#MannKiBaat: PM extends greetings to people of Bangladesh on their independence day
India will always stand shoulder to shoulder with the people of Bangladesh: PM Modi during #MannKiBaat
Jallianwala Bagh massacre in 1919 left a deep impact on Shaheed Bhagat Singh: PM Modi during #MannKiBaat
#MannKiBaat: Bhagat Singh, Sukhdev and Rajguru were not scared of death. They lived and died for our nation, says PM Modi
We are marking 100 years of Champaran Satyagraha. This was one of the earliest Gandhian mass movements in India: PM #MannKiBaat
The Champaran Satyagraha showed us how special Mahatma Gandhi was and how unique his personality was: PM Modi during #MannKiBaat
New India manifests the strength and skills of 125 crore Indians, who will create a Bhavya and Divya Bharat, says the PM #MannKiBaat
India has extended support to the movement towards digital transactions. People of India have rejected corruption & black money: PM Modi
People of India are getting angry as far as dirt is concerned, this will lead to more efforts towards cleanliness: PM Modi during #MannKiBaat
Wastage of food is unfortunate. It is an injustice to the poor: PM Modi during #MannKiBaat
Depression can be overcome. We all can play a role in helping those suffering from depression overcome it: PM Modi during #MannKiBaat
Lets us make the 3rd International Day of Yoga memorable by involving more and more people: PM Modi during #MannKiBaat
PM Modi highlights the benefits of maternity bill during #MannKiBaat

আমার   প্রিয়   দেশবাসীগণ ,  আপনাদের   সবাইকে   নমস্কার !  

দেশের   প্রতিটি   কোণে   অধিকাংশ   পরিবার   নিজেদের   সন্তানদের   পরীক্ষা   নিয়ে   ব্যস্ত।   যাদের   পরীক্ষা   শেষ   হয়ে   গিয়েছে   সেখানে   কিছুটা   স্বস্তির   পরিবেশ   রয়েছে   আর   যেখানে   পরীক্ষা   চলছে ,  সেই   সব   পরিবার   এখনও   কিছুটা   চাপে   আছেন।   কিন্তু   এমন   একটা   সময়   আমি   এটাই   বলব   যে   গত   বার   আমি   ‘ মন   কী   বাত ’   এ   শিক্ষার্থীদের   উদ্দেশে   যে   কথাগুলো   বলেছিলাম ,  ওগুলো   আবার   শুনে   নিন।   পরীক্ষার   সময়   ওই   কথাগুলো   নিশ্চিতভাবে   আপনাদের   কাজে   লাগবে। 

আজ   ২৬শে   মার্চ।   ২৬শে   মার্চ   বাংলাদেশের   স্বাধীনতা   দিবস।   অন্যায়ের   বিরুদ্ধে   ঐতিহাসিক   লড়াই ,  বঙ্গবন্ধুর   নেতৃত্বে   বাংলাদেশের   জনতার   অভূতপূর্ব   বিজয়।   আজ   এই   মহান   দিবসে ,  আমি   বাংলাদেশের   নাগরিক   ভাই – বোনেদের   স্বাধীনতা   দেবসের   অনেক   অনেক   শুভেচ্ছা   জানাই।   আর   এই   কামনা   করছি   যে   বাংলাদেশের   অগ্রগতি   হোক ,  উন্নয়ন   হোক   আর   বাংলাদেশবাসীদেরও   আমি   এই   আশ্বাস   দেব   যে   ভারত   বাংলাদেশের   এক   শক্তিশালী   সঙ্গী ,  এক   ভালো   বন্ধু   আর   আমরা   কাঁধে   কাঁধ   মিলিয়ে   এই   গোটা   অঞ্চলে   শান্তি ,  সুরক্ষা   আর   উন্নয়নে   অবদান   রাখব। 

আমরা   সবাই   এ   ব্যাপারে   গর্বিত   যে   রবীন্দ্রনাথ   ঠাকুর ,  তাঁর   স্মৃতি ,  আমাদের   দু ’   দেশেরই   ঐতিহ্য।   বাংলাদেশের   জাতীয়   সঙ্গীতও   গুরুদেব   রবীন্দ্রনাথ   ঠাকুরের   রচনা।   গুরুদেব   রবীন্দ্রনাথ   ঠাকুরের   সম্পর্কে   একটা   খুব   আকর্ষণীয়   তথ্য   এই   যে ,  ১৯১৩   সালে   উনি   শুধু   নোবেল   পুরস্কারে   সম্মানিত   এশিয়ার   প্রথম   ব্যক্তিই   ছিলেন   না ,  ইংরেজরা   ওঁকে   নাইটহুড   উপাধিও   দিয়েছিল।   আর   যখন   ১৯১৯   সালে   জালিয়ানওয়ালা   বাগে   ইংরেজরা   গণহত্যা   চালাল ,  তখন   রবীন্দ্রনাথ   ঠাকুর   ছিলেন   সেই   সব   মহাপুরুষদের   মধ্যে   যাঁরা   প্রতিবাদে   সোচ্চার   হয়েছিলেন   আর   এই   সেই   সময়   যখন   বারো   বছরের   এক   শিশুর   মনে   এই   ঘটনার   গভীর   প্রভাব   পড়েছিল।   মাঠে – ময়দানে   হেসেখেলে   বেড়ানো   ওই   বালকের   জীবনে   এক   নতুন   অভিমুখ   এনে   দিল   জালিয়ান   ওয়ালাবাগের   নৃশংস   হত্যাকান্ড।   আর   ১৯১৯   সালে   ১২   বছরের   ওই   বালক   ভগৎ   আমাদের   সবার   প্রিয় ,  আমাদের   সবার   প্রেরণা  –  শহীদ   ভগৎ   সিং।   আজ   থেকে   তিন   দিন   আগে ,  ২৩শে   মার্চ   ভগৎ   সিংকে   আর   ওনার   সঙ্গী  –  সুখদেব   আর   রাজগুরুকে   ইংরেজরা   ফাঁসিতে   ঝুলিয়েছিল   আর   আমরা   সবাই   জানি   ২৩শে   মার্চের   সেই   ঘটনা  –  ভগৎ   সিং ,  সুখদেব ,  রাজগুরুর   মুখে   ভারত   মায়ের   সেবায়   লাগার   তৃপ্তি  –  কোনো   মৃত্যুভয়   ছিল   না।   জীবনের   সব   স্বপ্ন   ভারত   মায়ের   মুক্তির   জন্য   বলি   দিয়েছিলেন   তাঁরা।   আর   ওই   তিন   বীর   আজও   আমাদের   প্রেরণা।   ভগৎ   সিং ,  সুখদেব   আর   রাজগুরুর   বলিদানের   কাহিনি   আমরা   শব্দে   বর্ণনা   করতে   পারব   না।   গোটা   ব্রিটিশ   প্রশাসন   এই   তিন   যুবককে   ভয়   পেত।   জেলে   তাঁরা   বন্দী ,  ঠিক   হয়ে   গিয়েছে   ফাঁসির   দিন ,  কিন্তু   তাও   তাঁদের   নিয়ে   কী   করা   যায়   এই   চিন্তা   উদ্বিগ্ন   করে   তুলেছিল   ব্রিটিশদের।   আর   তাই   তো   ২৪শে   মার্চ   যেখানে   ফাঁসী   দেওয়ার   কথা   সেখানে   ফাঁসি   হয়ে   গেল   ২৩   তারিখ।   লুকিয়েচুরিয়ে   করা   হল   এটা   যা   সাধারণভাবে   দেখা   যায়   না।   আর   এর   পরে   ওঁদের   মৃতদেহ   আজকের   পাঞ্জাবে   এনে   ইংরেজরা   চুপচাপ   পুড়িয়ে   দিয়েছিল।   অনেক   বছর   আগে   যখন   প্রথমবার   আমি   সেখানে   যাওয়ার   সুযোগ   পেলাম   তখন   ওই   ভূমির   কম্পন   যেন   অনুভব   করতে   পেরেছিলাম।   আর   আমি   দেশের   তরুণদের   অবশ্যই   বলব ,  যখনই   পাঞ্জাবে   যাওয়ার   সুযোগ   পাবে ,  ভগৎ   সিং ,  সুখদেব ,  রাজগুরু ,  ভগৎ   সিংয়ের   জননী   এবং   বটুকেশ্বর   দত্তের   সমাধিতে   অবশ্যই   যেও। 

এই   সময়েই   স্বাধীনতার   হাতছানি ,  তার   তীব্রতা ,  তার   উন্মাদনা   বেড়ে   চলল।   এক   দিকে   ভগৎ   সিং ,  সুখদেব ,  রাজগুরুর   মত   বীরেরা   সশস্ত্র   বিপ্লবের   প্রেরণা   দিয়েছিলেন   যুবকদের।   অন্যদিকে ,  আজ   থেকে   ঠিক   ১০০   বছর   আগে ,  ১৯১৭   সালের   ১০ই   এপ্রিল ,  চম্পারণে   সত্যাগ্রহ   করেছিলেন   মহাত্মা   গান্ধী।   এ   বছর   চম্পারণ   সত্যাগ্রহের   শতবর্ষ   পূর্তি।   ভারতের   স্বাধীনতা   সংগ্রামে   গান্ধী   ভাবধারা   আর   গান্ধী   শৈলী ,  এর   প্রকট   রূপ   প্রথমবার   দেখা   গেল   চম্পারণে।   স্বাধীনতার   গোটা   আন্দোলনে   এ   ছিল   এক   পট   পরিবর্তন ,  বিশেষ   করে   সঙ্ঘর্ষের   রীতি – পদ্ধতির   দৃষ্টিকোণ   থেকে।   এই   সেই   পর্ব ,  চম্পারণের   সত্যাগ্রহ ,  খেড়া   সত্যাগ্রহ ,  আহমেদাবাদে   কারখানার   শ্রমিকদের   হরতাল  –  আর   এই   সব   কিছুর   মধ্যে   মহাত্মা   গান্ধীর   ভাবধারা   আর   কাজের   শৈলীর   গভীর   প্রভাব   দেখা   যাচ্ছিল।   ১৯১৫   সালে   গান্ধীজী   বিদেশ   থেকে   ফিরে   এলেন   আর   ১৯১৭   সালে   বিহারের   এক   ছোটো   গ্রামে   গিয়ে   উনি   দেশকে   নতুন   প্রেরণা   দিলেন।   

আজ   আমাদের   মনে   মহাত্মা   গান্ধীর   যে   ছবি   রয়েছে ,  সেই   ছবির   ভিত্তিতে   আমরা   চম্পারণ   সত্যাগ্রহের   মূল্যায়ন   করতে   পারব   না।   কল্পনা   করুন   এক   জন   মানুষের   কথা ,  যিনি   ১৯১৫   সালে   হিন্দুস্থানে   ফিরে   এলেন ,  কাজ   করলেন   মাত্র   দুটো   বছর।   না   জানতেন   দেশকে ,  না   ছিল   ওঁর   কোনো   প্রভাব ,  সেটা   ছিল   আরম্ভ   মাত্র।   সেই   সময়   ওঁকে   কতটা   কষ্ট   সহ্য   করতে   হয়েছিল ,  কতটা   পরিশ্রম   করতে   হয়েছিল ,  তার   আন্দাজ   করতে   পারি   আমরা।   আর   চম্পারণ   সত্যাগ্রহ   এমনই   ছিল   যেখানে   মহাত্মা   গান্ধীর   সাংগঠনিক   কৌশল ,  মহাত্মা   গান্ধীর   ভারতীয়   সমাজের   নাড়ি – নক্ষত্র   জানার   শক্তি ,  মহাত্মা   গান্ধীর   নিজের   আচরণের   মাধ্যমে   ইংরেজ   প্রশাসনের   বিরুদ্ধে   হতদরিদ্র ,  একান্তই   অক্ষরজ্ঞানশূন্য   ব্যক্তিকে   লড়াইয়ের   জন্য   তৈরি   করা ,  অনুপ্রাণিত   করা ,  লড়াইয়ের   ময়দানে   নিয়ে   আসা  –  এক   অদ্ভূত   শক্তির   প্রদর্শন   ঘটেছিল।   তাই   আমরা   মহাত্মা   গান্ধীর   বিশালত্বকে   অনুভব   করতে   পারি।   কিন্তু   যদি   একশো   বছর   আগের   গান্ধীর   কথা   ভাবেন ,  ওই   চম্পারণ   সত্যাগ্রহের   গান্ধীর   কথা ,  তাহলে   জনজীবনের   অঙ্গণে   সদ্য   প্রবেশ   করা   যে   কোনো   ব্যক্তির   জন্য   চম্পারণ   সত্যাগ্রহ   এক   গভীর   অধ্যয়নের   বিষয়।   জনজীবনে   অংশগ্রহণের   কাজটা   শুরু   করা   যায়   কীভাবে ,  নিজেকে   কতটা   পরিশ্রম   করতে   হয়   আর   গান্ধী   কীভাবে   সেটা   করেছিলেন ,  এটা   আমরা   ওঁর   থেকে   শিখতে   পারি।   আর   সে   ছিল   একটা   সময় ,  যখন   তাবড়   তাবড়   নেতারা ,  যাঁদের   নাম   শুনি   আমরা ,  সে   রাজেন্দ্রবাবু   হোন ,  আচার্য   কৃপালনী   হোন  –  সবাইকে   গ্রামে   পাঠিয়েছিলেন   গান্ধী।   মানুষের   সাথে   মিশে ,  মানুষ   যে   কাজ   করছে   তাকেই   স্বাধীনতার   রঙে   রাঙিয়ে   তোলা  –  এর   পদ্ধতি   শিখিয়েছিলেন।   আর   ইংরেজরা   বুঝতেই   পারে   নি   যে   এই   গান্ধীর   কাজের   রীতি – পদ্ধতি   কী।   লড়াইও   চলল ,  সৃষ্টিও   চলল   আর   দুটোই   একসঙ্গে   চলল।   গান্ধী   যেন   একটা   নয়া   পয়সার   দুটো   পিঠ   বানিয়ে   দিয়েছিলেন  –  এক   পিঠে   লড়াই   তো   অন্য   পিঠে   সৃষ্টি।   এক   দিকে   জেল   ভরে   দেওয়া   তো   অন্যদিকে   গঠনমূলক   কাজে   নিজেকে   সঁপে   দেওয়া ।   এক   বড়   অদ্ভূত   ভারসাম্য   ছিল   গান্ধীর   কার্যশৈলীর   মধ্যে।   সত্যাগ্রহের   অর্থ   কী   হতে   পারে ,  অসহমত   কী   হতে   পারে ,  এত   বড়   একটা   সাম্রাজ্যের   সামনে   অসহযোগের   অর্থ   কী   হতে   পারে  –  শুধু   শব্দ   দিয়েই   নয় ,  সফল   উপস্থাপনের   মাধ্যমে   এক   সম্পূর্ণ   নতুন   বিচারধারা   উপস্থাপন   করেছিলেন   গান্ধী।   আজ   যখন   গোটা   দেশ   চম্পারণ   সত্যাগ্রহের   শতবর্ষ   পূর্তি   পালন   করছে ,  নতুন   ভারতের   সাধারণ   মানুষের   শক্তি   কত   অসীম ,  এই   অসীম   শক্তিকে   স্বাধীনতা   সংগ্রামের   মত ,  স্বরাজ   থেকে   সুরাজের   যাত্রাতেও ,  একশো   পঁচিশ   কোটি   ভারতবাসীর   সংকল্পশক্তি ,  পরিশ্রম ;  সর্বজন   হিতায়   সর্বজন   সুখায়  –  এই   মন্ত্রকে   মূলধন   করে   দেশের   জন্য ,  সমাজের   জন্য   কিছু   করে   দেখানোর   অখণ্ড   প্রয়াসই   সেই   সমস্ত   মহাপুরুষের   স্বপ্নকে   সাকার   করবে   যাঁরা   দেশের   স্বাধীনতার   জন্য   প্রাণ   দিয়েছেন। 

  আর   এই   একবিংশ   শতাব্দীতে   এমন   কোন   ভারতীয়   আছেন  –  যিনি   পরিবর্তন   চান   না ,  যিনি   দেশের   প্রগতিতে   অংশীদার   হতে   চান   না।   একশো   পঁচিশ   কোটি   ভারতবাসীর   প্রগতির   এই   ইচ্ছেই   এক   নতুন   ভারত  –  New India – র   বীজ   বপণ   করবে।   New India ,  অর্থাৎ   নতুন   ভারত   কোনো   সরকারী   কার্যক্রম   নয় ,  কোনও   রাজনৈতিক   দলের   ইস্তেহার   নয় ,  বা   কোনও   Project – ও   নয়।   এ   হল   একশো   পঁচিশ   কোটি   দেশবাসীর   আহ্বান।   সমগ্র   ভারতবাসী   এক   অতুল ,  অভিনব   দেশ   গঠন   করতে   চান।   এ   হল   তাঁদের   মনের   এক   আশা ,  এক   সংকল্প ,  এক   আকাঙ্ক্ষা। 

  আমার   প্রিয়   দেশবাসী ,  আমরা   যদি   নিজেদের   ব্যক্তিগত   জীবনকে   একপাশে   রেখে   সংবেদনশীল   দৃষ্টিতে   সমাজের   গতিবিধির   প্রতি   দৃষ্টিপাত   করি   এবং   পারিপার্শ্বিক   পরিস্থিতি   জানার   ও   বোঝার   চেষ্টা   করি ,  তাহলে   আমরা   অবাক   হয়ে   দেখব  –  লক্ষ   লক্ষ   মানুষ   নিঃস্বার্থভাবে   পারিবারিক   কর্তব্যের   ঊর্ধ্বে   উঠে   সমাজের   শোষিত ,  বঞ্চিত ,  গরীব – দুঃখী   মানুষের   জন্য   কিছু   না   কিছু   করে   চলেছেন   এবং   করে   চলেছেন   মৌন   তপস্বীর   মত।   এমন   অনেক   মানুষ   আছেন ,  যাঁরা   নিয়মিত   হাসপাতালে   যান   রুগীদের   সেবা   করতে।   অনেকে   আছেন   যাঁরা   রক্তদানের   প্রয়োজন   শুনলে   স্বতঃস্ফূর্ত   ভাবে   রক্তদানের   জন্য   এগিয়ে   আসেন।   আবার   অনেকে   এমনও   আছেন ,  যাঁরা   ক্ষুধার্তদের   ভোজনের   ব্যবস্থা   করে   থাকেন।   আমাদের   দেশ   রত্নগর্ভা   এবং   জনসেবাই   প্রভুর   সেবা  –  এই   ভাবনা   আমাদের   জন্মগত।   যদি   আমরা   এই   চিন্তাভাবনাকে   একসঙ্গে   সংগঠিতরূপে   দেখি ,  তাহলে   বোঝা   যাবে ,  এটা   কত   বড়   শক্তি।   New India – র   প্রসঙ্গে   আলোচনা   হলে ,  ভিন্ন   মতামত   ও   দৃষ্টিভঙ্গিও   যে   উঠে   আসবে   তা   খুবই   স্বাভাবিক   ও   অনিবার্য।   কিন্তু   এটাও   সত্যি   যে   সমগ্র   দেশবাসী   যদি   সংকল্প   করে   এবং   তাকে   বাস্তবায়িত   করার   পথে   নির্দিষ্ট   পদক্ষেপ   নিতে   থাকে ,  তাহলে   নতুন   ভারতের   স্বপ্ন   সফল   হতে   পারে।   জরুরি   নয়   যে   এসমস্ত   কাজ   বাজেট   বা   সরকারী   খরচায়   হতে   হবে।   যদি   প্রত্যেক   নাগরিক   সংকল্প   করেন   তাঁরা   ট্র্যাফিক   নিয়ম   মেনে   চলবেন ,  নিজকর্তব্য   নিষ্ঠার   সঙ্গে   পালন   করবেন ,  সপ্তাহে   অন্তত   একদিন   পেট্রোল – ডিজেল – এর   ব্যবহার   বন্ধ   রাখবেন ,  তাহলে   আমরা   এই   ছোটো   ছোটো   পদক্ষেপের   মাধ্যমে   New India – র   স্বপ্নকে   সাকার   হতে   দেখবো।   এটুকুই   বলব   যে ,  প্রত্যেকে   নিজেদের   নাগরিকধর্ম   পালন   করুন ,  কর্তব্য   পালন   করুন।   এইভাবেই   ‘ নতুন   ভারত ’   গঠনের   সূচনা   হতে   পারে।   আগামী   ২০২২ – এ   ভারতের   স্বাধীনতার   পঁচাত্তর   বছর   হতে   চলেছে।   আসুন ,  আমরা   এই   উপলক্ষে   ভগৎ   সিংহ ,  রাজগুরু ,  সুখদেবকে   স্মরণ   করি ,  স্মরণ   করি   চম্পারণ   সত্যাগ্রহকে।   আমি   আপনাদের   আহ্বান   জানাচ্ছি ,  আসুন ,  আপনারা   নিজেদের   জীবনকে   অনুশাসিত   ও   সংকল্পবদ্ধ   করুন   ও   ‘ স্বরাজ   থেকে   সুরাজ ’ – এর   এই   যাত্রায়   অংশীদার   হন। 

  আমার   প্রিয়   দেশবাসী ,  আজ   আমি   আপনাদের   প্রতি   কৃতজ্ঞতাও   ব্যক্ত   করতে   চাই।   বিগত   কয়েক   মাস   ধরে   আমরা   লক্ষ   করেছি ,  বৃহৎ   সংখ্যক   মানুষ   ডিজিট্যাল   পেমেণ্ট   অর্থাৎ   ‘ ডিজিধন ’   আন্দোলনে   সামিল   হয়েছেন।   নগদহীন   লেনদেনের   প্রতি   মানুষের   ঔৎসুক্য   বেড়েছে ,  গরীব   মানুষরাও   শেখার   চেষ্টা   করছেন   এবং   ধীরে   ধীরে   সকলে   নগদহীন   লেনদেনের   দিকে   ঝুঁকছেন।   ‘ ডিমনিটাইজেশন ’   অর্থাৎ   বিমুদ্রাকরণের   পরে   ডিজিট্যাল   পেমেণ্টের   বিভিন্ন   পদ্ধতি   ও   তার   প্রয়োগের   প্রতি   উৎসাহ   বৃদ্ধি   হতে   দেখেছি।   ‘ ভীম ’   অ্যাপ   শুরু   হয়েছে   দু – আড়াই   মাস   আগে ,  কিন্তু   ইতিমধ্যেই   প্রায়   দেড়কোটি   মানুষ   এটি   ডাউনলোড   করেছেন। 

  আমার   প্রিয়   দেশবাসী ,  কালো   টাকা   এবং   দুর্নীতির   বিরুদ্ধে   লড়াইকে   আমাদের   এগিয়ে   নিয়ে   যেতে   হবে।   একশো   পঁচিশ   কোটি   দেশবাসীর   পক্ষে   এক   বছরে   আড়াই   হাজার   কোটি   টাকার   ডিজিট্যাল   লেনদেন   করার   সংকল্প   নেওয়া   সম্ভব   কি ?  যদি   আপনারা   চান   তাহলে   এক   বছর   অপেক্ষাও   নিষ্প্রয়োজন।   ছয়   মাসেই   এই   কার্যসাধন   সম্ভব।   আমরা   বাজেটেও   এই   কথার   উল্লেখ   করেছি।   এই   আড়াই   হাজার   কোটির   ডিজিট্যাল   লেনদেন   কীভাবে   সম্ভব ?  আমরা   যখন   স্কুলের   ফিজ্ ‌   দেব ,  তখন   নগদ   ব্যবহার   না   করে   ডিজিট্যাল   পেমেণ্ট   করবো।   রেলে   অথবা   বিমান   যাত্রার   সময়   ডিজিট্যাল   পেমেণ্ট   করব।   ওষুধ   কেনার   সময়   বা   দোকানে   লেনদেনের   সময়েও   আমরা   ডিজিট্যাল   মাধ্যমের   ব্যবহার   করবো।   দৈনন্দিন   জীবনে   আমরা   অনায়াসেই   এই   ধরনের   পদক্ষেপ   নিতে   পারি।   আপনি   কল্পনাও   করতে   পারবেন   না ,  এইভাবে   আপনি   দেশসেবার   এক   বড়   অংশীদার   হতে   পারেন।   কালো   টাকা   ও   দুর্নীতির   বিরুদ্ধে   নিজেকে   এক   বীর   সৈনিক   প্রতিপন্ন   করতে   পারেন।   কিছুদিন   আগে   লোকশিক্ষা   ও   সচেতনতার   জন্য   ‘ ডিজিধন   মেলা ’ র   আয়োজন   করা   হয়েছিল।   সারা   দেশ   জুড়ে   এরকম   একশোটি   কার্যক্রম   করার   সিদ্ধান্ত   নেওয়া   হয়   যার   মধ্যে   ৮০ – ৮৫টি   ইতিমধ্যেই   সম্পন্ন   হয়েছে।   এতে   পুরস্কারের   ব্যবস্থা   রাখা   হয়েছিল।   প্রায়   সাড়ে   বারো   লক্ষ   মানুষ   উপভোক্তাদের   জন্য   নির্দিষ্ট   পুরস্কার   পেয়েছেন   এবং   সত্তর   হাজার   মানুষ   ব্যবসায়ীদের   জন্য   নির্দিষ্ট   পুরস্কার   প্রাপ্ত   হয়েছেন ।   উপস্থিত   প্রত্যেকেই   এই   প্রয়াসকে   আরও   এগিয়ে   নিয়ে   যাওয়ার   সংকল্প   নিয়েছেন।   ১৪ – ই   এপ্রিল   ড .  বাবাসাহেব   আম্বেদকরের   জন্মজয়ন্তী।   পূর্ব   নির্ধারিত   পরিকল্পনা   অনুযায়ী   ১৪ – ই   এপ্রিল   এই   ‘ ডিজি   মেলা ’ র   সমাপ্তি   হবে।   একশো   দিন   শেষ   হওয়ার   পর   এক   বড়   অনুষ্ঠানের   আয়োজন   করা   হবে   যেখানে   একটি   বড়   ড্র – এর   ব্যবস্থা   রাখা   হবে।   আমার   মনে   হয় ,  বাবাসাহেব   আম্বেদকরের   জন্মজয়ন্তী   আসতে   এখনও   যে   ক ’ দিন   সময়   আছে ,  তার   মধ্যে   ‘ ভীম ’   অ্যাপ – এর   প্রভূত   প্রচার   হওয়া   দরকার।   নগদ   লেনদেন   এবং   নোটের   ব্যবহার   কমানোর   এই   প্রচেষ্টায়   আসুন   আমরা   যোগদান   করি। 

আমার   প্রিয়   দেশবাসী ,  আমি   খুশি   যে   যখনই   ‘ মন   কি   বাত ’ – এর   জন্য   আপনাদের   পরামর্শ   চাই ,  তখন   অনেক   মতামত   আসে।   কিন্তু   আমি   লক্ষ   করেছি   যে ,  স্বচ্ছতা   বিষয়ে   আগ্রহের   অভাব   নেই।   দেরাদুন   থেকে   গায়ত্রী   নামের   এক   কন্যা  –  যে   একাদশ   শ্রেণির   ছাত্রী ,  সে   ফোনে   একটি   বার্তা   পাঠিয়েছে।  

  আদরণীয়   প্রধান   শিক্ষক  –  প্রধান   মন্ত্রীজি ,  আপনাকে   প্রণাম   জানাই।   সর্বপ্রথম   আপনাকে   অভিনন্দন   জানাচ্ছি   যে   আপনি   এই   নির্বাচনে   প্রচুর   ভোট   পেয়ে   বিজয়ী   হয়েছেন।   আমি   আপনাকে   আমার   মনের   কথা   জানাতে   চাই।   আমার   মনে   হয়   স্বচ্ছতা   কতটা   জরুরি   সেটা   সাধারণ   মানুষকে   বোঝাতে   হবে।   আমি   প্রতিদিন   একটি   নদীর   পাশ   দিয়ে   যাই ,  যেখানে   লোকজন   অনেক   আবর্জনা   ফেলে   নদীটিকে   দূষিত   করে।   এই   নদীটি   রিস্পনা   পুল   দিয়ে   আসছে   এবং   আমাদের   বাড়ি   পাশ   দিয়ে   বয়ে   গেছে ।   এই   নদীকে   স্বচ্ছ   রাখার   জন্য   আমি   পাড়ায়   পাড়ায়   গিয়ে   লোকজনের   সঙ্গে   কথা   বলেছি ,  মিছিল   করেছি ,  কিন্তু   বিশেষ   লাভ   হয়নি।   আমি   আপনাকে   অনুরোধ   করবো   যে   আপনি   এখানে   একটি   দল   পাঠান   অথবা   সংবাদপত্রের   মাধ্যমে   এই   বিষয়টিকে   প্রকাশ   করুন।   ধন্যবাদ ! 

  ভাই – বোনেরা ,  আপনারা   দেখুন  –  একাদশ   শ্রেণির   একটি   মেয়ে   কতটা   কষ্ট   পাচ্ছে।   নদীতে   ফেলা   ময়লা   আবর্জনা   দেখে   সে   কতটা   ক্রুদ্ধ !  এটাকে   আমি   একটা   ভালো   সংকেত   মনে   করি।   আমি   তো   এটাই   চাই   যে   ১২৫   কোটি   দেশবাসীর   মনে   আবর্জনার   প্রতি   ক্রোধ   সৃষ্টি   হোক।   একবার   ক্রোধ   সৃষ্টি   হলে ,  অসন্তুষ্টি   সৃষ্টি   হলে ,  ক্ষোভ   তৈরি   হলে   আমরা   আবর্জনার   বিরুদ্ধে   অভিযানে   কিছু   নিশ্চয়   করতে   পারবো।   এটা   ভালো   ব্যাপার   যে   গায়ত্রী   নিজে   ক্রোধ   প্রকাশ   করেছে ,  আমাকে   পরামর্শ   দিয়েছে   এবং   একই   সঙ্গে   একথাও   বলেছে   যে   সে   অনেক   চেষ্টা   করেছে ,  কিন্তু   বিফল   হয়েছে।   যখন   থেকে   স্বচ্ছতার   আন্দোলন   শুরু   হয়েছে ,  সচেতনতা   বেড়েছে।   সবাই   সদর্থক   রূপে   এর   সঙ্গে   যুক্ত   হয়েছে।   এটা   একটা   আন্দোলনের   রূপ   নিয়েছে।   আবর্জনার   প্রতি   ঘৃণা   ধীরে   ধীরে   বাড়ছে।   মানুষ   সচেতন   হোক ,  সক্রিয়   ভাবে   অংশ   গ্রহণ   করুক ,  আন্দোলন   হোক  –  এর   তো   একটা   নিজস্ব   গুরুত্ব   আছেই।   কিন্তু   আন্দোলনের   থেকেও   স্বচ্ছতার   বিষয়টি   অভ্যাসের   সঙ্গে   বেশী   জড়িত ।   তাই   এই   আন্দোলন   অভ্যাস   পরিবর্তনের   আন্দোলন ,  এই   আন্দোলন   স্বচ্ছতার   অভ্যাস   তৈরি   করার   আন্দোলন।   সার্বিকভাবে   এই   আন্দোলন   সম্ভব।   কাজ   কঠিন ,  কিন্তু   এটা   আমাদের   করতেই   হবে।   আমার   বিশ্বাস   যে   দেশের   নবীনদের   মধ্যে ,  ছেলেদের   মধ্যে ,  শিক্ষার্থীদের   মধ্যে ,  যুবকদের   মধ্যে   যে   সচেতনতা   এসেছে ,  সেটা   সামগ্রিকভাবে   একটা   ভালো   পরিনামের   ইঙ্গিত   দিচ্ছে।   আজকে   আমার   ‘ মন   কি   বাত ’ – এ   যাঁরা   গায়ত্রীর   কথা   শুনছেন ,  আমি   সেই   সব   দেশবাসীকে   বলতে   চাইবো   যে   গায়ত্রীর   বক্তব্য   যেন   আমাদের   সকলের   বক্তব্য   হয়। 

  আমার   প্রিয়   দেশবাসী ,  যখন   থেকে   আমি   ‘ মন   কি   বাত ’   অনুষ্ঠান   করছি ,  প্রথম   থেকে   একটি   বিষয়ে   অনেক   পরামর্শ   আসছে ,  অনেক   লোক   যে   বিষয়ে   তাঁদের   চিন্তা   ব্যক্ত   করেছেন   সেটা   হচ্ছে   উদ্বৃত্ত   খাদ্য   সম্পর্কে ,  আমরা   সকলেই   জানি   যে   বাড়িতেই   হোক   বা   কোনও   সামুদায়িক   ভোজের   ক্ষেত্রে   আমরা   প্রয়োজনের   অতিরিক্ত   থালায়   নিয়ে   ফেলি।   যা   যা   চোখের   সামনে   দেখি ,  সবই   থালায়   নিয়ে   নিই   এবং   শেষ   পর্যন্ত   খেতে   পারি   না।   যতটা   থালায়   নিই   অর্ধেকও   পেটে   যায়   না ,  আর   সেটা   সেখানে   ফেলে   দিয়েই   বেরিয়ে   পড়ি।   কখনও   ভেবে   দেখেছেন   আমরা   যে   অভুক্ত   খাবার   ফেলে   দিই ,  তাতে   আমরা   কতটা   অপচয়   করি।   এটা   কী   কখনও   ভেবে   দেখেছেন   যদি   অপচয়   না   করেন ,  তাহলে   এই   খাবার   কত   গরীব   মানুষের   পেট   ভরাতে   পারে।   এই   বিষয়ে   আলাদা   করে   বোঝানোর   কিছু   নেই।   সাধারণত   আমাদের   বাড়িতে   মা   যখন   ছোটো   বাচ্চাদের   খাবার   পরিবেশন   করেন ,  তখন   বলেন   যতটা   খেতে   পারবে ,  ততটাই   নাও।   এই   মর্মে   কিছু   প্রচেষ্টা   তো   হয়ই   কিন্তু   তা   সত্ত্বেও   এই   ব্যাপারে   উদাসীনতা   সামাজিক   অব্যবস্থার   প্রকাশ।   গরীবদের   প্রতি   এটা   অন্যায়।   দ্বিতীয়তঃ   যদি   সাশ্রয়   হয় ,  তাহলে   পরিবারেরও   আর্থিক   লাভ   হবে।   সমাজের   জন্য   ভাবনা   ভালো ,  কিন্তু   এই   বিষয়টি   এমন   যে   এতে   পরিবারও   সুফল   পাবে ।   আমি   এই   বিষয়ে   কিছু   বলতে   চাই   না   কিন্তু   আমি   চাই   যে   সচেতনতা   বাড়ুক।   আমি   কিছু   যুবকদের   চিনি ,  যাঁরা   এই   ধরনের   আন্দোলনের   সঙ্গে   যুক্ত।   তাঁরা   মোবাইল   অ্যাপ   বানিয়েছেন   এবং   কোথাও   যদি   এরকম   অভুক্ত   খাওয়ার   পড়ে   থাকে   তাহলে   লোক   ডেকে   একত্রিত   করে   তার   সদ্ব্যবহার   করেন।   আমাদের   দেশের   নবযুবকরাই   এই   ধরনের   পরিশ্রম   করেন।   দেশের   সব   রাজ্যেই   কোথাও   না   কোথাও   এই   ধরনের   মানুষ   পাওয়া   যাবে।   ওঁদের   কাজ   আমাদের   প্রেরণা   জোগাতে   পারে ,  যাতে   আমরা   খাবার   অপচয়   না   করি।   আমরা   ততটাই   নেব ,  যতটা   খাব।   পরিবর্তনের   জন্য   এটাই   তো   পথ।   এবং   যাঁরা   স্বাস্থ্যসচেতন ,  তাঁরা   তো   সবসময়েই   বলে   থাকেন  –  প্লেটও   একটু   খালি   রাখুন ,  পেটও   একটু   খালি   রাখুন ।   স্বাস্থ্যর   কথাই   যখন   এল ,  তখন   বলি ,  ৭   এপ্রিল  ‘ বিশ্ব   স্বাস্থ্য   দিবস ’ ।   রাষ্ট্র   সঙ্ঘ   ২০৩০   পর্যন্ত   ‘ Universal HealthCoverage ’  অর্থাৎ  ‘ সকলের   জন্য   স্বাস্থ্য ’  লক্ষ্য   স্থির   করেছেন।   এবার   রাষ্ট্রসঙ্ঘ   ৭   এপ্রিল   বিশ্ব   স্বাস্থ্য   দিবসে   depression – এর   উপর   বিশেষ   মনোযোগ   দিয়েছেন।   এবারের   থিম   depression ।   আমরা   depression   শব্দের   সঙ্গে   পরিচিত ,  কিন্তু   যদি   আক্ষরিক   অর্থ   করি ,  তো   কিছু   মানুষ   একে   অবসাদও   বলেন।   একটি   হিসেব   অনুসারে   বিশ্বে   প্রায়   পঁয়ত্রিশ   কোটির   বেশি   মানুষ   মানসিক   অবসাদের   শিকার।   সমস্যা   হল   আমাদের   আশেপাশের   অনেকেই   এই   রোগের   শিকার ,  কিন্তু   আমরা   সেটা   বুঝতে   পারি   না।   আর   হয়ত   মন   খুলে   এবিষয়ে   কথা   বলতেও   সংকোচ   বোধ   করি।   যে   নিজে   অবসাদে   ভোগে ,  সেও   কিছু   বলে   না।   কারণ ,  সে   এবিষয়ে   কথা   বলতে   লজ্জা   বোধ   করে। 

  আমার   দেশবাসীকে   বলতে   চাই ,  depression   এমন   নয়   যে   তার   থেকে   মুক্তি   পাওয়া   যাবে   না।   একটা   মনোবৈজ্ঞানিক   পরিসর   তৈরি   করলেই   সে   মুক্তির   পথ   মিলতে   শুরু   করে।   প্রথম   কথা   depression – কে  suppress   না   করে   তাকে   express   করা   দরকার।   নিজের   বন্ধুদের   সঙ্গে   বাবা – মা ’ র   সঙ্গে ,  ভাই – বোনদের   সঙ্গে ,  শিক্ষকের   কাছে   মন   খুলে   বলুন  –  আপনার   ভেতরে   কী   হচ্ছে।   হোস্টেলে   থাকলে   অনেক   সময়   একাকীত্ব   গ্রাস   করে।   আমাদের   সৌভাগ্য ,  আমরা   যৌথ   পরিবারে   বড়   হই ।   অনেক   বড়   হয়   যৌথ   পরিবার।   সবাই   মিলে   এক   সঙ্গে   থাকায়   depression – এর   সম্ভাবনা   শেষ   হয়ে   যায়।   তারপরেও   আমি   বাবা – মায়েদের   বলব ,  খেয়াল   রাখুন ,  আগে   যে   পারিবারিক   সদস্য   সবার   সঙ্গে   মিলে   মিশে   থাকতো ,  ইদানিং   সে   খেতে   ডাকলে   পরে   খাবে   বলে   নিজেকে   আলাদা   করে   রাখতে   চাইছে   কিনা।   সবাই   মিলে   বাইরে   কোথাও   যাচ্ছেন   অথচ   পরিবারের   ঐ   সদস্য   ‘ আজ   আমার   ভালো   লাগছে   না ,  আমি   যাবো   না ’  –  বলে   নিজেকে   বিচ্ছিন্ন   রাখছে   কিনা।   আপনি   কি   কখনো   ভেবেছেন   ঐ   মানুষটি   কেন   এমন   করছে ?  আপনি   নিশ্চিত   থাকুন ,  এগুলিই   depression – এর   প্রথম   লক্ষণ।   কেউ   সবার   মাঝখান   থেকে   নিজেকে   সরিয়ে   রেখে   একা   থাকতে   চাইলে   খেয়াল   রাখুন  –  তাকে   একা   হতে   দেবেন   না।   যার   বা   যাদের   সঙ্গে   সে   থাকতে   পছন্দ   করে   তাদের   সঙ্গে   থাকতে   দিন।   হই – হুল্লোড়   মজার   কথার   মধ্যে   তাকে   মন   খুলে   কথা   বলায়   উৎসাহিত   করুন।   মনের   গভীরে   তার   কিসের   কুণ্ঠা   লুকিয়ে   রয়েছে ,  খুঁজে   বার   করুন।   এটাই   শ্রেষ্ঠ   উপায়।   মনে   রাখবেন ,  depression   থেকে   শরীরও   খারাপ   হতে   শুরু   করে।   ডায়াবেটিসের   মতো   অসুখে   মানুষ   যেমন   শারীরিকভাবে   দুর্বল   হয়ে   পড়ে ,  depression   মানুষের   বিবেচনা   শক্তি   কমিয়ে   দেয় ,  সাহস   কেড়ে   নেয় ,  জীবনযুদ্ধে   লড়াইয়ের   শক্তি   কমিয়ে   দেয়।   আমাদের   সব   জীবনীশক্তি   ধ্বংস   করে   দেয়।   আপনার   সব   বন্ধু – বান্ধব ,  আত্মীয় – স্বজন – পরিবার  –  সবাই   মিলে   আপনাকে   depression   থেকে   দূরে   রাখে   আর   depression   থেকে   মুক্তও   করে।   অনেকের   মাঝে   যদি   নিজেকে   ব্যক্ত   করতে   না   পারেন ,  তবে   আরেকটা   উপায়   বলে   দিই।   আপনার   এলাকায়   কোনও   সমাজসেবী   থাকলে   তাঁর   কাছে   চলে   যান।   সেবাকার্যে   মানুষের   দুঃখ – কষ্ট ,  তাদের   জীবনের   নানান   সমস্যা   ভাগাভাগি   করে   নিতে   শুরু   করলে   দেখবেন   মনের   depression   চলে   যাবে।   সেবার   মন   নিয়ে   অন্যের   সমস্যার   সমাধান   করতে   শুরু   করলে   আপনার   আত্মবিশ্বাস   ফিরে   আসবে।   অন্যের   সঙ্গে   নিজেকে   মেলাতে   পারলে ,  সেবা   করতে   পারলে   এবং   তা   যদি   নিঃস্বার্থভাবে   করতে   পারেন ,  দেখবেন   কি   অনায়াসে   মন   হালকা   হয়ে   যায়।   যোগ   অভ্যাস   কিন্তু   মনের   স্বাস্থ্য   সুন্দর   রাখার   উপকারী   পথ।   মনোকষ্ট   থেকে   মুক্তি ,  দমবন্ধ   অবস্থা   থেকে   মুক্তি   এবং   প্রসন্ন   মনোভাবের   জন্য   যোগ   এক   অত্যন্ত   কার্যকরী   উপায়।   প্রতিবছর   ২১   জুন   ‘ আন্তর্জাতিক   যোগ   দিবস ’   উদ্ ‌ যাপন   করা   হয়।   এবার   তৃতীয়   বর্ষ   হতে   যাচ্ছে।   আপনারা   এখন   থেকে   তৈরি   হতে   শুরু   করুন।   সবাই   মিলে   মহাসমারোহে   এই   যোগ   উৎসব   পালন   করতে   হবে। 

 ‘ আন্তর্জাতিক   যোগ   দিবস ’   উদ্ ‌ যাপনে   আপনাদের   যদি   কিছু   পরামর্শ   দেওয়ার   থাকে ,  আমার   মোবাইল   অ্যাপ – এর   মাধ্যমে   আমায়   সে   সব   ভাবনা   পাঠিয়ে   দিন ‌ ,  পথ   দেখান ।   যোগ   নিয়ে   যত   কবিতা ,  গান   লিখতে   পারেন ,  লিখতে   থাকুন ,  যাতে   সাধারণ   মানুষের   মধ্যে   এক   উদ্দীপনা   আসতে   পারে। 

  এবার   আমি   মা – বোনেদের   কিছু   বলবো।   স্বাস্থ্যচর্চা   নিয়ে   অনেক   কথাই   বলা   হল।   কিছুদিন   আগে   ভারত   সরকার   এক   গুরুত্বপূর্ণ   সিদ্ধান্ত   নিয়েছে।   আমাদের   দেশে   যে   কর্মরতা   মহিলারা   রয়েছেন ,  বিভিন্ন   কর্মকাণ্ডে   যে   মহিলারা   সামিল   হয়েছেন ,  তাঁদের   সংখ্যা   বেড়েই   চলেছে।   মহিলাদের   অংশগ্রহণের   হার   বাড়ছে   এটা   খুব   ভালো   কথা।   কিন্তু   পাশাপাশি   মহিলাদের   অন্য   গুরুত্বপূর্ণ   দায়িত্বও   রয়ে   যাচ্ছে।   তাঁরা   সংসার   সামলাচ্ছেন ,  সংসারের   আর্থিক   দিকও   সামলাচ্ছেন   আর   তাতে   নবজাতক   শিশুটির   প্রতি   অন্যায়   হয়ে   যাচ্ছে।   এজন্য   ভারত   সরকার   একটা   অত্যন্ত   জরুরি   সিদ্ধান্ত   নিয়েছে।   কর্মরতা   মহিলাদের   গর্ভাবস্থার   সময় ,  প্রসবকালীন   ও   প্রসব – পরবর্তী   সন্তান   প্রতিপালনের   সময়   যে   মাতৃত্বকালীন   ছুটি   দেওয়া   হত ,  আগে   তা   ছিল   ১২   সপ্তাহের।   এখন   সেই   মাতৃত্বকালীন   ছুটি   ১২   সপ্তাহ   থেকে   বাড়িয়ে   ২৬   সপ্তাহ   করা   হয়েছে।   এক্ষেত্রে   বিশ্বের   মাত্র   দু – তিনটি   দেশই   আমাদের   থেকে   এগিয়ে   আছে।   হবু   মায়েদের   জন্য   এই   বাড়তি   ছুটির   ব্যবস্থা   এক   মহৎ   প্রয়াস   বলে   আমি   মনে   করি।   সদ্যোজাত   শিশুর   সঠিক   পরিচর্যার   জন্য   গর্ভাবস্থা   থেকে   তাদের   উপযুক্ত   প্রতিপালনের   জন্য   মায়ের   পরিপূর্ণ   মনোযাগ   তারা   পাবে   এবং   তারাই   আমাদের   আগামী   দিনের   নাগরিক।   এই   শিশুরা   যখন   বড়ো   হয়ে   উঠবে ,  দেশের   সম্পদ   হবে।   এই   গুরুত্বপূর্ণ   সিদ্ধান্তে   মায়েদের   স্বাস্থ্যও   ভালো   থাকবে।   সংগঠিত   ক্ষেত্রে   কর্মরতা   প্রায়   ১৮   লক্ষ   মায়েদের   এই   নিয়ম   খুব   কাজে   আসবে। 

  আমার   প্রিয়   দেশবাসী ,  ৫   এপ্রিল   রামনবমী   উৎসব   পালন   হবে।   ৯   এপ্রিল   মহাবীর   জয়ন্তী ,  আবার   ১৪   এপ্রিল   বাবাসাহেব   আম্বেদকরের   জন্মজয়ন্তী।   এই   মহাপুরুষদের   জীবন   আমাদের   অনুপ্রেরণা   দেয়   ও   New India   গঠনের   শক্তি   যোগায় ।   দু ’ দিন   পরেই   চৈত্র   শুক্ল   প্রতিপদ ,  বছরের   প্রথমদিন ।   নতুন   বছর   আসবে ,  তার   জন্য   আপনাদের   অনেক   অনেক   শুভেচ্ছা !  বসন্ত   পেরিয়ে   যাওয়ার   পর   ফসল   কাটার   সময়   আসছে ,  চাষী   ভাইদের   শ্রমের   ফসল   তোলার   এটাই   সময়।   আমাদের   দেশের   বিভিন্ন   প্রান্তে   নববর্ষ   উৎসব   নানান   ভাবে   পালিত   হয়।   মহারাষ্ট্রে  ‘ গুড়ি   পড়োয়া ’,  অন্ধ্র – কর্ণাটকে   নববর্ষে   পালিত   হয়  ‘ উগাড়ি ’ ,  সিন্ধি  ‘ চেটি   চাঁদ ’,  কাশ্মিরী  ‘ নবরেহ ’,  আওয়োধ – এ  ‘ সংবৎসর   পূজা ’,  বিহারের   মিথিলায়  ‘ জুড়   শীতল ’  আবার   মগধে  ‘ সতুওয়ানি ’  পালনে   নববর্ষের   উৎসব   পালন   করা   হয়।   

  বিপুল   দেশ   ভারতে   বৈচিত্র্যে   ভরা   রয়েছে।   আপনাদের   সবাইকে   নববর্ষের   শুভেচ্ছা   জানাই !  অনেক   অনেক   ধন্যবাদ !

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।