আমার প্রিয় দেশবাসীগণ, নমস্কার, ২০১৮’র এটা প্রথম ‘মন কি বাত’| আর দু’দিন আগেই আমরা সোত্সাহে সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপন করেছি| ইতিহাসে প্রথম এমনটা হয়েছে যে, দশটি দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব সেই উদযাপন সমারোহে উপস্থিত ছিলেন|
আমার প্রিয় দেশবাসীগণ, আমাকে ‘নরেন্দ্র মোদি অ্যাপ’-এ শ্রী প্রকাশ ত্রিপাঠি আজ এক দীর্ঘ চিঠি লিখেছেন| তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, আমি যেন ওঁর লেখা চিঠির বিষয়বস্তু ছুঁয়ে যাই| তিনি লিখেছেন, পয়লা ফেব্রুয়ারি মহাকাশ অভিযাত্রী কল্পনা চাওলার মৃত্যু দিবস| কলম্বিয়া মহাকাশযান দুর্ঘটনায় তিনি আমাদের কাছ থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন| কিন্তু বিশ্বের লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণীকে অনুপ্রাণিত করে গেছেন| আমি, ভাই প্রকাশজিকে নিজের দীর্ঘ চিঠিটি কল্পনা চাওলার চির বিদায়ের ঘটনা দিয়ে শুরু করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি| এটা সবার জন্যই দুঃখের যে আমরা কল্পনা চাওলাজিকে এতো কম বয়সে হারিয়েছি| কিন্তু তিনি নিজের জীবন দিয়ে গোটা বিশ্বে, বিশেষ করে ভারতে হাজার হাজার মেয়ের জন্য এই বার্তা রেখে গেছেন যে, নারী-শক্তির জন্য কোনো সীমানাই যথেষ্ট নয়| ইচ্ছা ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা থাকলে, কিছু করে দেখানোর ক্ষিধে থাকলে, কোনো কিছুই অসম্ভব নয়| এটা খুবই খুশির বিষয় যে, ভারতে আজ মহিলারা প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন এবং দেশের গৌরব বৃদ্ধি করছেন|
প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের দেশে মহিলাদের সম্মান| সমাজে তাঁদের স্থান এবং অবদান গোটা দুনিয়াকে বিস্মিত করে এসেছে| ভারতীয় বিদূষীদের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে| বেদের বিভিন্ন অংশ রচনায় এদেশের অনেক বিদূষীর কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে| লোপামুদ্রা, গার্গী, মৈত্রেয়ী—এমন না জানি কতো নাম! আজ আমরা ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’-এর কথা বলি, কিন্তু শত শত বছর আগে আমাদের শাস্ত্রে, স্কন্ধপুরাণে বলা হয়েছে—
“দশপুত্র, সমাকন্যা, দশপুত্রাণ প্রবর্ধয়ন|
ইয়ত ফলং লভতে মর্ত্য, তদ্ লভ্যং কন্যকৈকয়া||”
অর্থাত এক মেয়ে দশ ছেলের সমান| দশ ছেলে দিয়ে যতো পুণ্যলাভ হবে, এক মেয়ে দিয়ে সমান পুণ্য লাভ হবে| এটাই আমাদের সমাজে নারীদের মাহাত্ম্য বোঝাচ্ছে| আর সেজন্যই তো, আমাদের সমাজে নারীকে শক্তির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে| এই নারীশক্তি গোটা দেশকে, সমস্ত সমাজকে, পরিবারকে একতার সুতোয় বেঁধে রাখে| তা সে বৈদিক যুগের বিদূষীরা—লোপামুদ্রা, গার্গী, মৈত্রেয়ীর বিদূষীপনা হোক বা আক্কা মহাদেবী ও মীরাবাঈয়ের জ্ঞান ও ভক্তিময়তা হোক, অথবা অহল্যাবাঈ হোলকরের শাসন ব্যবস্থা, রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের বীরাঙ্গনা রূপ হোক—নারী শক্তি সবসময় আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে| দেশের মান-সম্মান বাড়িয়েছে|
শ্রী প্রকাশ ত্রিপাঠি এরপর আরও অনেক উদাহরণ তুলে ধরেছেন| তিনি লিখেছেন, আমাদের দুঃসাহসিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের ‘সুখোই-৩০’ যুদ্ধ বিমানে সওয়ার হওয়ার ঘটনা তাঁকে অনুপ্রেরণা যোগাবে| তিনি বর্তিকা যোশীর নেতৃত্বে ভারতীয় নৌসেনার মহিলা নাবিক দলের সদস্যদের বর্তমানে আই.এন.এস.ভি. তারিণীতে গোটা বিশ্ব পরিক্রমার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন| তিন দুঃসাহসিনী মহিলা ভাবনা কন্থ, মোহনা সিংহ ও অবনী চতুর্বেদী যুদ্ধ বিমানের চালক হয়েছেন| বর্তমানে ‘সুখোই-৩০’ যুদ্ধ বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁরা| ক্ষমতা বাজপেয়ীর নেতৃত্বে এয়ার ইন্ডিয়া রোয়িং জেটে করে দিল্লি থেকে আমেরিকার সানফ্রান্সিস্কো যাওয়া, ফের দিল্লি ফিরে আসার অভিযান পরিচালিত হলো| তাও পরিচালনা করলেন সব মহিলারাই| আপনি একদম ঠিক বলেছেন—আজ নারীরা প্রতিটি ক্ষেত্রে শুধু যে এগিয়ে চলেছেন তা-ই নয়, রীতিমতো নেতৃত্ব প্রদান করছেন| আজ এমন বেশকিছু ক্ষেত্র আছে, যেখানে মহিলারাই সবার আগে থাকছেন| আমাদের নারীশক্তিই কিছু না কিছু করে দেখাচ্ছেন| এক একটা মাইল ফলক স্থাপন করে চলেছেন| বিগত দিনে মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহোদয় এক নতুন বিষয়ের অবতারণা করেছেন|
রাষ্ট্রপতি মহোদয়, তেমনই অসাধারণ মহিলাদের একটি দলের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন| তাঁরা প্রত্যেকেই নিজের নিজের ক্ষেত্রে সবার আগে কিছু একটা করে দেখিয়েছেন| দেশের এই সফল মহিলা, প্রথম মহিলা মার্চেন্ট নেভি ক্যাপ্টেন, যাত্রী ট্রেনের প্রথম মহিলা চালক, প্রথম মহিলা অগ্নি নির্বাপণ কর্মী, প্রথম মহিলা বাস চালক, দক্ষিণ মেরু অভিযাত্রী প্রথম মহিলা, এভারেস্টের চূড়ায় ওঠা প্রথম মহিলা—এভাবে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রের প্রথম নারীরা, আমাদের নারী-শক্তির প্রতিভূরা সমস্ত বাধার দেওয়াল চূর্ণ করে অসাধারণ সাফল্যের অনুভূতি অর্জন করেছেন| নজির স্থাপন করেছেন| তাঁরা এটাই দেখিয়েছেন যে, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা কাজে লাগিয়ে সমস্ত বাধা ও বন্ধনের দেওয়াল ডিঙিয়ে নতুন পথ তৈরি করে নেওয়া যায়| এমন এক পথ, যা নাকি নিজের সমকালের মানুষ তো বটেই, আগামী প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করবে| তাদের ভরিয়ে তুলবে নতুন উত্সাহ এবং উদ্দীপনায়| এই সফল মহিলা, প্রথম নারীদের নিয়ে একটি বই রচিত হয়েছে, যাতে গোটা দেশ এই নারীশক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারে| তাঁদের জীবন ও কর্মধারা থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে পারে| এটা নরেন্দ্র মোদি ওয়েবসাইটেও ‘ই-বুক’ হিসেবে সংযোজিত হয়েছে|
আজ দেশ ও সমাজের চলমান ইতিবাচক পরিবর্তনেও মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে| আজ আমরা যখন মহিলা ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা করছি, তাতে আমি এক রেলওয়ে স্টেশনের কথা উল্লেখ করতে চাইবো| একটি রেলওয়ে স্টেশন ও মহিলা ক্ষমতায়ন—আপনারা হয়তো ভাবছেন এর মধ্যে কী যোগাযোগ থাকতে পারে! মুম্বাইয়ের মাটুঙ্গা স্টেশন ভারতের প্রথম এমন রেলওয়ে স্টেশন, যেখানে সমস্ত স্তরের কর্মচারীই মহিলা| সমস্ত বিভাগে মহিলা কর্মী| তা সে কমার্শিয়াল বিভাগ হোক, রেলওয়ে পুলিশ হোক, টিকিট পরীক্ষক হোন, ঘোষণার লোক, পয়েন্ট পার্সন—সব মিলিয়ে চল্লিশেরও বেশি মহিলা কর্মীদল এই স্টেশন সামলাচ্ছেন| এবার অনেকে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ দেখার পর ট্যুইটারে ও অন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, কুচকাওয়াজের এক প্রধান বিষয় ছিল বি.এস.এফ.-এর কুশলী বাইক চালক দলের প্রদর্শন| সেখানে সব মহিলারাই অংশগ্রহণ করেছিলেন| তাঁরা দুঃসাহসী সব কাণ্ড করে যাচ্ছিলেন| আর এই দৃশ্যে বিদেশ থেকে আসা অতিথিরাও হতবাক হয়ে যাচ্ছিলেন| ক্ষমতায়ন আত্ম-নির্ভরতারই এক রূপ| আজ আমাদের নারিশক্তি সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করছে| আত্মনির্ভর হয়ে উঠছেন তাঁরা| এরকমই একটি কথা আমি জানতে পেরেছি| ছত্তিসগড়ে আমাদের আদিবাসী মহিলারাও এক অসাধারণ কাণ্ড করে বসেছেন| তাঁরা এক নতুন উদাহরণ তৈরি করেছেন| আদিবাসী মহিলাদের কথা যখন ওঠে, সবার মনেই নিশ্চিত একটা ছবি সামনে আসে| সেখানে জঙ্গল থাকবে, পাহাড়ের বুক থাকবে, সেখানে শিশুদের মাথায় করে মেয়েদের এগিয়ে চলার চেনা দৃশ্য থাকবে| কিন্তু ছত্তিসগড়ে আমাদের আদিবাসী নারী, আমাদের এই নারিশক্তি দেশের সামনে এক নতুন ছবি তৈরি করেছেন| ছত্তিসগড়ের দান্তেওয়াড়া এলাকা, যা নাকি মাওবাদী প্রভাবিত এলাকার মধ্যে পড়ে| হিংসা, অত্যাচার, বোমা, বন্দুক, পিস্তল—মাওবাদীরা সেখানে এক ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে| এমন সাংঘাতিক অবস্থায় থাকা আদিবাসী মহিলারা ‘ই-রিক্সা’ চালিয়ে নিজেদের আত্মনির্ভর করে তুলছেন| খুবই কম সময়ের ব্যবধানে সেখানকার সমস্ত মহিলা এই প্রক্রিয়ার অংশীদার হয়েছেন| আর এতে তিন ধরনের লাভ হচ্ছে| একদিকে তাঁরা যেমন স্বরোজগারের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতায়িত করছেন, একই সঙ্গে এর মাধ্যমে মাওবাদী প্রভাবিত এলাকার ছবিও বদলে দিচ্ছে| আর এর সঙ্গে সমস্ত কিছুর পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণের কাজেও বিশেষ শক্তি যোগানো সম্ভব হচ্ছে| আমি সেখানকার জেলা প্রশাসনেরও প্রশংসা করছি| অনুদান দেওয়া থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ দেওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসন এই মহিলাদের সাফল্যের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন|
আমরা বারবার শুনে আসছি যে, মানুষজন বলেন, ‘কোনো কোনো কথা এমন, যাতে আমাদের অস্তিত্ব হারিয়ে যায় না|’ সে কথাটা কী, সেকথা হচ্ছে ফ্লেক্সিবিলিটি—নমনীয়তা, রূপান্তরণ| যা কিছু নেতিবাচক নির্যাস, তা বর্জন, যা কিছু প্রয়োজনীয় তার সংস্কারের বিষয় মেনে নেওয়া| আর আমাদের সমাজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে—আত্ম-সংশোধনের নিরন্তর প্রক্রিয়া জারি রাখা| নিজেকে সংশোধন—এটাই ভারতীয় ঐতিহ্য, আমাদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সংস্কৃতি| যেকোনো জীবন্ত সমাজের পরিচিতি এর আত্ম-সংশোধনের প্রক্রিয়ার মধ্যেই নিহিত থাকে| সামাজিক কু-প্রথা, কু-রীতিনীতি’র বিরুদ্ধে বহু শতাব্দী ব্যাপী প্রয়াস আমাদের দেশে ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে ক্রমাগত চলে আসছে| মাত্র কিছুদিন আগেই বিহারে এক আকর্ষণীয় বিষয়ের অবতারণা হয়| সে রাজ্যে সামাজিক কু-রীতিনীতিগুলোকে শেকড়সুদ্ধ উপড়ে ফেলার ভাবনায় বিশ্বের সবচেয়ে বড়, প্রায় ১৩০০০ কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা মানবশৃঙ্খল—হিউম্যান চেইন তৈরি করা হয়| এই অভিযানের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ ও পণপ্রথার মতো সামাজিক অভিশাপের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির প্রয়াস নেওয়া হয়| পণপ্রথা ও বাল্যবিবাহের মতো কু-রীতিনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ব্যপারে সে রাজ্যে শপথ গ্রহণ করা হয়| শিশু, বৃদ্ধ, উত্সাহ ও উদ্দীপনায় ভরপুর তরুণরা, মায়েরা, বোনেরা—সবাই নিজেকে এই লড়াইয়ে শামিল করেছেন| পাটনার ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দান থেকে শুরু হয়ে এই মানব-শৃঙ্খল রাজ্যের সীমানা পর্যন্ত অটুটভাবে জুড়ে যেতে থাকলো| সমাজের সমস্ত মানুষকে সত্যিকারের বিকাশ প্রক্রিয়ার অংশীদার করার জন্য এ ধরনের কু-রীতিনীতি-মুক্ত হওয়া জরুরি| আসুন আমরা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে এমন কু-রীতিনীতিকে সমাজ থেকে দূর করার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞা করি এবং এক নতুন ভারত, এক শক্তিশালী এবং সক্ষম ভারতের নির্মাণ করি| আমি বিহারের মানুষজন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সেখানকার প্রশাসন, মানব শৃঙ্খলে শামিল প্রত্যেক ব্যক্তিকে সমাজ কল্যাণের লক্ষ্যে এমন বিশেষ এবং ব্যাপক বিষয়ের অবতারণার জন্য প্রশংসা করছি|
আমার প্রিয় দেশবাসীগণ, কর্ণাটকের মাইসোর থেকে শ্রী দর্শন ‘মাই গভ’-এ লিখেছেন, তাঁর বাবার চিকিত্সার জন্য প্রতিবছর ছয় হাজার টাকা খরচ হতো| তিনি প্রথমে প্রধানমন্ত্রী জন-ঔষধি যোজনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না| কিন্তু যখনই তিনি জন-ঔষধি কেন্দ্র সম্পর্কে জানতে পারলেন, সেখান থেকে ঔষধ কিনতে গিয়ে পঁচাত্তর শতাংশ পর্যন্ত দাম কম পড়ল| তিনি ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন, আমি যেন ‘মন কি বাতে’ মনের কথা বলার সময় এই বিষয়ে কথা বলি| যাতে করে বেশি সংখ্যক লোকের কাছে এর বিষয়ে তথ্য পৌঁছে যায়| বিগত বেশ কিছুকাল যাবত বহু মানুষ আমাকে এই বিষয়ে লিখে চলেছেন| বলে চলেছেন| আমিও অনেক ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি—অনেকেই এই যোজনার সুবিধা গ্রহণ করছেন| আর এই ধরনের কথা যখন জানতে পারি, আমার দারুণ খুশি লাগে| এক গভীর সন্তুষ্টি পেয়ে থাকি| আর আমার এটাও খুব ভালো লাগলো যে শ্রী দর্শনজি’র মনে এই ভাবনা এসেছে, যে সুবিধা তিনি পেয়েছেন, তা যেন অন্যরাও পান| এই যোজনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যয় কমানো, আর সহজসাধ্য জীবন যাপনের বিষয়টিকে উত্সাহিত করা| জন-ঔষধি কেন্দ্রগুলোতে সহজলভ্য ঔষধগুলো বাজারে পাওয়া নামী কোম্পানির বিশ্বস্ত ওষুধগুলোর তুলনায় প্রায় পঞ্চাশ থেকে নব্বই শতাংশ পর্যন্ত সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে| এর ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষত প্রতিদিন ওষুধ নিতে বাধ্য হওয়া প্রবীণ মানুষজন আর্থিক দিক থেকে উপকার পাচ্ছেন| অনেক সাশ্রয় হচ্ছে| এখান থেকে কেনা জীবনদায়ী ওষুধ বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা অনুমোদিত মান অনুযায়ী তৈরি করা হয়ে থাকে| এটাই ভালো গুণমানের ওষুধ সস্তায় পাওয়ার মূল কারণ| আজ দেশজুড়ে তিন হাজারেরও বেশি জন-ঔষধি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়ে গেছে| এগুলোতে যে শুধুমাত্র ওষুধ সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে তাই নয়, বরং ব্যক্তিগত উদ্যোগীদের জন্যও রোজগারের এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে| প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন-ঔষধি কেন্দ্র এবং হাসপাতালের ‘অমৃত স্টোরসে’ সস্তায় ওষুধ পাওয়া যায়| এগুলোর পেছনে একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের গরিব থেকে গরিব ব্যক্তিকে গুণমান সম্পন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা| যাতে এক সুস্থ ও সমৃদ্ধ ভারতের নির্মাণ করা যায়|
আমার প্রিয় দেশবাসী, মহারাষ্ট্র থেকে শ্রী মঙ্গেশ ‘নরেন্দ্র মোদি অ্যাপ’-এ একটি ছবি শেয়ার করেছেন| সেই ছবিটা এমন ছিল যে আমার মনোযোগ সেই ছবির দিকে আকর্ষিত হয়ে যায়| এই ছবিটি ছিল, এক নাতি তার দাদুর সঙ্গে ‘ক্লিন মোর্না রিভার’ সাফাই অভিযানে যোগ দিয়েছে| আমি জানতে পেরেছি যে, আকোলা’র নাগরিকগণ ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর মাধ্যমে মোর্না নদীকে পরিচ্ছন্ন করার জন্য স্বচ্ছতা অভিযানের আয়োজন করেছিলেন| মোর্না নদী আগে বারোমাসই প্রবাহিত হতো, কিন্তু এখন তা ঋতু নির্ভর হয়ে গেছে| দুঃখের দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, নদীটি জংলা ঘাস ও কচুরিপানায় ভরে গিয়েছিল| নদী ও এর আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল| তাই এনিয়ে এক অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয় এবং মকর-সংক্রান্তির একদিন আগে ১৩ জানুয়ারি থেকে ‘মিশন ক্লিন মোর্না’-র প্রথম পর্যায়ে চার কিলোমিটার এলাকায় চৌদ্দটি স্থানে মোর্না নদীর তীরের দুই প্রান্তকে সাফাই করা হয়| ‘মিশন ক্লিন মোর্না’র এই মহান কাজে আকোলা’র ছয় হাজারেরও বেশি নাগরিক, শতাধিক এন.জি.ও., কলেজ, ছাত্র-ছাত্রী, ছোট-ছোট ছেলেমেয়ে, বয়স্ক মানুষ, মা-বোনেরা সহ সমস্ত অংশের মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন| ২০ জানুয়ারিও এই স্বচ্ছতা-অভিযান একইরকমভাবে চালিয়ে যাওয়া হয় এবং আমাকে বলা হয়েছে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত মোর্না নদী সম্পূর্ণরূপে পরিচ্ছন্ন হয়ে না যায়, এই অভিযান প্রত্যেক শনিবারের সকালে চালিয়ে যাওয়া হবে| এর মাধ্যমে এটাই বোঝা যায় যে, যদি মানুষ কিছু করার জন্য স্থির সংকল্প গ্রহণ করে, তাহলে কিছুই অসম্ভব নয়| জন-আন্দোলনের মাধ্যমে অনেক বড় বড় পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব| আমি আকোলার জনগণকে, সেখানকার জেলা ও পুরনিগমের প্রশাসনকে, এই কাজকে জন-আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যুক্ত হওয়া সমস্ত নাগরিককে, আপনাদের এই প্রয়াসকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই| আপনাদের এই প্রয়াস দেশের অন্য মানুষদেরও অনুপ্রাণিত করবে|
আমার প্রিয় দেশবাসী, ইদানীং পদ্ম-পুরস্কার নিয়ে বেশকিছু আলোচনা আপনারাও শুনেছেন| খবরের কাগজ ও টিভি-তে এই বিষয়ে আলোচনা মনোযোগ আকর্ষণ করেছে| কিন্তু কিছুটা মনোযোগ দিয়ে যদি বিষয়টি দেখেন, তাহলে গর্ব হবে আপনাদের| গর্ব হবে, কেননা কী ধরনের মহান মানুষ আমাদের মধ্যে রয়েছেন এবং স্বাভাবিকভাবে এই বিষয়টা নিয়েও গর্ব হবে যে, কীভাবে আজ আমাদের দেশের সামান্য মানুষ কোনো রকম সুপারিশ ছাড়াই এই উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছেন| প্রতি বছরই পদ্ম-পুরস্কার প্রদান করার পরম্পরা রয়েছে| কিন্তু গত তিন বছরে এর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এসে গেছে| এখন যেকোন নাগরিক যেকোনো ব্যক্তিকে মনোনীত করতে পারেন| সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া অনলাইনে হওয়ার জন্য এতে স্বচ্ছতা এসে গেছে| বলতে গেলে এই পুরস্কারের নির্বাচন প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ রূপান্তর হয়ে গেছে| আপনাদের মনোযোগও এ বিষয়ে এসেছে হয়ত যে, অনেক সাধারণ মানুষও পদ্ম-পুরস্কার পাচ্ছেন| এমন সব ব্যক্তিকে পদ্ম-পুরস্কার দেওয়া হয়েছে যাদেরকে বড় বড় শহরে, খবরের কাগজে, টিভিতে, অনুষ্ঠানে দেখা যায় না| এখন পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যক্তির পরিচয় নয়, তাঁর কাজের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে| আপনারা হয়তো শুনেছেন, শ্রী অরবিন্দ গুপ্তাজি সম্পর্কে| আপনারা জেনে খুশি হবেন, যে অরবিন্দজি আই.আই.টি. কানপুরের ছাত্র ছিলেন, তিনি ছোটদের জন্য খেলনা তৈরিতে নিজের সারা জীবন ব্যয় করে দিয়েছেন| তিনি চার দশক ধরে ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে খেলনা তৈরি করছেন, যাতে ছোটদের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি কৌতূহল বাড়াতে পারেন| তাঁর প্রচেষ্টা হচ্ছে ছোটরা যাতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে বৈজ্ঞানিক প্রয়োগের দিকে উত্সাহিত হয়| এর জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তিন হাজার স্কুলে গিয়ে ১৮টি ভাষায় তৈরি ফিল্ম দেখিয়ে ছোটদের অনুপ্রাণিত করছেন| কী ধরনের অদ্ভূত জীবন| কী ধরনের আশ্চর্যজনক সমর্পণ| এ ধরনেরই এক কাহিনি হচ্ছে কর্ণাটকের সিতাবা জোদাত্তি’র| তাঁকে ‘মহিলা ক্ষমতায়নের দেবী’ এমনি-এমনি বলা হয়না| গত তিন দশক থেকে বেলাগাভি-তে তিনি অগণিত মহিলার জীবন পরিবর্তনের জন্য মহান কাজ করেছেন| তিনি সাত বছর বয়সেই নিজেকে দেবদাসী হিসেবে সমর্পিত করে দিয়েছিলেন| কিন্তু তারপর দেবদাসীদের কল্যাণের জন্যই নিজের গোটা জীবন যুক্ত করে দেন| শুধু এটুকুই নয়, তিনি দলিত মহিলাদের কল্যাণের জন্যও অভূতপূর্ব কাজ করেছেন| আপনারা মধ্যপ্রদেশের ভজ্জু শ্যামের নাম শুনে থাকতে পারেন| শ্রীমান ভজ্জু শ্যাম-এর জন্ম সম্পূর্ণ এক গরিব পরিবারে, আদিবাসী পরিবারে হয়েছিল| তিনি জীবন যাপনের জন্য সামান্য চাকরি করতেন| কিন্তু তাঁর পরম্পরাগত আদিবাসী পেন্টিং তৈরির শখ ছিল| আজ এই শখের জন্যই শুধুমাত্র ভারতেই নয়, গোটা প্রথিবী জুড়েই তিনি সম্মানিত| নেদারল্যান্ড, জার্মানি, ইংল্যান্ড, ইতালি’র মতো অনেক দেশেই তাঁর চিত্র প্রদর্শনী হয়ে গেছে| বিদেশে ভারতের নাম উজ্জ্বল করা ভজ্জু শ্যামজি’র প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করা হয়েছে| কেরালা’র আদিবাসী মহিলা লক্ষ্মীকুট্টি’র কাহিনি শুনে আপনারা ভীষণ আশ্চর্য হয়ে যাবেন| লক্ষ্মীকুট্টি কোল্লার এলাকায় শিক্ষকতা করেন এবং এখনও ঘন জঙ্গলের মধ্যে আদিবাসী এলাকায় তালপাতায় ছাওয়া ঝুপড়ির মধ্যে থাকেন| তিনি নিজের স্মৃতির ওপর নির্ভর করেই পাঁচশো ভেষজ ওষুধ তৈরি করেছেন| জড়িবুটি থেকে ওষুধ তৈরি করেছেন| সাপের কামড়ের ওষুধ তৈরিতে তাঁর দক্ষতা রয়েছে| লক্ষ্মীজি এই হারবাল ওষুধ সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান থেকে প্রতিনিয়ত মানুষের সেবা করে চলেছেন| এই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিত্বকে চিহ্নিত করে সমাজে তাঁর অংশগ্রহণের জন্য তাঁকে পদ্মশ্রী প্রদান করে সম্মানিত করা হয়েছে| আজ আরও একটি নামের উল্লেখ করার ইচ্ছে করছে| পশ্চিমবঙ্গের পঁচাত্তর বছরের সুভাষিণী মিস্ত্রিকেও পুরস্কারের জন্য বাছাই করা হয়েছে| সুভাষিণী মিস্ত্রি এমন এক মহিলা যিনি হাসপাতাল তৈরির জন্য অন্য লোকের বাড়িতে বাসন মেজেছেন, সবজি বিক্রি করেছেন| তাঁর যখন তেইশ বছর বয়স ছিল, তখন চিকিত্সার অভাবে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়| আর এই ঘটনাটি তাঁকে গরিব মানুষদের জন্য হাসপাতাল তৈরির ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করেছে| আজ তাঁর কঠোর পরিশ্রমের ফলে তৈরি করা হাসপাতালে হাজার হাজার গরিব মানুষের বিনামূল্যে চিকিত্সা হচ্ছে| আমার স্থির বিশ্বাস যে, আমাদের বহুরত্না-বসুন্ধরায় এ ধরনের অনেক নর-রত্ন রয়েছেন, নারী-রত্ন রয়েছেন, যাঁদের কেউ জানেননা, চেনেননা| এ ধরনের মানুষের পরিচিতি তৈরি না হওয়া সমাজেরই ক্ষতি| এক্ষেত্রে পদ্ম-পুরস্কার একটা মাধ্যম| কিন্তু আমি দেশবাসীকেও বলতে চাই, আমাদের আশেপাশে সমাজের জন্য বেঁচে থাকা, সমাজের জন্য জীবনপাত করা, কোনো না কোনো বিশেষ বিশিষ্টতা নিয়ে জীবনভর কাজ করে যাওয়া লক্ষ লক্ষ মানুষ রয়েছেন| কখনও না কখনও তাঁদেরকে সমাজের মধ্যে নিয়ে আসা উচিত| তাঁরা মান-সম্মানের জন্য কাজ করেন না| কিন্তু তাঁদের কাজের জন্য আমরা অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকি| কখনও স্কুলে, কলেজে এ ধরনের মানুষদের নিয়ে এসে তাঁদের অভিজ্ঞতাকে জানা উচিত| পুরস্কারের বাইরে সমাজেও কিছু প্রয়াস হওয়া উচিত|
আমার প্রিয় দেশবাসী, প্রতি বছর নয় জানুয়ারি আমরা প্রবাসী ভারতীয় দিবস পালন করি| এটা হচ্ছে সেই দিন, যেদিন পূজনীয় মহাত্মা গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে এসেছিলেন| এদিন আমরা ভারতীয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী ভারতীয়দের মধ্যে অটুট বন্ধনের উত্সব পালন করি| এই বছর প্রবাসী ভারতীয় দিবসে আমরা এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভুত সমস্ত সাংসদ ও মেয়রদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল| আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, এই অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, পর্তুগাল, মরিশাস, ফিজি, তানজানিয়া, কেনিয়া, কানাডা, ব্রিটেন, সুরিনাম, দক্ষিণ আফ্রিকা, আমেরিকা এবং আরও নানা দেশ থেকে ভারতীয় বংশোদ্ভুত সাংসদ ও মেয়র যোগ দিয়েছেন| আমি আনন্দিত যে, বিভিন্ন দেশে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভুত সেইসব মানুষ ওই দেশগুলোর সেবা তো করছেনই, সেইসঙ্গে তাঁরা ভারতের সঙ্গেও নিজের গভীর সম্পর্ক বজায় রাখছেন| এবার ইউরোপিও সংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে আমাকে ক্যালেন্ডার পাঠানো হয়েছে, যেখানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভুত মানুষরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব ভালো কাজ করছেন, সেগুলোকে খুব ভালোভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে| আমাদের ভারতীয় বংশোদ্ভুত মানুষ যারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন—কেউ সাইবার সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছেন, তো কেউ আয়ুর্বেদে যুক্ত রয়েছেন, কেউ সঙ্গীতের মাধ্যমে বা কবিতার মাধ্যমে সমাজের মনকে আনন্দিত করছেন| কেউ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করছেন, আবার কেউ ভারতীয় গ্রন্থ নিয়ে কাজ করছেন| কেউ ট্রাক চালিয়ে গুরুদুয়ার স্থাপন করেছেন, কেউ মসজিদ বানিয়েছেন| অর্থাৎ যেখানেই আমাদের মানুষজন রয়েছেন, তাঁরা সেখানকার ভূমিকেই কোনো না কোনোভাবে সুসজ্জিত করেছেন| আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে চাই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এই উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য, ভারতীয় বংশোদ্ভুত মানুষদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এবং তাঁদের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের মানুষদের তা জানানোর জন্যও|
ত্রিশ জানুয়ারি পূজনীয় বাপুর পুণ্য-তিথি, যিনি আমাদের সবাইকে এক নতুন পথ দেখিয়েছিলেন| সেদিন আমরা ‘শহীদ দিবস’ পালন করি| সেদিন আমরা দেশরক্ষার জন্য আত্ম-বলিদান দেওয়া মহান শহিদদের এগারোটার সময় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে থাকি| শান্তি ও অহিংসার পথ, সেটাই বাপুর দেখানো পথ| তা সে ভারত হোক বা বিশ্ব, ব্যক্তি হোক বা পরিবার, সমাজ-পূজ্য বাপু যেসব আদর্শ নিয়ে জীবন কাটিয়েছেন, পূজ্য বাপু সেসব বক্তব্য আমাদের বলেছেন, সেগুলো আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক| এগুলো শুধুমাত্র মূল তত্ত্বই ছিলনা| বর্তমান সময়েও আমরা প্রতিটি পদক্ষেপেই দেখতে পাই যে, বাপু’র বার্তা কতটুকু সঠিক ছিল| যদি আমরা সংকল্প গ্রহণ করি যে, বাপু’র দেখানো পথে চলবো—যতটুকু চলতে পারি চলবো—তাহলে তার চেয়ে বড় শ্রদ্ধাঞ্জলি আর কী হতে পারে?
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সবাইকে দু’হাজার আঠারো সালের শুভকামনা জানিয়ে আমার কথা বলা শেষ করছি| অনেক অনেক ধন্যবাদ| নমস্কার |
This is the first episode of #MannKiBaat in the year 2018. Just a few days ago, we celebrated our #RepublicDay with great fervour. This is the first time in history that heads of 10 Nations attended the ceremony: PM @narendramodi https://t.co/dnSgAXuRAi
— PMO India (@PMOIndia) 28 January 2018
Prakash Tripathi wrote on the NM App- "1st February is the death anniversary of Kalpana Chawla. She left us in the Columbia space shuttle mishap, but not without becoming a source of inspiration for millions of young people the world over”. #MannKibaat https://t.co/dnSgAXuRAi
— PMO India (@PMOIndia) 28 January 2018
Kalpana Chawla inspired women all over the world: PM @narendramodi #MannKiBaat pic.twitter.com/ff8dBf3QLK
— PMO India (@PMOIndia) 28 January 2018
It is in our culture to respect women. #MannKiBaat https://t.co/dnSgAXuRAi pic.twitter.com/YAwIjyNuDf
— PMO India (@PMOIndia) 28 January 2018
Women are advancing in many fields, emerging as leaders. Today there are many sectors where our Nari Shakti is playing a pioneering role, establishing milestones: PM @narendramodi #MannKiBaat https://t.co/dnSgAXuRAi pic.twitter.com/BJ86unQJPC
— PMO India (@PMOIndia) 28 January 2018
A few days ago, the Honourable President of India met women achievers, who distinguished themselves in various fields: PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 28 January 2018
Here, I would like to mention the Matunga Railway station which is an all-women station. All leading officials there are women. It is commendable: PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 28 January 2018
India's Nari Shakti has contributed a lot in the positive transformation being witnessed in our country and society: PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 28 January 2018
I want to appreciate the women of Dantewada in Chhattisgarh. This is a Maoist affected area but the women there are operating e-rickshaws. This is creating opportunities, it is also changing the face of the region and is also environment friendly: PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 28 January 2018
Our society has always been flexible: PM @narendramodi #MannKiBaat pic.twitter.com/t6DQodhnEW
— PMO India (@PMOIndia) 28 January 2018
I want to talk about something very unique in Bihar. A human chain was formed to spread awareness about evils of Dowry and child marriage. So many people joined the chain: PM @narendramodi during #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 28 January 2018
Darshan from Mysore, Karnataka has written on My Gov. He was undergoing an expenditure of six thousand rupees a month on medicines for the treatment of his father. Earlier, he wasn’t aware of the Pradhan Mantri Jan Aushadhi Yojana.
— PMO India (@PMOIndia) 28 January 2018
But now that he’s come to know of the Jan Aushadhi Kendra, he has begun purchasing medicines from there and expenses have been reduced by about 75%. He has expressed that I mention this in #MannKiBaat, so that it reaches the maximum number of people and they can benefit: PM
— PMO India (@PMOIndia) 28 January 2018
Towards affordable healthcare and 'Ease of Living.' #MannKiBaat pic.twitter.com/RO0BvoqvBu
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2018
Mangesh from Maharashtra shared a touching photograph on the NM Mobile App, of an elderly person and a young child taking part in the movement to clean the Morna river. pic.twitter.com/KP2hR9CjFK
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2018
Mission Clean Morna River is a wonderful initiative, where people came together to clean the river: PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2018
I am sure you all felt proud after reading about the Padma Awards. We have honoured those who may not be seen in big cities but have done transformative work for society: PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2018
PM @narendramodi talks about some of the Padma Awardees. #MannKiBaat pic.twitter.com/4OE0CFoR9X
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2018
Honouring those who have done pioneering work across India. #MannKiBaat pic.twitter.com/1f7mfcRoD7
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2018
On 30th January we observe the Punya Tithi of Bapu. Peace and non-violence is what Bapu taught us. His ideals are extremely relevant today: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2018