তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিকবহু উদ্দেশ্যসাধক ‘প্রগতি’র মঞ্চে সক্রিয় প্রশাসন এবং কর্মসূচির সময়োচিত রূপায়ণসম্পর্কে এক আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আজ নেতৃত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী।
এরআগে, ‘প্রগতি’র মঞ্চে অনুষ্ঠিত ২২টি বৈঠকে ৯.৩১ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগে ২০০টিকেন্দ্রীয় প্রকল্প ও কর্মসূচির পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৭টি ক্ষেত্রেনাগরিকদের ক্ষোভ ও অভিযোগ সম্পর্কিত সমস্যাগুলির নিষ্পত্তিতে গৃহীত ব্যবস্থাসম্পর্কেও তিনি খোঁজখবর নেন।
আজ‘প্রগতি’র মঞ্চে ২৩তম বৈঠকে ক্রেতাসাধারণের অভিযোগ সম্পর্কিত বিষয়গুলির মোকাবিলায়গৃহীত ব্যবস্থাদির অগ্রগতির বিষয়টি খতিয়ে দেখেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ধরনেরঅভিযোগগুলির নিষ্পত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়গুলি সম্পর্কে আজ বৈঠকে তাঁকেবিশদভাবে অবহিত করা হয়। ক্রেতাসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ ও অভিযোগের মাত্রা বৃদ্ধিপাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মোকাবিলায় উপযুক্ত প্রশাসনিক পদক্ষেপগ্রহণের ওপর আজ বিশেষ জোর দেন তিনি।
রেল,সড়ক, বিদ্যুৎ, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি সহ ৯টি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পেররূপায়ণ ও অগ্রগতির বিষয়টিও আজ পর্যালোচনা করেন তিনি। উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা,পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরল, নাগাল্যান্ড, অসম, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানাএবং অন্ধ্রপ্রদেশে রূপায়িত হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের এইপ্রকল্পগুলি।
‘প্রধানমন্ত্রীখনিজ ক্ষেত্র কল্যাণ যোজনা’ রূপায়ণ সম্পর্কেও আজ খোঁজখবর নেন শ্রী মোদী।যেজেলাগুলি প্রকল্প রূপায়ণের দিক থেকে এখনও পিছিয়ে রয়েছে, সেখানে ঘাটতি পূরণ করতেএবংরূপায়ণ সম্পর্কিত কাজকর্মে গতি সঞ্চার করতে জেলা খনিজ ফাউন্ডেশনের (ডিএমএফ) তহবিলব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের স্বাধীনতা লাভের ৭৫তমবর্ষে, অর্থাৎ আগামী ২০২২ সালের মধ্যে ধার্য লক্ষ্যমাত্রা পূরণে দ্রুত গতিতে কাজকরে যাওয়া এখন একান্ত জরুরি।