The central message of Saint Shri Ramanujacharya’s life was inclusive society, religion and philosophy: PM Modi
Sant Ramanujacharya saw the manifestation of God in Human beings, and Human beings in God. He saw all devotees of God as equal: PM
Sant Shri Ramanujacharya broke the settled prejudice of his times: PM Modi
Sant Ramanujacharya linked fulfilling the needs of the poor with social responsibility: PM Modi

আমাকে এই সুযোগদেওয়ায় আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।

সন্ত শ্রী রামানুজাচার্যের জীবনের মূল বার্তা হ’ল সকলকে সামিল করে সমাজ,ধর্ম ও দর্শন। সন্ত শ্রী রামানুজাচার্য বিশ্বাস করতেন, যাই হোক আর যা হবে তা সবইভগবানের প্রকাশ। তিনি মানবদেহে ঈশ্বরের প্রকাশ আর ঈশ্বরের মধ্যে মানবত্বকে দর্শনকরেছিলেন। ঈশ্বরের সব ভক্তই তাঁর চোখে ছিলেন সমান।

যখন জাতিভেদ এবং বর্ণাশ্রম প্রথা সমাজ ও ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে মনেকরা হ’ত আর প্রত্যেকেই ঐ বর্ণাশ্রমের উচ্চ-নীচ অনুযায়ী সমাজে নিজের স্থানটি উঁচুতেবা নীচুতে যাই হোক না কেন তা মেনে নিত, সন্ত শ্রী রামানুজাচার্য এর বিরুদ্ধেবিদ্রোহ করেছিলেন – তাঁর নিজের জীবনে আর ধর্মীয় শিক্ষাদানের মধ্য দিয়ে।

সন্ত শ্রী রামানুজাচার্য কেবল উপদেশই দেননি, কেবল নতুন পথ দেখাননি, নিজেরবাণীগুলি তিনি নিজের জীবনে পালনও করেছেন। আমাদের শাস্ত্রে লেখা রয়েছে – ‘মনসাওয়াচা কর্মনা’ – এই সূত্র অনুসরণ করে তিনি নিজের জীবনটাকেই নিজের উপদেশে পরিণতকরেছেন। যা তাঁর মনে ছিল, তাই বাণীতে লিপিবদ্ধ করেছেন, তাই বাস্তবে পালন করেদেখিয়েছেন। সন্ত শ্রী রামানুজাচার্যের বিশেষত্ব ছিল যে, যখনই কোনও বিবাদ হ’ত, তিনিপরিস্থিতিকে আরও বিগড়ে যাওয়া থেকে আটকানো আর সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করতেন।ঈশ্বরকে বোঝার জন্য অদ্বৈতবাদ ও দ্বৈতবাদ থেকে ভিন্ন মধ্যবর্তী একটি পথ‘বিশিষ্টাদ্বৈত’ ও তেমনই একটি প্রচেষ্টা।

সমাজে বৈষম্য সৃষ্টিকারী যে কোনও পরম্পরার বিরোধী ছিলেন তিনি। সেইব্যবস্থাকে ভাঙার জন্য, বদলানোর জন্য সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে চেষ্টা করতেন।

আপনারা হয়তো জানেন যে, কিভাবে মুক্তি আর মোক্ষের যে মন্ত্রটি তাঁকেসার্বজনিক করতে মানা করা হয়েছিল, তিনি একটি সভা ডেকে সমাজের প্রত্যেকবর্গ,প্রত্যেক স্তরের মানুষের সামনে তা পাঠ করে শুনিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যে মন্ত্রেমানুষ সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পায়, তা কোনও একজনের কাছে কেন থাকবে, প্রত্যেক গরিবব্যক্তিরও তা জানা উচিৎ। সন্ত শ্রী রামানুজাচার্যের হৃদয় এত বিশাল, এত পরোপকারীছিলেন!

দরিদ্রদের জন্য, শোষিত, বঞ্চিত, দলিতদের জন্য তিনি সাক্ষাৎ ভগবানের ভূমিকায়অবতীর্ণ হয়েছিলেন। একটা সময়ে তিরুচিরাপল্লীর শ্রী রঙ্গম মন্দির-এর সম্পূর্ণপ্রশাসন একটি বিশেষ জাতির কুক্ষিগত ছিল। শ্রী রামানুজাচার্য মন্দিরের প্রশাসনিকপ্রক্রিয়াই বদলে দেন। তিনি নানা জাতির প্রতিনিধিদের প্রশাসনে সামিল করেন।মহিলাদেরকেও বেশ কিছু দায়িত্ব অর্পণ করেন।মন্দিরকে তিনি নাগরিক কল্যাণ ও জনসেবারকেন্দ্র করে তোলেন। এমন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেন যেখানে গরিবদের আহার, ওষুধ,জামাকাপড় এবং থাকার জায়গা দেওয়া হ’ত। তাঁর সেই সংস্কারমূলক আদর্শ আজও বেশ কয়েকটিমন্দিরে ‘রামানুজ-কুট’ রূপে দেখা যায়।

ঠিক এই কারণেই স্বামী বিবেকানন্দ সন্ত শ্রী রামানুজাচার্যের হৃদয় সম্পর্কেবলেছিলেন। সেই বিশাল হৃদয়, যা নীচে শ্রেণীর জন্য কাঁদতো এমন এক যুগে যখন নীচুশ্রেণীতে জন্মানোটা ব্যক্তিবিশেষের কর্মের অঙ্গ বলে স্বীকার করা ও মেনে নেওয়া হ’ত।সন্ত শ্রী রামানুজাচার্য তাঁর সময়ের সর্বমান্য সংস্কার ভেঙে দিয়েছিলেন। তাঁরচিন্তাভাবনা সেই যুগের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিল।

একাধিক দিক থেকে সন্ত শ্রী রামানুজাচার্য ছিলেন, শতাব্দীপারের সন্ন্যাসী –যিনি এক হাজার বছর আগেই দেখেছিলেন, নিম্ন শ্রেণীর না বলা ও সুপ্ত আকাঙ্খার কথাআগেই জেনে গিয়েছিলেন। সামাজিকভাবে অন্ত্যজ, বেজাত ও দিব্যাঙ্গদের সামিল করারপ্রয়োজন তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, শুধু ধর্মই নয়, সমাজকেও পূর্ণ করে তুলতে।

তাঁর জীবন থেকে এমনই অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। বর্ণাশ্রমকে তুড়ি মেরে তিনিএমনকি নিম্নবর্ণের এক প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিকে নিজের গুরু হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন, যাতখনকার সমাজে ছিল একটি অভাবনীয়, অকল্পনীয় ঘটনা। তিনি আদিবাসীদের সামাজিক সচেতনতাবৃদ্ধির কাজে আত্মনিয়োজিত হয়ে তাঁদের সামাজিক জীবনেও সংস্কারমূলক কাজ করেন।

সেজন্য তৎকালীন সময়ে প্রত্যেক ধর্মের প্রতিটি বর্গের মানুষ শ্রীরামানুজাচার্যের উপস্থিতি ও বাণী থেকে প্রেরণা পেতেন। মেল্কোটের মন্দিরে ভগবানেরআরাধনারতা মুসলিম রাজকন্যা বিবি নচিয়ারের মূর্তি এর প্রমাণ। দেশের খুব কম মানুষহয়তো জানেন, আজ থেকে হাজার বছর আগে সন্ত রামানুজাচার্য মন্দিরে দিল্লির সুলতানেরকন্যা বিবি নচিয়ারের মূর্তি স্থাপন করিয়েছিলেন।

আপনারা কল্পনা করতে পারেন যে এভাবে তৎকালীন সামাজিক প্রেক্ষিতে ধর্মীয়সদ্ভাবের কত বড় বার্তা সন্ত শ্রী রামানুজাচার্য এই কাজের মাধ্যমে দিয়েছিলেন। আজওভক্তরা সমানভাবে বিবি নচিয়ারের মূর্তিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন। আজও সন্তরামানুজাচার্যের বার্তা সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক।

সন্ত শ্রী রামানুজাচার্যের জীবন এবং শিক্ষায় ভারতীয় সমাজের উদার,বহুত্ববাদী এবং সহিষ্ণু স্বরূপ আরও মজবুত হয়েছিল। বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরও তাঁরসম্পর্কে নিজের সাহিত্যপত্র ‘বহিষ্কৃত ভারত’-এর ৩ জুন, ১৯২৭ সংখ্যায় একটিসম্পাদকীয় লিখেছিলেন। আজ থেকে ৯০ বছর আগে লেখা সেই সম্পাদকীয়টি পাঠ করলে সন্ত শ্রীরামানুজাচার্যের প্রেরণাময়ী জীবনের কত কথা মনমন্দিরকে স্পর্শ করে যায়!

বাবাসাহেব লিখেছিলেন, “হিন্দু ধর্মে সাম্যের লক্ষ্যে কেউ যদি গুরুত্বপূর্ণকাজ করে থাকেন, আর তাঁর চিন্তাভাবনাকে বাস্তবে প্রয়োগ করে থাকেন, তিনি বলেন শ্রীরামানুজাচার্য। তিনি কাঞ্চীপূর্ণ নামক একজন অব্রাহ্মণকে নিজের গুরুর স্থানদিয়েছিলেন। গুরুকে ভোজন করানোর পর শ্রী রামানুজাচার্যের শ্রীঘরকে শুদ্ধ করারচেষ্টা করলে তিনি তার বিরোধিতা করেন”।

একজন দলিত গুরুর ভোজনের পর নিজের বাড়িতেই শুদ্ধ করার প্রয়াস তাঁকে দুঃখদেয়, তিনি রেগেও যান। যে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই সেই কুরীতিগুলি আগে নিজেরবাড়ি থেকে দূর করার চেষ্টা করেন। তারপরই তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করে নিজের বাকি জীবনসমাজহিতে সমর্পণ করেন। আমি আবার বলছি, তিনি শুধুমাত্র উপদেশ দিয়েই ক্ষান্ত হননি,নিজের কর্মের মাধ্যমে সেই উপদেশগুলি নিজেও অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন।

তৎকালীন সময়ে নারী ক্ষ্মতায়নের ক্ষেত্রে রামানুজাচার্য কিভাবে কাজকরেছিলেন, তাও বাবাসাহেব তাঁর সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন –“তিরুবল্লীতে এক মহিলার সঙ্গে শাস্ত্র নিয়ে আলোচনার পর তিনি সেই মহিলাকে বলেছিলেনযে, আপনি অনেক বিষয়ে আমার থেকে বেশি জানেন! তারপর সন্ত শ্রী রামানুজাচার্য সেইমহিলাকে দীক্ষা দেন এবং পরবর্তীকালে তাঁর মর্মর মূর্তিও মন্দিরে স্থাপন করেন। তিনিধনুর্দাস নামক এক অস্পৃশ্য ব্যক্তিকেও দীক্ষা দিয়েছিলেন। সেই শিষ্যের সাহায্য নিয়েতিনি নদী থেকে স্নান করে মন্দিরে ফিরতেন”।

বিনম্রতা এবং বিদ্রোহী প্রবৃত্তির অদ্ভূত মিশ্রণ ছিল তাঁর স্বভাবে। সেজন্যবাবাসাহেব সন্ত রামানুজাচার্যের ভাবাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। যাঁরাবাবাসাহেবের লেখাগুলি পড়েছেন, তাঁরা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, তাঁর জীবন ও ভাবনাচিন্তায়সন্ত রামানুজাচার্যের কত প্রভাব ছিল।

আমার মনে হয়, সারা পৃথিবীতে এরকম মহাপুরুষ বিরল যাঁদের জীবন ও ভাবাদর্শ একহাজার বছর ধরে নানা কালখন্ডে মানুষ এমন প্রেরণা নিতে পেরেছেন। সন্ত শ্রীরামানুজাচার্যের ভাবধারায় প্রভাবিত হয়ে গত এক হাজার বছরে বেশ কয়েকটি সামাজিকআন্দোলন গড়ে উঠেছিল। তাঁর সরল বার্তাগুলিই নানা সময়ে দেশের নানাপ্রান্তে ভক্তিআন্দোলনের স্বরূপ নির্ধারণ করে।

মহারাষ্ট্রের ওয়ারকরী সম্প্রদায়, রাজস্থান এবং গুজরাটের বল্লভ সম্প্রদায়,মধ্য ভারত এবং বাংলায় চৈতন্য সম্প্রদায় এবং আসামে শঙ্করদেব তাঁর ভাবধারাকে অসংখ্যমানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।

সন্ত শ্রী রামানুজাচার্যের বাণী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গুজরাটের আদি কবি সন্তনরসী মেহতা বলেছিলেন, ‘বৈষ্ণব জন তো তেনে কহিয়ে, জে পীর পরাই জানে রে’! গরিবের দরদবোঝার এই ভাব সন্ত শ্রী রামানুজাচার্যেরই অবদান।

এই এক হাজার বছর ধরে সন্ত শ্রী রামানুজাচার্যের বাণীগুলি দেশের লক্ষ কোটিমানুষকে সামাজিক সাম্য, সদ্ভাব আর সামাজিক দায়িত্ব পালনের শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে।তিনি কট্টরতা আর পূজোর আচার ব্যবহারে ডুবে থাকেই ধর্ম মনে করাকে অজ্ঞান, কাপুরুশ,অন্ধবিশ্বাস ও যুক্তিহীনতার পথ বলে মনে করেন। সেজন্য যখনই কেউ জাতিভেদ, বৈষম্য আরহিংসার বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ান তিনি গুরুনানক কিম্বা সন্ত কবীরদাসের মতোপ্রাতঃস্মরণীয় মহাপুরুষ হয়ে ওঠেন।

সময়ের কষ্টিপাথরে যা কিছু টেকে না, তা যত প্রাচীনই হোক না কেন, সংস্কারেরমাধ্যমে তাকে সময়োপযোগী করে তোলাই ভারতীয় সংস্কৃতির মূল চরিত্র। সেজন্য যুগে যুগেআমাদের দেশে এহেন মহাপুরুষেরা আবির্ভূত হয়েছেন, যাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থক্ষুন্ন করে, বিষ পান করে নীলকন্ঠ হয়ে উঠে সকল প্রকার ঝুঁকি উঠিয়ে সমাজ সংস্কারেরকাজ করেছেন। তাঁরাই হাজার হাজার বছর পুরনো ব্যবস্থার গ্লানি ও কুসংস্কারগুলি বিনাশকরে পুনর্নবীকৃত করেছেন। তাঁরা সমাজ পরিবর্তনের স্বার্থে ভারতাত্মাকে রক্ষা করা ওতাকে জাগ্রত করার জন্য কাজ করেছেন।

সন্ত শ্রী রামানুজাচার্যের মতো ঋষিদের তপস্যা তাঁদের সৃষ্ট এবং অবিরাম চলতেথাকা সামাজিক জাগরণের পুণ্য প্রবাহের প্রতাপ হ’ল – আমাদের শ্রদ্ধা সর্বদা আমাদেরগৌরবময় ইতিহাসে অবিকৃত থেকেছে আমাদের আচরণ, রীতিরেওয়াজ ও ঐতিহ্যগুলি সময়োপযোগি হয়েউঠেছে। সেজন্য আমাদের সমাজ যুগে যুগে সর্বদাই উর্ধ্বগামী হতে পেরেছে। এই সেইঅমরত্ব, যার দ্বারা আমাদের সংস্কৃতি চিরপুরাতন হয়েও নিত্যনতুন হয়ে থেকেছে। এইপুণ্যাত্মা মহাপুরুষদের অমৃতমন্থনের ফলেই আমরা গর্ব করে বলতে পারি যে, “কুছ বাতহ্যায় কি হস্তী মিটতী নহীঁ হমারী, সদিয়োঁ রাহা হ্যায় দুষ্মন দৌড়ে – জমাঁ হমারা”। বিশ্বেরমানচিত্র বদলে গেছে, বড় বড় দেশ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে কিন্তু আমাদের ভারত,আমাদের হিন্দুস্থান সবার সাথে সবার বিকাশ মন্ত্র সম্বল করে এগিয়ে চলেছে।

আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, সন্ত শ্রী রামানুজাচার্যের জন্ম সহস্রাব্দীবর্ষে অনেক সংস্থা একত্রে তাঁর শিক্ষা এবং বার্তাগুলিকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন।আমি আশা করব যে, এই শিক্ষা এবং বার্তার মাধ্যমে দেশের বর্তমানকে যুক্ত করা সম্ভবহচ্ছে।

আপনারা সকলেই জানেন যে, সন্ত শ্রী রামানুজাচার্য গরিবের চাহিদা পূরণেরসঙ্গে সামাজিক দায়িত্ববোধকে যুক্ত করেছিলেন। উদাহরণ স্বরূপ, তিনি মেলকোটের কাছেথোন্ডানুরে ২০০ একর জায়গা জুড়ে একটি কৃত্রিম সরোবর তৈরি করিয়েছিলেন। এই সরোবরটিমানব কল্যাণে সন্ত শ্রী রামানুজাচার্যের সুকর্মের জীবন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে আজওবিদ্যমান। আজও এই ঝিলটি ৭০টিরও বেশি গ্রামীণ মানুষের পানীয় জল ও সেচের চাহিদামেটায়।

আজ যখন দিকে দিকে জল নিয়ে দুশ্চিন্তা, তখন, “জল সংরক্ষণ কেন প্রয়োজনীয়” এইপ্রশ্নের জবাব হিসেবে টলটল করছে হাজার বছর আগে খনন করা এই সরোবর। এক হাজার বছর ধরেনা জানি কত প্রজন্মের মানুষ এই সরোবরের আশীর্বাদ ধন্য হয়েছেন, সঞ্জীবিত থেকেছেন।এই সরোবর একথা প্রমাণ করে যে, জল সংরক্ষণ নিয়ে আজ আমরা যে প্রস্তুতিই নিই না কেন,তার দ্বারা আগামী হাজার বছর ধরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানুষ উপকৃত হবেন। সেজন্য আজনদী সংস্কার, সরোবর সংস্কার, লক্ষ লক্ষ পুষ্করিণী খনন, বর্তমানের পাশাপাশিভবিষ্যতের প্রস্তুতিরও অংশ।

এই সরোবর সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আমি আপনাদের সকলের প্রতি আবেদন রাখবযে, সন্ত শ্রী রামানুজাচার্যের কর্মপদ্ধতিকে জনমানসে পৌঁছে দেওয়ার সময় জল সংরক্ষণনিয়ে আজ কী কী করা যায়, সে বিষয়েও সাধারণ মানুষকে সক্রিয় করে তুলুন।

এখানে সমবেত বিভিন্ন সংস্থার নেতৃবৃন্দের প্রতি একটি আবেদন রাখতে চাই, ২০২২সালে ভারত যখন স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে পদার্পণ করবে, তারই প্রাক্কালে যেগুলি আমাদেরপেছনে টেনে রেখেছেআমরা সেই দুর্বলতা ও ত্রুটি ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে চলেছি। আপনারাওনিজেদের জন্য পরিমাপযোগ্য ও বাস্তবে অর্জন সম্ভব এমন সব লক্ষ্য স্থির করুন, এইঅনুরোধ করি।

আপনারা লক্ষ্য স্থির করতে পারেন যে, ১০ হাজার গ্রামে পৌঁছবেন, কিংবা ৫০হাজার গ্রামে পৌঁছবেন।

আমার আবেদন সন্ত শ্রী রামানুজাচার্যের রাষ্ট্র ধর্মে চেতনা জাগ্রত করে তোলাবাণীগুলির পাশাপাশি বর্তমান প্রতিস্পর্ধাগুলির কথা মাথায় রেখে মানবকল্যাণ, নারীকল্যাণ ও গরিব কল্যাণের ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষকে সক্রিয় করে তুলুন।

এই শব্দগুলির মাধ্যমে আজ আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। আমি আরেকবার আপনাদেরসকলের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা আমাকে সন্ত শ্রী রামানুজাচার্যের স্মৃতিতেডাকটিকিট প্রকাশ করার সুযোগ দিয়েছেন।

আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
When PM Modi Fulfilled A Special Request From 101-Year-Old IFS Officer’s Kin In Kuwait

Media Coverage

When PM Modi Fulfilled A Special Request From 101-Year-Old IFS Officer’s Kin In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Under Rozgar Mela, PM to distribute more than 71,000 appointment letters to newly appointed recruits
December 22, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will distribute more than 71,000 appointment letters to newly appointed recruits on 23rd December at around 10:30 AM through video conferencing. He will also address the gathering on the occasion.

Rozgar Mela is a step towards fulfilment of the commitment of the Prime Minister to accord highest priority to employment generation. It will provide meaningful opportunities to the youth for their participation in nation building and self empowerment.

Rozgar Mela will be held at 45 locations across the country. The recruitments are taking place for various Ministries and Departments of the Central Government. The new recruits, selected from across the country will be joining various Ministries/Departments including Ministry of Home Affairs, Department of Posts, Department of Higher Education, Ministry of Health and Family Welfare, Department of Financial Services, among others.