প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটের ভারুচে উৎকর্ষ সমারহে ভাষণ দেন। এই জেলায় রাজ্য সরকারের চারটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির ১০০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হওয়া উপলক্ষে আজকের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই চারটি কর্মসূচি সম্পন্ন হওয়ার ফলে দরিদ্র মানুষ সময় মত আর্থিক সাহায্য পাবেন। অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এই অঞ্চলের মহিলারা প্রধানমন্ত্রীকে একটি অতিকায় রাখি উপহার দিয়েছেন এবং তাদের মর্যাদা ও জীবন-যাপনের মানোন্নয়নে তিনি যা করেছেন তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কর্মসূচির কয়েকজন সুফলভোগীর সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
স্বল্প দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন এক সুফলভোগীর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী ওই সুফলভোগীর কন্যাদের লেখাপড়া সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। ওই সুফলভোগীর এক কন্যা তার বাবার সমস্যা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে অত্যন্ত আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। প্রধানমন্ত্রী ওই সুফলভোগীকে বলেন, সংবেদনশীলতাই তার জীবনের মূল শক্তি। প্রধানমন্ত্রী আরও একজন সুফলভোগীর কাছে তার ও তার পরিবারের ঈদ উদযাপন সম্পর্কে জানতে চান। তিনি ওই সুফলভোগীকে টিকা নেওয়া এবং তার কন্যাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য অভিনন্দন জানান। এক মহিলা সুফলভোগীর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী তার জীবন-যাপন সম্পর্কে খোঁজ নেন। সুফলভোগী ওই মহিলা মর্যাদার সঙ্গে জীবন-যাপনে যে দৃঢ় সংকল্প নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। অল্প বয়সী এক বিধবা সুফলভোগীর সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী তার দৈনন্দিন জীবন-যাপন এবং ছেলে-মেয়েদেরকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিশা দেখানোর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বল্প সঞ্চয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে জীবনের যাত্রাপথে এগিয়ে চলার পরামর্শ দেন। এই প্রেক্ষিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুফলভোগী ওই মহিলাকে তার যাত্রাপথে এগিয়ে চলতে সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
উৎকর্ষ সমারোহ উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠান এটাই প্রমাণ করে যে, অর্থবহ সাফল্য তখনই পাওয়া যায়, যখন সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে সুফলভোগীদের কাছে পৌঁছে যায়। শ্রী মোদী সামাজিক নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত চারটি কর্মসূচির ১০০ শতাংশ রূপায়ন সম্পন্ন হওয়ার জন্য ভারুচ জেলা প্রশাসন এবং গুজরাট সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এই কর্মসূচিগুলির সুফলভোগীদের মধ্যে যে সন্তুষ্টি ও আস্থা প্রতিফলিত হচ্ছে, সেকথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, প্রচারের অভাবে এই কর্মসূচিগুলির সুযোগ-সুবিধা থেকে বহু আদিবাসী, তপশিলি জাতি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বঞ্চিত রয়েছেন। সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাস মানসিকতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৎ প্রচেষ্টা সর্বদাই সুফল দেয়।
সরকারের আসন্ন অষ্টম বর্ষপূর্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের আট বছর সেবা, সুশাসন ও গবীর কল্যাণে উৎসর্গ করা হয়েছে। বঞ্চনা, উন্নয়ন ও দারিদ্র সম্পর্কে জনসাধারণের একজন হিসেবে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তার জন্য তিনি প্রশাসনিক সাফল্যকেই কৃতিত্ব দেন। দারিদ্রের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং সাধারণ মানুষের চাহিদার ভিত্তিতে কাজ করে চলেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক যোগ্য ব্যক্তিই যেন কর্মসূচির সম্পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা পান। তিনি বলেন, গুজরাটের এই মাটি তাঁকে শিখিয়েছে আত্মতুষ্টিতে বিশ্রাম নেওয়ার কোন অবকাশ নেই। তাই তিনি সর্বদাই সাধারণ মানুষের কল্যাণে সুযোগ-সুবিধার মানোন্ননয় ও সম্প্রসারণে অগ্রাধিকার দেন। শ্রী মোদী আরও বলেন, আমার স্বপ্নই হল বিভিন্ন প্রকল্পের সর্বাঙ্গীন রূপায়ন সম্পন্ন করা। কর্মসূচিগুলির ১০০% পরিধি বিস্তারের লক্ষ্যে আামাদের অগ্রসর হতে হবে। সরকারি ব্যবস্থাকে বিভিন্ন প্রকল্পের সর্বাঙ্গীন রূপায়নে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা গড়ে তুলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-তে দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ শৌচাগার, টিকা, বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। সকলের প্রয়াসে বিগত বছরগুলিতে আমরা একাধিক প্রকল্পের ১০০ শতাংশ রূপায়ন সম্পন্ন করার কাছে এসে পৌঁছেছি। সরকারের এই আট বছর পার হওয়ার পর, আমাদেরকে নতুন উদ্যম ও সংকল্প নিয়ে পুনরায় উৎসর্গ করতে হবে বলেও শ্রী মোদী অভিমত প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুফলভোগীদের কাছে ১০০% সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার অর্থই হল, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ প্রয়াসের সঙ্গে সমানভাবে প্রতিটি ধর্ম ও প্রতিটি শ্রেণীর মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। তিনি বলেন, দরিদ্র মানুষের কল্যাণে পরিচালিত কোন কর্মসূচি থেকেই যেন কেউ বাদ না পড়েন। এরফলে, একদিকে যেমন তুষ্ট করার রাজনীতির অবসান ঘটে, অন্যদিকে বিভিন্ন প্রকল্পের সর্বাঙ্গীন রূপায়নের ফলে তার সুফল সমাজের একেবারে শেষ প্রান্তে থাকা মানুষটির কাছেও পৌঁছে যায়।
এই অঞ্চলের বিধবা বোনেদের থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া রাখি তাঁর মনোবল আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এজন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাঁর প্রতি এই শুভকামনা রক্ষাকবচের মত, যা তাঁকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে উদ্বুদ্ধ করবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেকের প্রচেষ্টা ও বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে তিনি লাল কেল্লার প্রাকার থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের সর্বাঙ্গীন রূপায়ন সম্পন্ন করার কথা ঘোষণা করতে পারেন। শ্রী মোদী বলেন, এটি সামাজিক সুরক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। গরীব মানুষকে মর্যাদা দেওয়ার লক্ষ্যে পরিচালিত উৎকর্ষ অভিযানের সমাপ্তির কথাও তিনি ঘোষণা করেন।
গুজরাটি ভাষায় প্রধানমন্ত্রী ভারুচের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করেন। ভারুচের সঙ্গে তাঁর সুদীর্ঘ সম্পর্কের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শিল্পোন্নয়ন, স্থানীয় যুব সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা পূরণ এবং এই ভারুচ অগ্রগতির মূল ধারার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। শ্রী মোদী এই অঞ্চলে অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রভূত সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন।
आज का ये उत्कर्ष समारोह इस बात का प्रमाण है कि जब सरकार ईमानदारी से, एक संकल्प लेकर लाभार्थी तक पहुंचती है, तो कितने सार्थक परिणाम मिलते हैं।
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2022
मैं भरूच जिला प्रशासन को, गुजरात सरकार को सामाजिक सुरक्षा से जुड़ी 4 योजनाओं के शत-प्रतिशत सैचुरेशन के लिए बधाई देता हूं: PM
2014 में जब आपने हमें सेवा का मौका दिया था तो देश की करीब-करीब आधी आबादी शौचालय की सुविधा से, टीकाकरण की सुविधा से, बिजली कनेक्शन की सुविधा से, बैंक अकाउंट की सुविधा से वंचित थी।
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2022
इन वर्षों में हम, सभी के प्रयासों से अनेक योजनाओं को शत प्रतिशत सैचुरेशन के करीब ला पाए हैं: PM
शत-प्रतिशत लाभार्थियों की कवरेज यानि हर मत, हर पंथ हर वर्ग को एक समान रूप से सबका साथ, सबका विकास।
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2022
गरीब कल्याण की हर योजना से कोई छूटे ना, कोई पीछे ना रहे: PM @narendramodi