আমি, মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সলিহ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপালা সিরিসেনার আমন্ত্রণে ৮-৯ জুন , এই দুটি দেশ সফরে করতে যাচ্ছি । প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হবার পর এটি আমার প্রথম বিদেশ সফর।
গত ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রপতি সলিহ আমাদের দেশে এসেছিলেন। এর আগে নভেম্বরে তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবার সৌভাগ্যও আমার হয়েছিল। আমার এবারের সফরে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এবং সামুদ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের ফলে প্রতিবেশীসুলভ যোগাযোগের গুরুত্ব প্রতিফলিত হচ্ছে।
আমরা মনে করি মালদ্বীপ আমাদের মূল্যবান অংশীদার রাষ্ট্র যার সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বহুদিনের। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক আর-ও জোরদার হয়েছে। আমি নিশ্চিত, আমার এবারের সফর আমাদের বহুমুখী অংশীদারীত্বের সম্পর্ককে আর-ও নিবিড় করবে।
গত ২১শে এপ্রিল, ইস্টারের দিন শ্রীলঙ্কাতে বীভৎস জঙ্গি হানা হয়। আমার সফরের মাধ্যমে সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে সেদেশের সরকার এবং জনগণের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই-এ ভারত শ্রীলঙ্কার পাশে রয়েছে।
বিগত কয়েক বছরে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আর-ও মজবুত হয়েছে। নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি সিরিসেনা যখন এসেছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এবারের সফরে শ্রীলঙ্কার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
আমি আশাবাদী, আমার মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার সফর আমাদের সামুদ্রিক প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ককে আর-ওদৃঢ় করে তুলবে,যা আমাদের “ প্রতিবেশী- প্রথম” নীতি এবং এই অঞ্চলে সকলের জন্য নিরাপত্তা ও উন্নয়নের কর্মসূচীর প্রতিফলন।