সাংহাই সহযোগিতা সংগঠন পরিষদের রাষ্ট্রপ্রধানদের ২০তম সম্মেলন ১০ই নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি মিঃ ভ্লাদিমির পুতিন এই সম্মেলনে পৌরহিত্য করছেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভারত এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব সেদেশের প্রধানমন্ত্রীরা দিলেও সাংহাই সংযোগিতা সংগঠনের (এসসিও) বাকি সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দেশের রাষ্ট্রপতিরা। এই সম্মেলনে এসসিও সচিবালয়ের মহাসচিব, এসসিও অঞ্চলের জঙ্গী বিরোধী গোষ্ঠীর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, এই গোষ্ঠীর চার পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র- আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান ও মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতিরাও এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ভার্চুয়ালি এসসিও-র শীর্ষ বৈঠক এই প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৭ সালে ভারত এই গোষ্ঠীর পূর্ণ সদস্য হওয়ার পর তৃতীয় এ ধরণের বৈঠকে যোগ দিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে উদ্ভুত চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যার মধ্যেও এ ধরণের বৈঠকের আয়োজন করায় প্রধানমন্ত্রী, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি মিঃ পুতিন সহ এসসিও নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে মহামারীর পরবর্তী সময়ে সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে যে সংকট দেখা দিয়েছে তার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংস্কারমুখী বহুস্তরীয় ব্যবস্থার বাধ্যবাধকতার দিকটি উল্লেখ করেছেন। রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারত ২০২১এর পয়লা জানুয়ারি থেকে তার কাজ শুরু করবে। এই সময়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশাসনিক বিষয়ে বহুস্তরীয় ব্যবস্থার সংস্কারের ওপর যে পরিবর্তনগুলি আনা প্রয়োজন সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, অবৈধ অস্ত্র ও ওষুধের চোরাচালান এবং অর্থ তছরুপের ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের দৃঢ় অঙ্গীকার আবারও জানিয়েছেন। তিনি তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর প্রায় ৫০টি মিশনে ভারতীয় সাহসী সৈন্যরা অংশগ্রহণ করেছেন। মহামারীর এই সময়ে ভারতীয় ওষুধ কোম্পানীগুলি ১৫০টির বেশি রাষ্ট্রে অত্যাবশ্যক ওষুধ সরবরাহ করেছে।
সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের সদস্য রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক যোগসূত্রের কথা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডর, চাবাহার বন্দর ও আসঘাবাত চুক্তির মতো বিভিন্ন উদ্যোগে এই অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়ানোর বিষয়ে ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা তিনি আবারো জানিয়েছেন। ২০২১ সালে এসসিও-র ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ‘এসসিও সাংস্কৃতিক বর্ষ’ উদযাপনে ভারতের পূর্ণ সহায়তার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেছেন, ভারত নিজ উদ্যোগে প্রথম এসসিও প্রদর্শনীর আয়োজন করবে যেখানে ভারতের জাতীয় সংগ্রহশালায় বৌদ্ধ ঐতিহ্যের প্রদর্শনী, আগামী বছর ভারতে এসসিও খাদ্য উৎসব এবং ভারতের ১০টি ভাষার আঞ্চলিক ভাষার সাহিত্য কীর্তিকে রুশ ও চীনা ভাষায় অনুবাদ করা হবে।
সাংহাই পরিষদের রাষ্ট্রপ্রধানদের আগামী ৩০শে নভেম্বর ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যে বৈঠক হবে ভারত তার আয়োজন সম্পূর্ণ করেছে বলেও প্রধানমন্রী জানিয়েছেন। এসসিও-র মধ্যে উদ্ভাবন ও নতুন উদ্যোগের ওপর একটি বিশেষ ওয়ার্কিং গ্রুপ ও চিরায়ত ওষুধের ওপর একটি সাব-গ্রুপ গঠন করার বিষয়ে ভারত প্রস্তাব দিয়েছে। মহামারী পরবর্তী সময়ে ভারতের আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার পরিকল্পনার কথা তিনি বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। এরফলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও এসসিও অঞ্চলের আর্থিক উন্নতিতে গতি আসবে।
আগামী বছর এসসিও-র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তাজিকস্তানের রাষ্ট্রপতি ইমোমালি রহমান। প্রধানমন্ত্রী মিঃ রহমানকে অভিনন্দন জানিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
United Nations ने अपने 75 years पूरे किए हैं।
— PMO India (@PMOIndia) November 10, 2020
लेकिन अनेक सफलताओं के बाद भी संयुक्त राष्ट्र का मूल लक्ष्य अभी अधूरा है।
महामारी की आर्थिक और सामाजिक पीड़ा से जूझ रहे विश्व की अपेक्षा है कि UN की व्यवस्था में आमूलचूल परिवर्तन आए: PM
एक ‘reformed multilateralism" जो आज की वैश्विक वास्तविकताओं को दर्शाए, जो सभी stakeholders की अपेक्षाओं, समकालीन चुनौतियों, और मानव कल्याण जैसे विषयों पर चर्चा करे।
— PMO India (@PMOIndia) November 10, 2020
इस प्रयास में हमें SCO सदस्य राष्ट्रों का पूर्ण समर्थन मिलने की अपेक्षा है: PM
अभूतपूर्व महामारी के इस अत्यंत कठिन समय में भारत के फार्मा उद्योग ने 150 से अधिक देशों को आवश्यक दवाएं भेजी हैं।
— PMO India (@PMOIndia) November 10, 2020
दुनिया के सबसे बड़े वैक्सीन उत्पादक देश के रूप में भारत अपनी वैक्सीन उत्पादन और वितरण क्षमता का उपयोग इस संकट से लड़ने में पूरी मानवता की मदद करने के लिए करेगा: PM
परन्तु, यह दुर्भाग्यपूर्ण है कि SCO agenda में बार-बार अनावश्यक रूप से द्विपक्षीय मुद्दों को लाने के प्रयास हो रहे हैं, जो SCO Charter और Shanghai Spirit का उल्लंघन करते हैं।
— PMO India (@PMOIndia) November 10, 2020
इस तरह के प्रयास SCO को परिभाषित करने वाली सर्वसम्मति और सहयोग की भावना के विपरीत हैं: PM
भारत का शांति, सुरक्षा और समृद्धि पर दृढ़ विश्वास है।
— PMO India (@PMOIndia) November 10, 2020
और हमने हमेशा आतंकवाद, अवैध हथियारों की तस्करी, ड्रग्स और मनी लॉन्डरिंग के विरोध में आवाज उठाई है।
भारत SCO Charter में निर्धारित सिद्धांतों के अनुसार SCO के तहत काम करने की अपनी प्रतिबद्धता में दृढ़ रहा है: PM