মাননীয় রাষ্ট্রপতি পুতিন,
রাষ্ট্রপতি বাত্তুলগা,
প্রধানমন্ত্রী আবে,
প্রধানমন্ত্রী মাহাথির,
বন্ধুগণ,
নমস্কার
দোব্রে দেন!
ভ্লাদিভোস্তকের শান্ত এবং মনোরম পরিবেশে আপনাদের সঙ্গে আলাপচারিতার দারুণ এক অভিজ্ঞতা হল। সূর্যের আলো এখান থেকেই সারা পৃথিবীর ওপর ছড়িয়ে পড়ে। আমি নিশ্চিত, আমাদের আজকের এই আলোচনা সুদূর দূরপ্রাচ্য এলাকার মধ্যেই নয়, সমস্ত মানবজাতির কল্যাণে নতুন দিশা দেখাবে। আমি আমার বন্ধু রাষ্ট্রপতি পুতিনের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে উনি এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় আমাকে সামিল করেছেন। রাষ্ট্রপতি আমাকে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের আগেই এই আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন। ১৩০ কোটি ভারতীয় আমার প্রতি তাঁদের আস্থা রেখেছেন, আর আপনার আমন্ত্রণে বিশ্বস্ততার শিলমোহর পড়েছে। দু’বছর আগে রাষ্ট্রপতি পুতিন আমাকে সেন্ট পিটার্সবার্গ অর্থনৈতিক ফোরামে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই সময় ইউরোপের প্রান্ত থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের তীর পর্যন্ত আমি পুরো সাইবেরিয়া অঞ্চল সফর করেছিলাম। ভ্লাদিভোস্তকে ইউরেশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রভাব রয়েছে। এর ফলে, সুমেরু এবং উত্তর সাগরে যাওয়ার সুযোগ এখান থেকেই ঘটে। রাশিয়ার তিন-চতুর্থাংশ এশিয়ার মধ্যে। এই মহান দেশে এশিয়ার প্রভাব দেখা যায় দূরপ্রাচ্যে। এই অঞ্চলটির আয়তন ভারতের দ্বিগুণ, অথচ জনসংখ্যা মাত্র ৭ লক্ষ। এই অঞ্চল তেল, গ্যাস এবং বিভিন্ন খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। এখানকার জনগণ নিরলস, কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রকৃতির নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেন। ভ্লাদিভোস্তকের নাগরিকরা এবং দূরপ্রাচ্যের বাসিন্দারা কলা, বিজ্ঞান, সাহিত্য, ক্রীড়া, শিল্প সহ বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চারমূলক কর্মকাণ্ডে তাঁদের সাফল্য দেখিয়েছেন। এর ফলে, রাশিয়া এবং তার বন্ধুদের নানা সুযোগ তৈরি হয়েছে। একটি হিমশীতল জায়গাকে ফুলের বাগানে পরিণত করার মধ্য দিয়ে একটি সোনালী ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে এখানকার বাসিন্দারা এগিয়ে গেছেন। গতকাল রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গে আমি ‘স্ট্রিট অফ দ্য ফার ইস্ট’ প্রদর্শনী ঘুরে দেখি। এই অঞ্চলের মানুষদের মেধা এবং প্রযুক্তির অগ্রগতিতে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমি মনে করি, প্রগতি এবং সহযোগিতার যথেষ্ট সুযোগ এখানে রয়েছে।
বন্ধুগণ,
ভারত এবং দূরপ্রাচ্যের মধ্যে সম্পর্ক আজকের নয়। এই সম্পর্ক বহু প্রাচীন। ভ্লাদিভোস্তকেই প্রথম দেশ হিসেবে ভারত উপ-দূতাবাস খুলেছিল। সেই সময় এবং তারও আগে ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এমনকি, সোভিয়েত রাশিয়ার সময় যখন বিদেশিদের এই অঞ্চলে ভ্রমণ নিষিদ্ধ ছিল, সেই সময় ভারতীয় নাগরিকরা ভ্লাদিভোস্তক আসতে পারতেন। উন্নয়নের জন্য এবং প্রতিরক্ষা খাতে বহু যন্ত্রপাতি ভ্লাদিভোস্তক দিয়ে ভারতে পৌঁছেছিল। আর আজ এই অংশীদারিত্বের সম্পর্ক অনেক দূর প্রসারিত হয়েছে। দুই দেশের নাগরিকদের কাছে সমৃদ্ধির জন্য যা একটি বড় স্তম্ভ। ভারত শক্তিক্ষেত্র এবং হীরে সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদে এই অঞ্চলে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। সাখালিন তেলক্ষেত্র ভারতীয় বিনিয়োগের সাফল্যের একটি বড় নিদর্শন।
বন্ধুগণ,
রাষ্ট্রপতি পুতিনের দূরপ্রাচ্যের প্রতি ভালোবাসা এবং এই অঞ্চলের জন্য পরিকল্পনার ফলে নতুন নতুন সুযোগ যেমন সৃষ্টি হবে, তার ফলে ভারতের মতো অংশীদারদেরও লাভ হবে। উনি একুশ শতকের জন্য রাশিয়ার উন্নয়নে দূরপ্রাচ্যের অঞ্চলকে ‘জাতীয় অগ্রাধিকার’-এর তালিকাভুক্ত করেছেন। তাঁর এই উদ্যোগের ফলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি দেখা যাবে তা সে অর্থনীতিই হোক কিংবা শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা ক্রীড়াক্ষেত্র, সংস্কৃতি অথবা যোগাযোগ ব্যবস্থা, বাণিজ্য বা চিরায়ত জীবনযাপন। একদিকে তিনি যেমন বিনিয়োগের নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করেছেন, অন্যদিকে সামাজিক ক্ষেত্রগুলিতেও গুরুত্ব আরোপ করেছেন। আমি তাঁর চিন্তাভাবনায় দারুণ মুগ্ধ। ভারত রাশিয়ার এই পথ চলার প্রতিটি পদক্ষেপে সঙ্গী হতে চায়। আমার অভিজ্ঞতা বলে, রাষ্ট্রপতি পুতিনের দূরপ্রাচ্যের উন্নয়নের বিষয়ে পরিকল্পনা অত্যন্ত গতিশীল এবং তা সমতা বজায় রাখবে। এই অঞ্চলের লোকেদের প্রচুর মেধাশক্তি এবং সমৃদ্ধ খনিজ সম্পদের সাহায্যে ভ্লাদিভোস্তক উন্নতির শিখরে পৌঁছবে। তাঁর পরিকল্পনার মাধ্যমে এই অঞ্চল এবং এখানকার জনগণের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা প্রতিফলিত হয়। ভারতেও আমরা ‘নতুন ভারত’ গঠন করছি ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ মন্ত্রের মাধ্যমে। ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতিকে ৫ লক্ষ মার্কিন ডলারের সমতুল অর্থনীতিতে পরিণত করার লক্ষ্যে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্ব একটি ঐতিহাসিক সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। বিষয়টা অনেকটা এক এবং এক মিলে ১১ তৈরি করার মতো।
বন্ধুগণ,
পূর্বাঞ্চলীয় অর্থনৈতিক ফোরামে আমাদের এই অংশগ্রহণ সম্ভব হয়েছে নিরন্তর প্রস্তুতির মাধ্যমে। এখানে অনেক মন্ত্রী, চারটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ১৫০ জন বাণিজ্য জগতের কর্ণধার এসেছেন। তাঁরা রাষ্ট্রপতির দূরপ্রাচ্যের বিশেষ দূত এবং এই অঞ্চলের ১১ জন গভর্নর ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। রাশিয়ার মন্ত্রীরা এবং দূরপ্রাচ্যের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ভারত সফর করেছেন। আমার বলতে খুব ভালো লাগছে, এর মাধ্যমে আমরা ভালো ফল পাচ্ছি। শক্তিক্ষেত্র, স্বাস্থ্যক্ষেত্র, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, খনিজ সম্পদ উত্তোলন এবং কাঠের শিল্প সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় ৫০টি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে, কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বন্ধুগণ,
ভারত দূরপ্রাচ্যের উন্নয়নে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে। এই প্রথম আমরা একটি দেশের কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য ঋণ দিচ্ছি। আমাদের সরকারের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির আওতায় আমরা পূর্ব এশিয়াতে সক্রিয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আজকের এই ঘোষণার মাধ্যমে আমাদের অর্থনৈতিক কূটনীতির নতুন দিক উন্মোচিত হবে। আমরা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলির উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করব।
বন্ধুগণ,
ভারতের প্রাচীন সভ্যতা অনুযায়ী আমরা এই শিক্ষাই পেয়েছি, আমাদের যতটুকু প্রয়োজন প্রকৃতি থেকে আমরা ঠিক ততটুকুই নেব। আমরা প্রাকৃতিক সম্পদের উন্নয়নে বিশ্বাসী। আমাদের অস্তিত্ব এবং উন্নয়নে যুগ যুগ ধরে আমরা এই নীতিই অনুসরণ করে এসেছি।
বন্ধুগণ,
ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা যেসব দেশে বাস করেন, সেখানকার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমি যখনই সাক্ষাৎ করেছি, তাঁরা ভারতীয়দের শ্রম, সততা, শৃঙ্খলা এবং আনুগত্যের প্রশংসা করেছেন। বিশ্ব জুড়ে সম্পদ সৃষ্টিতে ভারতীয় সংস্থা এবং ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তাঁদের অবদান রেখে আসছেন। ভারতীয়রা এবং আমাদের সংস্থাগুলি স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ভাবাবেগকে সবসময় সম্মান জানিয়ে আসছে। আমি নিশ্চিত, দূরপ্রাচ্যের গতিশীল উন্নয়নে ভারতীয়দের অর্থ, মেধা এবং পেশাদারিত্ব সাহায্য করবে। পূর্বাঞ্চলীয় অর্থনৈতিক ফোরামের এই আলোচনায় ভারত যে সাফল্য পেয়েছে, তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি দূরপ্রাচ্য অঞ্চলের ১১ জন গভর্নরকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
বন্ধুগণ,
আমি এবং রাষ্ট্রপতি পুতিন ভারত-রুশ সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছি। আমাদের সম্পর্কে বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যে আমরা নতুন নতুন ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করছি। সরকারি সম্পর্কের পাশাপাশি, বেসরকারি সংস্থাগুলিকে এই সহযোগিতার সম্পর্কে আমরা সম্পৃক্ত করছি। আমরা রাজধানী অঞ্চলের বাইরে বিভিন্ন রাজ্য এবং অঞ্চলে এই সম্পর্কে ছড়িয়ে দিচ্ছি। আমরা আমাদের বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে প্রতিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমরা একসঙ্গে মহাকাশ অতিক্রম করব এবং সমুদ্রের তলদেশ থেকে সমৃদ্ধিকে উত্তোলন করব।
বন্ধুগণ,
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতার নতুন এক যুগ আমরা শুরু করতে চলেছি। খুব শীঘ্রই ভ্লাদিভোস্তক এবং চেন্নাইয়ের মধ্যে জাহাজ চলাচল শুরু হবে। ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ক আরও প্রসারিত হবে। দূরপ্রাচ্যে একদিকে যেমন ইউরেশীয় প্রভাব রয়েছে, অন্যদিকে তেমনই এখানে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বয়ও ঘটছে। এই অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হল সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান ও যে কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপ না থাকা।
বন্ধুগণ,
বিখ্যাত চিন্তাবিদ এবং লেখক টলস্টয় ভারতের বেদ-এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। ‘একম্ সত বিপ্রঃবহুধা বদন্তি’।। – এই বাক্য তাঁর খুব প্রিয় ছিল। তাঁর নিজের ভাষায় তিনি বলতেন –
“সকলের অস্তিত্বই এক। মানুষ তা বিভিন্ন নামে স্মরণ করে।”
এ বছর গোটা পৃথিবী মহাত্মা গান্ধীর সার্ধ জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে। টলস্টয় এবং গান্ধীজি একে অপরের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। আসুন, আমরা এই অনুপ্রেরণাটির মাধ্যমে ভারত এবং রাশিয়ার প্রগতিতে অংশীদার হই। পৃথিবীতে একটি স্থিতিশীল এবং নিরাপদ ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আমরা একযোগে কাজ করি যা আমাদের অংশীদারিত্বের এক নতুন অধ্যায় হিসেবে সূচিত হবে। আমি যখনই রাশিয়ায় এসেছি, ভারতের প্রতি ভালোবাসা, বন্ধুত্ব এবং সম্মান আমি অনুভব করেছি। এমনকি আজও আমি যখন এখান থেকে যাচ্ছি, তখন অনুভূতির এই অমূল্য সম্পদগুলি আমি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছি যার মাধ্যমে আরও নিবিড় সহযোগিতা গড়ে উঠবে। আমার বন্ধু রাষ্ট্রপতি পুতিনকে আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যখনই আমরা মিলিত হই, তখন খোলা মনে একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটাই। গতকাল তাঁর চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যেও উনি আমার সঙ্গে অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। আমরা দু’জনে রাত ১টা অবধি একসঙ্গে থেকেছি। এর মাধ্যমে তাঁর শুধু আমার প্রতিই নয়, ভারতের প্রতি ভালোবাসাও প্রতিফলিত হয়। আমি ভারতের সঙ্গে এখানের আর একটি সাংস্কৃতিক মিল খুঁজে পাই। আমার রাজ্য গুজরাটে আমরা ‘বাই বাই’ বলি না। আমরা বলি ‘আভাজো’, যার অর্থ তাড়াতাড়ি আবার আসবেন। এখানে সেটিকে বলা হয় ‘দাসভিদানিয়া’।
তাই আমি সবাইকে বলছি – ‘আভাজো দাসভিদানিয়া’।
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
স্প্যাসিবো বলশয়!
Honoured to be addressing the Eastern Economic Forum, says PM @narendramodi. pic.twitter.com/45aNYb3LsU
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
Was in St. Petersburg two years ago and here I am today in Vladivostok. In a way, it’s been a trans-Siberian journey for me as well. pic.twitter.com/rYXzFzOCgL
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
PM @narendramodi pays tributes to the hard work and courage of those living in Russia’s Far East. pic.twitter.com/nQhAeR1o3p
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
Got a glimpse of the culture of Russia’s Far East last evening, says PM @narendramodi at the Eastern Economic Forum. pic.twitter.com/BxMRWC3Wnp
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
India and Russia’s Far East have enjoyed close ties for ages. pic.twitter.com/wfM3IKyUCX
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
At the Eastern Economic Forum, PM @narendramodi appreciates the vision of President Putin for the welfare for Russia’s Far East. pic.twitter.com/tNMOMpmxpc
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
PM @narendramodi emphasises on India’s commitment to become a five trillion dollar economy. pic.twitter.com/wCCtVT9Tyd
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
India is a proud and active participant in the various activities of the Eastern Economic Forum. Participation has come from top levels of government and industry. pic.twitter.com/svMGc9qf15
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
A landmark announcement made by PM @narendramodi that will further India’s cooperation with regions of friendly nations. pic.twitter.com/1hfxCvwQoV
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
At the core of Indian culture is to live in harmony with nature. pic.twitter.com/X4ig5bgsmH
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
India is proud of the achievements of the Indian diaspora. I am sure here in the Russian Far East too the Indian diaspora will make an active contribution towards the region’s progress. pic.twitter.com/8b3T29EKJX
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
India and Russia friendship isn’t restricted to governmental interactions in capital cities. This is about people and close business relations. pic.twitter.com/CLC56SbuX3
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
India and Russia friendship isn’t restricted to governmental interactions in capital cities. This is about people and close business relations. pic.twitter.com/CLC56SbuX3
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
Let us deepen the bond between India and Russia even further, says PM @narendramodi. pic.twitter.com/3kRC0D7Sw6
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
In Russia, I have always experienced warm hospitality and friendship.
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019
Whenever President Putin and me meet, we do so in a very informal atmosphere. Our discussions are also extensive. pic.twitter.com/IBNkHJzrPo
India and Russia friendship isn’t restricted to governmental interactions in capital cities. This is about people and close business relations. pic.twitter.com/jetGLoiomX
— PMO India (@PMOIndia) September 5, 2019