প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী থাইল্যান্ড সফরের পূর্বে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমি তেসরা নভেম্বর ষোড়শ আসিয়ান – ভারত শীর্ষ সম্মেলন এবং ৪ঠা নভেম্বর চতুর্দশ পূর্ব এশিয়া শীর্ষ বৈঠক তথা তৃতীয় আঞ্চলিক সুসংবদ্ধ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব শিখর বৈঠকে যোগ দিতে আগামীকাল ব্যাংককে যাচ্ছি।
এই সফরকালে এই ধরনের শীর্ষ বৈঠকগুলিতে যোগদানের জন্য ব্যাংককে আসা অন্যান্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও আমার একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে।
আসিয়ান সংক্রান্ত শীর্ষ বৈঠকগুলি ভারতের কূটনৈতিক বর্ষপঞ্জীর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের ‘পূবে তাকাও নীতি’র দিক থেকেও এই বৈঠকগুলির অত্যন্ত তাৎপর্য রয়েছে।
আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব যোগাযোগ, দক্ষতা বৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সংস্কৃতির মতো গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। গত বছরের জানুয়ারি মাসে নতুন দিল্লিতে এক বিশেষ স্মারক শীর্ষ বৈঠকে আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনামূলক অংশীদারিত্বের ২৫তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আসিয়ান রাষ্ট্র-প্রধানদের মুখ্য অতিথি হিসাবে সম্মানিত করা হয়েছে।
আমি ভারতের সঙ্গে আসিয়ান দেশগুলির সহযোগিতামূলক কাজকর্ম পর্যালোচনা করে দেখবো। আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও নিবিড়তর করার পন্থা-পদ্ধতি নিয়ে কথা বলবো। আসিয়ান-কেন্দ্রিক ব্যবস্থায় সমুদ্র, স্থল, আকাশ, ডিজিটাল এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ কিভাবে আরও সম্প্রসারিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবো। এছাড়াও, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব মজবুত করার পাশাপাশি, নৌ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার সম্প্রসারণ নিয়েও আমার কথা হবে।
পূর্ব এশিয়া শিখর বৈঠক এখন, আসিয়ান-কেন্দ্রিক নেতৃবৃন্দ পরিচালিত একক কাঠামো হিসাবে আঞ্চলিক সহযোগিতামূলক স্থাপত্যের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে। আসিয়ান-কেন্দ্রিক সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলিকে বা স্বার্থ জড়িত রয়েছে এমন দেশগুলিকে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পূর্ব এশিয়া শিখর বৈঠকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি পর্যালোচনা করবো। সেই সঙ্গে, আমাদের বর্তমান কর্মসূচি ও প্রকল্পগুলির অগ্রগতিও খতিয়ে দেখবো। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে আমি ভারতের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির কৌশলগত সম্পর্ক নিয়েও কথা বলবো। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আসিয়ান – এর সদস্যভুক্ত দেশ এবং পূর্ব এশিয়া শিখর সম্মেলনের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে আমাদের এক মজবুত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
আঞ্চলিক সুসংবদ্ধ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব শিখর বৈঠকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার অগ্রগতির বর্তমান অবস্থা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। ভারতের উদ্বেগের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি, এই শিখর বৈঠকে পণ্য, পরিষেবা তথা বিনিয়োগের সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলি নিয়েও কথা হবে।
আমার সফরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৪ঠা নভেম্বর আসিয়ানের সভাপতি হিসাবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
আমি দোসরা নভেম্বর থাইল্যান্ডে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক বিশেষ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অংশ নেব। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও অনাবাসী ভারতীয়রা থাইল্যান্ডের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। থাইল্যান্ডের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।