প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে কিনা তা জানতে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক ছাড়াও ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টার্নাল ট্রেড, ইস্পাত, সড়ক পরিবহন প্রকৃতি মন্ত্রকের কাছ থেকে তথ্য গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন যে, মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী ১২ টি অতি করোনা প্রবন রাজ্যের অক্সিজেন সরবরাহের বর্তমান এবং আগামী ১৫ দিনের পরিস্থিতি সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে জেনেছেন। এই ১২ টি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, ছত্রিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থান। এইসব রাজ্যগুলি থেকে জেলা পর্যায় পর্যন্ত পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে যে, এই ১২ টি রাজ্যে ২০,২৫ এবং ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চাহিদা পূরণের জন্য ৪,৮৮০, ৫,৬১৯ এবং ৬,৫৯৩ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।
ভারতে ক্রমবর্ধমান অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে উৎপাদন সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা হয়েছে। এটাও বলা হয়েছে যে, ইস্পাত কারখানাগুলিতে মজুত রাখা অক্সিজেনও প্রয়োজনে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী সারাদেশ জুড়ে অক্সিজেনবাহী ট্যাংকার যাতে সহজে চলাচল করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। ভারত সরকার প্রতিটি রাজ্যে অক্সিজেনবাহী যান যাতে সহজে চলাচল করতে পারে সে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ বজায় রাখতে প্রয়োজনে ট্রাকচালকদের শিফ্ট অনুযায়ী কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেনবাহী ট্যাঙ্কারের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনে নাইট্রোজেন এবং আর্গন বাহী ট্যাংকার গুলিকে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে।
বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা চিকিৎসার প্রয়োজনে অক্সিজেন আমদানির জন্য যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কে অবহিত করেন।