রাষ্ট্রপতিভবনে আয়োজিত রাজ্যপাল সম্মেলনের সূচনা পর্বে আজ ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী।
শ্রী মোদীতাঁর ভাষণে বলেন যে সমাজে পরিবর্তন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাজ্যপালরা এক অনুঘটকেরভূমিকা পালন করতে পারেন কারণ, সংবিধানের মর্যাদা ও পবিত্রতাকে রক্ষা করার কাজেতাঁরা সঙ্কল্পবদ্ধ। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে এক ‘নতুন ভারত’ গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রাপ্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্যমাত্রা পূরণের কাজটি যদি এক জন-আন্দোলন রূপেগড়ে তোলা যায় তাহলে নতুন ভারতের অভ্যুদয় অবশ্যম্ভাবী।
‘নতুন ভারত’গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বিশদভাবে আলোচনা করার তিনি পরামর্শদেন বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপালদের। কেন্দ্রীয় সরকার আয়োজিত সাম্প্রতিককালেরহ্যাকাথনের দৃষ্টান্ত উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উচিৎ একএকটি উদ্ভাবন কেন্দ্র রূপে নিজেদের গড়ে তোলা। হ্যাকাথনে ছাত্রছাত্রীরা যে বেশকয়েকটি সমস্যার মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত সমাধানের প্রস্তাব পেশ করেছিলেন, সেপ্রসঙ্গও প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন তাঁর ভাষণকালে। তাঁর মতে, প্রত্যেকটি রাজ্যেরতরুণ ও যুবকদের উচিৎ এক একটি বিশেষ খেলাধূলার ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষ করে তোলা। স্বচ্ছতা,অর্থাৎ পরিচ্ছন্নতা রক্ষার অভিযানেনেতৃত্বদানের জন্য তিনি উৎসাহিত করেনরাজ্যপালদের।
প্রধানমন্ত্রীবলেন, মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে আগামী ২০১৯ সালে। তিনিছিলেন আমাদের অনুপ্রেরণার এক উৎস। তাঁর স্বপ্নকে সফল করে তুলতে উন্মুক্ত স্থানেপ্রাকৃতিক কাজকর্মমুক্ত এক ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি আমরা।
শ্রী মোদীবলেন, বিভিন্ন উৎসব ও বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান পালন পরিবর্তনের লক্ষ্যে আমাদের শক্তিও সাহস যোগায়। ‘মুদ্রা’ যোজনার আওতায় দলিত, আদিবাসী এবং মহিলাদের ঋণ সহায়তামঞ্জুরের কাজে ব্যাঙ্কগুলি যাতে উৎসাহিত হয়, সেজন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের তিনিপরামর্শ দেন রাজ্যপালদের। আগামী ২৬ নভেম্বরের সংবিধান দিবস এবং ৬ ডিসেম্বরেরআম্বেদকর মহাপরিনির্বাণ দিবস – এই সময়কালের মধ্যে ঐ বিশেষ বিশেষ শ্রেণীর মানুষযাতে ঋণ সহায়তার সুযোগ পেতে পারেন তা নিশ্চিত করার আর্জি জানান তিনি।
সৌরজ্বালানি, প্রত্যক্ষ সুফল হস্তান্তর এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কেরোসিন-মুক্তকরার কর্মসূচি সফল করে তুলতে বিভিন্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপ-রাজ্যপালদেরঅনুপ্রাণিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি যাতে দ্রুততারসঙ্গে এই কাজে সাফল্য দেখাতে পারে, তা নিশ্চিত করা সকলেরই কর্তব্য।