মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জন কি,
আগত প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ,
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ,
মাননীয় মিঃ কি-কে ভারতে স্বাগত জানানোর সুযোগপেয়ে আমি আনন্দিত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নিউজিল্যান্ড সংসদ যে এখননিয়মিতভাবে দিওয়ালি উৎসব পালন করে থাকে এই বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। আমিআরও শুনেছি যে ব্যক্তিগতভাবে আপনি নিজেও এই উৎসবের কয়েকটিতে অংশগ্রহণ করেছেন। এইকারণে এই উৎসবের মুহূর্তে আপনাকে ভারতে স্বাগত জানানো নিঃসন্দেহে এক আনন্দের ঘটনা ।
বন্ধুগণ,
প্রধানমন্ত্রী মিঃ কি এবং আমি বহুপাক্ষিক শীর্ষবৈঠকগুলির অবসরে বেশ কয়েকবার আলাপ-আলোচনায় মিলিত হয়েছি। আর আজ মাননীয় মিঃ কি-কেদ্বিপাক্ষিক ভারত সফরে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের দু’দেশের ক্রিকেট দলরাঁচিতে চতুর্থ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশগ্রহণ করতে চলেছে। ক্রিকেটেরপরিভাষা অনেক দিক দিয়েই আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অগ্রগতির প্রতিফলন ঘটিয়েছে।আমাদের এই সম্পর্ক লং অফ-এ ফিল্ডিং থেকে ব্যাট চালানোর পিচে উপস্থিত হয়েছে । আত্মরক্ষামূলক খেলার পরিবর্তে আক্রমণাত্মকব্যাটিং-এর দিকে নজর দিয়েছি আমরা।
বন্ধুগণ,
প্রধানমন্ত্রী মিঃ কি এবং আমি আমাদের দ্বিপাক্ষিকসম্পর্কের সবক’টি বিষয়েই বিস্তারিত ও সফল আলোচনা করেছি। বহুপাক্ষিক সহযোগিতারবিষয়টিও আমাদের নজর এড়িয়ে যায়নি।
আমাদের দু’জনের আলোচনার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণস্থান অধিকার করেছিল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ। বিশ্ব অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তারযথাযথ মোকাবিলায় বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসারের প্রয়োজনের কথা স্বীকার করেছিআমরা। ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং নিরন্তর বাণিজ্য সম্পর্ক যে আমাদেরঅংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি অগ্রাধিকারের বিষয় সেই প্রশ্নেও সহমত প্রকাশ করেছিআমরা। প্রধানমন্ত্রী মিঃ কি-এর সঙ্গে যে এক বিশাল বাণিজ্য প্রতিনিধিদল এখানেউপস্থিত হয়েছেন, তারা সরাসরি প্রত্যক্ষ করবেন ভারতের উন্নয়ন প্রচেষ্টার সূত্রেবিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধাগুলি। তাঁদের মধ্যে আলোচনা ও মতবিনিময়ও নতুননতুন বাণিজ্যিক সমঝোতা গড়ে তুলবে আমাদের এই দুটি দেশের মধ্যে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ,কৃষি ও দুগ্ধোৎপাদন এবং সেগুলির সরবরাহ ব্যবস্থা যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা প্রসারেরক্ষেত্রে বিশেষ সম্ভাবনাময় সে কথা উল্লেখ করব আমি। এই ক্ষেত্রগুলিতেনিউজিল্যান্ডের দক্ষতা ও ক্ষমতা ভারতের বিশাল প্রযুক্তির সম্ভাবনার সঙ্গে যুক্তহয়ে এমন এক অংশীদারিত্বের জোটবন্ধন গড়ে তুলতে পারে যাতে উপকৃত হবে আমাদের দুটিদেশই।
আমাদের দু’দেশের সরকারের কাজকর্ম যে বাণিজ্যিকযোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তুলতে পারে সে বিষয়েও সহমত হয়েছি আমরা। এর মধ্যেরয়েছে দু’দেশ ও সমাজের মধ্যে দক্ষ পেশাদার কর্মী বিনিময়। এই প্রসঙ্গে দু’দেশেরপক্ষে কল্যাণকর এবং ভারসাম্যরক্ষাকারী এক সুসংবদ্ধ অর্থনৈতিক চুক্তির দ্রুতসম্পাদনের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যাওয়ার বিষয়টিতেও সম্মত হয়েছি আমরা।
বন্ধুগণ,
দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা প্রসারের পাশাপাশিআন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রসারিত রয়েছে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক।আঞ্চলিক বিষয়গুলির প্রশ্নে পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের প্রক্রিয়া সহ বিভিন্নক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রসারে সম্মত হয়েছি আমরা। আন্তর্জাতিক পরিচালন ও প্রশাসনসংক্রান্ত সংস্থাগুলির সংস্কার আমাদের দুটি দেশের কাছেই এক অগ্রাধিকারের বিষয়।সংস্কার পরবর্তীকালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদে ভারতেরআবেদনকে সমর্থন করায় নিউজিল্যান্ডের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলির উন্নয়ন প্রচেষ্টায় আমাদের অবদানের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেআন্তরিকভাবে আমরা শলাপরামর্শ চালিয়ে যাব কিভাবে পারস্পরিক প্রচেষ্টায় আমরা একেঅপরের পরিপূরক বা সম্পূরকের ভূমিকা পালন করতে পারি।
পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীর সদস্যপদে ভারতের আবেদনবিবেচনার লক্ষ্যে যে গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে নিউজিল্যান্ড, সেজন্য আমিধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রী মিঃ কি-কে।
বন্ধুগণ,
সন্ত্রাসবাদ এখনও রয়েছে বিশ্ব শান্তি ওনিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জরূপে। সন্ত্রাসের আর্থিক, সার্বিক তথাতথ্য সংক্রান্ত নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি এখন সমগ্র বিশ্ব জুড়ে। ভৌগোলিক দিক থেকেজঙ্গি হানা ও সন্ত্রাসবাদের কবল থেকে মুক্ত নেই বিশ্বের কোন অঞ্চলই। এই হুমকিরমোকাবিলায় মানবতায় বিশ্বাসী সমস্ত জাতিরই উচিত তাদের নীতি ও কর্মপ্রচেষ্টাকেসমন্বয়ের সঙ্গে যুক্ত করা।
সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের মোকাবিলায় সাইবার নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় সহযোগিতাকে আরওজোরদার করে তুলতে সম্মত হয়েছি আমি এবং প্রধানমন্ত্রী মিঃ কি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
নিউজিল্যান্ডের অধিবাসীরা আপনার নেতৃত্বের ওপর বারংবারকেন আস্থা ও আত্মবিশ্বাস স্থাপন করেছেন তার পরিচয়ও পেয়েছি আমি।
আমাদের দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও এগিয়েনিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এবং এই দুটি দেশ ও তার জনগণের মধ্যে মৈত্রী বন্ধনকে সুদৃঢ় করেতুলতে আপনার ব্যক্তিগত অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
আমি আরও একবার সাদর সম্ভাষণ জানাই আপনাকে এবংআপনার প্রতিনিধিদলকে। আপনাদের ভারত সফর সফল ও ফলপ্রসূ হয়ে উঠুক এই কামনা জানাই।
ধন্যবাদ।
আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Prime Minister Key & I have had detailed & productive discussions on all aspects of our bilateral engagement & multilateral cooperation: PM
— PMO India (@PMOIndia) October 26, 2016
We both recognized need for greater economic engagement in order to effectively respond to the growing uncertainties in global economy: PM
— PMO India (@PMOIndia) October 26, 2016
Food processing, dairy & agriculture & related areas in their supply chain are some of the areas of particular potential for cooperation: PM
— PMO India (@PMOIndia) October 26, 2016
PM @narendramodi: We have agreed to continue to work closely towards an early conclusion of a balanced and mutually beneficial CECA pic.twitter.com/ngsCg7KOk5
— Vikas Swarup (@MEAIndia) October 26, 2016
PM Key & I agreed to strengthen security & intelligence cooperation against terror & radicalization including in cyber security: PM
— PMO India (@PMOIndia) October 26, 2016
PM @narendramodi: We are thankful for New Zealand’s support to India joining a reformed UN Security Council as a permanent member
— Vikas Swarup (@MEAIndia) October 26, 2016