আগামী ১ জুলাই থেকে সারা দেশে চালু হতে চলেছে পণ্য ও পরিষেবা কর, অর্থাৎ জিএসটি। এরপ্রস্তুতিপর্ব আজ এক বিশেষ বৈঠকে খতিয়ে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। আড়াই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত এই পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয়অর্থমন্ত্রী শ্রী অরুণ জেটলি এবং অর্থ মন্ত্রক ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন ক্যাবিনেট সচিবও।
বৈঠকেজিএসটি চালু করার লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি, মানবসম্পদ এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদেরপ্রশিক্ষণ ও সচেতনতা সম্পর্কিত প্রস্তুতিপর্বের কাজ পর্যালোচনা করেনপ্রধানমন্ত্রী। এই অভিন্ন কর ব্যবস্থা সম্পর্কে জনসাধারণের কৌতুহল মেটানো এবংসমগ্র প্রক্রিয়ার তদারকির বিষয়টিও খুঁটিয়ে দেখেন তিনি।
পর্যালোচনাবৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয় যে তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো, সংশ্লিষ্টআধিকারিকদের প্রশিক্ষণ, ব্যাঙ্কগুলিকে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করা এবং বর্তমানকরদাতাদের অন্তর্ভুক্তির মতো প্রস্তুতিপর্বের বিষয়গুলি ১ জুলাইয়ের আগেই সম্পূর্ণকরা যাবে। তথ্যের সুরক্ষা সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে।
জিএসটিসম্পর্কিত প্রশ্নের সদুত্তর লাভের জন্য @askGst_GOI – এই ট্যুইটার পরিষেবাটিও চালু করা হয়েছে। তাছাড়া চালু হয়েছে 1800-1200-232 টোল ফ্রি এই হেল্পলাইনটিও।
প্রধানমন্ত্রী এদিন পর্যালোচনা বৈঠকে বলেন যেআগামী ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিল্প ও বাণিজ্য সংগঠনএবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা সফল হবে। দেশের অর্থনীতিতে জিএসটি একযুগান্তকারী ঘটনা বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতিহাসে এর নজির মেলাভার। ‘এক জাতি; একই বিপণন পদ্ধতি; অভিন্ন কর’ ব্যবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে সাধারণমানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে সচেষ্ট হতে তিনি নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট সকল আধিকারিকদের।জিএসটি-র সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তি এবং সাইবার নিরাপত্তা যাতে নিশ্ছিদ্র ওঅক্ষুণ্ণ থাকে সেজন্য বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।