প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার হায়দরাবাদ হাউজে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আব্দুল হামিদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
উভয় নেতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান অগ্রগতিতে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। সফররত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শ্রী মোদীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, আগাম কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হতে পারেননি। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সে দেশ সফরের জন্যও প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শ্রী মোদী আনন্দের সঙ্গে সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলাদেশ সফরের দিনক্ষণ স্থির হবে বলে ঠিক হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূচনা হয়েছে তা এখনও ভারতের পক্ষ থেকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। বিগত পাঁচ বছরে উভয় দেশ ভূ-সীমানা পুনর্নিধারণের মতো একাধিক জটিল ও দীর্ঘদিন পড়ে থাকা সমস্যার সমাধানে অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। ২০২০-তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১-এ বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের ৫০তম বার্ষিকী যৌথভাবে উদযাপনের অঙ্গ হিসাবে ক্রমবর্ধমান ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী মোদী জোর দিয়েছেন।
ভারতে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ভারত সফরে এসেছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, এর আগে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ২০১৪-র ডিসেম্বরে রাষ্ট্রীয় সফরে এবং ২০১৮-র মার্চে আন্তর্জাতিক সৌর জোটের প্রথম বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন।