অসমের ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর ৯.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারতের বৃহত্তম ঢোলা-সাদিয়াসেতুর আজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী রূপে শপথ গ্রহণের তৃতীয় বার্ষিকীতে এটি হ’ল তাঁর প্রথম কর্মসূচি।
এই দীর্ঘতম সেতু উদ্বোধনের ফলে অসম ও অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে যাতায়াতের সময়বিশেষভাবে হ্রাস পাবে।
একটি ফলকের আবরণ উন্মোচন করে সেতুটির উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী সেটি ঘুরেদেখেন এবং কয়েক মিনিট হেঁটে বেড়ান ঐ সেতুটির ওপর দিয়ে।
পরে, ঢোলায় এক জনসমাবেশে শ্রী মোদী বলেন, এই সেতুটির উদ্বোধনের মাধ্যমেসংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জনসাধারণের এক দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল।
উন্নয়নের স্বার্থে পরিকাঠামোর প্রসার যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেকথারউল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীর স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্খা পূরণে সতত সচেষ্টরয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন সেতুটি অসম ও অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে সংযোগ ও যোগাযোগআরও বাড়িয়ে তুলবে বলে তিনি মনে করেন। প্রধানমন্ত্রীর মতে, সেতুর উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে এক বড় ধরণের অর্থনৈতিক বিকাশের পথ প্রশস্ত হ’ল।
শ্রী মোদী বলেন, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে অর্থনৈতিক বিকাশের সম্ভাবনারয়েছে প্রচুর এবং এই সেতু কেন্দ্রীয় সরকারের ঐ লক্ষ্য পূরণের এক বিশেষ প্রচেষ্টামাত্র।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন সেতুটি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় এক ইতিবাচকপরিবর্তনের সূচনা করবে। দেশের জলপথগুলির উন্নয়নেও কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ গুরুত্বদিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের উন্নত সংযোগ ও যোগাযোগ গড়েতোলা যে কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিশেষ অগ্রাধিকারের বিষয়, সেকথার উল্লেখ করেপ্রধানমন্ত্রী বলেন, এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মপ্রচেষ্টাকে আরও গতিশীল করে তোলাহয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতে যোগাযোগের প্রসার ও উন্নয়নের পথ ধরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ারসঙ্গে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়ে উঠবে বলে মত প্রকাশকরেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পর্যটন সম্ভাবনা সম্পর্কেও আশা ব্যক্ত করেন শ্রীনরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ঢোলা-সাদিয়া সেতুটির নামকরণ বিশিষ্ট কবি, সুরকার ওসঙ্গীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকার নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।