আপনাদের মতো সকল কৃষক বন্ধুদের সঙ্গে এই আলোচনা আমার মনে একটি নতুন আশা জাগায়, নতুন বিশ্বাসের জন্ম দেয়। আজ একটু আগেই যেমন আমাদের কৃষিমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমরজি বলছিলেন, আজ ভগবান বাসবেশ্বরের জয়ন্তী, আজ পরশুরাম জয়ন্তীও, আজ অক্ষয় তৃতীয়ার পবিত্র উৎসবও। আর আমার পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদ উৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা। 

করোনার এই সময়ে সমস্ত দেশবাসীর সাহস বাড়ুক, এই মহামারীকে পরাস্ত করার সঙ্কল্প আরও দৃঢ় হোক, এই কামনা নিয়ে সমস্ত কৃষক ভাইদের সঙ্গে আমার যে আলোচনা হয়েছে তাকে আমি আরও এগিয়ে নিয়ে যাব। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষককল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্য সহযোগীরা, সকল মুখ্যমন্ত্রী, সমস্ত রাজ্য সরকারের সম্মানিত মন্ত্রীগণ, সাংসদগণ, বিধায়কগণ এবং আমার সারা দেশের কৃষক ভাই ও বোনেরা,

আজ অত্যন্ত সঙ্কটময় সময়ে আমরা এই আলোচনা করছি। এই করোনাকালেও দেশের কৃষকরা আমাদের কৃষিক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে শস্যের রেকর্ড উৎপাদন করেছেন। আপনারা কৃষিতে নতুন নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। আপনাদের প্রচেষ্টাকে পিএম-কিষাণ সম্মান নিধি-র আরেকটি কিস্তি আরও সাহায্য করবে। আজ অক্ষয় তৃতীয়ার পবিত্র উৎসব কৃষির নতুন চক্র শুরু হওয়ার সময়, আর আজই প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ১০ কোটি কৃষক লাভবান হবেন। বাংলার কৃষকরা প্রথমবার এই প্রকল্প থেকে লাভবান হলেন। আজ পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা পৌঁছেছে। যেভাবে ওই রাজ্য থেকে কৃষকদের নাম কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আসবে, তেমনভাবেই সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।

বন্ধুগণ,

পিএম-কিষাণ সম্মান নিধি-র মাধ্যমে বিশেষভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের অধিক লাভ হচ্ছে। আজকের কঠিন সময়ে এই অর্থ এই কৃষক পরিবারগুলির অনেক কাজে লাগবে। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রায় ১১ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা হস্তান্তরিত হয়েছে। অর্থাৎ, ১ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা গিয়েছে। মাঝে কোনও দালালকে দিতে হয়নি। এর মধ্যে করোনা সঙ্কটকালেই ৬০ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা হয়েছে। প্রয়োজনের সময় দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে সরাসরি সহায়তা পৌঁছনো, দ্রুতগতিতে পৌঁছনো, যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের কাছে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে পৌঁছে দেওয়া  এটাই সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টা। 

ভাই ও বোনেরা,

দ্রুতগতিতে সরাসরি কৃষকদের সহায়তার এই কাজের পাশাপাশি সরকারি ক্রয়ও অত্যন্ত ব্যাপক মাত্রায় করা হচ্ছে। করোনার কঠিন সঙ্কটের মধ্যে যেখানে কৃষকরা কৃষি এবং বাগিচা চাষে রেকর্ড উৎপাদন করেছেন, তেমনই সরকারও এ বছর ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ক্রয়ের ক্ষেত্রে নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। আগে ধানের আর এখন গমের রেকর্ড ক্রয় হচ্ছে। এ বছর, এখনও পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশেরও বেশি গম ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কেনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গম বিক্রির প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গেছে। সবচাইতে বড় কথা হল, এখন কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল মান্ডিতে বিক্রি করছেন। এখন তাঁদেরকে টাকার জন্য দীর্ঘকাল অপেক্ষা করতে হচ্ছে না, কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। কৃষকদের অধিকারের অর্থ সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাচ্ছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার লক্ষ লক্ষ কৃষক প্রথমবার প্রত্যক্ষ হস্তান্তরের এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত পাঞ্জাবের কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা আর হরিয়ানার কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা সরাসরি জমা হয়েছে। নিজের অধিকারের সম্পূর্ণ টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হওয়ার আনন্দ কেমন হয় তা এখন পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকরাও অনুভব করছেন, আর সোচ্চার হয়ে বলছেন। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় এত ভিডিও দেখেছি, কৃষকরা, বিশেষ করে পাঞ্জাবের কৃষকরা এমনভাবে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা জমা হওয়া আর সম্পূর্ণ টাকা একসঙ্গে পৌঁছনোর কথা  এত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে বলছেন দেখে আনন্দ হয়। 

বন্ধুগণ,

চাষে নতুন সমাধান, নতুন বিকল্প প্রদানের জন্য সরকার নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে। জৈব ফসল চাষকে উৎসাহ যোগানোর প্রচেষ্টাও এমনই একটি পদক্ষেপ। এধরনের ফসলে বিনিয়োগ কম। এটি মাটি এবং কৃষকদের স্বাস্থ্যের জন্যও লাভদায়ক আর উৎপাদিত ফসলের দামও বেশি পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ আগেই এ ধরনের চাষের সঙ্গে যুক্ত সারা দেশের কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁদের উৎসাহ, তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জেনে আমি অত্যন্ত উৎসাহিত। আজ গঙ্গা নদীর উভয় তীরের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত জৈব পদ্ধতিতে চাষকে ব্যাপক হারে উৎসাহ যোগানো হচ্ছে যাতে আগে যে রাসায়নিক এই খেতগুলিতে প্রয়োগ করা হয়, বর্ষার সময় তা জলে ধুয়ে গঙ্গা নদীতে না চলে যায়, আর গঙ্গা নদীকে দূষিত না করে! 
সেজন্য উভয় তটের ৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত এই জৈব পদ্ধতিতে চাষের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। এই জৈব ফলন ‘নমামী গঙ্গে’ ব্র্যান্ডের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে ভারতীয় প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতিকেও ব্যাপক হারে উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি, সরকারের নিরন্তর চেষ্টা হল ছোট ও প্রান্তিক কৃষকরা যাতে ব্যাঙ্কগুলি থেকে সহজ শর্তে কম সুদে ঋণ পান, সেজন্য বিগত ১.৫ বছর ধরে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড চালু করার একটি বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে ২ কোটিরও বেশি কৃষককে ইতিমধ্যেই ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। এই কার্ডগুলির ভিত্তিতে কৃষকরা ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক থেকে ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ঋণ নিয়েছেন। এর ফলে পশুপালন, ডেয়ারি এবং মৎস্যচাষের সঙ্গে যুক্ত কৃষকরাও অনেক লাভবান হচ্ছেন। সম্প্রতি সরকার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর আমি চাইব আমার কৃষক ভাই-বোনেরা সরকারের এই সিদ্ধান্ত থেকে আনন্দিত হন, কারণ, এটি তাঁদের জন্য অত্যন্ত লাভদায়ক হবে। করোনার সঙ্কটকালকে মাথায় রেখে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নেওয়া ঋণ পরিশোধ কিংবা এর পুনর্নবীকরণের সময়সীমা বাড়ানো হয়ে। ফলে, কৃষকরা তাঁদের বকেয়া ঋণের পুনর্নবীকরণ ৩০ জুন পর্যন্ত করতে পারবেন। এই বর্ধিত সময়েও কৃষকরা আগে যেমন ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পেয়েছিলেন; এই সুবিধাও চালু থাকবে। 

বন্ধুগণ,

গ্রামে গ্রামে কৃষকরা করোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে অনেক বড় অবদান রাখছেন। এটা আপনাদেরই পরিশ্রমের পরিণাম যে আজ এই করোনা সঙ্কটকালে ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রকল্প চালু রাখতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে গত বছর আট মাস ধরে গরীবদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়েছিল। এ বছর মে এবং জুন মাসে দেশের ৮০ কোটিরও বেশি বন্ধু যাতে রেশন পান, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও আমাদের গরীবদের বাড়িতে যেন উনুন জ্বলে একথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার ২৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে। আমি রাজ্য সরকারগুলিকে অনুরোধ জানাব যাতে গরীবদের এই রেশন বিতরণের ক্ষেত্রে কোনরকম সমস্যা না আসে তা সুনিশ্চিত করে।

বন্ধুগণ,

১০০ বছর পরে আসা এত ভয়ঙ্কর মহামারী প্রতি পদক্ষেপে বিশ্ববাসীর পরীক্ষা নিচ্ছে। আমাদের সামনে একটি অদৃশ্য শত্রু রয়েছে। আর এই শত্রু বহুরূপীও। এই শত্রুর আক্রমণে, এই করোনা ভাইরাসের আক্রমণে আমরা আমাদের অনেক আপনজনদের হারিয়েছি। বিগত কিছু সময় ধরে দেশবাসী যে কষ্ট সহ্য করছেন, অনেকে যে শোক ও যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছেন, সেটাও আমি ততটাই অনুভব করছি। দেশের প্রধান সেবক হিসেবে আপনাদের প্রত্যেক ভাবনায় আমি সহমর্মী। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বিভিন্ন সরঞ্জামের অপ্রতুলতার ফলে যত সমস্যা আসছে তা দ্রুতগতিতে দূর করা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করার চেষ্টা চলছে। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, সরকারের সমস্ত বিভাগ, সমস্ত সম্পদ, আমাদের দেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলি, আমাদের বিজ্ঞানীরা – প্রত্যেকেই দিন-রাত এক করে কোভিড সমস্যার মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। দেশের বিভিন্ন অংশে দ্রুতগতিতে কোভিড হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত অক্সিজেন প্ল্যান্ট গড়ে উঠছে। আমাদের তিনটি সশস্ত্র সেনা দল – বিমানবাহিনী, নৌ-বাহিনী এবং সেনাবাহিনী পূর্ণ শক্তি দিয়ে এই কাজে লেগে পড়েছে। অক্সিজেন রেল করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেক বড় শক্তি হয়ে উঠেছে। দেশের দূর-দুরান্তে এই বিশেষ ট্রেনগুলি, এই অক্সিজেন রেলগুলি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার পৌঁছে দিচ্ছে। অক্সিজেন ট্যাঙ্কার পরিবহণকারী ট্রাক চালকরাও কোথাও না থেমে লাগাতর গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের চিকিৎসকরা, নার্সিং স্টাফরা, সাফাই কর্মচারীরা, অ্যাম্বুলেন্স চালকরা, গবেষণাগারগুলিতে কর্মরত ভাই-বোনেরা, রোগীদের লালার নমুনা সংগ্রহকারীরা প্রত্যেক মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য ২৪ ঘন্টা কাজ করে চলেছেন। আজ দেশে জরুরি ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করা হচ্ছে। সরকার এবং দেশের ফার্মা সেক্টর বিগত দিনগুলিতে জরুরি ওষুধ উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বিদেশ থেকেও ওষুধ আমদানি করা হচ্ছে। এই সঙ্কটকালে নিজেদের নিহিত স্বার্থে যারা ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের মজুত ও কালোবাজারি করছেন, রাজ্য সরকারগুলিকে অনুরোধ করব তাদেরকে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিন। এটা তারা মানবতার বিরুদ্ধে কাজ করছেন। ভারত সাহস হারানোর মতো দেশ নয়। ভারত সাহস হারাবে না, কোনও ভারতবাসীও সাহস হারাবে না। আমরা লড়ব এবং জিতব।

বন্ধুগণ,

আজকের এই অনুষ্ঠানে আমি দেশের সমস্ত কৃষকদের, গ্রামে বসবাসকারী সমস্ত ভাই ও বোনেদের আরেকবার করোনার বিরুদ্ধে সতর্ক করতে চাই। এই সংক্রমণ এখন দ্রুতগতিতে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের প্রত্যেক সরকার এর প্রতিরোধে যথাসম্ভব চেষ্টা করছে। এই প্রতিরোধে গ্রামবাসীদের সচেতনতা, আমাদের পঞ্চায়েতি রাজের সঙ্গে যুক্ত যে ব্যবস্থা রয়েছে তার সহযোগিতা, তাঁদের অংশীদারিত্ব অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনারা কখনই দেশকে হতাশ করেননি। এবারও আপনাদের কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশা। করোনার সংক্রমণ থেকে আপনাকে, আপনার পরিবারকে বাঁচানোর জন্য সামাজিক স্তরে যত পদক্ষেপ প্রয়োজন তা আমরা নেবই। কিন্তু নিয়মিত মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি। প্রত্যেককে এমনভাবে মাস্ক পরতে হবে যাতে নাক আর মুখ সম্পূর্ণরূপে ঢাকা থাকে। দ্বিতীয়ত, আপনাদের কোনও ধরনের কাশি, সর্দি, ঠান্ডা লাগা, জ্বর, বমি, পাতলা পায়খানা হলে – এ ধরনের লক্ষণকে মামুলি ভেবে অবহেলা করলে চলবে না। আগে নিজেকে যথাসম্ভব অন্যদের থেকে আলাদা করে নিতে হবে। তারপর যত দ্রুত সম্ভব করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। আর যতক্ষণ পর্যন্ত পরীক্ষার রিপোর্ট না পাবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত চিকিৎসকরা যখন যে যে ওষুধ খেতে বলেন, সেগুলি খেয়ে যেতে হবে। 

বন্ধুগণ,

করোনা প্রতিরোধের একটি বড় মাধ্যম হল টিকাকরণ। কেন্দ্রীয় সরকার এবং সমস্ত রাজ্য সরকার সম্মিলিতভাবে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে যাতে দ্রুত অধিকাংশ দেশবাসীর টিকাকরণ হয়। সারা দেশে ইতিমধ্যেই প্রায় ১৮ কোটি মানুষের টিকাকরণ হয়েছে। সারা দেশে সরকারি হাসপাতালগুলিতে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সেজন্য যখনই আপনাদের সিরিয়াল আসবে টিকা অবশ্যই নেবেন। এই টিকা আমাদের করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা কবচ প্রদান করবে। রোগের প্রাবল্য কমিয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা হ্রাস করবে। হ্যাঁ, টিকা নেওয়ার পরেও মাস্ক পড়ে যেতে হবে আর দুই গজের দূরত্বের কৌশলও এখনই ছাড়লে চলবে না। আরেকবার সমস্ত কৃষক বন্ধুদের অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। 

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।