প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশ প্রতিরক্ষা শিল্প করিডরের আলিগড় সংযোগের মডেলটি ঘুরে দেখেছেন
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে জাতীয় নায়ক ও নায়িকাদের আত্মবলিদানের তথ্য মানুষ জানত না। একবিংশ শতাব্দীর ভারত বিংশ শতকের এই ভুলগুলি শুধরে দিচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংজির জীবন থেকে আমরা এই শিক্ষাই পাই যে আমাদের যেকোন স্বপ্ন পূরণে অদম্য ইচ্ছাশক্তি সহায়ক হতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা আমদানিকারক দেশের তকমা থেকে বেরিয়ে আসছে এবং পৃথিবীর সামনে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানীকারক দেশের পরিচিতি অর্জন করছে : প্রধানমন্ত্রী
দেশ বিদেশের সব ছোট ও বড় বিনিয়োগকারীর জন্য উত্তরপ্রদেশ আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠছে : প্রধানমন্ত্রী
আজ ডাবল ইঞ্জিন সরকারের দ্বিগুণ সুবিধার উদাহরণ উত্তরপ্রদেশ হয়ে উঠছে : প্রধানমন্ত্রী

ভারত মাতার জয়,
ভারত মাতার জয়!

উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দী বেন প্যাটেলজি, উত্তরপ্রদেশের যশস্বী এবং কর্মতৎপর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মাজি, উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রীগণ, উপস্থিত অন্যান্য সাংসদ ও বিধায়কগণ এবং আমার আলিগড়ের প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

আজ আলিগড়ের জন্য, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জন্য একটি অনেক বড় দিন। আজ রাধা অষ্টমীও। সেজন্য আজকের এই দিনটি আরও পবিত্র হয়ে উঠেছে। ব্রজভূমির প্রতিটি কণায় কণায়, প্রতিটি বিন্দুতে রাধাই রাধা। আমি আপনাদের সবাইকে এবং গোটা দেশকে রাধা অষ্টমী উৎসবের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। 

আমাদের সৌভাগ্য যে, উন্নয়নের এতবড় কাজটির সূত্রপাত আজকের এই পবিত্র দিনে সম্পন্ন হচ্ছে। আমাদের শিষ্টাচার হল, যখন কোনও শুভ কাজ হয়, তখন আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের অবশ্যই স্মরণ করি। আমি আজ এই মাটির মহান সন্তান স্বর্গীয় কল্যাণ সিং-জির অনুপস্থিতি অনেক বেশি করে অনুভব করছি। আজ কল্যাণ সিং-জি আমাদের সঙ্গে থাকলে রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নির্মীয়মান আলিগড়ের নতুন পরিচয় দেখে অনেক খুশি হতেন। আমি দৃঢ় নিশ্চিত, আজ তাঁর আত্মা যেখানেই থাকুক না কেন, সেখান থেকে আমাদের আশীর্বাদ দিচ্ছেন।

বন্ধুগণ,

ভারতের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস এমন অনেক দেশভক্তের কীর্তিতে সঞ্জীবিত যাঁরা তাঁদের সময়ে ভারতকে নিজেদের তপস্যা এবং ত্যাগের মাধ্যমে নতুন দিশা দেখিয়েছেন। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে এমন অনেক মহান ব্যক্তি রয়েছেন যাঁরা নিজেদের সবকিছু উৎসর্গ করেছেন। কিন্তু এ দেশের দুর্ভাগ্য যে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই দেশ-নায়ক ও দেশ-নায়িকাদের তপস্যা ও কীর্তি সম্পর্কে দেশের পরবর্তী প্রজন্মকে পরিচিত করানো হয়নি। তাঁদের কীর্তিগাথা সম্পর্কে জানতে না পেরে দেশের কয়েকটি প্রজন্ম বঞ্চিত থেকে গেছে। 

বিংশ শতাব্দীর সেই ভুলগুলিকে আজ একবিংশ শতাব্দীর ভারত শুধরাচ্ছে। মহারাজা সুহেল দেবজি থেকে শুরু করে দীনবন্ধু চৌধুরি ছোটুরামজি কিংবা রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জি ; রাষ্ট্র নির্মাণের ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করানোর সৎ প্রচেষ্টা আজ দেশে হচ্ছে। আজ যখন দেশ তাঁর স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পালন করছে, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে, তখন এই প্রচেষ্টাগুলিকে আরও গতি প্রদান করা হয়েছে। ভারতের স্বাধীনতায় রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-এর অবদানকে প্রণাম জানানোর এই প্রচেষ্টা তেমনই একটি পবিত্র সুযোগ।

 

বন্ধুগণ,

আজ দেশের তেমন প্রত্যেক যুবক-যুবতী যাঁরা বড় বড় স্বপ্ন দেখছেন, যাঁরা বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চান, তাঁদের অবশ্যই রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং সম্পর্কে জানতে হবে, পড়তে হবে। রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জির জীবন থেকে আমরা অদম্য ইচ্ছাশক্তি, নিজের স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়নের জন্য অসাধ্যসাধনের আপ্রাণ চেষ্টা আজও আমাদের অনেক শিক্ষা দেয়। তিনি ভারতের স্বাধীনতা চাইতেন এবং নিজের জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত সেজন্য সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। তিনি শুধু ভারতে থেকে ভারতীয়দের প্রেরণা জোগাননি, তিনি ভারতের স্বাধীনতার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছেন। আফগানিস্তান থেকে শুরু করে পোল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা – জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি ভারত মাতাকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে সবরকম চেষ্টা করেছেন। সারা জীবন আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন। 

আমি আজকের যুব সম্প্রদায়কে বলব যে যখনই তাঁদের কোনও লক্ষ্যকে কঠিন বলে মনে হবে, তখন রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জির কথা স্মরণ করবেন, দেখবেন আপনাদের ইচ্ছাশক্তি অনেক প্রবল হয়ে উঠবে, সাহস অনেক বেড়ে যাবে। রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জি যেভাবে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে একাগ্রতা নিয়ে, নিষ্ঠার সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার জন্য কাজ করে গেছেন, তা আজও আমাদের সকলের জন্য প্রেরণার উৎস। 

বন্ধুগণ,

আজ যখন আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি, তখন দেশের আরেকজন মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী, গুজরাটের সুপুত্র শ্যামজি কৃষ্ণ ভার্মার কথা মনে পড়ছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জি বিশেষ করে, শ্যামজি কৃষ্ণ ভার্মাজি ও লালা হরদয়ালজির সঙ্গে দেখা করতে ইউরোপে গিয়েছিলেন। সেই বৈঠকে যে লক্ষ্য স্থির হয়েছিল তার পরিণাম আমরা আফগানিস্তানে ভারতের প্রথম নির্বাসিত সরকার রূপে দেখতে পেয়েছি। এই সরকারের নেতৃত্ব রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জি করেছিলেন। 

এটা আমার সৌভাগ্য, আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, শ্যামজি কৃষ্ণ ভার্মার মৃত্যুর ৭৩ বছর পর তখন তাঁর অস্থি ভারতে ফিরিয়ে আনার সাফল্য পেয়েছিলাম। আপনারা যদি কখনও কচ্ছ-এ যাওয়ার সুযোগ পান, তাহলে দেখবেন কচ্ছ-এর মাণ্ডভিতে শ্যামজি কৃষ্ণ ভার্মাজির একটি অনন্য সুন্দর স্মারক রয়েছে যেখানে তাঁর অস্থি রাখা রয়েছে। সেই স্মারক আমাদের ভারত মাতার জন্য বাঁচার প্রেরণা জোগাবে। 

আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী রূপে আমার আরেকবার রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জির মতো দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর নামে নির্মীয়মান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাসের সৌভাগ্য হল। আমার জীবনে এটা বড় সৌভাগ্যের দিন। আজ এই পবিত্র অনুষ্ঠানে আপনারা এত বিপুল সংখ্যায় আমাকে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য এসেছেন, এই পবিত্র দিনে জনগণেশের দর্শনও অত্যন্ত শক্তিদায়ক ঘটনা। 

 

বন্ধুগণ,

রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জি শুধু যে ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন তা নয়, তিনি ভারতের ভবিষ্যৎ নির্মাণের ভিত্তি স্থাপনের ক্ষেত্রেও সক্রিয় অবদান রেখেছেন। তিনি নিজের দেশ-বিদেশ সফরের অভিজ্ঞতাকে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের জন্য প্রয়োগ করেন। বৃন্দাবনে আধুনিক টেকনিক্যাল কলেজ নির্মাণের সময় নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি দান করা ছাড়াও অর্থ যুগিয়েছেন। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জি জমি দিয়েছিলেন আর স্বাধীনতার এই অমৃত বর্ষে যখন একবিংশ শতাব্দীর ভারত শিক্ষা এবং প্রকৌশলের নতুন যুগের দিকে এগিয়ে চলেছে, তখন ভারত মাতার এহেন অমর সুপুত্রের নামে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলাই তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ। এই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য যোগীজি এবং তাঁর পুরো টিমকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। 

বন্ধুগণ,

এই বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক শিক্ষার একটি বড় কেন্দ্র তো হয়ে উঠবেই, পাশাপাশি দেশে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পড়াশোনা, ডিফেন্স ম্যানুফ্যাকচারিং সংক্রান্ত প্রযুক্তি এবং মানবসম্পদ গড়ে তোলার কেন্দ্রও হয়ে উঠবে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে যেভাবে শিক্ষা, দক্ষতা এবং স্থানীয় ভাষায় পড়াশোনার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, তার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অনেক লাভবান হবেন। 

দেশের সৈন্যশক্তিকে মজবুত করতে আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাওয়া ভারতের প্রচেষ্টাগুলি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ধরনের পড়াশোনায় আরও গতি প্রদান করবে। আজ শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্ব দেখছে যে ভারতে কিভাবে আধুনিক গ্রেনেড থেকে শুরু করে রাইফেল, যুদ্ধবিমান, অত্যাধুনিক ড্রোন, যুদ্ধজাহাজ ইত্যাদি নির্মাণের অভিযান চলছে। ভারত বিশ্বের একটি বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিকারক দেশ - এই ধারনা বদলে আমরা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানিকারক হয়ে উঠতে চাই। স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর পেরিয়ে গেছে। আমাদের দেশ শুধু প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি করেই গেছে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে আমরা বিশ্বে একটি প্রতিরক্ষা রপ্তানিকারকের নতুন পরিচয় গড়ে তোলার সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছি। ভারতের এই পরিবর্তিত পরিচয়ের একটি বড় কেন্দ্র আমাদের উত্তরপ্রদেশে তৈরি হতে চলেছে আর উত্তরপ্রদেশের একজন সাংসদ রূপে এই কারণে আমি অত্যন্ত গর্বিত। 

বন্ধুগণ,

কিছুক্ষণ আগে ডিফেন্স করিডরের ‘আলিগড় নোড’-এর প্রগতি আমি সরেজমিনে দেখেছি। আলিগড়েই ডিফেন্স ম্যানুফ্যাকচারিং সংক্রান্ত দেড় ডজনেরও বেশি কোম্পানি কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চলেছে। ‘আলিগড় নোড’-এ ছোট ছোট অস্ত্র, বড় অস্ত্রশস্ত্র, ড্রোন, এরোস্পেস, মেটাল কম্পোনেন্টস, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, ডিফেন্স প্যাকেজিং – এই ধরনের পণ্য নির্মাণের জন্য নতুন নতুন কারখানা চালু হচ্ছে। এই পরিবর্তন আলিগড় এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিকে একটি নতুন পরিচয় দেবে।

বন্ধুগণ,

এতদিন পর্যন্ত মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর, দোকানের নিরাপত্তার জন্য আলিগড়ের ভরসায় থাকতেন তাই না? কারণ আলিগড়ের তালা লাগানো থাকলে সবাই নিশ্চিন্ত থাকতে পারে। আজ আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ছে। প্রায় ৫৫-৬০ বছর আগে কথা। আমি ছোট ছিলাম। আলিগড় থেকে তালা বিক্রি করতে এক মুসলমান ভদ্রলোক আমাদের গ্রামে অতিথি হয়ে ছিলেন। তিনি তিন মাস পরপর আমাদের গ্রামে অতিথি হতেন। এখনও মনে পড়ে যে তাঁর পরনে থাকত কালো জ্যাকেট আর একজন বিক্রেতা হিসেবে তিনি সবার দোকানে নিজের তালা রেখে যেতেন আর তিন মাস পরে এসে টাকা নিয়ে যেতেন। গ্রামের চারপাশে যে গ্রামগুলি ছিল, সেখানকার ব্যবসায়ীদেরকেও তিনি তালা সরবরাহ করতেন। আমার বাবার সঙ্গে তাঁর খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল। তিনি যখনই আসতেন ৫-৬ দিন আমাদের গ্রামে থাকতেন আর সারাদিনে যত টাকা তুলতেন তা আমার বাবার কাছে রেখে যেতেন। বাবা তাঁর টাকা খুব সামলে রাখতেন। ৫-৬ দিন পর গ্রামে যাওয়ার আগে তিনি বাবার কাছ থেকে সব টাকা নিয়ে ফেরার ট্রেনে উঠে পড়তেন। আমরা ছোটবেলায় উত্তরপ্রদেশের দুটি শহরের সঙ্গে খুব পরিচিত ছিলাম। একটি হল সীতাপুর আর অন্যটি আলিগড়। আমাদের গ্রামে কারোর চোখের রোগ হলে চিকিৎসার জন্য সবাই সীতাপুরে যেতেন। এর বেশি কিছু বুঝতাম না। কিন্তু সবার মুখে সীতাপুর শুনেছি। আর এই মহাশয়ের কারণে বারবার আলিগড়ের নাম শুনেছি।

কিন্তু বন্ধুগণ,

এখন থেকে আলিগড় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের জন্য পরিচিত হবে। আজ পর্যন্ত যে আলিগড়ের তালা দেশের অসংখ্য মানুষের বাড়ি ও দোকান নিরাপদ রাখত, একবিংশ শতাব্দীতে সেই আলিগড় ভারতের সীমান্ত রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এখানে এমন অস্ত্রশস্ত্র তৈরি হবে … ‘এক জেলা এক পণ্য’ প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশ সরকার আলিগড়ের তালা এবং হার্ডওয়্যারকে একটি নতুন পরিচয় প্রদানের কাজ করেছে। এর মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়ের জন্য অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের জন্য নতুন সুযোগ গড়ে উঠছে। এখন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণ শিল্পের মাধ্যমে এখানকার শিল্পপতিরা বিশেষ করে, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীরা নতুন নতুন শিল্পোদ্যোগ স্থাপনের সুযোগ পাবেন, উৎসাহ পাবেন। এই ছোট শিল্পোদ্যোগীদের জন্য ডিফেন্স করিডরের ‘আলিগড় নোড’ অনেক নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।

ভাই ও বোনেরা,

ডিফেন্স করিডরের ‘লক্ষ্ণৌ নোড’-এ বিশ্বের সবচাইতে উন্নত মিসাইলের অন্যতম ‘ব্রাহ্মস’ নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে। এর জন্য আগামী কয়েক বছরে ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। ‘ঝাঁসি নোড’-এও আরেকটি মিসাইল নির্মাণ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট চালু করার প্রস্তাব রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ডিফেন্স করিডর এরকম বড় বড় বিনিয়োগ এবং রোজগারের অনেক বড় বড় সুযোগ নিয়ে আসছে। 

বন্ধুগণ,

আজ উত্তরপ্রদেশ দেশ ও বিশ্বের প্রত্যেক ছোট-বড় বিনিয়োগকারীর জন্য অত্যন্ত আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠছে। এটা তখনই হয় যখন বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় আবহ গড়ে ওঠে, সমস্ত প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। আজ উত্তরপ্রদেশ ডবল ইঞ্জিন সরকারের ডবল লাভের অনেক বড় উদাহরণ। যোগীজি এবং তাঁর গোটা টিম ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’-এর মন্ত্র নিয়ে উত্তরপ্রদেশকে নতুন ভূমিকা পালনের জন্য প্রস্তুত করে তুলছেন। এখন আপনাদের সকলের প্রচেষ্টায় একে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সমাজে উন্নয়নের সুযোগগুলি থেকে এতদিন যাঁদেরকে দূরে রাখা হয়েছিল, সমাজের সেই অংশগুলিকে আজ শিক্ষা ও সরকারি চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আজ দেশে বড় বড় পরিকাঠামো প্রকল্প এবং বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় উত্তরপ্রদেশের নাম নেওয়া হয়। বিশেষ করে, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মানুষ এর দ্বারা অনেক লাভবান হচ্ছেন। 

বৃহত্তর নয়ডায় ইন্টিগ্রেটেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ গড়ে তোলা, মাল্টি-মডেল লজিস্টিক্স হাব, জেবার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, দিল্লি-মীরাট রিজিওনাল র‍্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম, উন্নত মেট্রো যোগাযোগ ব্যবস্থা, আধুনিক উড়ালপুল এবং এক্সপ্রেসওয়ে – এরকম অনেক কাজ আজ পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে এত হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গড়ে উঠছে যে আগামী বছরগুলিতে উত্তরপ্রদেশ ভারতের উন্নয়নের বড় ভিত্তি হয়ে উঠবে। 

ভাই ও বোনেরা,

আমি আজ এটা দেখে অত্যন্ত আনন্দিত, যে উত্তরপ্রদেশকে এতকাল দেশের উন্নয়নে একটি বড় বাধা রূপে দেখা হত, সেই রাজ্যটিই আজ দেশের বড় বড় উন্নয়ন অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। যেমন শৌচালয় নির্মাণ অভিযান, দরিদ্রদের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণ, উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে গরিবদের বাড়িতে রান্নার গ্যাস সংযোগ, মানুষের বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ, পিএম কিষাণ সম্মান নিধি – এরকম প্রতিটি প্রকল্প, প্রত্যেক অভিযানে, যোগীজির নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশ দেশের লক্ষ্যসাধনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আমি সেদিনের কথা ভুলিনি। ২০১৭ সালের আগে এই রাজ্যে গরীবদের স্বার্থে নেওয়া প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হত। এক একটি প্রকল্প চালু করার জন্য কেন্দ্র থেকে অসংখ্যবার চিঠি লেখা হয়েছে। কিন্তু এই রাজ্যে সেই গতিতে কাজ হত না। এটা আমি ২০১৭-র আগের কথা বলছি। যেমনটা হওয়া উচিৎ ছিল, তেমনটা হত না। 

বন্ধুগণ,

উত্তরপ্রদেশের মানুষ এটা ভুলতে পারেনি কিভাবে এ রাজ্যে দুর্নীতি হত। একের পর এক ঘোটালা হত। প্রতিটি সরকারি কাজ দুর্নীতিবাজদের হাতে চলে গিয়েছিল। আজ যোগীজির নেতৃত্বাধীন সরকার সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নে নিয়োজিত। একটা সময় ছিল যখন এ রাজ্যের শাসন, প্রশাসন গুন্ডা এবং মাফিয়াদের ইচ্ছায় চলত। কিন্তু এখন সেই তোলাবাজ, মাফিয়া রাজের ক্রীড়নকরা সবাই গরাদের পেছনে।

আমি পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জনগণকে বিশেষভাবে মনে করাতে চাই, ৪-৫ বছর আগে আপনারা বাড়িতে কতটা ভয়ে ভয়ে থাকতেন। বোন ও মেয়েদের বাড়ি থেকে বেরোতে, স্কুল-কলেজে পাঠাতে ভয় করত। যতক্ষণ পর্যন্ত মেয়েরা বাড়িতে না ফিরে আসত, বাবা-মায়ের শ্বাস রুদ্ধ হয়ে থাকত। এমন আবহ থাকার ফলে অনেক পরিবারকে তাদের পারিবারিক বিষয়-সম্পত্তি ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। আর আজ উত্তরপ্রদেশে এরকম কিছু করার আগে অপরাধীরা একশোবার চিন্তা করে।

যোগীজির সরকার গরীবের কথা শোনে, গরীবকে সম্মান করে। যোগীজির নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশের পরিবর্তিত কর্মসংস্কৃতির একটি বড় প্রমাণ – ‘সবাইকে টিকা, বিনামূল্যে টিকা’ অভিযান। উত্তরপ্রদেশ ইতিমধ্যেই ৮ কোটিরও বেশি টিকাকরণ করেছে। দেশে একদিনে সবচাইতে বেশি টিকাকরণের রেকর্ডও এই রাজ্যটির রয়েছে। করোনার এই সঙ্কটকালে গরীবদের রক্ষা করার চিন্তাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। কোনও গরীব যেন খালি পেটে না থাকে তা সুনিশ্চিত করতে মাসের পর মাস ধরে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ করা হচ্ছে। গরীবদের খিদে থেকে বাঁচানোর জন্য যে কাজ বিশ্বের অনেক অনেক বড় বড় দেশ করতে পারেনি, তা আজ ভারত করছে, আমাদের উত্তরপ্রদেশ করছে।

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার এই অমৃতকালে গ্রামীণ অর্থনীতিতে দ্রুত পরিবর্তন আসছে। পরিবর্তনের সঙ্গে কিভাবে ভারসাম্য রেখে চলতে হয় তার পথ কয়েক দশক আগেই দেশকে দেখিয়ে গেছেন স্বয়ং চৌধুরী চরণ সিং-জি। যে পথ চৌধুরী চরণ সিং-জি দেখিয়ে গেছেন, তা থেকে দেশের খেতমজুর এবং ছোট কৃষকরা কতটা লাভবান হয়েছেন তা আমরা সবাই জানি। আজকের অনেক প্রজন্ম সেই সংস্কারগুলির কারণে একটি গরিমাময় জীবনযাপন করতে পারছেন।

দেশের যে ছোট ছোট কৃষকদের চিন্তা চৌধুরী সাহেব করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে সরকার সহযোগী হিসেবে পাশে থাকার প্রয়োজন ছিল। আমাদের দেশে ৮০ শতাংশেরও বেশি ছোট কৃষকের দুই হেক্টর থেকেও কম জমি রয়েছে। অর্থাৎ, দেশের প্রতি ১০ জন কৃষকের মধ্যে ৮ জনের অত্যন্ত ছোট জমির মালিকানা রয়েছে। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে যাতে ছোট জমির মালিক কৃষকদের সুবিধা হয়। দেড়গুণ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান থেকে শুরু করে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের পরিধি বিস্তার, বিমা যোজনায় সংস্কার, ৩ হাজার টাকা পেনশনের ব্যবস্থা – এরকম সিদ্ধান্ত ক্ষুদ্র কৃষকদের ক্ষমতায়িত করছে। 

করোনার এই কঠিন সময়ে সারা দেশে ছোট কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরকার ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি প্রত্যক্ষ হস্তান্তর করেছে। এর মধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি শুধু উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা পেয়েছেন। আমি এজন্য অত্যন্ত আনন্দিত যে উত্তরপ্রদেশে বিগত চার বছরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ক্রয়ের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। আখ বিক্রি নিয়ে যে সমস্যা হত, ক্রমাগত প্রচেষ্টায় তাও অনেকটা লাঘব করা গেছে। বিগত চার বছরে উত্তরপ্রদেশের আখ চাষিদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি আখ কেনা হয়েছে। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশের আখ চাষিদের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলতে চলেছে। আখ থেকে যে ইথানল তৈরি হয়, যে জৈব জ্বালানি তৈরি হয়, জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার প্রয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। এই প্রকল্পের ফলে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের আখ চাষিরাও অনেক লাভবান হবেন। 

বন্ধুগণ,

আলিগড় সহ গোটা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যোগীজির নেতৃত্বাধীন সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করছে। আমরা মিলেমিশে এই অঞ্চলকে আরও সমৃদ্ধ করব। এখানকার ছেলে-মেয়েদের সামর্থ্যকে আরও বাড়াব আর উন্নয়ন-বিরোধী প্রতিটি শক্তির হাত থেকে উত্তরপ্রদেশকে রক্ষা করব। রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জির মতো রাষ্ট্র-নায়কদের প্রেরণা থেকে আমরা সমস্ত লক্ষ্যে সাফল্য পাব। এই কামনা নিয়ে আপনাদের সকলকে এত বিপুল সংখ্যায় আশীর্বাদ প্রদানের জন্য সম্মিলিত হওয়ায় ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের সবাইকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে - সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই, অনেক অনেক শুভকামনা জানাই!

দু’হাত ওপরে তুলে আমার সঙ্গে বলুন – আমি বলব, রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং! আপনারা দু’হাত ওপরে তুলে বলবেন – অমর রহে, অমর রহে!

রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং
অমর রহে, অমর রহে!
রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং
অমর রহে, অমর রহে।
রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং
অমর রহে, অমর রহে।
ভারত মাতার
জয়।
ভারত মাতার
জয়।

অনেক অনেক ধন্যবাদ!!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।