প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নয়া দিল্লীতে রাষ্ট্রপতি ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের পঞ্চম বৈঠকে উদ্বোধনী ভাষণ দেন।
বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপরাজ্যপাল সহ বিশিষ্ট জনেদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ সবকা বিশ্বাসকে বাস্তবায়িত করতে নীতি আয়োগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনকে বিশ্বে সবথেকে বড় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন দেশের উন্নয়নের জন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। দারিদ্র, বেকারি, খরা, বন্যা, দূষণ, দুর্নীতি, হিংসা সহ নানা জিনিষের বিরুদ্ধে একযোগে লড়তে হবে।
শ্রী মোদী বলেন এই মঞ্চে সকলের একটিই লক্ষ౼২০২২ সালের মধ্যে নতুন ভারত গড়তে হবে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান এবং পি এম আবাস যোজনা কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে একসঙ্গে রূপায়িত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ভারতীয়র ক্ষমতায়ন এবং সহজ জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে হবে। মহাত্মা গান্ধীর সার্ধ শত জন্মবার্ষিকীকে মনে রেখে ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে সব লক্ষ্য পূরণ করতে হবে।
শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতিকে ৫লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থে নিয়ে যেতে হবে। রাজ্যগুলিকে তাদের ক্ষমতার দিকগুলি চিনহিত করে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষে জেলা পর্যায় থেকে কাজ করতে হবে।
তিনি মাথা পিছু আয় বাড়াতে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি সহ বিভিন্ন রাজ্যকে রপ্তানীর ক্ষেত্র চিনহিত করে তার উপর জোর দিতে বলেন। তাহলে আয় এবং কর্ম সংস্থান দুই-ই বাড়বে।
জীবনে জলের গুরুত্বের দিকটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নবগঠিত জলশক্তি মন্ত্রকের কথা বলেন । এই মন্ত্রক জলের বিষয়ে সুসংহত উদ্যোগ নেবে। গ্রামে সকলের বাড়িতে ২০২৪ সালের মধ্যে পাইপ লাইনে জল সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রার কথা তিনি বলেন। জল সংরক্ষণের বিষয়ে রাজ্যগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকার কথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। পি এম কৃষি সিঞ্চাই যোজনা রূপায়নে জেলাস্তরে সেচের পরিকল্পনার উপর তিনি গুরুত্ব দেন।শ্রী মোদী খরা মোকাবিলায় কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।
২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষে মৎস্যচাষ, প্রাণীপালন,উদ্যান পালন, ফল ও শাকসব্জি চাষের জন্য কেন্দ্র গুরুত্ব দিচ্ছে। পি এম কিষাণ౼কিষাণ সম্মান নিধি সহ কৃষকদের সুবিধার্থে নানা প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে রূপায়ণে প্রধানমন্ত্রী জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন অনেক জেলা নক্সালদের নাশকতামূলক কাজের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত। তবে নকশাল দমনে এখন চূড়ান্ত পর্যায় চলছে।
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিভিন্ন লক্ষপূরণের জন্য ২০২২ সালকে ধরা হয়েছে। ২০২৫ এর মধ্যে দেশ থেকে যক্ষা নির্মূল করার ডাক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় পি এমজে এ ওয়াই যে সব রাজ্যে এখনো শুরু হয়নি সেখানে তা দ্রুত শুরু করতে হবে।
স্বচ্ছতা এবং সম্পাদনের উপর ভিত্তি করে প্রশাসন চলছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের সব সদস্যদের কার্যকর কাঠামো তৈরি এবং মানুষের আস্থা অর্জনের উপর তিনি গুরুত্ব দেন।