রাষ্ট্রপতি মুন জে ইন-এর আমন্ত্রণেই আমি কোরিয়া সফরে যাচ্ছি। কোরিয়ায় এটি আমার দ্বিতীয়বারের সফর এবং রাষ্ট্রপতি মুন-এর সঙ্গে হবে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক।
গত বছরের জুলাইতে রাষ্ট্রপতি মুন জে ইন এবং ফার্স্ট লেডি শ্রীমতী কিম জাং-সুক-কে ভারতে স্বাগত জানানোর সৌভাগ্য হয়েছিল।
কোরিয়াকে আমরা এক মূল্যবান বন্ধু দেশ হিসেবেই মনে করি এবং ঐ দেশের সঙ্গে আমাদের বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক রয়েছে। আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও দুটি দেশ একে অপরের সঙ্গে নিজেদের মতামত বিনিময় করে থাকে। দুটি দেশই অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রেখেছে। কোরিয়া ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’ এবং ‘ক্লিন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার দেশ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দু’দেশের সহযোগিতা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দু’দেশের গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড মৌলিক থেকে একেবারে আধুনিক পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারিত।
ভারত ও কোরিয়ার মানুষে মানুষে যোগাযোগ দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বের সম্পর্কের ভিত মজবুত করেছে। গত নভেম্বরে অযোধ্যায় ‘দীপোৎসব’ অনুষ্ঠানে কোরিয়ার ফার্স্ট লেডিকে পাঠানোর রাষ্ট্রপতি মুনের সিদ্ধান্ত আমাদের মন ছুঁয়ে গেছে।
ভারতের পূব দিকে তাকানোর নীতি এবং কোরিয়ার নতুন দক্ষিণ নীতির দরুণ দু’দেশের সম্পর্কের গভীরতা এবং বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পেয়েছে। দু’দেশের মানুষের সমৃদ্ধি ও শান্তির লক্ষ্যে ভারত ও কোরিয়া ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বাড়িয়ে তুলবে।
কোরিয়া সফরকালে রাষ্ট্রপতি মুনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ছাড়াও আমি সে দেশের শিল্পপতি, ভারতীয় সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ এবং সমাজের সর্বক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব।
এই সফরের ফলে দু’দেশের অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেই আমার বিশ্বাস।