নেপাল সফর।নেপালের সঙ্গে ভারতের এবং ব্যক্তিগতভাবে তাঁর যে বহুদিনের এক নিবিড় মৈত্রী সম্পর্ক রয়েছে, তাঁর এই সফরসূচি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সে কথাই প্রতিফলিত করে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে আরও জানিয়েছেন যে, গত মাসে নেপালের প্রধানমন্ত্রী মিঃ ওলি-র ভারত সফরের পরে পরেই তাঁর বর্তমান নেপাল সফর। উচ্চ পর্যায়ের নিয়মিত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতির প্রতি ভারত সরকারের অঙ্গীকারবদ্ধতার বিষয়টি সুপরিস্ফুট। কারণ, ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’ – এই মন্ত্র অবলম্বন করে এগিয়ে যেতে আগ্রহী আমাদের দেশ।
গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সংযোগ ও যোগাযোগ তথা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পূর্ণ করেছে ভারত ও নেপাল। দু’দেশের জনসাধারণের স্বার্থে রূপান্তরমুখী বেশ কিছু উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে দু’দেশের পক্ষ থেকে।
শ্রী মোদী জানিয়েছেন যে, পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নয়াদিল্লিতে যে আলাপ-আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে, তারই সূত্র ধরে এই আলোচনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী ওলি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের প্রসারে তাঁরা যে বিশেষভাবে আগ্রহী, একথাও তাঁর বিবৃতিতে ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কাঠমান্ডু ছাড়াও, জনকপুর এবং মুক্তিনাথ যেতে আগ্রহী ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ঐ দুটি স্থানে প্রতি বছর ব্যাপক সমাবেশ ও সমাগম ঘটে বহু সংখ্যক তীর্থযাত্রীর। ভারত ও নেপালের জনসাধারণের মধ্যে যে এক সুপ্রাচীন ও বলিষ্ঠ সাংস্কৃতিক তথা ধর্মীয় সম্পর্ক রয়েছে, এই ঘটনা তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ বলে মনে করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেছেন যে, গণতন্ত্রের সুফল আহরণে এবং দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশ ও অগ্রগতি সম্ভব করে তুলতে এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে চলেছে নেপাল। তাঁদের এই প্রচেষ্টায়ভারত যে নিরন্তর সহযোগী হয়ে উঠতে আগ্রহী, একথাও শ্রী মোদী ব্যক্ত করেছেন তাঁর বিবৃতিতে। তিনি বলেছেন যে, ‘সমৃদ্ধ নেপাল সুখী নেপাল’ – এই দর্শন ও চিন্তাভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে ভারত বরাবরই থাকবে নেপালের পাশে।
নেপালের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বন্ধুস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, তাঁর এই সফর যে দু’দেশের জনসাধারণের মধ্যে সম্পর্কের বাতাবরণ আরও প্রসারিত করবে, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিতভাবেই আশাবাদী। তাঁর মতে, পারস্পরিক শুভেচ্ছা, কল্যাণ ও সমঝোতার ভিত্তিতেই এই লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব।
I will be visiting Nepal on 11th and 12th May at the invitation of PM Mr. KP Sharma Oli. This visit reflects the high priority India attaches to friendly relations with Nepal. I will be holding extensive talks with PM Oli on ways to further deepen bilateral cooperation.
— Narendra Modi (@narendramodi) May 10, 2018
Apart from Kathmandu, there would be visits to Janakpur and Muktinath during this Nepal visit. These are vibrant centres of pilgrimage and tourism. They are also testimony to the strong cultural ties that bind our nations.
— Narendra Modi (@narendramodi) May 10, 2018
As Nepal enters a new era of consolidating the gains of a democracy and achieving economic growth, India remains a steadfast parter of the Nepal Government to implement their vision of ‘Samriddha Nepal, Sukhi Nepali.' https://t.co/EJvRwsmRBw
— Narendra Modi (@narendramodi) May 10, 2018