আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ২৬ ও ২৭ মার্চ সেদেশ সফর করবো।
কোভিড-১৯ মহামারীর পর এটিই আমার প্রথম বিদেশ সফর। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে ভারতের সঙ্গে আমাদের এই প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে সঙ্গে। আমি আগামীকাল বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণ করবো। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জাতীর জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনও শুরু হবে। বিগত শতাব্দীর মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমি টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর সমাধি ক্ষেত্রে যাবো।
পুরাণ অনুসারে ৫১টি শক্তিপীঠের অন্যতম প্রাচীন মন্দির౼ যশোরেশ্বরী মা কালীর মন্দিরে আমি পুজো দেব।
আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি, ওরাকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপচারিতার জন্য। শ্রী শ্রী হরিচন্দ্র ঠাকুরজি তাঁর পবিত্র বাণী এখান থেকেই প্রচার করেছেন।
গত ডিসেম্বর মাসে ফলপ্রসু ভার্চুয়াল বৈঠকের পর আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসবো। মাননীয় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছি। এছাড়াও বাংলাদেশের বিশিষ্টজনেদের সঙ্গেও আমি মিলিত হব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের নজরকারা আর্থিক উন্নয়নের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানানোই শুধুমাত্র আমার এই সফরের উদ্দেশ্য নয়, এই সাফল্যের জন্য ভারতের সর্বক্ষণের সমর্থনের বিষয়েও আমরা দায়বদ্ধ। কোভিড-১৯এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ে ভারতের সমর্থন ও পারস্পরিক নির্ভরতার কথাও আমার এই সফরের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে।