মন কি বাত, ডিসেম্বর ২০১৬

Published By : Admin | December 25, 2016 | 19:40 IST
Quote#MannKiBaat: Prime Minister Modi extends Christmas greetings to the nation
QuotePM Narendra Modi pays tribute to Pt. Madan Mohan Malviya on his Jayanti #MannKiBaat
QuotePM Narendra Modi extends birthday greetings to Bharat Ratna Atal Bihari Vajpayee on his birthday during #MannKiBaat
QuoteCountry cannot forget Atal ji’s contributions. Under his leadership India conducted nuclear tests: PM Modi during #MannKiBaat
Quote#MannKiBaat: Shri Narendra Modi highlights ‘Lucky Grahak’ & ‘Digi Dhan’ Yojana to promote cashless transactions
QuoteAwareness towards online payments and using technology for economic transactions is increasing: PM during #MannKiBaat
QuoteGlad to note that there has been 200 to 300 per cent spurt in cashless transactions: PM Modi #MannKiBaat
QuoteWe should be at the forefront of using digital means to make payments and transactions: PM during #MannKiBaat
QuotePM Modi cautions those spreading lies & misleading honest people on demonetisation during #MannKiBaat
QuoteSupport of people is like blessings of the Almighty: PM Modi during #MannKiBaat
QuoteGovernment is taking regular feedback from people and it is alright to make changes according to it: PM during #MannKiBaat
QuoteWe have formulated a very strict law on ‘Benaami’ property: PM during #MannKiBaat
QuoteIndia is the fastest growing large economy today: PM Modi during #MannKiBaat
Quote#MannKiBaat: Because of the constant efforts of our countrymen, India is growing on various economic parameters, says PM
QuoteAn important bill for ‘Divyang’ people was passed. We are committed to uplifting our ‘Divyang’ citizens: PM #MannKiBaat
QuoteOur sportspersons have made the country proud: PM Modi during #MannKiBaat
QuotePM Narendra Modi extends New Year greetings to people across the country during #MannKiBaat

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার! আপনাদের সকলকে ক্রিসমাসের অনেক অনেক শুভকামনা। নিজের জীবনে সেবা, ত্যাগ এবং করুণাকে উপলব্ধি করার দিন আজ। ত্রাণকর্তা যিশু বলেছেন – “দরিদ্রের জন্য উপকারই নয়, চাই তাঁদের জন্য আমাদের স্বীকৃতি”। সন্ত লুক লিখিত সুসমাচারে আছে – “প্রভু যিশু কেবল দরিদ্রদের সেবাই করেননি, দরিদ্র মানুষরা যে সেবা প্রদান করছেন তাকেও মহত্ব দিয়েছেন”। এটাই তো সশক্তিকরণের প্রকৃত রূপ। এই সম্পর্কে বহুল প্রচলিত একটি গল্প আছে। প্রভু যিশু একবার এক টেম্পল্‌ ট্রেজারির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনেক ধনী ব্যক্তি এলেন এবং প্রচুর দানধ্যান করলেন। ঠিক তারপরেই এক দরিদ্র বিধবা এলেন এবং দুটি তামার পয়সা দান করলেন। একদিক দিয়ে দেখলে দুটি তামার পয়সা দান হিসেবে কোনো অর্থই বহন করে না। সেখানে উপস্থিত ভক্তদের মনের স্বাভাবিক কৌতূহল বুঝতে পেরে যিশু বললেন, - “ঐ বিধবা ভদ্রমহিলাই সবথেকে বেশি দান করেছেন, কারণ অন্য সকলে বহু কিছু দিয়েছেন কিন্তু এই বিধবা ভদ্রমহিলা নিজের যা ছিল তার সবটুকুই দান করেছেন।”

আজ ২৫-শে ডিসেম্বর। মহামতি মদনমোহন মালব্যজীরও জন্মদিন। ভারতীয় জনমানসে সংকল্প আর আত্মবিশ্বাস জাগানো মালব্যজী আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থাকে এক নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন। তাঁর জন্মদিনে জানাই ভাব-গম্ভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। মাত্র দু-দিন আগেই মালব্যজীর তপভূমি বেনারসে বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজের শুভ সূচনা করার সুযোগ হয়েছিল আমার।

‘বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি’–তে ‘মহামতি মদনমোহন মালব্য ক্যানসার সেন্টার’-এরও শিলান্যাস করেছি। এই সম্পূর্ণ অঞ্চলের জন্য তৈরি হচ্ছে একটি ক্যানসার সেন্টার। শুধু উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলের নয়, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের মানুষের উপকারেও লাগবে এটি।

আজ ভারতের প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটলবিহারী বাজপেয়ীজীরও জন্মদিন। এই দেশ অটলজীর অবদানের কথা কখনো ভুলবে না। ওঁনারই নেতৃত্বে পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রেও আমাদের দেশের মাথা উঁচু হয়েছে। দলনেতা, সাংসদ, মন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রী – প্রত্যেকটি ভূমিকাতেই অটলজী এক আদর্শ স্থাপন করেছেন। অটলজীর জন্মদিনে আমার প্রণাম জানাই এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানাই। একজন কর্মী হিসেবে অটলজীর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। অনেক স্মৃতির ছবি চোখের সামনে ভাসছে। আজ সকালে যখন আমি ট্যুইট করেছি তখন একটা পুরনো ভিডিও আমি শেয়ার করেছি। এক ক্ষুদ্র কর্মীর প্রতি অটলজীর স্নেহ কীভাবে বর্ষিত হত তা ঐ ভিডিও-টা দেখলেই বোঝা যাবে।

বড়দিনের উপহার হিসেবে সমস্ত দেশবাসী আজ দুটি যোজনার সুফল লাভ করতে চলেছেন। এক প্রকার দুটি নতুন যোজনার শুভারম্ভ হচ্ছে। শহর হোক বা গ্রাম, শিক্ষিত হন বা অশিক্ষিত, সারা দেশে এখন একটাই প্রশ্ন – ‘ক্যাশলেস’ কী? ‘ক্যাশলেস ব্যবসা’ কীভাবে সম্ভব? ক্যাশ ছাড়া বেচা-কেনা কীভাবে করা যায়? প্রত্যেকেই একে অপরের কাছে বুঝতে এবং শিখতে চাইছেন। এই ব্যাপারটাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য, মোবাইল ব্যাঙ্কিং-এর শক্তি বৃদ্ধির জন্য,
‘ই-পেমেন্ট’-কে অভ্যাসে পরিণত করার জন্য ভারত সরকার গ্রাহক এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উৎসাহ-বর্দ্ধক এক যোজনার সূত্রপাত করছে আজ।

গ্রাহকদের উৎসাহিত করার যোজনাটি হল – ‘লাকি গ্রাহক যোজনা’ এবং ব্যবসায়ীদের যোজনাটির নাম – ‘ডিজি-ধন ব্যাপার যোজনা’।

আর ২৫-শে ডিসেম্বর, ক্রিসমাসের উপহার হিসেবে ‘ড্র’ পদ্ধতির মাধ্যমে ১৫ হাজার মানুষের অ্যাকাউণ্টে এক-এক হাজার টাকা জমা হবে। আজ শুধু একদিনের জন্য নয়, এই যোজনা আগামী ১০০ দিন ধরে চলবে। প্রতিদিন ১৫ হাজার মানুষ পাবেন এই পুরস্কার।
১০০ দিনে লক্ষাধিক পরিবারের কাছে কোটি টাকার উপহার পৌঁছে যাবে – কিন্তু এই উপহারের যোগ্য হবেন তাঁরাই, যাঁরা ‘মোবাইল ব্যাঙ্কিং’, ‘ই-ব্যাঙ্কিং’, ‘রূপে কার্ড’, ‘UPI’, ‘USSD’ ইত্যাদি যত রকম ডিজিট্যাল লেনদেন পদ্ধতি আছে, তার ব্যবহার করবেন। ড্র নির্ভর করবে এরই ওপর।

এর সঙ্গে সপ্তাহে এক দিন আরও বড় আকারে ড্র হবে, যেখানে পুরস্কার থাকবে লক্ষ টাকা এবং তিন মাস পরে ১৪-ই এপ্রিল ডক্টর বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মদিনে এক বাম্পার ড্র হবে, যেখানে পুরস্কার থাকবে কোটি টাকার।

‘ডিজি-ধন ব্যাপার যোজনা’ হল ব্যবসায়ীদের জন্য। ব্যবসায়ী নিজে যেমন এই যোজনায় নিজেকে যুক্ত করবেন, তেমনই নিজের ব্যবসাকে ক্যাশলেস করার ক্ষেত্রে গ্রাহকদেরও যুক্ত করবেন। ব্যবসায়ীদেরকেও আলাদাভাবে পুরস্কার দেওয়া হবে এবং সেই পুরস্কারের সংখ্যা হবে হাজার-হাজার। এতে নিজেদের ব্যবসাও চলবে আবার পুরস্কারও মিলবে। এই যোজনা সমাজের সমস্ত ক্ষেত্রে – বিশেষ করে দরিদ্র এবং নিম্নমধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে এবং এই যোজনার লাভ তাঁরাই, যাঁরা ৫০ টাকার বেশি এবং তিন হাজার টাকার কম অর্থমূল্যে কেনাকাটা করতে সমর্থ।

তিন হাজার টাকার বেশি অর্থমূল্যে যাঁরা কেনাকাটা করতে পারেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পুরস্কারের সুবিধা থাকবে না। দরিদ্রতর মানুষ USSD-এর সাহায্যে ‘Feature’ ফোন এবং সাধারণ ফোনের মাধ্যমে বেচা-কেনা করতে পারেন এবং দামও মিটিয়ে দিতে পারেন। এঁরা সকলেই এই যোজনার পুরস্কার লাভের সুযোগ পাবেন। গ্রামাঞ্চলের মানুষ AEPS-এর মাধ্যমে বেচাকেনা করে এই পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। খুব আশ্চর্যের বিষয়, ভারতবর্ষে আজ প্রায় ৩০ কোটি ‘রূপে কার্ড’ আছে, যার মধ্যে ২০ কোটিই আছে জন-ধন যোজনার অ্যাকাউন্টধারী মানুষের কাছে। এই ৩০ কোটি মানুষইতো এই পুরস্কার যোজনার অংশীদার হতে পারেন। আমি বিশ্বাস করি যে দেশবাসী এই পদ্ধতির প্রতি আগ্রহ দেখাবেন এবং আশেপাশের তরুণ প্রজন্মের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা নিশ্চয়ই বলে দেবেন। আপনার পরিবারে দশ বা বারো ক্লাসের বাচ্চাটিও আপনাকে ভালোভাবে এই পদ্ধতি শিখিয়ে দিতে পারবে। এটি খুব সহজ – মোবাইল ফোন থেকে হোয়াটস্‌ অ্যাপ পাঠানোর মতই সহজ কাজ।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি এটা জেনে খুশী হয়েছি যে দেশের মধ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার কীভাবে করতে হবে, ই-পেমেন্ট কীভাবে হবে, অনলাইন পেমেন্ট কীভাবে করতে হবে – এসবের সচেতনতা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। গত কিছুদিনের মধ্যে ক্যাশলেস ব্যবসা, বিনা নগদে লেনদেন ২০০ থেকে ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। এই পদ্ধতিকে উৎসাহিত করার জন্য ভারত সরকার একটা বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত যে কত বড় সেটা ব্যবসায়ীরা সহজেই অনুমান করতে পারেন। যে সব ব্যবসায়ীরা ডিজিট্যাল আদান-প্রদান করবেন, নিজের ব্যবসাতে নগদের পরিবর্তে অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি প্রসারিত করবেন, তাঁদের আয়করে ছাড় দেওয়া হবে।

আমি কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চল-সহ দেশের সমস্ত রাজ্যকেও অভিনন্দন জানাচ্ছি। সবাই নিজস্ব পদ্ধতিতে এই অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমান চন্দ্রবাবু নাইডু-র অধ্যক্ষতায় একটি কমিটি গঠিত হয়েছে, যে কমিটি এই সম্বন্ধীয় অনেক যোজনা-র কথা বিবেচনা করছে, কিন্তু আমি দেখছি অনেক সরকারও নিজস্ব পদ্ধতিতে অনেক যোজনা বাস্তবায়িত করেছে এবং নতুন ভাবে আরম্ভ করছে। আমি জেনেছি, আসাম সরকার প্রপার্টি ট্যাক্স এবং বাণিজ্য লাইসেন্স ফি ডিজিট্যালি প্রদান করলে ১০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা করেছে। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখাগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নিজেদের ৭৫ শতাংশ গ্রাহক জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত কম করে দুটি ডিজিট্যাল ট্র্যানজাকশন করলে তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে ৫০,০০০ টাকা পুরস্কৃত করা হবে। ৩১শে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত যদি কোনও গ্রাম ১০০ শতাংশ ডিজিট্যাল ট্র্যানজাক্‌শন করায় তবে সরকারের পক্ষ থেকে ‘উত্তম পঞ্চায়েত ফর ডিজি-ট্র্যানজাক্‌শন’ যোজনার মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা অসম সরকারের তরফ থেকে করা হয়েছে। কৃষকদের জন্য অসম সরকার ‘ডিজিট্যাল কৃষক শিরোমণি’ প্রকল্পে প্রথম ১০ জন কৃষককে, যাঁরা বীজ ও সার কেনাকাটার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে ডিজিট্যাল পদ্ধতি অনুসরণ করবেন, তাঁদেরকে ৫,০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি অসম সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং যে সব রাজ্য এই রকম উদ্যোগ নিয়েছে তাদেরকেও অভিনন্দন জানাচ্ছি। অনেক সংস্থাও গ্রামাঞ্চলে কৃষকদের মধ্যে ডিজিট্যাল আদান-প্রদানকে প্রসারিত করার জন্য অনেক সফল উদ্যোগ নিয়েছে। আমি জানতে পেরেছি, GNFC অর্থাৎ ‘গুজরাট নর্মদা ভ্যালি ফার্টিলাইজার অ্যাণ্ড ক্যামিকাল লিমিটেড’, যাঁরা মূলত সারের কাজকর্ম করে, তারা কৃষকদের সুবিধার জন্য, সেখানে সার বিক্রয়কেন্দ্রে এক হাজার POS মেশিন বসিয়েছে এবং সেখানে ‘ডিজিট্যাল পেমেন্ট’-এর ব্যবস্থা করেছে।
৩৫ হাজার কৃষককে ৫ লাখ সারের বস্তা ডিজিট্যাল আদান-প্রদানের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে – সেটাও মাত্র দু-সপ্তাহের মধ্যে। মজার কথা হলো, গত বছরের তুলনায় GNFC-এর সার বিক্রি বেড়েছে ২৭ শতাংশ।

ভাই-বোনেরা, আমাদের অর্থব্যবস্থায়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অসংগঠিত ক্ষেত্রের গুরুত্ব আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সব লোকজনের মজুরীর টাকা, কাজের জন্য টাকা বা বেতন নগদেও দেওয়া হয়, আর আমরা জানি, এর জন্য শ্রমিকদের বঞ্চনাও করা হয়। ১০০ টাকার পরিবর্তে ৮০ টাকা দেওয়া হয়, যখন ৮০ টাকা দেওয়ার কথা, সেখানে ৫০ টাকা দেওয়া হয় এবং ইনসিওরেন্সের মতো স্বাস্থ্য বীমাসহ আরও অনেক সুবিধা থেকে এই সব শ্রমিকদের বঞ্চিত করা হয়। কিন্তু যখন ক্যাশলেস পেমেন্ট করা হচ্ছে, টাকা সোজাসুজি ব্যাঙ্কে জমা হয়ে যায়। এই ভাবে অসংগঠিত ক্ষেত্র, সংগঠিত ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। বঞ্চনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যে টাকা কেটে নেওয়া হত, সেসব এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আর শ্রমিকদের কারিগরদের, এই রকম দরিদ্র লোকেদের সম্পূর্ণ টাকা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। আর সঙ্গে অন্য সব সুযোগ-সুবিধারও দাবীদার হচ্ছে। আমাদের দেশ সর্বাধিক যুবদের দেশ। প্রযুক্তি আমাদের কাছে সহজলভ্য। ভারতের মতো দেশ তো এসব ক্ষেত্রে সবথেকে এগিয়ে আসা উচিত। আমাদের তরুণরা স্টার্ট-আপ-এর মাধ্যমে অনেক উন্নতি করেছে। এই ডিজিট্যাল-আন্দোলন এক সোনালী সুযোগ, আমাদের তরুণ প্রজন্ম নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে, নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে, নতুন নতুন পদ্ধতির সঙ্গে এই ক্ষেত্রে যত উদ্যোগ নিতে পারবে, ততটাই নেওয়া উচিত। দেশকে কালো টাকা এবং আর্থিক দুর্নীতি থেকে মুক্ত করার অভিযানে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে আমাদের সামিল হতে হবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি প্রত্যেক ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের আগে লোকেদের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা আপনাদের পরামর্শ পাঠান, নিজস্ব মতামত জানান এবং এইবার হাজার হাজার মতামত ‘mygov’ ও ‘Narendra Modi App’-এ পরামর্শ এসেছে। আমি বলছি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষের প্রস্তাব আর্থিক দুর্নীতি এবং কালোটাকার বিরুদ্ধে যে লড়াই সেই সম্বন্ধীয় ও নোটবন্দীর আলোচনা এসেছে। এই সব বিষয়কে আমি যখন পর্যালোচনা করে মোটামুটি ভাবে এই মতামতগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করতে পারি, কিছু মানুষ যাঁরা আমাকে লিখেছেন, তাঁদের মধ্যে জনসাধারণের কি কি সমস্যা হচ্ছে, কি কি অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন, এই সব জানিয়ে সবিস্তারে লিখেছেন। দ্বিতীয় গোষ্ঠীর লেখক যাঁরা এই সব বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছেন, এতো ভাল কাজ, দেশের ভালোর জন্য কাজ, এ-তো পবিত্র কাজ। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোথায় কোথায় কীরকম জালিয়াতি হচ্ছে, কীভাবে নতুন নতুন অসৎ পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে, তার বিবরণ দিয়েছেন। আর তৃতীয় গোষ্ঠীর লোকেরা, যাঁরা যা হচ্ছে, তাকে সমর্থন করেছেন এবং সঙ্গে সঙ্গে এই লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, দুর্নীতি দূর করতে এবং কালো টাকা সম্পূর্ণ নষ্ট করতে আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার – এরকম জোর দিয়েও অনেকে লিখেছেন।

আমি আমার দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ, কারণ তাঁরা চিঠি লিখে আমাকে যথেষ্ট মদত যুগিয়েছেন। শ্রীমান গুরুমণি কেওবল ‘মাই গভ’-এ লিখেছেন – কালো টাকায় রাশ টানার জন্য এই পদক্ষেপ প্রশংসার যোগ্য। নাগরিক হিসেবে আমাদের অসুবিধে হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু আমরা যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছি, সেই লড়াইতে সহযোগিতা করছে, এতেই আমরা খুশি। দুর্নীতি, কালো টাকা ইত্যাদির বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমরা সেনাবাহিনীর ভূমিকা পালন করছি। গুরুমণি কেবল যে কথা লিখে জানিয়েছেন, দেশের সমস্ত প্রান্ত থেকে এই একই ভাবনা উঠে আসছে। আমরা সকলে তা অনুভব করতে পারছি। তবে একথা সত্যি যে জনসাধারণকে যখন এত কষ্ট, এত অসুবিধা ভোগ করতে হচ্ছে, তখন এমন কোন মানুষ আছেন, যাঁর খারাপ না লাগে? আপনাদের যতটা খারাপ লাগছে, আমারও ততটাই খারাপ লাগছে। কিন্তু একটি উত্তম উদ্দেশ্যের জন্য, একটি উন্নত লক্ষ্যকে অতিক্রম করার জন্য যখন স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কর্মযজ্ঞ চলতে থাকে, তখন সেই দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণার মধ্যেও দেশবাসী আত্মশক্তিতে বলীয়ান থাকেন। আসলে এঁরাই হলেন ‘Agent of Change’ – পরিবর্তনের পুরোধা। আমি সবাইকে আরও একটি কারণে ধন্যবাদ দিতে চাই, তাঁরা শুধু যে অসুবিধে সহ্য করেছেন তা-ই নয়, যারা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, তাদের তাঁরা কড়া জবাবও দিয়েছেন। কত গুজব রটেছে। দুর্নীতি আর কালোটাকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাম্প্রদায়িকতার রঙ লাগাবারও কত চেষ্টা হয়েছে, কেউ গুজব ছড়িয়েছে যে নোটে ভুল বানান লেখা হয়েছে, কেউ বলে দিয়েছে লবণের দাম বেড়ে গেছে, আবার এমন গুজবও শোনা গেছে যে, ২০০০, ৫০০ আর ১০০ টাকার নোটও শিগগিরই বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু আমি দেখেছি, নানা রকমের গুজব ছড়িয়েও দেশবাসীকে কেউ বিভ্রান্ত করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, কিছু মানুষ তাঁদের বুদ্ধি, শক্তি, সৃজনশীলতা দিয়ে এইসব গুজবকে, গুজবের রটনাকারীদের মুখোশ খুলে দিয়েছেন। সত্যকে সামনে এনে দিয়েছেন। আমি জনগণের এই শক্তিকে শত শত প্রণাম জানাই।

এটা আমি স্পষ্ট অনুভব করছি, প্রতি মুহূর্তে অনুভব করছি যে, একশো পঁচিশ কোটি দেশবাসী সঙ্গে থাকলে কোনও কিছুই আর অসম্ভব থাকে না। জনতা জনার্দনই তো ঈশ্বরের প্রতিভূ, জনতার আশীর্বাদ ঈশ্বরেরই আশীর্বাদ। আমি দেশের জনগণকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, প্রণাম জানাচ্ছি দুর্নীতি আর কালো টাকার বিরুদ্ধে এই মহাযজ্ঞে পূর্ণ উৎসাহে অংশ নেওয়ার জন্য। আমি চেয়েছিলাম, দুর্নীতি আর কালো টাকার বিরুদ্ধে যেমন লড়াই চলছে, তেমনি সংসদেও রাজনৈতিক দল আর পলিটিক্যাল ফাণ্ডিং-এর বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হোক। সংসদ চালু থাকলে নিশ্চয়ই আলোচনা হত। যাঁরা রটাচ্ছেন যে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচুর ছাড় আছে – তাঁদের রটনা ভুল। আইন সকলের জন্যই এক এবং ব্যক্তি সংগঠন বা রাজনৈতিক দল – যা-ই হোক, সকলকেই আইন মেনে চলতে হয় – চলতে হবেই। যাঁরা প্রকাশ্যে ভ্রষ্টাচার আর কালো টাকাকে সমর্থন করতে পারেন না, তাঁরা সরকারের দোষ-ত্রুটি ধরার জন্য সর্বক্ষণ লেগে থাকেন। একটা কথা শোনা যাচ্ছে, বারবার নিয়ম কেন বদলাচ্ছে? এই সরকার জনতা-জনার্দনের সরকার। জনসাধারণের কাছে ‘ফিডব্যাক’ নেওয়ার কাজটা সরকার ধারাবাহিক ভাবে করে চলেছেন। সাধারণ মানুষের কোথায় অসুবিধা হচ্ছে, কোন নিয়মের জন্য সমস্যা তৈরি হচ্ছে – তার সমাধানের কী পথ খোঁজা যায়, দেশের সংবেদনশীল সরকার প্রতি মুহূর্তে সেটা খেয়াল রাখে। তার জন্য নিয়ম বদলানোর দরকার হলে নিয়ম বদলাতে হয়, যাতে লোকের হয়রানি কম হয়। অন্যদিকে আমি প্রথম দিন – ৮ তারিখেই বলেছিলাম, এটি একটি অসাধারণ লড়াই। ’৭০ সাল থেকে অবিশ্বাস আর দুর্নীতির এই কালোবাজারিতে কত শক্তি জড়িত আছে, তাঁদের কত ক্ষমতা? আমি যখন এইসব শক্তির মোকাবিলা করব বলে ঠিক করলাম, তখন তাঁরাও সরকারকে হারাতে রোজ রোজ নতুন নতুন পন্থা উদ্ভাবন করতে লাগলেন। তাঁরা যখন নতুন উপায় খুঁজে বার করছেন তখন আমাকেও তো তাদের হারাবার জন্য নতুনতর পদ্ধতির সন্ধান করতে হয়। তুমি চলো ডালে ডালে, আমি চলি পাতায় পাতায়। কারণ আমি ঠিক করেছি দুর্নীতি, কালোবাজার, কালোটাকা – সবগুলিকেই নির্মূল করতে হবে। অনেকেই চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন এই নিয়ে কত রকমের কারচুপি হচ্ছে, কত নতুন নতুন রাস্তার খোঁজ চলছে।

আমি আমার প্রিয় দেশবাসীদের আরও একটি কারণে অভিনন্দন জানাতে চাই আপনারা টিভিতে, সংবাদপত্রে দেখে থাকবেন, রোজ কত নতুন নতুন লোক ধরা পড়ছে, নোট ধরা পড়ছে, তল্লাসী হচ্ছে, তাবড় তাবড় লোক ধরা পড়ছে – এটা কীভাবে সম্ভব হল? আমি সেই গোপন কথাটাই বলছি। সেটা হল এই, যে খবর আমি সাধারণ মানুষের কাছ থেকেই পাচ্ছি। সরকারি ব্যবস্থা থেকে যত খবর আসছে, তার অনেকগুণ বেশি খবর আসছে সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে। যে সাফল্য আমরা পাচ্ছি, সেটা মূলত জনসাধারণের সচেতনতার কারণে। কেউ কি কল্পনা করতে পারেন, আমাদের দেশের সচেতন নাগরিক এঁদের মুখোশ খোলার জন্য কতটা ঝুঁকি নিচ্ছেন? আর এইভাবে পাওয়া তথ্য থেকেই বেশি সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে। এইসব খবর দেওয়ার জন্য সরকারের তরফ থেকে একটি ই-মেইল অ্যাড্রেস বানানো হয়েছে, ওই অ্যাড্রেসে জানানো যেতে পারে বা, ‘মাই গভ’ অ্যাড্রেসেও পাঠাতে পারেন। সরকার এইসব অশুভের সঙ্গে লড়াই করতে বদ্ধপরিকর। আপনাদের সহায়তা পেলে এই লড়াই অনেক সহজ হয়ে যাবে।

আমাকে যাঁরা চিঠি পাঠাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে তৃতীয় একটি দল আছে, যাঁরা সংখ্যায় অনেক। তাঁরা বলছেন, মোদীজী থেমে যাবেন না, ক্লান্ত হয়ে পড়বেন না, যতটা কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব, সেটাই নিন। একবার যখন পথে নেমেছেন, তখন লক্ষ্যে পৌঁছতেই হবে। এভাবে যাঁরা লিখেছেন, তাঁদের সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কেননা, তাঁদের চিঠিতে বিশ্বাস যেমন আছে, তেমনই আছে আশীর্বাদ। আমি আপনাদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, বিরাম নয় – এই তো সবে শুরু। এই যুদ্ধে জিততেই হবে, ক্লান্ত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আর যে বিষয়ে ১২৫ কোটি দেশবাসীর আশীর্বাদ আছে, তার থেকে পিছিয়ে আসার কোনও কথাই ওঠে না। আপনাদের হয়ত জানা আছে, আমাদের দেশে বেনামী সম্পত্তি বিষয়ে একটি আইন আছে। যেটি ১৯৮৮ সালে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তার কোনও নিয়ম বিধিবদ্ধ হয়নি, সেটিকে নোটিফাই করাও হয়নি। সেই আইন এতদিন ঠাণ্ডাঘরে পড়েছিল। আমরা সেটিকে বার করে এনেছি এবং খুব কঠোরভাবে ‘বেনামী সম্পত্তি আইন’ আমরা বানিয়েছি। আগামী দিনে এই আইন তার ভূমিকা পালন করবে। দেশহিত এবং জনহিতের জন্য যা করণীয়, সেটাই আমাদের প্রাথমিক কর্তব্য।

আমার প্রিয় দেশবাসী, গত ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে আমি বলেছিলাম যে, এই সকল অসুবিধা সত্ত্বেও আমাদের কৃষকরা কঠিন পরিশ্রম করে ফসল রোপনে গত বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। ফসল চাষে এটি একটি শুভ সংকেত। দেশের শ্রমিক, কৃষক ও যুবকদের পরিশ্রম এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে। বিগত সময়ে বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থায় অনেক ক্ষেত্রেই ভারত গৌরবের সঙ্গে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। দেশবাসীর লাগাতার প্রচেষ্টায় বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থার বিভিন্ন সূচকে ভারতের উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক-এর ‘ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট’-এ ভারতের স্থান উন্নত হয়েছে। ভারতের বাণিজ্য নীতিকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বাণিজ্য নীতির সমান করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, আর এই বিষয়ে আমরা সাফল্য পাচ্ছি। UNCTAD-এর প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট’ অনুযায়ী ২০১৬-১৮ ‘টপ প্রসপেক্টিভ হোস্ট ইকনমিস’-এ ভারত তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গেছে। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম-এর ‘গ্লোবাল কম্‌পিটিটিভ্‌নেস রিপোর্ট’-এ ভারত ৩২-টি ধাপ উন্নত হয়েছে। ‘গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স – ২০১৬’ অনুযায়ী ভারত ১৬ ধাপ উন্নতি করতে সমর্থ হয়েছে। একই ভাবে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের ‘লজিস্টিক্‌স পারফর্মেন্স ইনডেক্স – ২০১৬’য় ভারতের ১৯টি ধাপ অগ্রগতির কথা বলা হয়েছে। একই প্রকার অন্যান্য কয়েকটি রিপোর্টেও ভারতের দ্রুত উন্নতি ইঙ্গিত করছে।

    আমার প্রিয় দেশবাসী, এইবার সংসদের অধিবেশন দেশবাসীর মধ্যে উষ্মার সৃষ্টি করেছে। সংসদের গতিবিধি নিয়ে বিভিন্ন ভাবে তাঁদের রাগ প্রকাশ পেয়েছে। রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতিও এই বিষয়ে তাঁদের উষ্মা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এসবের মধ্যেও কখনো কখনো কিছু কিছু ভালো কথা হয় তখন মন খুশিতে ভরে ওঠে। সংসদের হইহল্লার মধ্যেও এমনই একটি ভালো কাজ হয়েছে, যেটা দেশের সাধারণ মানুষের নজরে আসেনি।

    ভাই-বোনেরা, আজ এই কথা বলতে আমার আনন্দ হচ্ছে, গর্ব হচ্ছে যে দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিদের জন্য যে লক্ষ সামনে রেখে সরকার চলছে সেই সম্পর্কিত একটি বিল সংসদে গৃহীত হয়েছে। এই জন্য দেশের কয়েক কোটি দিব্যাঙ্গ ব্যক্তির তরফ থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সকল সাংসদকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিদের জন্য আমাদের সরকার দায়বদ্ধ। আমার নিজের তরফ থেকেও এই বিষয়টিতে গতি আনার চেষ্টা করেছি। আমার উদ্দেশ্য ছিল দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিরা যেন তাঁদের নিজের অধিকার এবং সম্মান পান, যেটা তাদের প্রাপ্য। আমার এই প্রচেষ্টাকে আমার দিব্যাঙ্গ ভাই-বোনেরা আরও শক্তি জুগিয়েছেন যখন প্যারা অলিম্পিক্সে চারটি মেডেল জিতে নিয়েছেন। এই জিত কেবল দেশের সম্মানই বাড়ায়নি, তাদের শক্তি দেশবাসীকে আশ্চর্যান্বিত করেছে। দেশের অন্যান্য নাগরিকদের মতো আমাদের এই দিব্যাঙ্গ ভাই-বোনেরা আমাদের এক অমূল্য সম্পদ ও শক্তি। আমি আজ অত্যন্ত খুশি যে এই আইন পাশ হওয়ার ফলে দিব্যাঙ্গদের জন্য চাকরির আরও সুবিধা উপলব্ধ হবে। সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সীমা বাড়িয়ে চার শতাংশ করা হয়েছে। এই আইনে দিব্যাঙ্গদের শিক্ষা, সুবিধা আর অভিযোগের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিদের প্রতি সরকার কতটা সংবেদনশীল, তা আপনারা আন্দাজ করতে পারবেন এই বিষয় থেকে যে বিগত দুই বছরে এদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ৪৩৫০ টি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। ৩৫২ কোটি টাকা খরচ করে ৫,৮০,০০০ দিব্যাঙ্গ ভাই-বোনকে বিভিন্ন প্রকার উপকরণ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের ভাবনার অনুরূপ সরকার এই নতুন আইন প্রণয়ন করেছেন। আগে দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিদের ৭-টি শ্রেণিতে ভাগ করা হতো। নতুন আইনে ১৪-টি শ্রেণি বাড়িয়ে সেটা ২১ করা হয়েছে। দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিদের জন্য এমন কয়েকটি শ্রেণি তৈরি করা হয়েছে যাতে প্রথমবার তাঁরা উপযুক্ত সুযোগ ও ন্যায় পাবেন। থ্যালাসেমিয়া, পারকিন্‌সন্স রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং বামনদেরও এই শ্রেণির মধ্যে যুক্ত করা হয়েছে।

    আমার যুব-বন্ধুরা, বিগত কয়েকটি সপ্তাহে খেলার মাঠ থেকে এমন খবর আসছে, যাতে আমরা সকলেই গৌরবাণ্বিত বোধ করছি। ভারতীয় হওয়ার কারণে আমাদের গর্ব হওয়া স্বাভাবিক। ভারতীয় ক্রিকেট দল ইংলণ্ডের বিপক্ষে ৪-০-তে সিরিজ জিতেছে। এতে কিছু যুব খেলোয়াড়ের পারফর্ম্যান্স খুবই প্রশংসনীয়। আমাদের যুব খেলোয়াড় করুণ নায়ার ট্রিপল সেঞ্চুরী করেছেন। কে.এল.রাহুল ১৯৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহলি কেবল ভালো ব্যাটিং-ই করেননি, ভালো নেতৃত্বও দিয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অফ্‌স্পিন বোলার রবিচন্দ্রণ অশ্বিন-কে আই.সি.সি. ২০১৬-র ‘ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার’ এবং ‘বেস্ট টেস্ট ক্রিকেটার’ নির্বাচিত করেছেন। এঁদের সবাইকে আমার অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। হকিতেও ১৫ বছর পরে খুব ভালো খবর পাওয়া গেছে। জুনিয়র হকি দল ১৫ বছর পর বিশ্বকাপ জিতেছে। তাঁদের এই সাফল্যের জন্য আমি এই যুব-খেলোয়াড়দের অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই সাফল্য ভারতীয় হকি দলের ভবিষ্যতের জন্য এক শুভ সংকেত। গত মাসে আমাদের মহিলা খেলোয়াড়েরাও অসাধারণ সাফল্য পেয়েছেন। ভারতীয় মহিলা হকি দল এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস্‌ ট্রফি জিতেছেন। আর কয়েকদিন আগে অনূর্দ্ধ ১৮ এশিয়া কাপে ভারতের মহিলা হকি দল ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছেন। আমি ক্রিকেট এবং হকি দলের সকল খেলোয়াড়কে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

    আমার প্রিয় দেশবাসী, ২০১৭ সাল নতুন আশা ও উৎসাহের বছর হোক। আপনাদের সকল সংকল্প সফল হোক। উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা যেন এক নতুন উচ্চতা লাভ করতে পারি। নতুন বছরে গরীব ব্যক্তিরাও যেন সুখ-শান্তির জীবন অতিবাহিত করতে পারেন, ২০১৭-র জন্য আমার পক্ষ থেকে সমস্ত দেশবাসীকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

  • Jayanta Kumar Bhadra February 11, 2025

    Jay 🕉 🕉 🕉 namaste namaste
  • krishangopal sharma Bjp January 21, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹
  • krishangopal sharma Bjp January 21, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹
  • krishangopal sharma Bjp January 21, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹
  • krishangopal sharma Bjp January 21, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷
  • krishangopal sharma Bjp January 21, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹
  • Priya Satheesh January 14, 2025

    🐯
  • Chhedilal Mishra December 05, 2024

    Jai shrikrishna
  • Reena chaurasia August 28, 2024

    bjo
  • Pradhuman Singh Tomar August 01, 2024

    bjp
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Global aerospace firms turn to India amid Western supply chain crisis

Media Coverage

Global aerospace firms turn to India amid Western supply chain crisis
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Former UK PM, Mr. Rishi Sunak and his family meets Prime Minister, Shri Narendra Modi
February 18, 2025

Former UK PM, Mr. Rishi Sunak and his family meets Prime Minister, Shri Narendra Modi today in New Delhi.

Both dignitaries had a wonderful conversation on many subjects.

Shri Modi said that Mr. Sunak is a great friend of India and is passionate about even stronger India-UK ties.

The Prime Minister posted on X;

“It was a delight to meet former UK PM, Mr. Rishi Sunak and his family! We had a wonderful conversation on many subjects.

Mr. Sunak is a great friend of India and is passionate about even stronger India-UK ties.

@RishiSunak @SmtSudhaMurty”