‘প্রগতি’রমঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ তাঁর ২১তম বৈঠকে স্বত্বাধিকারওটেডমার্ক সম্পর্কিত ক্ষোভ ও অভিযোগগুলির নিরসনে গৃহীত ব্যবস্থার অগ্রগতিপর্যালোচনা করলেন। প্রক্রিয়ার কাজকর্ম কতটা এগিয়ে গেছে তা খতিয়ে দেখে তিনিস্বত্বাধিকার এবং ট্রেডমার্ক সম্পর্কিত আবেদনগুলির প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পূর্ণ করারজন্য নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। এক্ষেত্রে কাজকর্মে গতি সঞ্চারের লক্ষ্যেগৃহীত পদক্ষেপের খুঁটিনাটি আধিকারিকরা আজ পেশ করেন প্রধানমন্ত্রীর সামনে। এই কাজদ্রুততার সঙ্গে সম্পূর্ণ করার জন্য আরও বেশি কর্মীকে যুক্ত করা হয়েছে বলে তাঁরাঅবহিত করেন শ্রী মোদীকে। প্রক্রিয়ার সামগ্রিক কাজকর্মকে আরও মসৃণ করে তুলতেঅত্যাধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রীবলেন, যে কোন উপায়ে এই বিষয়টিতে বিশ্বমানে পৌঁছনো একান্ত জরুরি।
রেল, সড়ক,বিদ্যুৎ, তেল সরবরাহের পাইপলাইন এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রের মোট ৫৬ হাজার কোটি টাকারওবেশি বিনিয়োগের ন’টি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পের কাজও এদিন পর্যালোচনা করেনপ্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পগুলি বর্তমানে রূপায়িত হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ,গুজরাট, হরিয়ানা, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ,কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা এবং কেরলে। যেপ্রকল্পগুলির কাজ আজ ‘প্রগতি’র বৈঠকে পর্যালোচনা করা হয় তার মধ্যে রয়েছে –দিল্লি-মুম্বাই শিল্প করিডর এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মংলাগিরি, পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী,মহারাষ্ট্রের নাগপুর এবং উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে এইম্স গড়ে তোলার কাজকর্ম।
‘স্মার্টনগরী’ প্রকল্পের অগ্রগতিও আজ খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। এই কাজের চ্যালেঞ্জসংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি যেভাবে গ্রহণ করেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। তাঁর মতে,বর্তমানে প্রত্যেকের সামনেই জরুরি চ্যালেঞ্জ হল চিহ্নিত ৯০টি শহরে ‘স্মার্ট নগরী’গড়ে তোলার কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পূর্ণ করা। কাজে উন্নত মান বজায় রাখার পক্ষেও মতপ্রকাশ করেন তিনি।
অরণ্যেরঅধিকার আইন পর্যালোচনাকালে মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দেন শ্রী মোদী।তিনি বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়গুলির অধিকার নিশ্চিত করা এবং তাঁদের দাবি-দাওয়াগুলিরদ্রুত নিষ্পত্তিতে মহাকাশ প্রযুক্তির সাহায্য গ্রহণ করা একান্ত জরুরি।
জিএসটিসম্পর্কে বিভিন্ন মহলে যে আশঙ্কার ভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল বাস্তবে তার যে কোনভিত্তি নেই একথার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিএসটি ব্যবস্থায় রূপান্তরপ্রক্রিয়া নির্বিঘ্নেই ঘটে চলেছে। জিএসটি-র আওতায় নথিভুক্তির সংখ্যা ও মাত্রাবৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্য সচিবদের নির্দেশদেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী এক মাসের মধ্যে এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে লক্ষ্য পূরণের কাজেআশানুরূপভাবে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিনেরবৈঠকে সরকারি বৈদ্যুতিন বিপণন ব্যবস্থার কথাও উল্লেখ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী।তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট পোর্টালটিকে বর্তমানে আরও স্বচ্ছ করে তোলা হয়েছে এবং অনর্থকব্যয়ের মাত্রাও বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। সরকারি সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় এই ব্যবস্থাকেঅগ্রাধিকারদানের জন্য মুখ্য সচিবদের কাছে আর্জি জানান তিনি।
প্রসঙ্গতউল্লেখ্য, ‘প্রগতি’র মঞ্চে অনুষ্ঠিত প্রথম ২০টি বৈঠকে মোট ৮.৭৯ লক্ষ কোটি টাকার ১৮৩টিপ্রকল্পের কাজ পর্যালোচনা করা হয়। ১৭টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষোভ ও অভিযোগ নিরসনপ্রক্রিয়ার কাজও খতিয়ে দেখা হয় ঐ বৈঠকগুলিতে।