প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে গতকাল নতুন দিল্লীতে ৩০তম প্রগতি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং সময়মতো তা রূপায়ণের লক্ষ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠক হয়।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর নতুন সরকারের এটিই ছিল প্রথম প্রগতি বৈঠক।
এর আগের ২৯ তম প্রগতি বৈঠকে ২৫৭টি প্রকল্পের জন্য যে ১২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল, তা নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়েছিল। একইসঙ্গে ৪৭টি পরিকল্পনা বা কর্মসূচি নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়েছিল। ১৭টি ক্ষেত্রে ২১টি বিষয়ে গণ অভিযোগের সমাধান নিয়েও পর্যালোচনা হয়েছিল সেই বৈঠকে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের কি সমাধান হয়েছে তা খতিয়ে দেখেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় সরকার সংকল্প অনুযায়ী ২০২২ সালের মধ্যে কোন পরিবারই গৃহহীন থাকবে না। এই লক্ষ্যপূরণের জন্য কোন বাধা এলে তা দূর করে প্রত্যেক আধিকারিককে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে অর্থ পরিষেবা দপ্তর নিয়ে গণ অভিযোগের সমাধান বিষয়টিও পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আয়ুষ্মান ভারতের কাজও পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ৩৫ লক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগী হাসপাতালে ভর্তির সময় এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন এবং ১৬ হাজার হাসপাতাল এপর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে। আগামী দিনে এই প্রকল্পের আরও উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আরও ভালো পরিষেবা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারগুলির কাছে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশেষভাবে উন্নয়নে আগ্রহী জেলাগুলিতে এই প্রকল্পের লাভ এবং সুফল নিয়ে একটি সমীক্ষা করা দরকার। এই প্রকল্পের অপব্যবহার এবং কিভাবে মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে, তা নিয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তাও জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।
সুগম্যা ভারত অভিযান প্রকল্পের পর্যালোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, দিব্যাঙ্গজনেরা জনসমক্ষে (পাবলিক প্রেমিসেস) সবরকম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তার প্রত্যুত্তর (ফিডব্যাক) সংগ্রহ করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন। দিব্যাঙ্গজনদের সবরকম সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষকে আরও বেশী সচেতন এবং আগ্রহী হতে হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
জলশক্তির গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে বর্ষাকালে জল সংরক্ষণ বিষয়ে রাজ্যগুলিকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।
রেল ও সড়ক ক্ষেত্রে ৮টি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগত প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পগুলি রয়েছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, হিমাচলপ্রদেশ এবং গুজরাটে।