দেশের উন্নয়নকে গতিশীল করতে সেই সমস্ত মানুষ সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন, যাদের জন্ম একবিংশ শতাব্দীতে হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
স্বামী বিবেকানন্দের কথা অনুযায়ী, যুবরা প্রাণশক্তি ও গতিশীলতায় পরিপূর্ণ একটি সত্তা, যারা পরিবর্তন আনতে সক্ষম: প্রধানমন্ত্রী
বিবেকানন্দ স্মৃতিসৌধটি প্রত্যেককে দরিদ্রদের সেবা করার জন্য অনুপ্রাণিত করে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
আমরা কি এই সংকল্প করতে পারি যে, ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা স্থানীয় উৎপাদিত জিনিস কিনতে আগ্রহী হব: প্রধানমন্ত্রী মোদী
গত দু বছরে এই প্রকল্পের অন্তর্গত ১৮০০০ যুবক-যুবতীকে ৭৭টি পৃথক পৃথক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
ভারতে অ্যাস্ট্রোনমি অর্থাৎ খগোল-বিজ্ঞানের খুব প্রাচীন এবং গৌরবশালী ইতিহাস রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
গত ছয় মাসে, সপ্তদশ লোকসভার দুটি সদনই অত্যন্ত ফলপ্রসু ছিল: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

আমার প্রিয় দেশবাসী । নমস্কার । দু হাজার উনিশ এর বিদায় লগ্ন আসন্ন। আর মাত্র 3 দিন — তার পরেই 2019 কে বিদায় জানিয়ে আমরা শুধুমাত্র 2020 তেই প্রবেশ করবনা, আমরা একটি নতুন বছরে প্রবেশ করব, একটি নতুন দশকে প্রবেশ করবো, এবং একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে প্রবেশ করব। আমি সকল দেশবাসীকে সাল 2020-র আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এই দশকে একটি বিষয় নিশ্চিত, তা হলো, দেশের উন্নয়নকে গতিশীল করতে সেই সমস্ত মানুষ সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন, যাদের জন্ম একবিংশ শতাব্দীতে হয়েছে — যারা এই শতাব্দীর গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো দেখে এবং উপলব্ধি করে বড় হয়েছেন। অনেকেই সেই যুবদের অনেকগুলো নামে ডাকে। কিছু মানুষ তাদের মিলেনিয়াল্স বলে, তো কিছু মানুষ তাদের জেনারেশন z বা জেন z বলে সম্বোধন করেন। আরও ব্যাপকভাবে একটি জিনিস মানুষের মনে গেঁথে গেছে যে এরা হলো সোশ্যাল মিডিয়া জেনারেশন। আমরা প্রত্যেকেই এটা অনুভব করি যে এই প্রজন্ম ভীষণই প্রতিভাবান। কিছু নতুন করার বিষয়ে আগ্রহী, কিছু আলাদা করার স্বপ্ন দেখে; তাদের নিজস্ব কিছু মতামত আছে এবং সবচেয়ে আনন্দের বিষয়, বিশেষ করে ভারতের যুবদের কথা আমি বলব, যে তারা সিস্টেমকে পছন্দ করে, সিস্টেমকে মেনে চলতে পছন্দ করে, আর যদি কোনদিন সিস্টেম ঠিকমতো চলছে না বলে তারা মনে করে, তাহলে তারা অস্থির হয়ে যায় এবং সাহস করে সিস্টেমকে প্রশ্ন করে। তাদের এই বিষয়টিকে আমি ভালো মনে করি। একটি কথা হলফ করে বলা যায় যে আমাদের দেশের যুবরা অরাজকতাকে ঘৃণা করে, অব্যবস্থা ও অস্থির অবস্থার প্রতি তাদের বিরূপ মনোভাব আছে। পরিবারতন্ত্র, বর্ণবাদ, আপন-পর, স্ত্রী-পুরুষ এই সব বৈষম্যকে পছন্দ করে না। কখনো যখন আমরা বিমানবন্দরে বা সিনেমা হলে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকি এবং কেউ লাইন ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে, তখন সর্বপ্রথম প্রতিবাদ করতে দেখা যায় কিন্তু যুবদেরই। আমরা তো এও দেখেছি যে যখনই কোনো ঘটনা ঘটে তখন যুবরা নিজেদের মোবাইল বার করে সেই ঘটনার ভিডিও করে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। এর ফলে যারা ভুল কাজ করে তারা বুঝতে পারে যে কি হয়ে গেল। তাই এক নতুন ধরনের ব্যবস্থা, একটি নতুন যুগ, নতুন ধরনের চিন্তাধারা আমাদের যুবদের মধ্যে পরিলক্ষিত। আজ ভারতের এই নবপ্রজন্ম থেকে অনেক আশা প্রত্যাশা আছে। এই যুবরাই পারবে দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে । স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, “My Faith is in the Younger Generation, the Modern Generation, out of them will come my workers”। এবং, তিনি বিশ্বাস করতেন, এর মধ্যেই তাঁর কর্মীরা বেরিয়ে আসবে। যুবদের বিষয় বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, তারুণ্যের সঠিক মূল্যায়ন বা বর্ণনা করা সম্ভব নয়। এটি জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান অধ্যায়। আপনি আপনার যুবাবস্থাকে কিভাবে কাজে লাগাচ্ছেন তার ওপর আপনার ভবিষ্যৎ এবং আপনার জীবন নির্ভর করে।স্বামী বিবেকানন্দের কথা অনুযায়ী, যুবরা প্রাণশক্তি ও গতিশীলতায় পরিপূর্ণ একটি সত্তা, যারা পরিবর্তন আনতে সক্ষম। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই দশকে শুধুমাত্র যুবদের উন্নতিই নয়, বরং যুব শক্তির ক্ষমতায় এই দেশের উন্নতিতে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আমি এটা স্পষ্ট অনুভব করছি যে আগামী 12ই জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে  যখন গোটা দেশ যুব দিবস পালন করবে, তখন এই দেশের যুবরা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে ভাবনা চিন্তা করবে এবং এই দশককে ঘিরে কিছু সংকল্পও করবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, কন্যাকুমারীতে যে শিলার ওপর স্বামী বিবেকানন্দ ধ্যানমগ্ন হয়েছিলেন — যে শিলাটির ওপর বিবেকানন্দ স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়, তার 50 বছর পূর্তি হতে চলেছে। বিগত পাঁচ দশক ধরে এই স্থানটি ভারতের গৌরব। কন্যাকুমারী দেশ ও দুনিয়ার কাছে আকর্ষণের কেন্দ্র হয়েছে। দেশভক্তিতে পরিপূর্ণ আধ্যাত্বিক চেতনাকে অনুভব করতে যারা চান, তাঁদের কাছে এই স্থানটি তীর্থক্ষেত্র হয়ে উঠেছে; হয়ে উঠেছে শ্রদ্ধা কেন্দ্র। স্বামীজীর এই স্মৃতিসৌধ প্রতিটি পন্থার, সমস্ত বয়সের মানুষকে, সমস্ত বর্গের মানুষকে জাতীয়তাবাদে অনুপ্রাণিত করে। দরিদ্র নারায়ণের সেবা- এই মন্ত্রটি তাঁদের জীবনে পথ দেখিয়েছে। যারাই ওখানে গেছেন তাদের অন্তরের শক্তি জাগরিত হওয়া, ইতিবাচক অনুভূতির সঞ্চার, দেশের জন্য কিছু করার মনোভাব উত্পন্ন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।

সম্প্রতি আমাদের মাননীয় রাষ্ট্রপতি ৫০ বছর পূর্বে নির্মিত শিলা স্মৃতিসৌধটি পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন; এবং আমি খুশি যে আমাদের উপরাষ্ট্রপতি গুজরাটে, কছ-এর রণে, যেখানে ভীষণ সুন্দর রণোত্সব হয় তার শুভ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। যখন আমাদের রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি ভারতের এমন গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করতে যাচ্ছেন, তখন দেশবাসীরাও নিশ্চই এর থেকে অনুপ্রাণিত হবেন – আপনারাও অবশ্যই যাবেন।

 

আমার প্রিয় দেশবাসী,  আমরা  বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি এবং পড়াশোনার পাঠ চোকার পর অ্যালমনি মিট একটি সুবর্ণ সুযোগ দেয় পুরোনো দিনে ফিরে যাওয়ার। এই সব অ্যালমনি মিটে তরুণ তরুণীরা  একজোট হয়ে দশ, কুড়ি, পঁচিশ বছর পুরোনো স্মৃতির জগতে হারিয়ে যায়। কিন্তু এইধরণের অ্যালুমনি মিট বিশেষ আকর্ষণের কারণ হয়ে উঠতে পারে এবং দেশবাসীরও  এই ধরণের অনুষ্ঠানের দিকে  মনোযোগ দেওয়া দরকার। অ্যালমনি মিট গুলিতে পুরোনো বন্ধুদের সাথে দেখা হওয়া, স্মৃতি রোমন্থন করার এক আলাদা আনন্দ তো থাকেই কিন্তু এর সাথে যদি কোনো শেয়ার্ড পারপাস থাকে, কোনো বিশেষ সংকল্প থাকে, আবেগ থাকে, তাহলে তা আলাদা মাত্রা পায়। আপনারা দেখেছেন, অ্যালমনি গ্রূপ অনেক সময়ে নিজেদের স্কুলের জন্য নানা রকম অনুদান দেন। কেউ কম্পিউটারাইজড করার ব্যবস্থা করে দেন, কেউ ভালো লাইব্রেরি বানিয়ে দেন. কেউ পরিশ্রুত জলের ব্যবস্থা করে দেন আবার কেউ নতুন ক্লাসঘরের বন্দোবস্ত করেন, নাহলে স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরী করে দেন. কিছু না কিছু অবশ্যই করেন। এতেই ওনাদের আনন্দ। যেখানে জীবনের ভীত তৈরী হয়েছে সেই জায়গাকে কিছু প্রতিদান দেওয়ার কথা সকলের মনেই থাকে, থাকা উচিতও। এর জন্য অনেকেই এগিয়েও আসেন. কিন্ত আমি আজ আপনাদের এক বিশেষ ঘটনার কথা বলতে চাই। কয়েকদিন আগে, সংবাদ মাধ্যমে বিহারের পশ্চিম চম্পারান জেলার ভইরাবগঞ্জ হেলথ সেন্টারের  খবর শুনে আমার এতো ভালো লাগে যে, আপনাদের না বলে পারছিনা। এই হেলথ সেন্টারে অর্থাৎ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য আশেপাশের গ্রাম থেকে হাজার মানুষের ভীড় হয়। এ কথা শুনে অবশ্য আপনারা আশ্চর্য হবেন না। হয়তো ভাববেন এ আর নতুন কি! কিন্তু ঘটনাটি অভিনব। এটি সরকারি কার্যক্রম ছিলোনা, এমনকি কোনোরকম সরকারি উদ্যোগ ছিলোনা। ওখানকার কে আর হাই স্কুল এর প্রাক্তন ছাত্ররা ‘সংকল্প ৯৫’ নাম দিয়ে এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত করেন। এই সঙ্কল্প ৯৫ এর অর্থ হল সেই হাই স্কুলে ১৯৯৫ সালের ব্যাচের ছাত্রদের  নেওয়া সঙ্কল্প।  আসলে তাদের এক অ্যালমনি মিট এ ছাত্ররা সিদ্ধান্ত নেন অভিনব কিছু করার। প্রাক্তনীরা  সমাজের জন্য কিছু করার এবং জনস্বাস্থ্য সচেতনতার কাজ করার দায়িত্ব নেন।

‘সঙ্কল্পঃ ৯৫’ এর পরিকল্পনার সাথে যুক্ত হয় বেশ কিছু হাসপাতাল এবং বেতিয়ার মেডিকেল কলেজ। এর পর জনস্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য যেন এক অভিযান শুরু হয়। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ওষুধ বিলি ও সচেতনতামূলক কাজে সঙ্কল্প-৯৫ এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।

      আমরা প্রায়শই বলে থাকি দেশের প্রত্যেক নাগরিক যদি এক পা এগোন তাহলে গোটা দেশ একশো তিরিশ কোটি পা এগোবে। এই ধরণের কাজ হতে দেখলে সকলের মনে আনন্দ হয়, সকলেই প্রেরণা পান সমাজের জন্য কিছু করার। বিহারের বেতিয়াতে যেমন প্রাক্তন ছাত্রেরা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সেবার দ্বায়িত্ব নেন, তেমনি উত্তরপ্রদেশের ফুলপুরের কিছু মহিলা নিজেদের কর্মক্ষমতার দ্বারা গোটা এলাকাকে প্রেরণা জুগিয়েছেন। এঁরা দেখালেন একজোট হয়ে কোনো কাজের সংকল্প করলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে সময় লাগেনা। কিছুদিন আগে পর্যন্ত ফুলপুরের এই মহিলারা আর্থিক অনটনে ভুগতেন, কিন্তু এদের মধ্যে নিজেদের পরিবার তথা সমাজের জন্য কিছু করার অদম্য ইচ্ছা ছিল। এই মহিলারা, কাদিপুর এর উইমেন সেলফ হেল্প গ্রূপ এর সাথে যুক্ত হয়ে চপ্পল তৈরী করা শেখেন। এই প্রশিক্ষণ পেয়ে তাঁরা অসহায়তার কাঁটাকে তো উপড়ে ফেলেনই,  উপরন্তু স্বাবলম্বী হয়ে নিজেদের পরিবারের সম্বলও হয়ে ওঠেন। গ্রামীণ আজীবিকা মিশন এর উদ্যোগে এখানে চপ্পল তৈরির প্লান্ট ও হয়ে গেছে, যেখানে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে  চপ্পল তৈরী হয়। আমি বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই  স্থানীয় পুলিশ ও তাদের পরিবার পরিজনকে, যারা এই মহিলাদের তৈরী চপ্পল কিনে এদের উৎসাহ দিয়েছেন। আজ এই মহিলাদের সংকল্পের ফলে তাদের পরিবারের কেবল আর্থিক অবস্থাই মজবুত হয়নি, জীবনযাত্রার মানও উন্নত হয়েছে। যখন ফুলপুর পুলিশের জওয়ান বা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলি তখন একটা কথা মনে হয়। আপনাদের স্মরণে থাকবে 15 ই আগস্ট লালকেল্লা থেকে আমি দেশবাসীর কাছে একটা আবেদন রেখেছিলাম। আমি বলেছিলাম, আমরা, দেশবাসীরা যেন স্থানীয় জিনিস কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করি। আজ আরও একবার আমার আবেদন, আমরা কি স্থানীয় স্তরে জিনিস প্রস্তুত করতে উৎসাহ দিতে পারি ? আমাদের কেনাকাটার ক্ষেত্রে তাকে প্রাধান্য দিতে পারি ?  আমরা কি লোকাল প্রডাক্টস গুলির স্বীয় সম্মান ও প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত হতে পারি? এই ভাবনাকে সঙ্গী করে আমরা কি আমাদের সহ দেশবাসীদের সমৃদ্ধি লাভের মাধ্যম হতে পারি? বন্ধুরা, মহাত্মা গান্ধী স্বদেশীর এই ভাবনাকে এমন এক আলোকবর্তিকা রূপে কল্পনা করেছিলেন যা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন আলোকিত করতে পারে। দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষদের জীবনে সমৃদ্ধি আনতে পারে। 100 বছর আগে গান্ধীজী একটি বড় জন-আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তার একটি লক্ষ্য ছিল, দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহ যোগানো। স্বনির্ভর হওয়ার এই পথই গান্ধীজী দেখিয়েছিলেন। 2022 সালে আমরা আমাদের স্বাধীনতার 75 বছর পূর্ণ করব। যে স্বাধীন ভারতে আমরা শ্বাস নিই, তাকে স্বাধীন করার জন্য দেশের লক্ষ লক্ষ সন্তান অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছেন। বহু মানুষ প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষের  ত্যাগ, তপস্যা, বলিদানের ফলে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে, যে স্বাধীনতার সুফল আমরা পুরো মাত্রায় উপভোগ করছি। আমরা স্বাধীন জীবন যাপন করছি। কিন্তু  নামী-অনামী অগণিত মানুষ দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। তাদের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যকের নামই হয়তো আমরা জানি। একটাই স্বপ্ন বুকে নিয়ে তাঁরা আত্মবলিদান দিয়েছিলেন – স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন। সমৃদ্ধ, সুখী, সম্পন্ন, স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন। আমার প্রিয় দেশবাসী, আমরা কি এই সংকল্প করতে পারি যে, 2022 সালে স্বাধীনতার 75 বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অন্ততপক্ষে আগামী 2-3 বছর আমরা স্থানীয় উৎপাদিত জিনিস কিনতে আগ্রহী হব? ভারতে তৈরি, দেশের মানুষের হাতে তৈরি, দেশের মানুষের পরিশ্রম মিশে থাকা সেইসব দ্রব্য কিনতে উৎসাহী হব? আমি দীর্ঘ সময়ের জন্য বলছি না। শুধুমাত্র 2022 সাল পর্যন্ত। স্বাধীনতার 75 বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত। আর এই কাজ শুধুমাত্র সরকারের নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে তরুণ সমাজ এগিয়ে আসুন। ছোট ছোট সংগঠন তৈরি করুন। মানুষকে অনুপ্রাণিত করুন, বোঝান। আসুন আমরা স্থানীয় জিনিস কিনি, স্থানীয় উৎপাদন কে শক্তিশালী করি, দেশের মানুষের পরিশ্রম যেখানে মিশে আছে। সেটাই আমাদের স্বাধীন ভারতের সুখের সময়। এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগিয়ে চলি।

 

আমার প্রিয় দেশবাসী, এটা আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, দেশের সব নাগরিক স্বনির্ভর হয়ে সম্মানের সঙ্গে জীবন যাপন করুক। আমি এবার এমন একটা উদ্যোগের কথা আপনাদের বলতে চাইব যা আমার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। সেটা হল জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখের হিমায়ত প্রকল্প। হিমায়ত আসলে স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং রোজগার এর সঙ্গে সম্পর্কিত। এই প্রকল্পে 15 থেকে 35 বছর পর্যন্ত কিশোর কিশোরী, যুবক-যুবতীরা শামিল হয়। এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হন জম্মু-কাশ্মীরের সেইসব মানুষ যাদের পড়াশোনা কোন কারণে সম্পূর্ণ হয়নি, মাঝপথেই স্কুল-কলেজ ছাড়তে হয়েছে।

 

আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের জেনে খুব ভালো লাগবে, গত দু বছরে এই প্রকল্পের অন্তর্গত 18000 যুবক-যুবতীকে 77 টি পৃথক পৃথক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে 5000 যুবক-যুবতী কোথাও না কোথাও কাজ করছেন এবং অনেকেই স্বরোজগারের দিকে এগোচ্ছেন। হিমায়ত প্রকল্প থেকে নিজেদের জীবন বদলে যাওয়া এই মানুষদের যে কাহিনী আমরা শুনেছি তা সত্যিই মন ছুঁয়ে যায়। পারবিন ফাতিমা তামিলনাড়ুর ত্রিপুরের একটি গার্মেন্ট ইউনিটে পদোন্নতি পেয়ে সুপারভাইজার-কাম-কো-অর্ডিনেটর হয়েছেন। এক বছর আগেও তিনি কারগিলের একটি ছোট্ট গ্রামে থাকতেন। এখন ওর জীবনে একটা বড় পরিবর্তন হয়েছে। আত্মবিশ্বাস এসেছে, আত্মনির্ভর হয়েছেন। পুরো পরিবারের আর্থিক উন্নতি হয়েছে। পারবিন ফতিমার মতই হিমায়ত প্রকল্পে লে – লাদাখের অধিবাসী অন্য মেয়েদেরও জীবন বদলে গেছে। তারা সবাই তামিলনাড়ুর ঐ প্রতিষ্ঠানেই কাজ করছেন। এভাবেই  হিমায়ত, ডোডার ফিয়াজ আহমেদের জীবনে আশীর্বাদের মতো এসেছে। ফিয়াজ 2012 সালে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় পাশ করেছেন। কিন্তু অসুস্থতার কারনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি। এরপর দু’বছর হৃদরোগের সঙ্গে লড়াই করেছেন। এরইমধ্যে ওর এক ভাই, এক বোন মারা গিয়েছে। বলতে গেলে ফিয়াজের পরিবারের উপর বিপর্যয়ের পাহাড় ভেঙে পড়েছে। শেষ পর্যন্ত ফিয়াজ হিমায়ত থেকে সাহায্য পেয়েছেন। হিমায়ত এর মাধ্যমে ITES অর্থাৎ Information Technology Enabled Services প্রশিক্ষণ নিয়ে বর্তমানে পাঞ্জাবে চাকরি করছেন। ফিয়াজ আহমেদের গ্র্যাজুয়েশনের লেখাপড়া, যা সে পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছিল, তাও এখন শেষ হতে চলেছে। সম্প্রতি হিমায়তের এক অনুষ্ঠানে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। নিজের কাহিনী বর্ণনা করার সময় তাঁর চোখে জল এসে গিয়েছিল। এইভাবেই অনন্তনাগের রাকীব-উল-রহমান আর্থিক দুর্দশার কারণে নিজের লেখাপড়া শেষ করতে পারে নি। একদিন রাকীব নিজের ব্লকে যে ক্যাম্প বসেছিল, মোবিলাইজেশন ক্যাম্প, তার মাধ্যমে হিমায়ত কর্মসূচীর খবর পায়। রাকীব অবিলম্বে রিটেইল টীম লীডার কোর্সে ভর্তি হয়ে যায়। এখানে ট্রেনিং শেষ করে সে আজ এক কর্পোরেট হাউজে চাকরি করছে। হিমায়ত মিশনে উপকৃত, প্রতিভাশালী যুবদের এমন অনেক উদাহরণ আছে যা জম্মু কাশ্মীরে পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে রয়েছে। হিমায়ত কর্মসূচী সরকার, ট্রেনিং পার্টনার, চাকরি দেওয়া কোম্পানি এবং জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে তালমিলের এক আদর্শ উদাহরণ। এই কর্মসূচী জম্মু-কাশ্মীরের যুবদের মধ্যে এক নতুন আত্মবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে আর সামনে এগোনোর পথও প্রশস্ত করেছে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, ছাব্বিশ তারিখে আমরা এই দশকের শেষ সূর্যগ্রহণ দেখলাম। সম্ভবত সূর্যগ্রহণের কারণেই রিপুন মাই গভ-এ খুবই ইন্টারেস্টিং একটা কমেন্ট লিখেছে। সে লিখছে, ‘নমস্কার স্যার, আমার নাম রিপুন…আমি নর্থ -ইস্টের বাসিন্দা কিন্তু এখন সাউথে কাজ করি। একটা ব্যাপার আমি আপনার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমার মনে আছে, আমাদের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার কারণে আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা আকাশের তারাদের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। স্টার গেজিং আমার খুব পছন্দ ছিল। এখন আমি একজন প্রফেশনাল এবং নিজের রোজনামচার কারণে এই সব ব্যাপারে সময় দিতে পারি না…আপনি এই বিষয়ে কি কিছু আলোচনা করতে পারেন? বিশেষ করে কীভাবে অ্যাস্ট্রোনমিকে যুবদের মধ্যে জনপ্রিয় করা যায়?

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি মতামত অনেক পাই কিন্তু আমি বলতে পারি যে এমন একটা মত আমি এই প্রথম পেলাম। এর ফলে, বিজ্ঞান নিয়ে, তার অনেকগুলো দিক নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাওয়া গেল। বিশেষ করে যুব প্রজন্মের আগ্রহের বিষয় নিয়ে কথা বলার সুযোগ পেলাম আমি। কিন্তু এই বিষয়টা তো অধরাই ছিল, আর এই ছাব্বিশ তারিখেই সূর্যগ্রহণ হয়েছে, তাই মনে হচ্ছে হয়ত এই বিষয়ে আপনাদের কিছুটা আগ্রহ থাকবে। সমস্ত দেশবাসী, বিশেষ করে আমার যুব সাথীদের মতও আমিও, , ২৬ তারিখে, যে দিন সূর্যগ্রহণ ছিল, দেশবাসীদের এবং যুব প্রজন্মের মনে যেমন উৎসাহ ছিল তেমন আমার মনেও ছিল, আর আমিও, সূর্যগ্রহণ দেখতে চাইছিলাম, কিন্তু, আফশোসের কথা এটাই যে, সেদিন দিল্লীর আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল আর আমি তো সেই আনন্দ পেলাম না, যদিও, টিভিতে কোজিকোড় ও ভারতের অন্যান্য অংশে দৃশ্যমান সূর্যগ্রহণের সুন্দর ছবি দেখতে পাওয়া গেল। উজ্জ্বল রিংয়ের আকারে দেখতে পাওয়া গেল সূর্যকে। আর সে দিন এই বিষয়ের কয়েকজন এক্সপার্টের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হল আমার,  তাঁরা বলছিলেন যে এমনটা এই কারণে হয় যে চাঁদ পৃথিবীর থেকে যথেষ্ট দূরে থাকে আর এইজন্য, এর আকার, পুরোপুরি সূর্যকে ঢেকে দিতে পারে না। এইভাবে একটা রিং-এর আকার তৈরি হয়। এই সূর্যগ্রহণ, এক অ্যানুলার সোলার একলিপ্স যাকে বলয়গ্রহণ বা কুণ্ডল গ্রহণও বলা হয়। গ্রহণ আমাদের এই বিষয়টা মনে করায় যে আমরা পৃথিবীর উপরে বাস করে অন্তরীক্ষে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যেভাবে অন্তরীক্ষে সূর্য, চন্দ্র এবং অন্যান্য গ্রহের মত খগোলীয় পিণ্ড ঘুরে বেড়ায়। চাঁদের ছায়ার ফলেই গ্রহণের আলাদা-আলাদা রূপ দেখতে পাই আমরা। বন্ধুগণ, ভারতে অ্যাস্ট্রোনমি অর্থাৎ খগোল-বিজ্ঞানের খুব প্রাচীন এবং গৌরবশালী ইতিহাস রয়েছে। আকাশে টিমটিম করা তারাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ততটাই পুরনো যতটা পুরনো আমাদের সভ্যতা। আপনাদের মধ্যে অনেক লোকেরই জানা আছে যে ভারতের আলাদা-আলাদা জায়গায় দর্শনীয় যন্তর-মন্তর আছে। আর এই যন্তর-মন্তরের অ্যাস্ট্রোনমির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মহান আর্যভট্টের অনন্য প্রতিভা সম্পর্কে কে না জানেন! নিজের সময়ে তিনি সূর্যগ্রহণের সঙ্গে-সঙ্গে চন্দ্রগ্রহণেরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেটাও ফিলজফিক্যাল এবং ম্যাথামেটিক্যাল, দুটো অ্যাঙ্গেল থেকেই করেছেন। উনি ম্যাথামেটিক্যালি বলেছেন যে পৃথিবীর ছায়া বা শ্যাডোর সাইজের ক্যালকুলেশন কীভাবে করা যায়। উনি গ্রহণের ডিওরেশন আর এক্সটেন্ট ক্যালকুলেট করার ক্ষেত্রেও সঠিক তথ্য দেন। ভাস্করের মত ওনার শিষ্যরা এই স্পিরিটকে আর এই জ্ঞানকে আগে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভরপুর চেষ্টা করেন। পরে চতুর্দশ-পঞ্চদশ শতকে, কেরালায়, সঙ্গম গ্রামের মাধব, উনি ব্রহ্মাণ্ডে থাকা গ্রহদের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য ক্যালকুলাসের প্রয়োগ করেন। রাতের আকাশ শুধুমাত্র কৌতুহলের বিষয়ই ছিল না, বরং অঙ্ক এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে যাঁরা ভাবেন তাঁদের জন্য এ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ন সূত্র । কয়েক বছর আগে আমি ‘Pre Modern Kutchi ( কচ্ছী) Navigation techniques and Voyages’  বইটির আবরণ উন্মোচন করেছিলাম । এই বইটিকে বলা যেতে পারে ‘মালম-এর ডায়রি’ । মালম, একজন নাবিক হিসাবে যা অনুভব করতেন, নিজের মত করে ডায়রিতে লিখে রাখতেন । আধুনিক যুগে সেই মালম-এর পুঁথি, যা ছিল গুজরাটিতে পাণ্ডুলিপির আকারে, এবং যেখানে ছিল প্রাচীন Navigation technology র বর্ণনা সেই ‘ মালম-নী-পোথী’ তে আমরা দেখতে পাই আকাশের, তারাদের, তারাদের গতির বর্ণনা আছে এবং এও পরিস্কার করে বলা আছে সমুদ্রযাত্রার সময়  তারাদের সাহায্যে কি ভাবে দিকনির্ণয়  করা হত । গন্তব্যে পৌঁছবার পথও দেখাত তারামণ্ডলী ।

আমার প্রিয় দেশবাসী, astronomy র বিষয়টিতে ভারত অনেক এগিয়ে। আর এই ক্ষেত্রে আমাদের initiatives, path breaking ও। আমাদের পুনার কাছে বিশালকায় Meter Wave Telescope  আছে। শুধুমাত্র এই নয় , Kodaikanal, Udaghmandalam (উদাঘমন্ডলাম),Guru Shikhar আর Hanle Ladakh-এও আছে Powerful Telescope. 2016 তে বেলজিয়ামের ততকালিন প্রধানমন্ত্রী এবং আমি নৈনিতাল এ 3.6 মিটার ‘ দেবস্থল Optical Telescope’ এর উদ্বোধন করেছিলাম । এটিকে  বলা হয় এশিয়ার বৃহত্তম টেলিস্কোপ। ISRO র কাছে ও আছে ‘Astrosat’ নামে এক ‘astronomical satellite’ । সূর্য সম্পর্কিত গবেষনার জন্য ISRO ‘আদিত্য’ নামে আরও একটি satellite launch করতে চলেছে । মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে আমাদের প্রাচীন ধ্যানধারনাই হোক বা আধুনিক উপলব্ধি, আমাদের এগুলি অবশ্যই বোঝা উচিৎ এবং  গর্ববোধ করা উচিৎ । আজ আমাদের তরুন বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে শুধুমাত্র নিজেদের বৈজ্ঞানিক ইতিহাস জানার প্রতি ঔৎসুক্যই বৃদ্ধি পাচ্ছে না, বরং তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে astronomy র ভবিষ্যৎ নিয়ে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির বিকাশ।  আমাদের দেশে Planetarium  গুলি রাতের আকাশকে বোঝানোর সাথে সাথে Star Gazing এর শখকেও বিকশিত হতে motivate করে। অনেকেই আছেন যারা amature Telescope কে ছাদে অথবা balcony-তে লাগিয়ে রাখেন। Star Gazing এর মাধ্যমে  Rural Camps আর Rural Picnic গুলিকেও উৎসাহিত করা যেতে পারে । অনেক School College ও আছে , যেখানে Astronomy Club গঠন করা হয়েছে আর এই ধরণের ব্যবস্থা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়াও উচিৎ।

 

 আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের সংসদকে আমরা গণতন্ত্রের মন্দির হিসাবে জানি । একটি কথার উল্লেখ আজ আমি অত্যন্ত গর্বের সাথে করব যে, আপনারা যাঁদের প্রতিনিধি করে সংসদে পাঠিয়েছেন তাঁরা বিগত 60 বছরের সমস্ত record ভেঙে দিয়েছেন। গত 6 মাসে, সপ্তদশ লোকসভার দুটি সদনই অত্যন্ত productive ছিল। লোকসভা বলা যেতে পারে 114% কাজ করেছে, আর রাজ্যসভা 94%। আর এর আগে বাজেট অধিবেশনের সময় প্রায় 135% কাজ হয়েছে। গভীর রাত অবধি সংসদ চলেছে। সমস্ত সাংসদেরা এর জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের অধিকারি। আপনারা যাঁদের জন প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন তাঁরা 60 বছরের সমস্ত record ভেঙে দিয়েছেন। এতটা কর্মশীল থাকা ভারতীয় গনতন্ত্রের শক্তি ও গনতন্ত্রের প্রতি আস্থা দুইয়েরই পরিচায়ক। আমি দুই সদনেরই অধ্যক্ষ, সমস্ত রাজনৈতিক  দল, এবং সমস্ত সাংসদদের এই সক্রিয় ভুমিকার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

আমার প্রিয় দেশবাসী, সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদের গতি কেবল গ্রহন সৃষ্টি করেনা, আরও অনেক কিছু এদের সাথে জড়িত। আমরা সবাই জানি, সূর্যর গতির উপর নির্ভর করে জানুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে সারা ভারতে বিভিন্ন পার্বণ ও উৎসব পালিত হবে। পঞ্জাব থেকে তামিলনাড়ূ আর গুজরাট থেকে অসম পর্যন্ত সবাই বিভিন্ন পার্বণ ও অনুষ্ঠানে মেতে থাকবে। জানুয়ারীতেই ধুমধাম করে পালিত হবে মকর সংক্রান্তি আর উত্তরায়ন। এই উৎসবগুলি, উৎসাহ ও উদ্দীপনার প্রতীক বলেও মনে করা হয়। এই সময়ে পাঞ্জাবে লোড়ী, তামিলনাড়ূতে পোঙ্গাল, এবং অসমে পালিত হবে মাঘ বিহু। এই উৎসব, কৃষকদের সমৃদ্ধি এবং ফসলের সাথে খুব ওতপ্রতভাবে  জড়িত। এই পার্বণগুলি আমাদের ভারতের একতা এবং বৈচিত্রের কথা মনে করিয়ে দেয়। পোঙ্গালের শেষ দিনে মহান থীরুবল্লুবরের জন্মজয়ন্তী পালনের সৌভাগ্য আমরা দেশবাসীরা পেয়ে থাকি।এই দিনটি মহান লেখক, বিচারক, সন্ত থীরুবল্লুবর-জী এবং তাঁর জীবনের উদ্দেশ্যে সমর্পিত থাকে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, ২০১৯ এর এটিই শেষ ‘মন কি বাত’। ২০২০তে আমরা আবার মিলিত হব নতুন বছর, নতুন দশক, নতুন সঙ্কল্প, নতুন শক্তি, নতুন উদ্দীপনা, নতুন উৎসাহকে সঙ্গী করে । আসুন এগিয়ে যাই সংকল্প পূরণের লক্ষ্যে সামর্থ্য সংগ্রহ করে। অনেক দূর যেতে হবে। অনেক কিছু করার আছে। দেশকে পৌঁছে দিতে হবে নতুন উচ্চতায়। একশো তিরিশ কোটি দেশবাসীর পুরুষার্থ, সামর্থ্য, সঙ্কল্পের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা রেখে আসুন আমরা এগিয়ে চলি। অনেক অনেক ধন্যবাদ, অনেক অনেক শুভকামনা।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 23 নভেম্বর 2024
November 23, 2024

PM Modi’s Transformative Leadership Shaping India's Rising Global Stature