মাননীয়প্রেসিডেন্ট এর্ডোগান এবং বিশিষ্ট প্রতিনিধিবৃন্দ,
সংবাদমাধ্যমেরসদস্যবৃন্দ,
ভারতসফরে আগত প্রেসিডেন্ট এর্ডোগান এবং তাঁর প্রতিনিধিদলকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।
মাননীয়প্রেসিডেন্ট ,
২০১৫-রনভেম্বরে জি-২০ শীর্ষ বৈঠক উপলক্ষে আমার তুরস্ক সফরের কথা সততঃ উজ্জ্বল রয়েছে আমারস্মৃতিপটে। আপনাদের মনোরম দেশে আমার ঐ সফরকালে যে উষ্ণতা ও শুভেচ্ছা আমি লাভকরেছিলাম, তা যথাযথভাবে বিনিময়ের সুযোগ এনে দিয়েছে আপনাদের এই সফর।
বন্ধুগণ,
ভারতও তুরস্ক দুটি দেশের জনসাধারণের মধ্যে রয়েছে এক গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্ক। শত শত বছরধরে ভাষা ও সংস্কৃতির বন্ধনে আবদ্ধ আমাদের দু’দেশের সমাজ ব্যবস্থা।
রুমিতার ঘর খুঁজে পেয়েছে তুরস্কে। এই উত্তরাধিকার ভারতের সুফি ঐতিহ্যকেও ক্রমশ সমৃদ্ধকরে তুলেছে।
বন্ধুগণ,
আমাদেরমধ্যে এক আন্তরিক আলোচনা ও মতবিনিময়কালে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সবক’টি ক্ষেত্র নিয়েই কথা বলেছি আমরা । এই অঞ্চলের উন্নয়নসম্পর্কিত সাধারণ প্রেক্ষিত বা প্রেক্ষাপট সম্পর্কেও পরস্পরের সঙ্গে মতবিনিময়করেছি আমরা।
বন্ধুগণ,
ভারতও তুরস্ক হল দুটি বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। আমাদের দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কেরপ্রসারে এবং তা আরও নিবিড় করে তোলার ক্ষেত্রে এক বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে আমাদেরদু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের এই বলিষ্ঠতা। আমি নিজেও অনুভব করেছি যে সরকারিপর্যায়ে কৌশলগতভাবে এবং দীর্ঘমেয়াদি পর্যায়ে আমাদের বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধার সার্বিকপ্রেক্ষিতটিকে সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরমধ্যে সীমাবদ্ধ আমাদের বর্তমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক লেনদেন। কিন্তু আমাদেরদু’দেশের অর্থনীতির প্রকৃত শক্তির তুলনায় তা কিন্তু কখনই যথেষ্ট নয়। তাই স্পষ্টতঃইদু’দেশের শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্র থেকে আমাদের প্রত্যাশা আরও অনেক বেশি।
প্রেসিডেন্টএর্ডোগানের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের এক বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল এ দেশ সফর করছেন তানিঃসন্দেহে এক খুশির বিষয়। আমরা দু’জনেই আজ সকালে তাঁদের উদ্দেশে আমাদের বক্তব্যপেশ করেছি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় শিল্প জগতের নেতৃবৃন্দও।
দ্রুতগতিতেবেড়ে ওঠা ভারতের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় যে অভাবনীয় এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ সুযোগ-সুবিধারয়েছে, তার দ্রুত সদ্ব্যবহারে তুরস্কের বাণিজ্য মহল উদ্যোগী হয়ে উঠবেন বলে আমারস্থির বিশ্বাস। তুরস্কের ক্ষমতা ও দক্ষতার সমন্বয়ে আমাদের ‘স্মার্ট নগরী’ গড়েতোলার স্বপ্ন যাতে সফল হয়ে ওঠে সেই লক্ষ্যে আজ সকালে বাণিজ্যিক শীর্ষ বৈঠকে আমিকয়েকটি কর্মসূচির কথা ঘোষণাও করেছিলাম। ভারতের যে পরিকাঠামোগত চাহিদা রয়েছে, তুরস্কেরসহযোগিতায় তা পূরণ হওয়া সম্ভব বলেও আমি বিশ্বাস করি।
আমাদেরযে প্রধান প্রধান প্রকল্প ও কর্মসূচি রয়েছে তাতে তুরস্কের সংস্থাগুলির আরও বেশিমাত্রায় অংশগ্রহণের উদ্যোগ ও আগ্রহকে আমরা সর্বদাই উৎসাহ দিয়ে যাব। তারা এককপ্রচেষ্টায় এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, অথবা ভারতীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে জোটবদ্ধতারমাধ্যমে।
আজএখানে দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি এবং আমাদের আলোচনার সূত্র ধরে আমিসন্দেহাতীতভাবেই বলতে পারি যে দু’দেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার বাতাবরণকে তাআরও বলিষ্ঠ করে তুলবে।
বন্ধুগণ,
আমরাবর্তমানে বাস করছি এমন একটা সময়ে যখন প্রায় প্রতিদিনই নিত্যনতুন হুমকি ওচ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাদের। পুরনো চ্যালেঞ্জগুলির সঙ্গে নিরাপত্তারপক্ষে বিপজ্জনক নতুন চ্যালেঞ্জগুলিও সমগ্র বিশ্বেই এক সাধারণ উদ্বেগের বিষয়।
বিশেষত,সন্ত্রাসের হুমকি যেভাবে নিয়ত মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তাতে উদ্বিগ্ন আমরা সকলেই। এইবিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আমার আলোচনা ও মতবিনিময় হয়েছে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে।একটি বিষয়ে আমরা উভয়েই একমত যে কোন লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কারণ বা বাস্তবতাকেইসন্ত্রাসের যুক্তি হিসেবে খাড়া করা যায় না।
এইপরিস্থিতিতে সমগ্র বিশ্বকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে যাতে সন্ত্রাসবাদীদেরনেটওয়ার্ককে পুরোপুরি বিপর্যস্ত করে তোলা যায়। সেইসঙ্গে, আর্থিক দিক থেকে তাদেরমদত দেওয়া এবং আন্তঃসীমান্ত বরাবর সন্ত্রাসকে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকেও বন্ধ করাপ্রয়োজন। সন্ত্রাসবাদের হিংসার আদর্শকে যারা সমর্থন করে এবং সন্ত্রাসবাদীদের কোননা কোনভাবে আশ্রয় ও মদত দেওয়ার কাজে যুক্ত হয়ে পড়ে, তাদের বিরুদ্ধেও আমাদেরসোচ্চার হয়ে উঠতে হবে।
সন্ত্রাসেরকার্যকর মোকাবিলায় দ্বিপাক্ষিক তথা বিশ্ব পর্যায়ে আমাদের সহযোগিতাকে আরও জোরদারকরে তোলার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যাওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছি আমি ওপ্রেসিডেন্ট উভয়েই।
বন্ধুগণ,
নিরাপত্তাপরিষদের সম্প্রসারণ সহ রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিবিড় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিও ছিলআমাদের আলোচ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। কারণ, এই সংস্থাকে আরও কার্যকর, দায়বদ্ধ ওপ্রতিনিধিত্বমূলক করে তোলা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তাপরিষদের উচিৎ ফেলে আসা অতীত নয়, বরং একুশ শতকের এক বিশ্ব দর্পণ হয়ে ওঠা। এইপ্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করি আমি এবং প্রেসিডেন্ট উভয়েই।
মাননীয়প্রেসিডেন্ট,
আমিআরও একবার আপনাকে স্বাগত জানাই আপনার এই ভারত সফরের জন্য। আমাদের আলোচনা সফল হয়েওঠার জন্যও ধন্যবাদ আপনাকে। আমাদের আজকের এই আলোচনা ভারত-তুরস্ক অংশীদারিত্বেরসম্পর্ককে নিশ্চিতভাবেই এক বিশেষ মাত্রায় উন্নীত করবে। ভারতে আপনার অবস্থানফলপ্রসূ হয়ে উঠুক, এই প্রার্থনা জানাই।
ধন্যবাদ।
আপনাদেরসকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
PM @narendramodi begins press statement, welcomes President @RT_Erdogan to India, recalls his visit to Turkey for the G-20 Summit in Nov '15 pic.twitter.com/FHI6uuOf4i
— Gopal Baglay (@MEAIndia) May 1, 2017
PM: People of India & Turkey have nurtured deep & historical links; ties of culture & language connect our societies since millennia
— Gopal Baglay (@MEAIndia) May 1, 2017
PM: President and I are clear that strengths of our economies present an enormous opportunity to expand and deepen our commercial linkages
— Gopal Baglay (@MEAIndia) May 1, 2017
PM @narendramodi : We need to approach the entire landscape of business opportunities in a strategic and long-term manner.
— Gopal Baglay (@MEAIndia) May 1, 2017
PM: Encourage strngr partner'p of Turkish cos with our flagship progms & tap into diverse & unique opp'ties inherent in rapidly grow'g India
— Gopal Baglay (@MEAIndia) May 1, 2017
PM: Nations of the world need to wrk as one to disrupt terrorist ntwrks & their financing, & put a stop to cross border move't of terrorists
— Gopal Baglay (@MEAIndia) May 1, 2017
PM @narendramodi : They also need to stand and act against those who create, support, shelter and spread terrorism
— Gopal Baglay (@MEAIndia) May 1, 2017
PM: President & I decided to work together to strengthen cooperation, both bilaterally & multilaterally, to effectively counter this menace.
— Gopal Baglay (@MEAIndia) May 1, 2017
PM @narendramodi : Both of us recognize the need for the UNSC to reflect the world of the 21st century and not of the century gone by.
— Gopal Baglay (@MEAIndia) May 1, 2017