রেল,সড়ক, নৌ-বন্দর, বিমানবন্দর, ডিজিটাল পদ্ধতি এবং কয়লার মতো প্রধান প্রধান কয়েকটিপরিকাঠামো ক্ষেত্রের অগ্রগতি মঙ্গলবার পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী । প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর, নিতি আয়োগ এবং পরিকাঠামো সম্পর্কিত সবক’টি মন্ত্রকের শীর্ষ স্থানীয়আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এদিন পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সাড়ে চার ঘন্টা ধরে।
নিতিআয়োগের সিইও-র উপস্থাপনাকালে জানা যায় যে পরিকাঠামো ক্ষেত্র সহ বিভিন্ন বিষয়েউল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। রেল ও সড়ক ক্ষেত্রের সার্বিক পর্যালোচনাকালেবর্তমানে যে সমস্ত প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে, সেগুলির দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেনপ্রধানমন্ত্রী। সুনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই সেগুলি রূপায়ণের কাজ যাতে সম্পূর্ণ হয়সেদিকেও বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
পর্যালোচনাবৈঠকে জানা গেছে যে ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা’র আওতায় প্রতিদিন গড়ে ১৩০কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কপথ তৈরির কাজ সাফল্যের সঙ্গেই রূপায়িত হচ্ছে। যোজনার আওতায়২০১৬-১৭ অর্থ বছরে নির্মিত হয়েছে অতিরিক্ত ৪৭,৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক পথ। ঐ একইসময়কালে, সড়ক ব্যবস্থার সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে আরও ১১,৬৪১টি জনবসতিতে।
২০১৬-২০১৭অর্থ বছরে সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছে ৪,০০০ কিলোমিটারদৈর্ঘ্যেরও বেশি গ্রামীণ সড়ক। সড়ক নির্মাণের কাজে প্লাস্টিক বর্জ্য, ফ্লাই অ্যাশ,লোহা ও তামার পাত, কোল্ড মিক্স ইত্যাদি সাধারণভাবে অপ্রচলিত সামগ্রী আরও বেশি পরিমাণেব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
গ্রামীণসড়ক নির্মাণ এবং তার গুণগত অবস্থা বিশেষ দক্ষতার সঙ্গে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেনপ্রধানমন্ত্রী। এজন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তির বাইরেও তিনি জোর দেন মহাকাশ প্রযুক্তিব্যবহারের ওপর। এই লক্ষ্যে ‘মেরি সড়ক’ অ্যাপটির প্রযুক্তিগত ব্যবহারেরপ্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি। দেশের যে সমস্ত গ্রামীণ জনবসতির সঙ্গে এখনওগুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংযোগ গড়ে ওঠেনি, সেগুলির দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেনপ্রধানমন্ত্রী। এ সম্পর্কিত যে সমস্ত প্রকল্প বর্তমানে রূপায়িত হচ্ছে, সেগুলিদ্রুত সম্পূর্ণ করারও বার্তা দেন তিনি।
সড়কনির্মাণে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও বলেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিকাঠামোসৃষ্টির কাজে এবং ভারতে তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্যতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিনিপরামর্শ দেন নিতি আয়োগকে।
পর্যালোচনাবৈঠকে জানা যায় যে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে চার ও ছ’লেনের জাতীয় সড়ক নির্মিত হয়েছে২৬,০০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যেরও বেশি। এই কাজে যে উত্তরোত্তর গতি সঞ্চার ঘটছে, সেসম্পর্কিত তথ্যও এদিন পেশ করা হয় প্রধানমন্ত্রী আহুত পর্যালোচনা বৈঠকে।
২০১৬-১৭অর্থ বছরে নতুন রেল লাইন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা যেখানে ছিল ৪০০ কিলোমিটার, বাস্তবেসেখানে এই মাত্রা অতিক্রান্ত হয়ে নির্মিত হয়েছে ৯৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ। ঐ একইসময়কালে গেজ পরিবর্তন করা হয়েছে ১,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের। অন্যদিকে, ঐ সময়েরেল বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে ২,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি। তুলে দেওয়া হয়েছে প্রহরাবিহীন১,৫০০টি লেভেল ক্রসিংকে । তৈরি হয়েছে ৩৪,০০০ বায়ো-টয়লেট এবং ওয়াই-ফাই-এরসুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে ১১৫টি রেল স্টেশনে। রেল স্টেশনগুলির পুনরুন্নয়ন এবংযাত্রী ভাড়া বাদে অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও বেশি করে রাজস্ব অর্জনের দিকে লক্ষ্য দিতেবলেন প্রধানমন্ত্রী। ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে, চার-ধাম প্রকল্প,কোয়াজিগঞ্জ-বানিহাল টানেল, চেনাব রেল সেতু এবং জিরিবাম-ইম্ফল প্রকল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণকর্মসূচিগুলির অগ্রগতিও এদিন খতিয়ে দেখা হয় পর্যালোচনা বৈঠকে। বিমান পরিবহণক্ষেত্রে আঞ্চলিক সংযোগ ও যোগাযোগ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমেযুক্ত করা হবে ৪৩টি গন্তব্য স্থানকে। এর মধ্যে ৩১টি স্থানে এখনও পর্যন্ত কোন বিমানসংযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে প্রতি বছর যাত্রীবহন ক্ষমতাবৃদ্ধি পেয়ে চলেছে ২ কোটি ৮২ লক্ষের মতো।
নৌ-বন্দরক্ষেত্রগুলির কাঠামো উন্নয়নের পর্যালোচনাকালে জানা যায় যে ৮ লক্ষ কোটি টাকাবিনিয়োগে সাগরমালা প্রকল্পের আওতায় চিহ্নিত করা হয়েছে ৪১৫টি বিশেষ কর্মসূচিকে। এরমধ্যে ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার মতো কর্মসূচি রূপায়ণের কাজে ইতিমধ্যেই হাত দেওয়াহয়েছে। জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে এবং আমদানি-রপ্তানিকারক পণ্যের পরিবহণ ক্ষেত্রেসময়ের সাশ্রয় নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে পণ্যপরিবহণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ক্ষমতা সংযোজিত হয়েছে ১০০.৪ এমটিপিএ। সবক’টি লাইটহাউজকেই করে তোলা হয়েছে সৌরশক্তি চালিত। সমস্ত প্রধান প্রধান বন্দরেই নথিপত্রসংরক্ষণের কাজে ডিজিটাল পদ্ধতির আশ্রয় গ্রহণ করা হচ্ছে।
ডিজিটালপরিকাঠামো ক্ষেত্রের পর্যালোচনাকালে প্রকাশ পায় যে উগ্রপন্থী উপদ্রুত জেলাগুলিতে২,১৮৭টির মতো মোবাইল টাওয়ার বসানো হয়েছে। জাতীয় অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্করূপায়ণের কাজও এদিন খতিয়ে দেখা হয় পর্যালোচনা বৈঠকে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যেবেশ কয়েক হাজার গ্রাম পঞ্চায়েত ডিজিটাল সংযোগের আওতায় আসতে চলেছে, তার রূপায়ণকেত্রুটিমুক্ত করে তুলতে উপযুক্ত পরিচালনগত ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর জোর দেনপ্রধানমন্ত্রী। কারণ, এর মধ্য দিয়ে জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত করে তোলার পাশাপাশি গ্রামীণজনসাধারণের আরও বেশি ক্ষমতায়ন সম্ভব করে তোলা যাবে বলে মনে করেন তিনি।
কয়লাক্ষেত্রে সমগ্র ব্যবস্থাকে আরও বাস্তবসম্মত করে তোলার ফলে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ২,৫০০কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় ঘটেছে বলে জানা যায় এদিনের পর্যালোচনা বৈঠকে। গত বছর কয়লাআমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ায় কয়লা আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপরজোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই লক্ষ্য পূরণে নতুন নতুন কয়লা প্রযুক্তির আশ্রয়গ্রহণ করা প্রয়োজন।
Held an extensive meeting to review progress in key infra sectors including roads, railways, airports, ports, digital & coal.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 26, 2017
Progress in road construction, particularly in rural areas is gladdening. Progress in highways sector is also showing great improvement.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 26, 2017
In railways, we are exceeding targets in laying of new rail lines. Over 1500 unmanned level crossings have also been eliminated in 2016-17.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 26, 2017
Aviation sector is buzzing with enthusiasm. We discussed how Regional Connectivity Scheme is going to positively impact travellers.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 26, 2017
For the ports sector, we discussed capacity building, modernisation & improving turnaround time of ships and clearance for cargo.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 26, 2017
Our sole focus is India’s progress & prosperity of every Indian. Every moment of our time is devoted towards creating a new India.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 26, 2017