PM Modi applauds doctors, Medical Staff, Para-Medical Staff, sanitation workers in hospitals and everyone associated with Corona Vaccine
PM Modi complements Corona warriors for their authentic communication about the pandemic and vaccination
World's largest vaccination programme is going on in our country today: PM Modi



হর হর মহাদেব!

 

বারাণসীর জনগণকে বারাণসীর সেবকের প্রণাম। এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত মাননীয় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আর হাসপাতালে যাঁরা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন, হাসপাতালকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন, আমার সেই সাফাইওয়ালা ভাই-বোনেরা, করোনা টিকাকরণের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বন্ধুগণ, করোনা টিকা গ্রহণকারী সমস্ত সুবিধাভোগী, আমি আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই। এমনিতে, এই সময় আমার আপনাদের মাঝে থাকা উচিৎ ছিল। কিন্তু কিছু এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে আমাদের ভার্চ্যুয়ালি মিলিত হতে হচ্ছে। কিন্তু একথা সত্য যে কাশীতে আমি যাই করি না কেন, সবসময় কিছু করার একটা চেষ্টা আমার মধ্যে থাকে। ২০২১ সালের সূচনা অনেক শুভ সঙ্কল্প নিয়ে হয়েছে। আর কাশী সম্পর্কে তো বলা হয় যে কাশীর স্পর্শেই যে কোনও শুভ সিদ্ধ হয়ে সিদ্ধির মধ্যেই পরিবর্তিত হয়। এই সিদ্ধির পরিণাম হল আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাকরণ অভিযান আমাদের দেশে চলছে। আর এর প্রথম দুটি পর্যায়ে ৩০ কোটি দেশবাসীকে টিকাকরণ করা হচ্ছে। আজ দেশে এমন আবহ গড়ে উঠেছে, এমন ইচ্ছাশক্তি গড়ে উঠেছে যে দেশ নিজে থেকেই নিজের প্রয়োজনের টিকা তৈরি করছে। তাও একটা নয়, দু-দুটো 'মেড ইন ইন্ডিয়া' টিকা। আজ দেশের প্রস্তুতি এমন যে দেশের কোণায় কোণায় দ্রুতগতিতে ভ্যাক্সিন পৌঁছে যাচ্ছে আর আজকের বিশ্বের এই সবচাইতে বড় প্রয়োজনটি নিয়ে ভারত সম্পূর্ণরূপে আত্মনির্ভর। শুধু তাই নয়, ভারত এক্ষেত্রে অনেক দেশের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

বিগত ছয় বছরে বারাণসী এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে যে বড় পরিবর্তন এসেছে, তা গোটা পূর্বাঞ্চলকে করোনার সঙ্কটকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করেছে। এখন বারাণসী সেই গতিতেই এগিয়ে চলেছে। আমাকে বলা হয়েছে যে প্রথম পর্যায়ে বারাণসীতে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণ করা হবে। সেজন্য ১৫টি টিকাকরণ কেন্দ্র চালু হয়েছে। আমি এই গোটা অভিযানের জন্য সমস্ত চিকিৎসক, সেবিকা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিনন্দন জানাই, যোগীজির সরকারকে অভিনন্দন জানাই, সমস্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্মরত বন্ধুদের অভিনন্দন জানাই।

 

বন্ধুগণ,

 

এখানে বারাণসীতে আপনাদের অভিজ্ঞতা কেমন? টিকাকরণ নিয়ে কোনও সমস্যা হচ্ছে না তো? এসব কিছু জানার জন্যই আজ আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। আমরা ভার্চ্যুয়ালি পরস্পরের সঙ্গে কথা বলব। আমি এখানে কোনও ভাষণ দিতে আসিনি। আমার মনে হয়, আমার কাশীর জনগণের যে প্রতিক্রিয়া তা আমার অন্যান্য অঞ্চলের জন্য কাজে লাগবে। আপনারা নিজেরা টিকা নিয়েছেন এবং টিকাকরণ অভিযানে অংশগ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ, সব ধরনের মানুষেরাই এখানে আছেন। আর আমাকে বলা হয়েছে যে সবার আগে যাঁর সঙ্গে আমার আজ কথা হবে, সম্ভবত তিনি হলেন বারাণসী জেলা মহিলা হাসপাতালের মেট্রন ভগিনী পুষ্পাজি।

 

মোদীজি - পুষ্পাজি নমস্কার।

 

পুষ্পাজি - প্রণাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজি, আমার নাম পুষ্পা দেবী। আমি জেলা মহিলা চিকিৎসালকে মেট্রন পদে কর্মরত। গত এক বছর ধরে আমি এই পদে আছি।

 

মোদীজি - আচ্ছা, আজ সবার আগে আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাই। কারণ আপনি দেশের সেই মানুষদের অন্যতম যাঁরা প্রথম পর্যায়ে করোনার টিকা নিয়েছেন। একটা সময় ছিল, যখন করোনার নাম শুনেই মানুষ ভয়ে কাঁপত। এখন আমি আপনার কাছে জানতে চাইব, পুষ্পাজি আপনি কি বলতেন চান। সারা দেশবাসী আপনার কথা শুনছে। আমিও শুনছি।

 

পুষ্পাজি - আমি করোনা টিকার জন্য সবার আগে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ হল সবার আগে আপনি স্বাস্থ্য বিভাগকে বেছে নিয়েছেন। আর প্রথম দফায় ১৬ জানুয়ারি সবার আগে আমিই টিকা নিয়েছি। আমি এই টিকা নেওয়ার সুযোগ পেয়ে নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবতী মনে করছি। পাশাপাশি, সুরক্ষিতও অনুভব করছি। নিজের গোটা পরিবারকে সুরক্ষিত মনে করছি, সমাজকে সুরক্ষিত মনে করছি। পাশাপাশি স্যার, আমি আমার সমস্ত নার্সিং স্টাফ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের এই টিকা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি, তাঁদেরকে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। আমার কোনরকম সমস্যাই হয়নি। অন্য যে কোনও ইঞ্জেকশন নিল যেরকম মনে হয়, আমার সেরকমই মনে হয়েছে। সেজন্য আমার অনুরোধ আপনারা সবাই এগিয়ে এসে এই টিকা নিন, নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত করুন, তাহলে সমাজও সুরক্ষিত থাকবে।

 

মোদীজি - পুষ্পাজি, আপনার মতো লক্ষ কোটি করোনা যোদ্ধা আর ১৩০ কোটি দেশবাসীর সাফল্য, ‘মেড ইন ইন্ডিয়া' টিকা আমাদের সকলের জন্য গর্বের বিষয়। আচ্ছা এটা বলুন, আপনি যেমন বললেন কোনও সমস্যা হয়নি, আপনার মনেও কোনও প্রভাব পড়েনি, আপনি কি জোর গলায় অন্যদেরকে বলতে পারছেন যে আপনার অভিজ্ঞতা খুব ভালো?

 

পুষ্পাজি - জি,

 

মোদীজি - বলুন পুষ্পাজি,

 

পুষ্পাজি - জি স্যার,

 

মোদীজি - আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন।

 

পুষ্পাজি - জি স্যার,

 

মোদীজি - আপনি যখন বলছেন, অন্য যে কোনও টিকার মতোই এই টিকা নিয়েছেন আপনি। কারোর কারোর মনে কিছু দুশ্চিন্তা থাকে, কিন্তু আপনি স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যুক্ত, নিজে টিকা নিয়েছেন, টিকা নিতে মানুষের মনে যেন বিশ্বাস জন্মায় এমন কিছু বলুন।

 

পুষ্পাজি - মানুষের মনে বিশ্বাস আনতে হবে। দেখুন, আপনাদের সবার জন্য এই টিকা নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজির উদ্যোগে মাত্র নয় মাসের মধ্যেই এই টিকা এসেছে। ফলে সবার আগে ভারতে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। এই টিকা নিলে আপনারা একদমই সুরক্ষিত থাকবেন আর মনে কোনও ধরনের ভয় নিয়ে আসার প্রয়োজন নেই। এরকম ভাববেন না যে টিকা নিলে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে কিংবা কোনও লোকসান হবে। সেজন্য সবাই টিকা নিন, নির্ভয়ে নিন।

 

মোদীজি - ঠিক আছে পুষ্পাজি, আপনি খুব সঠিক বলেছেন। যে কোনও টিকা তৈরির পেছনে আমাদের বৈজ্ঞানিকদের কঠিন পরিশ্রম থাকে। আর টিকা আবিষ্কার একটি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। আপনারা হয়তো শুনেছেন, গোড়ার দিকে আমার ওপর খুব চাপ ছিল, টিকা তাড়াতাড়ি কেন আসছে না? কবে টিকা চালু করবেন? রাজনীতিতে যেমন পক্ষে কথা বলার লোক আছে, তেমনই বিপক্ষে কথা বলারও লোক আছে। আমি একটা জবাব দিতাম যে ভাই বৈজ্ঞানিকরা যা বলবেন, আমরা তো তাই করব। এটা তো আমাদের মতো রাজনীতির লোকেদের কাজ নয় যে যেমন খুশি সিদ্ধান্ত নেব। যেদিন আমাদের বৈজ্ঞানিকরা এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে এনেছেন, সেদিকই আমরা এই অভিযান চালু করেছি। আমরা সবার আগে সেই মানুষদের কথা ভেবেছি যাঁরা দৈনন্দিন জীবনে রোগীদের সুশ্রুষায় দিন-রাত এক করে কাজ করছেন। তাঁরা যদি নিরাপদ থাকেন, তাহলে সমাজকে তাঁরা নিরাপদ রাখার চেষ্টা করতে পারেন। আর এত দীর্ঘ সময়ের কঠিন আর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যখন এই টিকা এসেছে, তখন সবার আগে আমি স্বাস্থ্য জগতের সঙ্গে যুক্ত মানুষদেরই অগ্রাধিকার দিয়েছি। অনেকে আমার ওপর ক্ষুব্ধও হয়েছেন। তাঁরা বলছেন আমাদের জন্য তাড়াতাড়ি শুরু করুন। কিন্তু আমি আগে আপনাদের কথাই ভেবেছি। অনেক পর্যায়ে এটা ঠিক করা হয়েছে যে এই টিকার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবেই এটাকে কার্যকর করা হয়েছে। সেজন্য দেশবাসী আমাদের বৈজ্ঞানিকদের ওপর এবং চিকিৎসকদের ওপর ভরসা করতে পারেন। আর আপনাদের মতো চিকিৎসা জগতের মানুষেরা যখন বলবেন, তখন মানুষের মনে বিশ্বাস আরও দৃঢ় হবে। পুষ্পাজি আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। আপনি সুস্থ থাকুন আর এমনভাবেই সেবা করে যান।

 

মোদীজি - রানিজি নমস্কার।

 

রানি কুঁওর শ্রীবাস্তব – নমস্কার স্যার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজিকে সমস্ত কাশীবাসীর পক্ষ থেকে কোটি কোটি প্রণাম জানাই। স্যার আমার নাম রানি কুঁওর শ্রীবাস্তব। আমি জেলা মহিলা হাসপাতালে এএনএম পদে ছয় বছর ধরে কাজ করছি।

 

মোদীজি - গত ছয় বছরে আপনি কতজনকে টিকা দিয়েছেন? একদিনে কতজনকে দিয়ে থাকেন?

 

রানি কুঁওর শ্রীবাস্তব – স্যার একদিনে আমরা প্রায় ১০০ জনকে ইঞ্জেকশন দিয়ে থাকে। টিকাও ১০০ জনকে দেওয়া যায়।

 

মোদীজি - তাহলে এখন পর্যন্ত আপনার যত রেকর্ড এবারের টিকাকরণ অভিযানে সব ভেঙে যেতে চলেছে। আপনার এত এত মানুষকে ইঞ্জেকশন দিতে হবে যে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে যাবে।

 

রানি কুঁওর শ্রীবাস্তব – স্যার আমি এজন্য খুব খুশি। নিজেকে অনেক ভাগ্যবতী মনে করছি যে কোভিড-১৯-এর মতো ভয়ানক রোগ প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি।

 

মোদীজি - তাহলে সবাই হয়তো আপনাকে অনেক আশীর্বাদ করছেন।

 

রানি কুঁওর শ্রীবাস্তব – জি স্যার, অনেক অনেক আশীর্বাদ। আমার পাশাপাশি মানুষ আপনাকেও অনেক আশীর্বাদ দিচ্ছে যে এত তাড়াতাড়ি ১০ মাসের মধ্যে করোনা টিকা চালু করে দিয়েছেন, আর মানুষ টিকা নিতে পারছেন।

 

মোদীজি - দেখুন, এতে আমার কোনও কৃতিত্ব নেই। এর প্রথম কৃতিত্ব আপনাদের। কারণ এটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা, অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও আপনারা রোগীদের ছেড়ে দিয়ে নিজেরা বাড়ি চলে যাননি। হাসপাতালের অন্যান্য কাজও করেছেন। গরীবদের, অসুস্থদের সেবা করেছেন। আর কৃতিত্বের অধিকারী হচ্ছেন আমাদের বৈজ্ঞানিকরা যাঁরা অত্যন্ত বিশ্বাসের সঙ্গে এক অজানা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এ কেমন শত্রু যার সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না। গবেষণাগারে তাঁরা এর পেছনে তাড়া করতে থাকেন। করতে করতে দিন-রাত চেষ্টা করে তাঁরা এই সাফল্য পেয়েছেন। আমি এই বৈজ্ঞানিকদের বলি আজকের আধুনিক মুনি-ঋষি। তাঁদের সাধনা ও তপস্যার ফলেই এই সাফল্য এসেছে। সেজন্য এই সাফল্যের কৃতিত্বও তাঁদের এবং আপনাদের। চলুন আমার খুব ভালো লাগছে আপনি অত্যন্ত বিশ্বাস নিয়ে কথা বলছেন। জনগণের বিশ্বাস বাড়ান। রানিজিকে অনেক শুভকামনা। ধন্যবাদ।

 

রানি কুঁওর শ্রীবাস্তব – থ্যাঙ্ক ইউ স্যার, নমস্কার।

 

মোদীজি - নমস্কার ডাক্তার ভি শুক্লাজী

 

ডাক্তার ভি শুক্লা - প্রণাম স্যার। আমি পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালের মুখ্য চিকিৎসা-অধিকর্তা। আমার হাসপাতালের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজিকে সাদর প্রণাম জানাই।

 

মোদীজি - হ্যাঁ শুক্লা জি, আপনার কি অভিজ্ঞতা বলুন। আমার কাশীবাসী সুখে আছে তো?

 

ডাক্তার ভি শুক্লা - স্যার অনেক সুখী। সবার মনে অনেক উৎসাহ। এত কম সময়ে আমরা একটি বিকাশশীল দেশ হয়েও উন্নত দেশগুলির তুলনায় টিকাকরণের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গিয়েছি। আমরা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত গর্বিত যে আপনি আমাদের সবার আগে এই টিকাকরণের জন্য বেছে নিয়েছেন। সেজন্য আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

মোদীজি - আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু সত্যি সত্যি আপনারা অদ্ভূত কাজ করেছেন। এতবড় সঙ্কট থেকে দেশকে রক্ষার ক্ষেত্রে আপনাদের মতো করোনা যোদ্ধাদের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। আর একথা আমি বার বার বলেছি। হ্যাঁ শুক্লাজি বলুন।

 

ডাক্তার ভি শুক্লা - স্যার এতবড় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি আপনি যে আস্থা দেখিয়েছেন তা আমাদের মনে উৎসাহ জাগিয়েছে। আমরা দ্বিগুণ উৎসাহে মানুষের সেবার কাজে নেমে পড়েছি। জনগণের কাছেও বার্তা যাচ্ছে যে আমাদের প্রধানমন্ত্রীজি স্বয়ং এই টিকাকরণের মাধ্যমে দেশবাসীর জীবন রক্ষার জন্য এত চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং বৈজ্ঞানিকরা আমাদেরকে বেছে নিয়েছেন সবার আগে টিকাকরণের জন্য। তার মানে এটা প্রমাণ হয় যে এই টিকা সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ।

 

মোদীজি - দেখুন, এটা তো আমার ওপর ঈশ্বরের কৃপা। আমি বিগত ৪-৫ বছর ধরে যে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাচ্ছি, পরিশ্রুত পানীয় জলের অভিযান চালাচ্ছি, শৌচালয়ের অভিযান চালাচ্ছি - এই সব কিছু আমাদের দেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষের জীবনে অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি বাড়িয়েছে। এই অভিযানগুলির মাধ্যমে আমাদের যে অপ্রত্যক্ষ লাভ হয়েছে তা হল দেশের দরিদ্র নাগরিকরা ও বয়স্ক নাগরিকরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছেন। সেজন্য আমাদের দেশে মৃত্যুর হার খুব কম। পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি, শৌচালয়ের ব্যবহার বৃদ্ধি, পরিশ্রুত পানীয় জল পান করা - এই সবক'টির মিলিত ফল হল এই প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি। শুক্লাজি আপনি তো নেতা। আপনার নেতৃত্বে অনেক বড় দল কাজ করছে। ভিন্ন ভিন্ন স্তরের মানুষ কাজ করছেন। সব মিলিয়ে সকলের মনে কেমন আস্থা জেগেছে?

 

ডাক্তার ভি শুক্লা - খুব ভালো। সবাই সম্পূর্ণরূপে সন্তুষ্ট। কারোর মনে কোনও ভয় নেই। টিকাকরণ শুরু হওয়ার আগেই আমরা মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সবার মনে এই ভাব জেগে উঠেছে যে আমরা এগিয়ে যাব, সমাজকে এটা বলব যে দীর্ঘকাল ধরে যেমন টিকাকরণ হয়ে আসছে, এটাও সেরকমই একটি টিকাকরণ অভিযান। অন্যান্য টিকাকরণের ক্ষেত্রেও কারোর কারোর ছোটখাট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় যেমন সামান্য ব্যথা কিংবা জ্বর, সর্দি-কাশি, এটা কোনও বড় কথা নয়। এই টিকাকরণের পর এরকম কারোর কারোর হতে পারে। আমাদেরও হতে পারে। সেজন্য ঘাবড়ানোর কোনও প্রয়োজন নেই। সেজন্য কারোর মনে যদি কোনও সংশয় থাকে তা দূর করার জন্য আমরা সেদিন সবার আগে আমাদের নিজের কেন্দ্রের কর্মীরা টিকা নিয়েছি। সেদিনই আমাদের ৮২ শতাংশ টিকা নিয়েছি। আর মানুষের মনে আত্মবিশ্বাস এত বেড়েছে যে সবাই এগিয়ে এসে প্রচার করছেন।

 

মোদীজি - দেখুন, আমরা যদি বলি যে চিন্তা করবেন না, টিকা নিয়ে নিন, তাহলে যে ফল হবে, সে জায়গায় আপনাদের মতো মানুষ যদি একটি শব্দও বলেন, চিকিৎসা পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা যখন বলবেন, তখন রোগীদের মনে আস্থা অনেক বাড়ে, নাগরিকদের মনে আস্থা বাড়ে। আর সেজন্য সকলেই হয়তো আপনাদেরকে নানারকম প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন। আপনারা কিভাবে সেসব প্রশ্ন সামলাচ্ছেন?

 

ডাক্তার ভি শুল্কা - স্যার, ছোটখাটো প্রভাব তো প্রত্যেক টিকার পরেই হয়। এটাই আমরা সবাই বোঝাই। এখন যাঁরা টিকা নিয়েছেন, মানে গতকাল পর্যন্ত আমাদের দেশে ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ মানুষের টিকাকরণ হয়েছে, তাঁদের মধ্যে খুব কম মানুষেরই সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে। আমরা এখানে যতজনকে টিকা দিয়েছি সেই টিকা নেওয়ার পর সবাইকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। তারপরই সবাই নিজের নিজের কাজে আবার নেমে পড়েছেন। আমাদের এখানকার সাফাইকর্মীরাও টিকাকরণের ৩০ মিনি্ট পরেই আবার নিজেদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আমরাও তা করেছি। এখন যাঁরা কোনও কঠিন রোগে ভুগছেন, হার্টের অসুখ কিংবা শ্বাস সংক্রান্ত কোনও সমস্যা, ক্যান্সারের রোগী, তাঁদেরও টিকা নিতে হবে। এখন এই টিকা নেওয়ার পর তাঁদের স্বাভাবিকভাবেই যদি কোনও দুর্ঘটনা হয়ে যায়, কোটি কোটি মানুষের মধ্যে এক-আধজনের এরকম হয়, সেটিকে টিকাকরণের জন্য হয়েছে বলে মনে করা উচিৎ নয়। এটা একটা সাধারণ প্রক্রিয়া। কোন ধরনের কোনও টিকা কোনও মানুষকে অমরত্ব প্রদান করে না। তাই, কোনও মৃত্যুকে এই টিকাকরণের সঙ্গে জুড়ে নেওয়া ভুল। এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। আমাদের দেশে ইতিমধ্যেই এর প্রয়োগ সফল হয়েছে। একদম নিরাপদ আছেন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। আর এর মাধ্যমে আমরা বিশ্ববাসীকে একটা বার্তাও দিতে পারছি যে এতবড় টিকাকরণ অভিযানে ভারত ছাড়া অন্য কোনও দেশ এই সাফল্য এখনও পর্যন্ত পায়নি।

 

মোদীজি - ঠিক আছে শুক্লাজি, আপনার আত্মবিশ্বাস এত প্রবল, আর আপনার নেতৃত্ব এত ভালো, আর যেভাবে আপনারা আপনাদের হাসপাতালের সমস্ত কর্মচারীদের টিকাকরণ করিয়েছেন, আপনাদের অনুসরণ করে আমি দেশের সমস্ত হাসপাতালের কর্মচারীদের অনুরোধ করব যে আপনারাও ঠিক করুন যে আপনাদের হাসপাতালে ১০০ শতাংশ কর্মচারীরা কত দ্রুত টিকা নেবেন। প্রতিযোগিতা শুরু করুন, আবহ গড়ে তুলুন যে আমাদের হাসপাতালে দ্রুত ১০০ শতাংশ টিকাকরণ হতে হবে। তাহলে পরবর্তী পর্যায়ের কাজও আমরা দ্রুত শুরু করতে পারব। ৫০-এর ওপর যাঁদের বয়স, তাঁদের টিকাকরণের কাজ দ্রুত শুরু করতে পারব। আর আপনি যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে এই টিকাকরণ করিয়েছেন সেজন্য আপনি অভিনন্দনের যোগ্য। আপনার থেকে প্রেরণা নিয়ে অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলি আমাদের সমস্ত করোনা যোদ্ধাদের টিকাকরণ সুনিশ্চিত করলে খুব ভালো হবে। শুক্লাজি আপনাকে, আপনার টিমকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। ধন্যবাদজি।

 

মোদীজি - রমেশজি নমস্কার।

 

রমেশ চন্দ রায় - প্রণাম স্যার। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজিকে সাদর প্রণাম জানাই। আমি রমেশ চন্দ রায়, সিনিয়র ল্যাব টেকনিশিয়ান, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় সরকারি হাসপাতালে কাজ করি।

 

মোদীজি - মোদীজি আপনি টিকা নিয়েছেন?

 

রমেশ চন্দ রায় – জি স্যার। এটা তো আমার সৌভাগ্য যে প্রথম দফাতেই টিকা নেওয়ার সুযোগ পেলাম।

 

মোদীজি - চলুন বাহ! এখন আপনাদের দেখে অন্যদেরও বিশ্বাস বাড়বে। যখন একজন টেকনিশিয়ান টিকা নিয়ে নেন, তখন অন্যদের মনেও বিশ্বাস নিজে থেকে বেড়ে যায়।

 

রমেশ চন্দ রায় – একদম ঠিক স্যার। আমরা তো সবাইকে এটাই বলি যে ভাই আপনারা প্রথম ডোজ নিয়ে নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য তৈরি থাকুন। আপনারা নিরাপদ থাকুন, আপনাদের পরিবারকে নিরাপদ রাখুন, সমাজকে নিরাপদ রাখন এবং দেশকেও নিরাপদ রাখুন।

 

মোদীজি - আপনি আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন আপনার গোটা টিম কতটা প্রভাবিত হয়েছে? তাদের বিশ্বাস বেড়েছে?

 

রমেশ চন্দ রায় – স্যার একদম। তাঁরা উৎসাহ ভরে এগিয়ে এসেছেন। প্রথম দফাতেই ৮১ জন টিকা নিয়েছেন। ১৯ জন সম্ভবত কোনও না কোনও কারণে কোথাও চলে গিয়েছিলেন। আজও আমাদের এখানে পূর্ণ রূপে টিকাকরণ চলছে স্যার।

 

মোদীজি - ঠিক আছে রমেশজি, আমি আপনাকেও অনেক শুভকামনা জানাই। আপনার গোটা টিমকে অনেক অনেক শুভকামনা। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

মোদীজি - শৃঙ্খলাজি নমস্কার।

 

শৃঙ্খলা চৌহান – স্যার, আমি শৃঙ্খলা চৌহান, আপনাকে কোটি কোটি প্রণাম জানাই। স্যার সিএসসি হাতিবাজার, পিএসসি সেবাপুরী, এসডব্লিউসি বর্গী, এএনএম পদে কাজ করছি।

 

মোদীজি - সবার আগে আপনাকে আমার অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ সত্যিই সত্যিই সেবাপুরীতে সেবা করে আপনি সেবাপুরীর নাম সার্থক করে দিয়েছেন। আর নিজের পরিবারের নামও উজ্জ্বল করেছেন। অনেক বড় সেবা করছেন আপনি। আর এরকম সঙ্কটের সময়ে যে সেবা করছেন তা অত্যন্ত অমূল্য। এর কোনও মাপঝোক করা সম্ভব নয়। আর এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাকরণ অভিযানটি আপনাদের মতো সেবাপরায়ণ মানুষদের মাধ্যমেই সফল হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আপনি কতজনকে টিকা দিয়েছেন? একদিনে কতজনকে দিচ্ছেন?

 

শৃঙ্খলা চৌহান – স্যার সবার আগে তো প্রথম দফায় ১৬ জানুয়ারিতেই আমি নিজে কোভিশিল্ড-এর ডোজ নিয়েছি। আর সেদিনই ভ্যাক্সিনেটর রূপে ৮৭ জনকে টিকা দিয়েছি।

 

মোদীজি - আচ্ছা আচ্ছা, আপনি যেদিন টিকা নিয়েছেন সেদিন আপনি এত কাজ করেছেন?

 

শৃঙ্খলা চৌহান – ইয়েস স্যার।

 

মোদীজি - আরে বাহ! আরে এতজন! ৮৭ জনকে টিকা দেওয়া তো কম কথা নয়। তাঁরা সবাই নিশ্চয়ই আপনাকে আশীর্বাদ দিয়েছেন।

 

শৃঙ্খলা চৌহান – ইয়েস স্যার। আসলে স্যার সেদিন ডিউটিতে ৮৭ জনকে টিকা দেওয়ার পরেই আমি টিকা নিয়েছি।

 

মোদীজি - আচ্ছা আচ্ছা, ঠিক আছে, আপনাকেও অনেক শুভকামনা জানাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আপনাদের সকলের পরিশ্রমে অত্যন্ত দ্রুত দেশের সমস্ত মানুষ নিরাপদ হয়ে যাবেন। সমাজের বাকি অংশকেও আপনারা সহজেই টিকাকরণ অভিযানে সামিল করবেন। আজ আপনাদের সবার সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হল। আমার মনে সন্তুষ্টি এল যে এই টিকাকরণ অভিযানেও আমার কাশীবাসীদের সঙ্গে মিলিত হতে পেরেছি, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছি, বিশেষ করে স্বাস্থ্য বিভাগের মানুষদের সঙ্গে যাঁরা প্রকৃতপক্ষে এই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁদের নিজের চোখে দেখার সৌভাগ্য হল, তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হল। আমি আরেকবার কাশীবাসীদের অনুরোধ জানাব যে প্রথম দফায় যাঁদের জন্য টিকাকরণের অভিযান চলছে, তাঁরা সকলেই ১০০ শতাংশ টিকা নিন, যাতে আমরা দ্রুত দ্বিতীয় দফায় যেতে পারি। আর ৫০ বছরের বেশি বয়সী বাকি নাগরিকদের টিকাকরণের সুযোগ পাই। আমরা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এই কাজ করতে চাই। কাশীর সেবক রূপে অবশ্যই বলব অত্যন্ত দ্রুত আমরা কাশীতে এই অভিযান সম্পূর্ণ করব।

 

আপনাদের সবাইকে আমার অনেক অনেক শুভকামনা।

 

ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait

Media Coverage

Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to attend Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India
December 22, 2024
PM to interact with prominent leaders from the Christian community including Cardinals and Bishops
First such instance that a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India

Prime Minister Shri Narendra Modi will attend the Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) at the CBCI Centre premises, New Delhi at 6:30 PM on 23rd December.

Prime Minister will interact with key leaders from the Christian community, including Cardinals, Bishops and prominent lay leaders of the Church.

This is the first time a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India.

Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) was established in 1944 and is the body which works closest with all the Catholics across India.