সাংহাই সহযোগিতা সংগঠন (এসসিও) – এর রাষ্ট্র পরিষদের প্রধানদের বৈঠকে যোগ দিতে আমি ১৩ – ১৪ জুন বিশকেক সফর করছি।
এই অঞ্চলে বহুস্তরীয়, রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে আমরা সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
দু’বছর আগে পূর্ণ সদস্য লাভের পর থেকে সংগঠনের বিভিন্ন আলাপ-আলোচনায় ভারত সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। সংগঠনের সভাপতি হিসাবে আমরা কিরঘিজস্থানকে গত বছর সবরকম সহযোগিতা দিয়েছি।
সংগঠনের শিখর বৈঠকে বিশ্ব নিরাপত্তা পরিস্থিতি, বহু পাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা, মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ ও আদান-প্রদান সহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। শিখর সম্মেলনের পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিক স্তরে একাধিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমার বৈঠকে বসার পরিকল্পনা রয়েছে।
কিরঘিজস্থানের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে, সংগঠনের শিখর বৈঠক শেষে আমি ১৪ তারিখ সেদেশে দ্বিপাক্ষিক সফর করব।
ঐতিহাসিক ও সভ্যতাগত যোগসূত্রের পাশাপাশি, ভারত ও কিরঘিজস্থানের মধ্যে পরম্পরাগত উষ্ণ ও মৈত্রীপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহ আমাদের দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশদ আলাপ-আলোচনার পাশাপাশি, ভারত – কিরঘিজ বাণিজ্য ফোরামের প্রথম বৈঠকেও রাষ্ট্রপতি জিনবেকভ এবং আমি বক্তব্য রাখব।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই সফরের ফলে কিরঘিজস্থানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় এবং সংগঠনের সদস্য দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা আরও মজবুত হবে।