When India got independence, it had great capability in defence manufacturing. Unfortunately, this subject couldn't get requisite attention: PM Modi
We aim to increase defence manufacturing in India: PM Modi
A decision has been taken to permit up to 74% FDI in the defence manufacturing through automatic route: PM Modi

আমার মন্ত্রিমণ্ডলের সহযোগী শ্রী রাজনাথ সিং, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তিন সশস্ত্র সেনাবাহিনীর প্রধান, এই বৈঠকে উপস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত উচ্চ পদাধিকারী, শিল্প জগতের সমস্ত বন্ধুগণ, নমস্কার।

আমি আনন্দিত যে ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আজ এখানে উপস্থিত। এই সেমিনার আয়োজনের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং এবং তাঁর পুরো টিমকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আজ এখানে যে আলোচনা হবে, আর তা থেকে যে পরিণাম বেরিয়ে আসবে, তা প্রতিরক্ষা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতের আত্মনির্ভরতার প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করবে। আপনারা সবাই যে পরামর্শ দিয়েছেন, পরস্পরের পরামর্শ নিয়ে যে আলাপ-আলোচনা করেছেন, তা নিঃসন্দেহে আগামীদিনে দেশের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হবে।

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং এই উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণরূপে মিশন মোডে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন। আমার বিশ্বাস যে তাঁর এই কঠিন পরিশ্রম খুব ভালো পরিণাম নিয়ে আসবে।

বন্ধুগণ,

একথা কারোর কাছে লুকানো নেই যে ভারত অনেক বছর ধরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিকারীদের দেশ। যখন ভারত স্বাধীন হয়েছিল, সেই সময় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতের অনেক সামর্থ্য ছিল। সেই সময় ভারতে শতবর্ষ পুরনো প্রতিরক্ষা উৎপাদনের একটা ইকো-সিস্টেম ছিল। আর ভারতের মতো সামর্থ্য এবং সম্ভাবনা তখন খুব কম দেশের কাছেই ছিল। কিন্তু ভারতের দুর্ভাগ্য যে অনেক দশক ধরে এই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি যতটা দেওয়া উচিৎ ছিল। এক প্রকার রুটিন এক্সারসাইজ চলছিল, কিন্তু কোন ঐকান্তিক প্রচেষ্টা করা হয়নি। আর, আমাদের থেকে অনেক পরে যারা শুরু করেছে, সেরকম অনেক দেশও বিগত ৫০ বছরে আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু, এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে।

বিগত কয়েক বছরে আপনারা হয়তো অনুভব করছেন যে আমরা এক্ষেত্রে সমস্ত শৃঙ্খল ভাঙার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য হল, ভারতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উৎপাদন বৃদ্ধি। এই বিশেষ ক্ষেত্রেও ভারতেই যাতে নতুন নতুন প্রযুক্তির বিকাশ ঘটে এবং বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় সেটা দেখা আমাদের উদ্দেশ্য। সেজন্য সংস্কার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, রপ্তানি প্রক্রিয়ার সরলীকরণ, অফসেটের ব্যবস্থাগুলি সংস্কার – এরকম অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বন্ধুগণ,

আমি মনে করি এই পদক্ষেপগুলি থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশে আমরা একটি নতুন মানসিকতা অনুভব করছি, একটি নতুন মানসিকতার জন্ম নিয়েছে। আধুনিক এবং আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণের জন্য প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের ভাবনা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। অনেক অনেক বছর ধরে দেশে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ নিযুক্তি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছিল। কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছিল না। আমাদের সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নতুন ভারতের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।

অনেক অনেক দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি ছিল না। শ্রদ্ধেয় অটলজির নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় নতুন উদ্যোগের সূচনা হয়েছিল। আমাদের সরকার আসার পর এতে আরও সংস্কার করা হয়েছে। আর এখন প্রথমবার এক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ স্বয়ংক্রিয় রূপেই আসার পথ খুলে দেওয়া হচ্ছে। এটাই নতুন ভারতের আত্মবিশ্বাসের পরিণাম।

অনেক দশক ধরে দেশের অর্ডন্যান্স কারখানাগুলিকে অন্যান্য সরকারি বিভাগের মতোই পরিচালনা করা হচ্ছিল। এই সীমিত দৃষ্টিভঙ্গির কারণে দেশের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে, সেই কারখানাগুলিতে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদের অনেক প্রতিভা ছিল, দায়বদ্ধতা ছিল, তাঁরা অনেক পরিশ্রমী ছিলেন, কিন্তু তাঁদের সেই প্রতিভা, দায়বদ্ধতা, পরিশ্রম ও তাঁদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো যায়নি। তাঁদেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।

যে ক্ষেত্রটি কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে তুলতে পারত, তার ইকো-সিস্টেমকে অত্যন্ত সীমিত করে রাখা হয়েছে। এখন অর্ডন্যান্স কারখানাগুলিকে কর্পোরেটাইজেশন করার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে এই শ্রমিকরা এবং সেনাবাহিনী – উভয়েই উপকৃত হবে। এটা নতুন ভারতের আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ।

বন্ধুগণ,

প্রতিরক্ষা উৎপাদনের আত্মনির্ভরতা নিয়ে আমাদের দায়বদ্ধতা শুধুই কথাবার্তায় বা কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ নয়, এর বাস্তবায়নের জন্য একের পর এক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চিফ অফ ডিফেন্স নিযুক্তি থেকে শুরু করে তিনটি প্রধান সেনা দলের সরঞ্জাম ক্রয়ের ক্ষেত্রে সমন্বয় অনেক উন্নত হয়েছে। এর ফলে, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের প্রয়োজন পরিমাপ করতে অনেক সুবিধা হচ্ছে। আগামীদিনে দেশীয় কারখানাগুলির ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। এই বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ক্যাপিটাল বাজেটের একটা অংশ এখন ভারতে নির্মিত সরঞ্জামের জন্য আলাদা করে রেখে দেওয়া হবে। সম্প্রতি আপনারা হয়তো দেখেছেন যে ১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সম্পূর্ণরূপে দেশীয় কারখানাগুলি থেকে কেনার ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আগামীদিনে এই তালিকাকে আরও দীর্ঘ করা হবে। এতে আরও নতুন নতুন সরঞ্জাম জুড়তে থাকবে। এই তালিকার তৈরির উদ্দেশ্য, আমদানি হ্রাস করা নয়, ভারতের দেশীয় শিল্পকে উৎসাহিত করা। এর ফলে আপনারা প্রত্যেকে, তা সে বেসরকারি ক্ষেত্র থেকেই হোন কিংবা সরকারি ক্ষেত্র, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগী হোন কিংবা স্টার্ট-আপ – প্রত্যেকের জন্যই সরকারের ভাবনা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এখন আপনাদের সামনে অত্যন্ত স্পষ্ট।

এর সঙ্গে আমরা ক্রয় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্য, যাচাই, বাছাই ও পরীক্ষার ব্যবস্থাকে সুনিয়ন্ত্রিত করার জন্য, উৎকর্ষের প্রয়োজনকে বাস্তবসম্মত করার জন্য নিয়মিত কাজ করে চলেছি। আর, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এই সকল প্রচেষ্টাকে যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়িত করতে তিনটি সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা অত্যন্ত সংহতরূপে প্রতিনিয়ত সহযোগিতার মাধ্যমে এক প্রকার সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

বন্ধুগণ,

আধুনিক সরঞ্জামে আত্মনির্ভরতার জন্য প্রযুক্তি নবীকরণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যে সরঞ্জাম আজ তৈরি হচ্ছে, তার নেক্সট জেনারেশন প্রস্তুতির কাজও শুরু করে দেওয়া প্রয়োজন। আর সেজন্যই ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ছাড়াও বেসরকারি ক্ষেত্রে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও গবেষণা ও উদ্ভাবনকে প্রোৎসাহিত করা হচ্ছে। প্রযুক্তি হস্তান্তরের সুবিধা থেকে সরে দাঁড়িয়ে বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে বিনিয়োগের মাধ্যমে কো-প্রোডাকশনের মডেলের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ভারতের বাজারের আকার দেখে আমাদের বিদেশি অংশীদারদের জন্য এখন ভারতেই উৎপাদন করা সব থেকে ভালো বিকল্প।

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকার শুরু থেকেই ‘রিফর্ম, পারফর্ম অ্যান্ড ট্রান্সফর্ম’ – এই মন্ত্র নিয়ে কাজ করে চলেছে। লালফিতের ফাঁস হ্রাস করা এবং লাল কার্পেট বিছানো, এটাই আমাদের প্রচেষ্টা ছিল। ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর ক্ষেত্রে ২০১৪ থেকে এখনও পর্যন্ত যে সংস্কার করা হয়েছে তার পরিণাম গোটা বিশ্ব দেখেছে। প্রতিভা সম্পদ, কর ব্যবস্থা, দেউলিয়া বিধি, এমনকি মহাকাশ এবং পরমাণু শক্তির মতো অত্যন্ত কঠিন ও জটিল যে বিষয়গুলিকে মনে করা হত, সেই বিষয়গুলির ক্ষেত্রেও আমরা সংস্কার করে দেখিয়েছি। আপনারা তো এখন ভালোভাবেই জানেন যে বিগত দিনের শ্রম আইনেও সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং এই কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এরকম বিষয়গুলি নিয়ে এত সহজে ভাবা যেত না। আর আজ এই সংস্কার তৃণমূল স্তরে পৌঁছে গেছে। সংস্কারের এই প্রক্রিয়া থামবে না, আমরা আরও এগিয়ে যেতেই থাকব। সেজন্য কোথাও থামবো না, ক্লান্ত হবোনা; আমিও ক্লান্ত হবো না, আপনারাও হবেন না। আমাদের সকলকে মিলেমিশে এগিয়ে যেতে হবে, আরও আরও এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে আপনাদের নিশ্চিত করছি যে এটাই আমাদের দায়বদ্ধতা।

বন্ধুগণ,

যেখানে পরিকাঠামোর প্রশ্ন, যে ডিফেন্স করিডর নিয়ে দ্রুতগতিতে কাজ চলছ,, উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলে যেভাবে দ্রুত গতিতে বিশ্বমানের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, সেজন্য আগামী পাঁচ বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্য রাখা হয়েছে। অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এবং স্টার্ট-আপের সঙ্গে যুক্ত উদ্যোগপতিদের উৎসাহিত করার জন্য আইডেক্স-এর সূচনা করা হয়েছে। এর ফলেও খুব ভালো পরিণাম দেখা যাচ্ছে। এই মঞ্চের মাধ্যমে ৫০-এরও বেশি স্টার্ট-আপ সেনাবাহিনীর ব্যবহারের উপযোগী প্রযুক্তি এবং পণ্য উৎপাদনের ক্ষমতা গড়ে তুলছে।

বন্ধুগণ,

আমি আজ আপনাদের সামনে খোলা মনে আরেকটি কথা বলতে চাই। আমাদের আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্কল্প ‘ইনওয়ার্ড লুকিং’ নয়। বিশ্ব অর্থনীতিকে অধিক স্থিতিস্থাপক, অধিক স্থিতিশীল করার জন্য, বিশ্ব শান্তির জন্য একটি সক্ষম ভারত গড়ে তোলা এর মূল উদ্দেশ্য। এই ভাবনা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার জন্যও। ভারতে আমাদের অনেক মিত্র দেশের জন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের একটি নির্ভরযোগ্য স্থায়ী সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষমতা রয়েছে। এর ফলে ভারতের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হবে। আর, ভারত মহাসাগর ক্ষেত্রে ভারতের ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’-এর ভূমিকা আরও সুদৃঢ় হবে।

বন্ধুগণ,

ভারত সরকারের প্রচেষ্টা এবং দায়বদ্ধতা আপনাদের সকলের সামনে রয়েছে। এখন আমাদের সবাইকে মিলেমিশে আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্কল্পকে বাস্তবায়িত করতে হবে, তা সে বেসরকারি হোক বা সরকারি, কিংবা আমাদের অংশীদার – যেই হোক না কেন, প্রত্যেকের জন্যই আত্মনির্ভর ভারত একটি ‘উইন উইন’ সঙ্কল্প। এর জন্য আপনাদের একটি উন্নত ইকো-সিস্টেম প্রদান করার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার দায়বদ্ধ।

এখানে আপনাদের পক্ষ থেকে যত পরামর্শ এসেছে তা অত্যন্ত উপযোগী প্রমাণিত হবে। আমাকে বলা হয়েছে যে প্রতিরক্ষা উৎপাদন এবং রপ্তানি উন্নয়ন নীতির খসড়াও সমস্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিবেচনার জন্য তুলে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের ফিডব্যাক থেকে এই নীতি দ্রুত প্রণয়নের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। আজকের এই সেমিনার যেন একটি ‘ওয়ান টাইম ইভেন্ট’ না হয়ে ভবিষ্যতেও যেন এরকম চলতে থাকে সেটাও দেখা জরুরি। শিল্প জগত এবং সরকারের মধ্যে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা এবং ফিডব্যাকের স্বাভাবিক সংস্কৃতি গড়ে উঠতে হবে।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই ধরনের সামগ্রিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের সঙ্কল্প অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে নিজেদের মূল্যবান সময় বের করে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার জন্য, আত্মবিশ্বাস নিয়ে একত্রিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আজ আমরা সে সঙ্কল্প গ্রহণ করছি তা পূর্ণ করার জন্য আমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের দায়িত্ব খুব ভালোভাবে পালন করব।

আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।