মাননীয় রাষ্ট্রপতি মুন,
এখানে উপস্থিত সম্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ,
সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুগণ।
রাষ্ট্রপতি মুন-এর প্রথমবার সরকারিভাবে ভারত সফর উপলক্ষে তাঁকে স্বাগত জানানো আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।
প্রায় এক বছর আগে হেমবার্গে আয়োজিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি মুন-এর সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল। তখনই আমি তাঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানাই। আজ গোটা বিশ্ব কোরিয়া উপদ্বীপের সমস্ত ঘটনাক্রমের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করছে। এরকম সময়ে নিজের ব্যস্ত কর্মসূচির মধ্য থেকে সময় বের করে তিনি ভারত সফরে এসেছেন। সেজন্য আমি তাঁকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
আমরা অনেকেই জানি না যে, ভারত ও কোরিয়ার মধ্যে এক প্রকার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। কয়েক শতাব্দী আগে অযোধ্যার এক রাজকুমারী সূরীরত্নার সঙ্গে কোরিয়ার রাজার বিয়ে হয়েছিল। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, আজও কোরিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের সেই দম্পতির বংশধর বলে মনে করেন। বর্তমানেও ভারত ও কোরিয়ার মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। কোরিয়ার যুদ্ধের সময়ে ভারতে প্যারাস্যুট ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের অনুপম সেবার কথা আজও কোরিয়ার মানুষের মুখে মুখে ফেরে।
বন্ধুগণ,
কোরিয়া সাধারণতন্ত্রে আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন বিশ্বে এক অতুলনীয় উদাহরণ স্থাপন করেছে। কোরিয়ার মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন যে, দূরদৃষ্টি ও দেশের প্রতি ভালোবাসা যখন স্থির লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলে, তখন অসম্ভব মনে হওয়া উন্নয়নও সম্ভব হতে পারে।
কোরিয়ার এই উন্নয়ন ভারতের জন্য প্রেরণার উৎস। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে কোরিয়ার কোম্পানিগুলি শুধু ভারতে বৃহৎ বিনিয়োগ করেই থেমে থাকেনি, আমাদের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযানে অংশগ্রহণ করে ভারতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। নিজেদের উৎকর্ষের প্রতি দায়বদ্ধতা বজায় রেখে কোরিয়ার কোম্পানিগুলি উৎপাদিত পণ্য ভারতের বাড়িতে বাড়িতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের আজকের আলোচনায় আমরা শুধুই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলিনি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও খোলা মনে কথা বলেছি। আমি মনে করি যে, নীতিগত স্তরে ভারতের ‘পূবের জন্য কাজ কর নীতি’ আর কোরিয়া সাধারণতন্ত্রের ‘নতুন দক্ষিণমুখী কৌশল’-এর মধ্যে স্বাভাবিক মিল রয়েছে। আমি রাষ্ট্রপতি মুনের এই ভাবনাকে আন্তরিক স্বাগত জানাই যে ভারত ও কোরিয়া সাধারণতন্ত্রের পারস্পরিক সম্পর্ক তাদের নতুন দক্ষিণমুখী কৌশলের একটি প্রধান ভিত্তিস্তম্ভ।
আমাদের আলোচনার ফলস্বরূপ একটি দৃষ্টিভঙ্গীমূলক বিবৃতি জারি করা হচ্ছে। আমাদের অগ্রাধিকার হ’ল, পারস্পরিক বিশেষ প্রকৌশলগত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করা। এই সম্পর্কের একটি স্তম্ভ হ’ল আমাদের আর্থিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক। আজ কিছুক্ষণ পরই আমরা উভয় দেশের বড় কোম্পানিগুলির সিইও-দের সঙ্গে আলোচনায় বসব। আশা করি, আমাদের পারস্পরিক বাণিজ্যিক লেনদেন এবং বিনিয়োগ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে তাঁদের কার্যকরি উপদেশ পাব।
আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমরা নিজেদের ‘কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট’-কে উন্নত করার লক্ষ্যে আজ ‘আর্লি হারভেস্ট প্যাকেজ’ রূপে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ ও বিশ্বময় দ্রুত প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের দিকে তাকিয়ে আমরা যৌথভাবে ‘উদ্ভাবন সহযোগিতা কেন্দ্র’ স্থাপন করা এবং ‘ফিউচার স্ট্র্যাটেজি গ্রুপ’ গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বন্ধুগণ,
কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি প্রক্রিয়াকে গতিপ্রদান, সঠিক পথে চালিত করা এবং এর প্রগতির সম্পূর্ণ কৃতিত্ব রাষ্ট্রপতি মুন-এর। আমি মনে করি, আজ যে ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে উঠেছে, তার পেছনে রাষ্ট্রপতি মুনের অসীম অবদান রয়েছে। সেজন্য আমি রাষ্ট্রপতি মুন-কে অভিনন্দন জানাই। আমাদের আজকের আলোচনার সময় আমি তাঁকে বলেছি যে, উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ এশিয়ার ‘প্রলিফের্যাশন লিঙ্কস’ ভারতের জন্যেও চিন্তার বিষয়। আর সেজন্যে এই শান্তি প্রক্রিয়ার সাফল্যে ভারতও একটি সংশ্লিষ্ট পক্ষ।
এই অঞ্চলে উত্তেজনা কম করার ক্ষেত্রে যে রকম সহযোগিতা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব, তা আমরা অবশ্যই করবো। সচিব স্তরে ২+২ আলোচনা আর মন্ত্রীস্তরে ‘জয়েন্ট কমিশন’ এর পরবর্তী সাক্ষাতে এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
বন্ধুগণ,
আমি আরেকবার রাষ্ট্রপতি মুন, তাঁর শ্রদ্ধেয়া স্ত্রী এবং তাঁদের সঙ্গে আসা প্রতিনিধিদলের বিশিষ্ট সদস্যদের ভারতে আন্তরিক স্বাগত জানাই। আগামীদিনে তাঁর সকল শান্তিপ্রচেষ্টা যেন সফল হয় এই কামনা করে আমার নিজের পক্ষ থেকে এবং একশো পচিশ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
দাসী-মান্নায়ো। (আবার দেখা হবে)
গোম্প-সুমনিদা। (ধন্যবাদ)
আমরা আবার মিলিত হবো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
कोरिया गणराज्य की प्रगति विश्व में अपने आप में एक अनूठा उदाहरण है। कोरिया के जनमानस ने दिखाया है कि यदि कोई देश एक समान vision और उद्देश्य के प्रति वचनबद्ध हो जाता है तो असंभव लगने वाले लक्ष्य भी प्राप्त किए जा सकते हैं। कोरिया की यह प्रगति भारत के लिए भी प्रेरणादायक है: PM
— PMO India (@PMOIndia) July 10, 2018
यह बहुत प्रसन्नता का विषय है कि कोरिया की कंपनियों ने भारत में न सिर्फ़ बड़े स्तर पर निवेश किया है, बल्कि हमारे Make in India mission से जुड़ कर भारत में रोजगार के अवसर भी पैदा किया हैं: PM
— PMO India (@PMOIndia) July 10, 2018
भारत की Act East Policy और कोरिया गणराज्य की New Southern Strategy में स्वाभाविक एकरसता है। मैं राष्ट्रपति मून के इस विचार का हार्दिक स्वागत करता हूँ कि भारत और कोरिया गणराज्य के संबंध उनकी New Southern Strategy का एक आधार स्तम्भ हैं: PM
— PMO India (@PMOIndia) July 10, 2018
हमारी बातचीत के परिणामस्वरूप एक vision statement जारी किया जा रहा है। हमारा focus अपनी Special Strategic Partnership को मजबूत करने पर है।
— PMO India (@PMOIndia) July 10, 2018
इस relationship का एक स्तम्भ हमारे आर्थिक और व्यापारिक संबंध हैं: PM