#MannKiBaat: PM Modi expresses concern over floods in several parts of country, urges for faster relief operations
#MannKiBaat: Technology can help in accurate weather forecast and preparedness, says PM Modi
#MannKiBaat: #GST is Good and Simple Tax, can be case study for economists worldwide, says PM Modi
#MannKiBaat: PM Modi appreciates Centre-State cooperation in smooth rollout of #GST
#GST demonstrates the collective strength of our country, says PM Modi during #MannKiBaat
August is the month of revolution for India, cannot forget those who fought for freedom: PM Modi during #MannKiBaat
Mahatma Gandhi’s clarion call for ‘do or die’ instilled confidence among people to fight for freedom: PM during #MannKiBaat
By 2022, let us resolve to free the country from evils like dirt, poverty, terrorism, casteism & communalism: PM during #MannKiBaat
Let us pledge that in 2022, when we mark 75 years of independence, we would take the country t greater heights: PM during #MannKiBaat
Festivals spread the spirit of love, affection & brotherhood in society: PM Modi during #MannKiBaat
Women of our country are shining; they are excelling in every field: PM Modi during #MannKiBaat

আমার প্রিয় দেশবাসী,নমস্কার! মানুষের মন এমনই যে বর্ষাকাল মানুষের কাছে খুব আনন্দদায়ক হয়। পশু-পাখী,গাছপালা, প্রকৃতি – প্রত্যেকেই বর্ষার আগমনে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। কিন্তু মাঝে মাঝেবর্ষা যখন ভয়ঙ্কর রূপ নেয় তখন বোঝা যায় জলের বিধ্বংসী ক্ষমতা কতটা। প্রকৃতি আমাদেরজীবনদাত্রী, আমাদের পালনকর্ত্রী, কিন্তু কখনও কখনও বন্যা, ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিকদুর্যোগ, তার ভয়াল রূপ প্রচণ্ড বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। ঋতুচক্রের এই পরিবর্তন এবংপরিবেশে যে পরিবর্তন আসছে, তার একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। গত কিছু দিনে ভারতেরকিছু জায়গায় বিশেষ করে অসম, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, গুজরাট, রাজস্থান, বাংলা-র কিছুঅংশে অতি বৃষ্টির কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ্য করতে হচ্ছে।

বন্যাবিধ্বস্ত অঞ্চলেরপুরো পর্যবেক্ষণ হচ্ছে। ব্যাপক ভাবে উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে। যেখানে সম্ভবহচ্ছে, সেখানেই মন্ত্রীপরিষদে আমার যে সহকর্মীরা আছেন, তাঁরা পৌঁছে যাচ্ছেন। রাজ্যসরকারও নিজের নিজের মত করে বন্যাকবলিত মানুষদের সাহায্য করার জন্য সবরকম প্রয়াসচালাচ্ছে। সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সেবামূলক কাজ করতে ইচ্ছুক নাগরিকরা এইপরিস্থিতিতে মানুষজনের কাছে সাহায্য পৌঁছনোর জন্য সবরকম প্রয়াস চালাচ্ছে। ভারতসরকারের তরফে সেনা জওয়ান, বায়ুসেনা, NDRF, প্যারামিলিটারিফোর্স প্রত্যেকেই এইরকম সময়ে বিপর্যস্ত মানুষের সেবা করার জন্য মন-প্রাণ দিয়ে কাজকরছেন। বন্যার জন্য জনজীবন অত্যন্ত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। কৃষিশস্য, পশু, পরিকাঠামো –রাস্তা, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা সব কিছুর ওপরই এর প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে আমাদেরকৃষক ভাইদের ফসল এবং ক্ষেতের যে লোকসান হয় তার জন্য আমরা ইদানিং বীমা কোম্পানি,বিশেষ করে কৃষি বীমা কোম্পানিগুলি যাতে সদর্থক ভূমিকা নিতে পারে সেজন্য যোজনা তৈরিকরেছি, যাতে কৃষকদের Claimsettlement খুবতাড়াতাড়ি হতে পারে। আর বন্যাপরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টার জন্য Control Room খোলা হয়েছে যার Help Line নম্বর 1078 । তারা একনাগাড়ে কাজ করেচলেছে। লোকজন নিজেদের দুরাবস্থার কথা জানাচ্ছেন। বর্ষাকালের আগেই বেশিরভাগ জায়গায় Mock Drill করে পুরো সরকারি কর্মসূচি তৈরি করে রাখা হয়েছিল। NDRF -এর Team নিয়োগ করা হয়েছিল। জায়গায়জায়গায় বিপদবন্ধু তৈরি করা, তাঁদের do’s and don’ts –এর প্রশিক্ষণ দেওয়া, স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা, এক জনসংগঠন তৈরি করে এইপরিস্থিতিতে কাজ করার কর্মসূচি তৈরি রাখা হয়েছিল। এখন বর্ষাকালের যে পূর্বাভাসপাওয়া যায়, এখন প্রযুক্তি এত উন্নত হয়ে গেছে, মহাকাশবিজ্ঞান-এরও এক বড় ভূমিকা আছে,এজন্য প্রায়শই অনুমান সঠিক হয়। ধীরে ধীরে আমরাও আমাদের এভাবেই তৈরি করেছি যেবর্ষার পূর্বাভাস অনুযায়ী আমরা এমনভাবেই আমাদের কাজ করব, যাতে আমরা লোকসানের হাতথেকে পরিত্রাণ পেতে পারি। যখনই আমি ‘মন কি বাত’-এর জন্য তৈরি হই, আমি দেখি আমারথেকেও বেশি তৈরি আমার দেশের নাগরিক। এবার তো GST নিয়ে এত চিঠি এসেছে, এত ফোন এসেছে, আর এখনও মানুষজন GST নিয়ে খুশি ব্যক্ত করছেন,প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছেন। একটি ফোন আমি আপনাদের শোনাতে চাই –

“নমস্কার প্রধানমন্ত্রীজী,আমি গুরগাঁও থেকে নীতু গর্গ বলছি। আমি ‘চার্টার্ড অ্যাকাউণ্ট্যাণ্ট ডে’-তে আপনারবক্তৃতা শুনে অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছি। আমাদের দেশে এজন্যই গতমাসে আজকের দিনেই Goods and Service Tax – GST শুরু হয়েছে। আপনি কি বলতে পারেন, সরকার যেরকম আশা করছেন সেরকমই ফলাফল কি একমাসবাদে আসবে – না, না? আমি এব্যাপারে আপনার মতামত শুনতে চাইব। ধন্যবাদ।”

GST চালু হওয়ার পর প্রায় একমাস হয়ে গেছে আর তারলাভজনক ফল দেখা যাচ্ছে। আর আমার খুব ভাল লাগছে, খুশি হচ্ছি যে যখনই কোনও দরিদ্রমানুষ চিঠি লিখে বলছেন GST -র জন্য দরিদ্রদেরপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কীভাবে কমে গেছে, জিনিসপত্র কীভাবে সস্তা হয়ে গেছে। আরউত্তর-পূর্বাঞ্চল, দূর-সুদূর পার্বত্য অঞ্চল, জঙ্গলে বসবাসকারী কোনও ব্যক্তি চিঠিলিখে জানাচ্ছেন যে প্রথমে ভয় হয়েছিল যে না জানি কি হবে, কিন্তু এখন যখন আমি এটাশিখে এবং বুঝে গেছি তো আমার মনে হচ্ছে আগের থেকে কাজ অনেক সহজ হয়ে গেছে।ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক সরল হয়ে গেছে। আর সবথেকে বড় কথা এই যে, গ্রাহকদের ব্যবসায়ীদেরওপর ভরসা বাড়ছে। এখন আমি দেখছি যে Transportand Logistic Sector –এর ওপর GST –র কীরকম প্রভাব পড়েছে।কীভাবে ট্রাকের আসা-যাওয়া বেড়ে গেছে। দূরত্ব অতিক্রম করার সময় কতটা কমে গেছে। রাজপথযানজটহীন হয়েছে। ট্রাকের গতি বাড়ার জন্য দূষণও কম হচ্ছে। জিনিসপত্রও অনেক তাড়াতাড়িপৌঁছে যাচ্ছে। এতে সুবিধা তো হচ্ছেই, সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিও আরও শক্তিশালী হচ্ছে।আগে আলাদা আলাদা Tax structure হওয়ার জন্য Transport and Logistics Sector –এ অতিরিক্ত কাগজপত্র maintain করতে হত এবং প্রতিটি রাজ্যের নিজের নিজের Warehouse তৈরি করতে হত। GST -যাকে আমি Good and Simple Tax বলি, সত্যি সত্যি আমাদেরঅর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে এক সদর্থক প্রভাব ফেলেছে। যারফলে জোরদার smooth transition হচ্ছে, যাতে জোরদার ভাবে migration হচ্ছে, নতুন registration হচ্ছে, আর এর ফলে সারা দেশে এক নতুন বিশ্বাস তৈরি হচ্ছে। আর কখনও না কখনও,অর্থনীতিবিদ, ম্যানেজমেন্টের বিদগ্ধ ব্যক্তি, Technology -র পণ্ডিত মানুষ, তাঁদের গবেষণার মাধ্যমে ভারতে GST –র প্রয়োগকে বিশ্বের দরবারে এক মডেল হিসেবে অবশ্যই তুলেধরবেন। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এ এক Case Study হয়ে উঠবে। কারণ, এত বড় মাপে এত বড় পরিবর্তন, এত কোটিমানুষের তাতে যোগদান, এত বিশাল এক দেশে তার প্রয়োগ এবং সাফল্যের সঙ্গে তাকে এগিয়েনিয়ে যাওয়া, এটা নিজেই এক সাফল্যের শীর্ষবিন্দু। বিশ্ব অবশ্যই এই নিয়ে গবেষণাকরবে। GST প্রয়োগ করা হয়েছে, প্রতিটিরাজ্য তাতে অংশ নিয়েছে, প্রতিটা রাজ্যের তাতে দায়িত্বও আছে। সমস্ত সিদ্ধান্ত সবকটিরাজ্য ও কেন্দ্র মিলিতভাবে সর্বসম্মতিক্রমে নিয়েছে। আর এরই ফল, প্রতিটি সরকারেরএটিই প্রাথমিক লক্ষ্য যে GST –র জন্য যেন দরিদ্রদের ওপরকোনও চাপ না পড়ে। GST অ্যাপ থেকে আপনারাভালোভাবেই জানতে পারবেন, GST -এর আগে কোনও জিনিসের যেদাম ছিল, নতুন পরিস্থিতিতে তার দাম কত হবে, এই সবকিছু আপনাদের মোবাইল ফোনেই পাওয়াযাবে। One Nation One Tax – কত বড় স্বপ্ন পূর্ণ হল। GST -র ফলে আমি দেখেছি যে তহশিলদার থেকে শুরু করে ভারত সরকারেরআধিকারিকরা যে পরিশ্রম করেছেন, যেরকম আত্মনিবেদনের ভাব নিয়ে কাজ করেছেন, এক রকম যেবন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সরকার আর ব্যবসায়ীদের মধ্যে, সরকার আর গ্রাহকদেরমধ্যে, সেই বিশ্বাস বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটা এক বড় ভূমিকা পালন করেছে। আমি এই কাজেরসঙ্গে যুক্ত সমস্ত মন্ত্রক , সমস্ত দপ্তর, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সবকর্মচারীদের অন্তর থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। GST ভারতের সামগ্রিক শক্তির সাফল্যের এক উত্তম উদাহরণ। এ একঐতিহাসিক উপলব্ধি। আর এটা করব্যবস্থার সংস্কার শুধু নয়, এক নতুন সততার সংস্কৃতিকেশক্তিপ্রদানকারী অর্থব্যবস্থা। এ এক রকম সামাজিক সংস্কারেরও অভিযান। আমি আবারএকবার অত্যন্ত আন্তরিকভাবে এত বড় প্রয়াসকে সফল করার জন্য কোটি কোটি দেশবাসীকে কোটিকোটি নমস্কার করছি।

আমারপ্রিয় দেশবাসী, আগস্ট মাস আন্দোলনের মাস। শৈশব থেকে আমরা যে এই কথাটা শুনে আসছিতার কারণ হল ১লা আগস্ট, ১৯২০ আরম্ভ হয়েছিল ‘অসহযোগ আন্দোলন’, এরপর ৯-ই আগস্ট১৯৪২-এ শুরু হয় ‘ভারত ছাড়ো’ – যার অন্য নাম ‘আগস্ট বিপ্লব’, এবং ১৯৪৭-এর ১৫-ইআগস্ট দেশ স্বাধীন হয়। আগস্ট মাসের বহু ঘটনাই স্বাধীনতার সঙ্গে বিশেষভাবে জড়িত।এবছর আমরা ‘ভারত ছাড়ো’ – ‘ QuitIndia Movement ’-এর৭৫-তম বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন করতে চলেছি, কিন্তু খুব কম মানুষই একথা জানেন যে, ‘ভারতছাড়ো’–এই ধ্বনিটি প্রথম তুলেছিলেন ড. ইউসুফ মেহের আলি। আমাদের নতুন প্রজন্মের জানাদরকার ১৯৪২-এর ৯-ই আগস্ট কী হয়েছিল। ১৮৫৭ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত ভারতবাসীস্বাধীনতার প্রত্যাশার সঙ্গে কীভাবে নিজেদের একাত্ম করেছিল, তার জন্য তাদের কতখানিযুঝতে হয়েছে, কত কিছু সহ্য করতে হয়েছে – ইতিহাসের পাতায় পাতায় তার বর্ণনা উন্নতভারত গঠনে আমাদের প্রেরণা স্বরূপ। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ত্যাগ, তপস্যা,আত্মোৎসর্গের যে নিদর্শন দেখিয়ে গেছেন তার চেয়ে বড় প্রেরণা আর কী-ই বা হতে পারে!‘ভারত ছাড়ো’ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ সংঘর্ষের অধ্যায়, কারণ এইআন্দোলনই বৃটিশের হাত থেকে মুক্তির সংকল্পে সারা দেশকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এ ছিল সেইসময়, যখন হিন্দুস্থানের প্রতিটি কোণে – শহরে-গ্রামে সর্বত্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত,ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সব মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের শরিক হয়েউঠেছিল। গণ আক্রোশ তখন চরমে পৌঁছেছিল। মহাত্মা গান্ধীর আহ্বানে লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ মন্ত্রে নিজেদের জীবনকে সংগ্রামে সমর্পণ করেছিল। দেশের লক্ষলক্ষ তরুণ নিজেদের পড়াশোনা ছেড়ে স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছিল। মহাত্মাগান্ধী ৯-ই আগস্ট ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পর ইংরেজ সমস্ত বড় নেতাদের যখনজেলবন্দী করে ফেলে তারপর আন্দোলনের হাল ধরতে এগিয়ে আসেন
ডা. লোহিয়া, জয়প্রকাশ নারায়ণ প্রমুখ দ্বিতীয় প্রজন্মের নেতৃবৃন্দ।

১৯২০-র‘অসহযোগ আন্দোলন’ আর ১৯৪২-এর ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধীর দুটি আলাদা রূপদেখা যায়। অসহযোগ আন্দোলনের চেহারা একরকম ছিল, এরপর ’৪২-এ অবস্থা এমন দাঁড়ালো,আন্দোলনের তীব্রতা এতটাই বেড়ে গেল যে মহাত্মা গান্ধীর মতো মহাপুরুষও ‘করেঙ্গে ইয়ামরেঙ্গে’ মন্ত্র দিয়ে দিলেন। এইসব সাফল্যের পিছনে ছিল জনসমর্থন, জনসামর্থ্য,জনসঙ্কল্প এবং জনসংঘর্ষ। গোটা দেশ সেদিন একজোট হয়ে লড়েছিল। আমি কখনও কখনও ভাবি,ইতিহাসের পাতাগুলিকে একত্র করে নিয়ে দেখলে বোঝা যায় ভারতের প্রথম স্বাধীনতাসংগ্রাম হয়েছিল ১৮৫৭-য়। ১৮৫৭-য় শুরু হওয়া সেই যুদ্ধ ১৯৪২ পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তেদেশের কোন না কোনও প্রান্তে চলেছে এবং এই দীর্ঘ সময়ে তা দেশবাসীর হৃদয়ে স্বাধীনতারজন্য এক তীব্র চাহিদার জন্ম দিয়েছে। প্রত্যেকটি মানুষ কিছু না কিছু করার জন্যপ্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। প্রজন্ম বদলে গেছে, কিন্তু তাদের সংকল্পের তীব্রতা কিছুমাত্রকমেনি। একদল মানুষ এসেছে, সংগ্রামে যুক্ত হয়েছে, চলেও গেছে – আবার নতুন দল এসেছে,তারাও একইভাবে সংগ্রামে যোগ দিয়েছে – আর ইংরেজ সাম্রাজ্যকে সমূলে উৎপাটনের জন্যদেশ প্রতি মুহূর্তে চেষ্টা করে গেছে। ১৮৫৭ থেকে ১৯৪২ পর্যন্ত এই প্রচেষ্টাআন্দোলনকে এমন এক পর্যায়ে এনে ফেলে যে ১৯৪২-এ তা চরম সীমায় পৌঁছায় এবং ‘ভারতছাড়ো’-র বিষাণ এমনভাবে বাজে, যার ফলে পাঁচ বছরের মধ্যে ১৯৪৭-এ ইংরেজ চলে যেতেবাধ্য হয়। ১৮৫৭ থেকে ১৯৪২-এর মধ্যে স্বাধীনতার হাতছানি প্রতিটি দেশবাসীর কাছেপৌঁছেছিল এবং ১৯৪২ থেকে ১৯৪৭ – এই পাঁচ বছর সংকল্প সিদ্ধির পাঁচটি নির্ণায়ক বর্ষহিসেবে দেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির

কারণহয়ে দাঁড়ায়। এই পাঁচটি বছরই ছিল মূল নির্ধারক।

এখনআমি আপনাদের এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে চাই। ১৯৪৭-এ আমরা স্বাধীন হয়েছি আর আজ২০১৭ সাল। প্রায় ৭০ বছর হয়ে গেছে। সরকার এসেছে, গেছে। নীতি-নিয়ম তৈরি হয়েছে, পরিবর্তিতহয়েছে, পরিবর্ধিত হয়েছে। দেশের সমস্যামুক্তির জন্য সকলেই নিজের নিজের মতো করেচেষ্টা করে গেছে। দেশে সাধারণের আয় বাড়ানোর জন্য, দারিদ্র্য দূর করার জন্য,বিকাশের জন্য নিরন্তর প্রয়াস চলেছে। যার যার নিজের মতো করে সকলেই পরিশ্রম করেছেন।সাফল্যও এসেছে। প্রত্যাশাও বেড়েছে। ১৯৪২ থেকে ১৯৪৭ যেমন সঙ্কল্পসিদ্ধির নির্ণায়কপাঁচ বছর ছিল, তেমনি আমি তো দেখছি ২০১৭ থেকে ২০২২ – এই সময়টিও আরও এক সঙ্কল্পসিদ্ধির পঞ্চবার্ষিকী হয়ে আমাদের সামনে এসেছে। এই ২০১৭-র ১৫-ই আগস্ট আমরা সঙ্কল্পপর্বের সূচনা হিসেবে পালন করব এবং ২০২২-এ স্বাধীনতার যখন ৭৫ বছর হবে, ততদিনেঅবশ্যই আমরা সেই সঙ্কল্পেরও সিদ্ধি সাধন করে ফেলব। ভারতের ১২৫ কোটি অধিবাসীরপ্রত্যেকে যদি ৯-ই আগস্ট বিদ্রোহের দিনটিকে স্মরণ করে এবং ১৫-ই আগস্ট স্বাধীনতাদিবসে প্রতিজ্ঞা করে যে ব্যক্তি হিসেবে, নাগরিক হিসেবে আমি এতটুকু কাজ অবশ্যই করব;পরিবার, সমাজ, গ্রাম বা শহর, সরকারি বিভাগ কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে এই এই কাজ করব –তাহলেই তো কোটি কোটি সঙ্কল্পের জন্ম হবে। সেই সঙ্কল্প পূর্ণ করারও প্রয়াস শুরুহবে।

১৯৪২ থেকে ১৯৪৭ পাঁচটি বছর যেমন দেশের স্বাধীনতার নির্ণায়ক হয়ে উঠেছিল, তেমনই ২০১৭থেকে ২০২২ – এই পাঁচ বছরও ভারতের ভবিষ্যৎ গঠনের নির্ণায়ক বর্ষ হয়ে উঠতে পারে – এবংতাকে তা করে তুলতেই হবে। পাঁচ বছর পর আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বছর পালন করব।

আজ আমাদের তারই সাপেক্ষে শপথ নিতে হবে – ২০১৭-কে সঙ্কল্পের বর্ষ হিসেবে চিহ্নিত
করতে হবে। এই আগস্ট মাসে আমাদের শপথ নিতে হবে – অপরিচ্ছন্নতা – ভারত ছাড়ো,দারিদ্র্য – ভারত ছাড়ো, দুর্নীতি – ভারত ছাড়ো, সন্ত্রাসবাদ – ভারত ছাড়ো, জাতিভেদ –ভারত ছাড়ো, সাম্প্রদায়িকতা – ভারত ছাড়ো। আজ আর ‘করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে’-র প্রয়োজননেই, তার বদলে নতুন ভারত গড়ার সঙ্কল্পের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে হবে, মনেপ্রাণেতার সাফল্যের জন্য চেষ্টা করতে হবে। সঙ্কল্পকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বাঁচতে হবে, লড়াইকরতে হবে। আসুন, এই আগস্ট মাসে ৯ আগস্ট থেকে সঙ্কল্পসিদ্ধির এক মহাভিযান চালাই।প্রত্যেক ভারতবাসী, সামাজিক সংগঠন, স্থানীয় প্রশাসনিক দপ্তরগুলি, স্কুল-কলেজ,আলাদা আলাদা যাবতীয় সংস্থা – সকলে NewIndia -র জন্য কিছু নাকিছু সঙ্কল্প নিই। এমন একটি সঙ্কল্প যা আমরা আগামী পাঁচ বছরে সিদ্ধ করে দেখাবো।যুব সংগঠন, ছাত্র সংগঠন এবং এন.জি.ও-রা সামুদায়িক আলোচনার আয়োজন করতে পারেন, নতুননতুন আইডিয়ার উদ্ভাবন করতে পারেন। এক রাষ্ট্র হিসাবে আমাদের কোথায় পৌঁছানো উচিৎ,একজন ব্যক্তি হিসাবে তাতে আমি কীভাবে যুক্ত হতে পারি, আসুন আমরা এই সঙ্কল্প করি।

আমিআজ বিশেষ করে online world – কে, কারণ আমরা যেখানেই থাকি না কেন,
online -এ তো অবশ্যই থাকি, সেই যে অনলাইন দুনিয়া, আরবিশেষ করে আমার যুব বন্ধুরা, আমার যুবসাথীদের, আমন্ত্রণ জানাচ্ছি নতুন ভারতেরনির্মাণ কাজে উদ্ভাবনী শক্তির সাহায্যে যুক্ত হতে এগিয়ে আসুন। আসুন, প্রযুক্তিব্যবহার করে ভিডিও পোস্ট, ব্লগ, নিবন্ধ, নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে আসুন। এইআন্দোলনকে এক জন-আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। ‘নরেন্দ্র মোদী অ্যাপ’-এও যুব বন্ধুদেরজন্য ‘ Quit India Quiz ’ প্রতিযোগিতা আয়োজন করাহবে। এই Quiz প্রতিযোগিতা দেশের যুবসম্প্রদায়কে দেশের গৌরবশালী ইতিহাস এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়কদের সঞগে পরিচিতকরানোর এক প্রচেষ্টা। আমি আশা করব আপনারা এটির ব্যাপক প্রচার ও প্রসার করবেন।

আমারপ্রিয় দেশবাসী, দেশের প্রধান সেবক রূপে ১৫-ই আগস্ট আমি লালকেল্লা থেকে দেশবাসীরসঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাই। কিন্তু আমি নিমিত্ত মাত্র, কারণ সেখান থেকে কোনওব্যক্তিবিশেষ কথা বলেন না, ১২৫ কোটি দেশবাসীর আওয়াজ লালকেল্লা থেকে প্রতিধ্বনিতহয়। আমি আনন্দিত যে গত তিন বছর যাবৎ ১৫-ই আগস্ট কি বলা উচিত কোন বিষয় আলোচনা করাউচিত এই নিয়ে দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে আমার কাছে অনেক প্রস্তাব এসেছে। এইপ্রস্তাবগুলির মুখ্য উদ্দেশ্য তাঁদের স্বপ্নগুলি যেন শব্দের রূপ পায়। আমি এবারওপ্রস্তাব পাঠানোর জন্য আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি। My Gov অথবা NarendraModi App –এআপনারা আমাকে প্রস্তাব নিশ্চয় পাঠাবেন, আমি স্বয়ং এই প্রস্তাবগুলি পড়ে থাকি। ১৫-ইআগস্ট আমি যতটুকু সময় পাবো তার মধ্যে এই প্রস্তাবগুলি আলোচনা করার চেষ্টা করবো। গততিন বছর
১৫-ই আগস্ট আমার ভাষণ নিয়ে একটি অভিযোগ শুনতে হয় যে আমার ভাষণ একটু
দীর্ঘ হয়ে যায়। এবছর আমি মনে মনে স্থির করেছি যে ভাষণ ছোট করবো। খুব বেশি হলে৪০-৪৫ বা ৫০ মিনিটের মধ্যে শেষ করবো। আমি নিজের জন্য নিয়ম তৈরি করার চেষ্টা করছি –জানিনা সাফল্য পাবো কি না। কিন্তু এবার ভাষণ সংক্ষিপ্ত কীভাবে করবো সে বিষয়েপ্রচেষ্টা করছি দেখি সাফল্য পাই কি না।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি আজকে অন্য একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতেচাই। ভারতবর্ষের অর্থব্যবস্থার সঙ্গে সামাজিক-অর্থনীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এরগুরুত্বকে কখনোই খাটো করা উচিত নয়। আমাদের বিভিন্ন পরব, উৎসব কেবল মাত্রআনন্দ-উল্লাসের জন্য এমনটি নয়। আমাদের উৎসব, পরবগুলি আসলে সমাজ সংস্কারের অভিযানএকই সঙ্গে আমাদের প্রতিটি উৎসবের সঙ্গে দেশের গরীব থেকে গরীবতম ব্যক্তির আর্থিকজীবন সরাসরি সম্পর্কিত। কিছুদিন পর রাখী বন্ধন, জন্মাষ্টমী, তারপর পর্যায়ক্রমেগণেশ উৎসব, চৌথ চন্দ্র, অনন্ত চতুর্দশী, দুর্গা পূজা, দীপাবলী প্রভৃতি একের পর একউৎসব আসবে আর এই সময়েই গরীব ব্যক্তিরা অর্থ উপার্জনের কিছু সুযোগ পাবে। এই সবউৎসবের সঙ্গে এক সহজ স্বাভাবিক আনন্দও মিশে থাকে। উৎসব ব্যক্তিগত সম্পর্কেআন্তরিকতা, পরিবারের মধ্যে ভালোবাসা এবং সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করে, ব্যক্তি ওসমাজকে যুক্ত ক’রে এইভাবে ব্যক্তি থেকে সমষ্টির দিকে যাত্রা চলতে থাকে। আমিত্বথেকে বহুত্বের দিকে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। অর্থব্যবস্থার কথা বলতে গেলে রাখীবন্ধনউৎসবের কয়েক মাস আগে থেকেই শত শত পরিবারে ছোটো ছোটো পারিবারিক ব্যবসায় রাখী তৈরিশুরু হয়ে যায়। সুতী, সিল্ক প্রভৃতি নানারকম সুতো দিয়ে নানা ভাবে নানা রকম রাখীতৈরি হয়, আর আজকাল তো লোকজন Homemade রাখিই বেশি পছন্দ করেন।রাখি তৈরির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি, বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি, মিষ্টি ব্যবসায়ী –এই ভাবে শত শত – হাজার হাজার ব্যবসায়ী একটি উৎসবের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। আমাদেরগরীব ভাই-বোনেদের এতেই চলে। দীপাবলীতে আমরা প্রদীপ জ্বালাই, এটা কি কেবলমাত্র একটিউৎসব? প্রকাশ উৎসব? ঘর সুসজ্জিত করার উৎসব? তা কিন্তু নয়। ছোটো ছোটো মাটির প্রদীপযাঁরা বানান, সেই সব গরীব পরিবারের সঙ্গে কিন্তু দীপাবলী সরাসরি সম্পর্কিত। আজকেআমি যখন পরব, উৎসব এবং এর সঙ্গে যুক্ত গরীব ব্যক্তিদের অর্থব্যবস্থার কথা বলছি,তখন একই সঙ্গে আমি পরিবেশের কথাও বলতে চাই। কখনও কখনও আমি ভাবি যে আমার থেকেওদেশবাসী অনেক বেশি সজাগ এবং সক্রিয় এবং সেটা আমি উপলব্ধিও করেছি। গত একমাস যাবৎপরিবেশের বিষয়ে সজাগ নাগরিকরা আমাকে চিঠি লিখেছেন। তাঁরা আমাকে আবেদন জানিয়েছেন যেসময় থাকতে আমি যেন গণেশ চতুর্থীতে eco-friendly গণেশের কথা বলি যাতেলোকেরা মাটির তৈরি গণেশ পছন্দ করেন, পরিকল্পনা বানান। সর্ব প্রথম এই সকল সজাগ নাগরিকদেরপ্রতি আমি কৃতজ্ঞ, তাঁরা আমাকে সময়ের থেকে আগেই কিছু বলার জন্য আবেদন করেছেন।লোকমান্য তিলক এই মহান পরম্পরা শুরু করেছিলেন। এই বছর সার্বজনিক গণেশ উৎসবের১২৫-তম বর্ষ। ১২৫-তম বর্ষ আর ১২৫ কোটি দেশবাসী। সামাজিক একতা, জাগ্রত সমাজ,সামাজিক সংস্কারের ভাবনাকে সামনে রেখে লোকমান্য তিলক গণেশ উৎসব শুরু করেছিলেন।আসুন, আমরাও তাঁর কথা স্মরণ করে এই বছর গণেশ উৎসবের সময় রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনাসভা ইত্যাদি আয়োজন করি। লোকমান্য তিলকের ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সার্বজনিক গণেশউৎসব পালন করি এবং একই সঙ্গে পরিবেশের সুরক্ষার জন্য eco-friendly গণেশ অর্থাৎ মাটির তৈরি গণেশ ব্যবহারের সঙ্কল্প করি। এবারআমি অনেক আগেই এই কথাগুলি বললাম, আমার বিশ্বাস আপনারা সবাই সম্মত হবেন, আর এর থেকেএটাই লাভ হবে যে আমাদের গরীব হস্তশিল্পীরা, মূর্তি-শিল্পীরা কাজ পাবেন, উপার্জনকরতে পারবেন, তাঁদের পেট ভরবে। আসুন, আমরা এই উৎসবকে গরীবদের অর্থব্যবস্থার সঙ্গেযুক্ত করি, আমাদের উৎসবের আনন্দ গরীবদের ঘরের আর্থিক উৎসব হয়ে উঠুক, আর্থিক আনন্দহয়ে উঠুক, এটাই আমাদের সবার প্রচেষ্টা হওয়া উচিৎ। আমি সমস্ত দেশবাসীকে আগামী অনেকউৎসবের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমরা নিরন্তর দেখছি যে শিক্ষা ক্ষেত্রে হোক, আর্থিক ক্ষেত্রহোক, সামাজিক ক্ষেত্র হোক বা ক্রীড়াক্ষেত্র হোক – আমাদের কন্যারা দেশের নামউজ্জ্বল করছে, নতুন নতুন সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে যাচ্ছে। আমাদের দেশবাসীদের আমাদেরকন্যাদের নিয়ে গর্ব হয়, আমরা সম্মানিত হই তাঁদের জন্য। এই কিছুদিন আগেই আমাদেরমেয়েরা মহিলা ক্রিকেটের বিশ্বকাপে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। এই সপ্তাহে আমার এইসব খেলোয়াড় মেয়েদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আমার খুবভালো লেগেছে। কিন্তু আমি অনুভব করেছি যে বিশ্বকাপ না জিততে পারার দরুন তাঁদের ওপরএক মস্ত বড় বোঝা চেপেছে। তাঁদের মুখে এইবোঝার ছাপ ছিল। ওইসব মেয়েদের আমি আমার এক আলাদা মূল্যায়নের কথা বলেছি। আমি বলেছি,দেখ, এখন গণমাধ্যমের জমানা এমনই যে মানুষের প্রত্যাশা এত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এতবাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আর যখন সাফল্য আসে না, তখন তা আক্রোশে পরিণত হয়ে যায়। আমি এমনখেলা দেখেছি যে ভারতের খেলোয়াড়রা যদি বিফল মনোরথ হয় তো দেশবাসীর রাগ খেলোয়াড়দেরওপর পড়ে। কিছু মানুষ তো মানমর্যাদা ভেঙে এমন কিছু কথা বলে দেন, এমন কিছু জিনিসলিখে দেন যে খুবই কষ্টদায়ক হয়। কিন্তু এই প্রথমবার হল, যখন আমাদের মেয়েরাবিশ্বকাপে সফল হতে পারল না, তখনও একশো পঁচিশ কোটি দেশবাসী সেই পরাজয়কে নিজেদেরকাঁধে তুলে নিল। এতটুকু বোঝা ওই মেয়েদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিল না। এই-ই সব নয়, মেয়েরাযা করেছে তার গুণগান করল, তাঁদের সম্মান দিল। আমি এর মধ্যে এক সুন্দর পরিবর্তনদেখছি, আর আমি এই মেয়েদের বলেছি যে আপনারা দেখুন, এই সৌভাগ্য কেবল আপনাদেরই হয়েছে।আপনারা যে সফল হননি এটা মন থেকে দূর করে দিন। ম্যাচ জিতুন বা না জিতুন, আপনারা একশপঁচিশ কোটি দেশবাসীর মন জিতে নিয়েছেন। সত্যি সত্যি, আমাদের দেশের যুব সম্প্রদায়,বিশেষ করে আমাদের মেয়েরা দেশের নাম উজ্জ্বল করার জন্য অনেক কিছু করছে। আমি আবারএকবার আমার দেশের যুব সম্প্রদায়কে বিশেষ করে আমাদের কন্যাদের অন্তর থেকে অনেক অনেকধন্যবাদ দিচ্ছি। শুভকামনা জানাচ্ছি।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আবার একবার মনে করিয়ে দিতে চাই অগাস্ট আন্দোলনকে।আবার একবার মনে করাতে চাই ৯-ই আগস্টকে। আবার একবার স্মরণ করাতে চাই ১৫-ই আগস্টকে।আবার একবার স্মরণ করাতে চাই ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছরকে। প্রতিটি দেশবাসীপ্রতিজ্ঞা করুক, প্রতিটি দেশবাসী তাঁদের সংকল্প পূর্ণ করার পাঁচ বছরের পথনির্দেশতৈরি করুক। আমাদের সবার দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছনো চাই, পৌঁছনো চাই, পৌঁছনো চাই।আসুন, আমরা একসঙ্গে চলি, কিছু না কিছু করে চলি। দেশের ভাগ্য, দেশের ভবিষ্যৎ আরওভাল হতে থাকবে এই বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাই। অনেক অনেক শুভকামনা, ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to participate in ‘Odisha Parba 2024’ on 24 November
November 24, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will participate in the ‘Odisha Parba 2024’ programme on 24 November at around 5:30 PM at Jawaharlal Nehru Stadium, New Delhi. He will also address the gathering on the occasion.

Odisha Parba is a flagship event conducted by Odia Samaj, a trust in New Delhi. Through it, they have been engaged in providing valuable support towards preservation and promotion of Odia heritage. Continuing with the tradition, this year Odisha Parba is being organised from 22nd to 24th November. It will showcase the rich heritage of Odisha displaying colourful cultural forms and will exhibit the vibrant social, cultural and political ethos of the State. A National Seminar or Conclave led by prominent experts and distinguished professionals across various domains will also be conducted.