জাপানেরপ্রধানমন্ত্রী মাননীয় মিঃ শিনজো আবে;
জাপানথেকে আগত মাননীয় মন্ত্রী এবং বরিষ্ঠ প্রতিনিধিবৃন্দ;
গুজরাটেরমুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানি;
গুজরাটেরউপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিন প্যাটেল;
দুইদেশের বাণিজ্যিক নেতৃবৃন্দ;
ভদ্রমহিলাও ভদ্রমহোদয়গণ!
ভারতও জাপানের বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সঙ্গে আজ এখানে এইভাবে মিলিত হতে পেরে আমি ভীষণভাবেআনন্দিত এই কারণে যে আমাদের সঙ্গে আজ এখানে উপস্থিত রয়েছেন এক বিশেষ বন্ধু মিঃশিনজো আবে। তিনি শুধু ভারত বা গুজরাটের বন্ধুমাত্র নন, ব্যক্তিগতভাবে আমারও একবিশেষ বন্ধু। এই বিশেষ বন্ধু এবং মহান নেতার সম্মানে আসুন আমরা সকলে করতালি দিয়েতাঁকে অভিনন্দন জানাই। জাপানের নেতৃত্ব, সরকার, শিল্প গোষ্ঠী এবং জনসাধারণের সঙ্গেআমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক এক দশকেরও বেশি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি যখনপ্রথম জাপান সফরে গিয়েছিলাম, তখন আমি মন্তব্য করেছিলাম যে গুজরাটের মধ্যেও এক মিনিজাপানকে দেখতে আমি আগ্রহী। আমার সেই স্বপ্ন আজ সফল হয়েছে। আমি খুবই আনন্দ অনুভবকরি যখন দেখি জাপানের বন্ধুরা গুজরাটে আনন্দের সঙ্গে বসবাস করে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যেরকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।বহু পরিচিত মুখ আজ আমি এখানে দেখতে পাচ্ছি যা আমার এক বিশেষখুশির কারণ। আমি আনন্দের সঙ্গেই লক্ষ্য করছি যে জাপানিদের জন্য এখানে নির্দিষ্টউপ-নগরী স্থাপনের পাশাপাশি, অনেক ঘর-বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে।তাঁরা যাতে জীবনকেভালোভাবে উপভোগ করতে পারেন এবং কাজকর্মের সুবাদে উন্নততর অভিজ্ঞতা অর্জন করতেপারেন, সেই লক্ষ্যেই এই সমস্ত গড়ে তোলা হয়েছে। আজও আরেকটি জাপানি উপ-নগরী স্থাপনেরকথা আমরা ঘোষণা করেছি। ‘প্রাণবন্ত গুজরাট’ অনুষ্ঠানে প্রথম অংশীদার দেশ হিসেবে যোগদিয়েছিল জাপান। গুজরাটের সরকার এবং শিল্প জগতের কাছে এই ঘটনার স্মৃতি আজও অমলিন।অংশীদারিত্বের এই ধারা যে শুধুমাত্র নিরন্তর রয়ে গেছে তাই নয়, আমাদের যুক্তকর্মপ্রচেষ্টাও উত্তরোত্তর প্রসার লাভ করেছে। এরই পথ ধরে ভারতীয় অর্থনীতিতে জাপানেরকর্মপ্রচেষ্টা আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ লাভ করেছে। এই প্রচেষ্টা ও প্রক্রিয়ায়নানাভাবে সহায়তা করার জন্য কিডানরেন, জেট্রো এবং অন্যান্য সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকেআমি ধন্যবাদ জানাই। জাপান প্লাস-এর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া আরও জোরদার হয়ে উঠেছে।
বন্ধুগণ!
জাপানেরসরকার এবং জনসাধারণ আমাকে এবং আমার দেশকেবরাবরই ভালোবাসার চোখে দেখে এসেছে। সত্যিকথা বলতে কি, ১২৫ কোটি ভারতবাসীওজাপানের জনসাধারণের প্রতি একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণকরে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে উৎসাহ ও সমর্থনযুগিয়ে যাওয়ার জন্য আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞপ্রধানমন্ত্রী আবে-র কাছে। প্রধানমন্ত্রী আবে এবং আমি আলাপ-আলোচনায় মিলিত হওয়ারকোন সুযোগকেই হাতছাড়া করি না। আমাদের মধ্যে এই ঘনিষ্ঠতা এবং সমঝোতার সম্পর্কই দ্বিপাক্ষিকসম্পর্কের বহু ক্ষেত্রে সেতুবন্ধনের কাজ করেছে।গত বছরআমরাসরকারি উন্নয়ন খাতে জাপানথেকে যে পরিমাণ আর্থিক সহায়তা লাভ করেছি তা ছিলএকটিমাত্র অর্থ বছরের নিরিখেসর্বোচ্চপরিমাণ। একইভাবে, গত কয়েক বছর ধরে ভারতে জাপানি সংস্থাগুলির সংখ্যাওউত্তরোত্তরভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। আজ এখানে যে কর্মপ্রচেষ্টাগুলির সূচনা হল, তাথেকেই দু’দেশের সম্পর্কের গভীরতাকে আপনারা উপলব্ধি করতে পারবেন।
§ প্রথমেই আমি উল্লেখকরব মুম্বাই-আমেদাবাদ উচ্চগতির রেল প্রকল্পের কথা।
§ এই প্রকল্পটিতেজাপান সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
§ ৫০০ কিলোমিটারদীর্ঘ বুলেট ট্রেনের রেলপথ নির্মাণের কাজ অচিরেই শুরু হবে বলে আমি আশা করি। আগামী২০২২-২৩ সালের মধ্যে তা চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
§ উচ্চগতির রেলপ্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গে গড়ে উঠছে একটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানও।
§ এর সাহায্যে গড়েতোলা হবে নতুন ভারতের রূপকারদের। কারণ, উচ্চগতির রেল প্রকল্পের নির্মাণ, চলাচল এবংরক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজন উচ্চতর দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ।
§ দ্বিতীয় যে প্রকল্পটিরকথা উল্লেখ করতে হয় তা হল, জাপানি শিল্প উপ-নগরী স্থাপন। এজন্য সারা দেশে চিহ্নিতকরা হয়েছে চারটি অঞ্চলকে। গুজরাট ছাড়াও অন্যান্য অঞ্চলগুলির অবস্থান হল, রাজস্থান,অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুতে।
§ আমাদের তৃতীয়কর্মসূচিটি হল স্বয়ংক্রিয় যান উৎপাদনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা।
মন্ডলেঅবস্থিত সুজুকি প্রকল্প থেকে গাড়ি রপ্তানি করা হয় সারা বিশ্বেই। লিথিয়াম-আয়নব্যাটারি উৎপাদনের জন্য শিলান্যাস অনুষ্ঠানও সম্পন্ন হয়েছে যা পরবর্তী প্রজন্মেরবিদ্যুতচালিত যানবাহনগুলির সঙ্গে যুক্ত হবে।
§ আমাদের চতুর্থকর্মসূচিটি হল, জাপান-ভারত নির্মাণ সংস্থার মাধ্যমে মানবসম্পদের বিকাশ। এই কাজেরদায়িত্বে রয়েছে জাপানের শিল্প সংস্থাগুলি। গুজরাট ছাড়াও, কর্ণাটক, রাজস্থান এবংতামিলনাড়ুতে এই কর্মসূচি রূপায়িত হবে।
§ আপনারা সকলেই জানেনযে বারাণসী হল একটি প্রাচীন এবং পবিত্র নগরী যা হল আমার দ্বিতীয় নিজভূমি।
বারাণসীসম্মেলন কেন্দ্রটি হল জাপানের কিয়োটো শহর এবং ভারতের বারাণসীরমধ্যে সাংস্কৃতিকসহযোগিতার এক বিশেষ প্রতীক। ২০১৫ সালে যখন আমরা একত্রে বারাণসী সফরে গিয়েছিলাম,তখনই আমি এবং প্রধানমন্ত্রী আবে এই প্রকল্পটির কথা চিন্তা করেছিলাম। আমি এর নামদিয়েছি ‘রুদ্রাক্ষ’ যা শুধুমাত্র ভালোবাসারই প্রতীক নয়, একইসঙ্গে তা মানবতার প্রতিশিব দেবতার এক প্রসাদ বিশেষও। তাই, ‘রুদ্রাক্ষ’ হয়ে উঠবে বারাণসীর প্রতি জাপানেরএক প্রেমের মাল্যোপহার। আবার একইসঙ্গে তা হবে সারনাথে আমাদের মিলিত বৌদ্ধ ঐতিহ্যেরপ্রতি এক বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য। এই প্রকল্পটিতে জাপানের আর্থিক সহায়তাদানের জন্য আমিব্যক্তিগতভাবে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাব প্রধানমন্ত্রী আবে-কে। জাপানি সংস্থাগুলিরবিনিয়োগ সম্পর্কিত অন্যান্য ঘোষণার কথাও আপনারা শুনে থাকবেন। রাজনৈতিক তথা কৌশলগতদিক থেকেও প্রধানমন্ত্রী আবে-র এই সফর খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েচুক্তি সম্পাদনের কাজও আমরা সম্পূর্ণ করেছি। আমাদের এই দুটি দেশের মধ্যে বোঝাপড়ারগভীরতা কতখানি এবং পরস্পরের প্রতি আমরা যে কতটা স্বচ্ছ্ন্দ এবং আস্থাশীল এ সমস্তঘটনা তারই প্রমাণ।
বন্ধুগণ!
গততিন বছরে বাণিজ্যিক কাজকর্ম সহজতর করে তোলার লক্ষ্যেআমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। বেশকিছু প্রশাসনিক সংস্কারের পথ ধরে দেশের বাণিজ্যিক আবেগ ও আগ্রহ তাৎপর্যপূর্ণভাবেবৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতকে একুশ শতকে উত্তরণের উপযোগী করে গড়ে তোলাই হল এই সংস্কারকর্মসূচির উদ্দেশ্য। আমাদের দেশের রয়েছে এক অনবদ্য যুবশক্তি। এর সাহায্যে বিশ্বেরএকটি বিশেষ উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে আমরা তুলে ধরতে চলেছি ভারতকে। এই লক্ষ্যে ‘মেকইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিরও আমরা সূচনা করেছি। ভারতকে জ্ঞান-নির্ভর, দক্ষ এবংপ্রযুক্তিচালিত এক সমাজ ব্যবস্থা রূপে গড়ে তোলার কাজেও আমরা বিশেষভাবে সচেষ্ট।‘ডিজিটাল ভারত’ এবং ‘দক্ষ ভারত’-এর মতো কর্মসূচিগুলির মাধ্যমে এর শুভ সূচনাওহয়েছে। ঐ একই লক্ষ্যে আমরা সূচনা করেছি ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’ অভিযানটির। স্টার্টআপ-এর উপযোগী পরিবেশের দিক থেকে বিশ্বেভারতের অবস্থান এখন তৃতীয়। গত কয়েক বছরেকয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উত্থান আমরা এই বিষয়টিতে লক্ষ্য করেছি। ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’কর্মসূচির আরেকটি উদ্দেশ্য হল দেশে উদ্ভাবনের উপযোগী এক বলিষ্ঠ এবং অনুকূল পরিবেশনিশ্চিত করা। পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও বহু উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলকউদ্যোগ গ্রহণ করেছে আমারসরকার। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সুযোগ-সুবিধা প্রসারিত হবেবিনিয়োগকারীদের জন্য। এর মধ্যে রয়েছে ১০০টি স্মার্ট নগরী গড়েতোলার কর্মসূচি, ৫ কোটি নিরাশ্রয় পরিবারের জন্য বাসগৃহ গড়ে তোলা, সড়ক নির্মাণ,সেতু ও বন্দর নির্মাণ এবং রেলপথ ও রেল স্টেশন গড়ে তোলা।
বন্ধুগণ!
ভারতে যে বিশাল সুযোগ ও সম্ভাবনা এবং দক্ষশ্রমশক্তি রয়েছে তা থেকে বিশেষভাবে উপকৃত হবে জাপানও। ভারতের উন্নয়নমূলককর্মসূচিগুলি হল প্রকৃতপক্ষে জাপানি শিল্প সংস্থাগুলির পক্ষে খুবই প্রাসঙ্গিক।প্রযুক্তি ও মূলধনকে স্বাগত জানানোর লক্ষ্যেদেশের অর্থনীতিকে উন্মুক্ত করে তুলতেআমরাকঠোর পরিশ্রম করেছি। প্রায় প্রত্যেকটি দিনই আমরা বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যিক কাজকর্মের ক্ষেত্রেনানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটিয়ে চলেছি। বিভিন্ন সংস্থা এবং তাদের বাণিজ্যিককর্মপ্রচেষ্টার ক্ষেত্রে নীতি সংক্রান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত যে সমস্ত সমস্যাছিল আমরা সেগুলিরও উপযুক্ত সমাধান করেছি। আমাদের এই ধরনের প্রচেষ্টার সুফলও আমরালাভ করেছি। সাম্প্রতিককালে যে সমস্ত ক্ষেত্রে ভারত এক বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করেছে, তারকয়েকটির তালিকাও আমি এখানে তুলে ধরে আগ্রহী : বাণিজ্যিক কাজকর্ম সহজতর করে তোলার নিরিখে বিশ্বব্যাঙ্কের সূচক অনুযায়ীভারত এখন এক বিশেষ স্থানের অধিকারী। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের আন্তর্জাতিকপ্রতিযোগিতামুখিনতার সূচক অনুযায়ী, গত দু’বছরে আমরা অতিক্রম করে এসেছি ৩২টি স্থানযা কিনা অন্য যে কোন দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্ব মেধাসম্পদ প্রতিষ্ঠানডব্ল্যুআইপিও-র বিশ্ব উদ্ভাবন সূচক অনুযায়ী আমরা গত দু’বছরে অতিক্রম করেছি ২১টিস্থান। বিশ্বব্যাঙ্কের ২০১৬-র সার্বিক কর্মপ্রচেষ্টার সূচক অনুযায়ী আমরা পেরিয়েএসেছি ১৯টি স্থান। রাষ্ট্রসঙ্ঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন আঙ্কটাড-এর তালিকাঅনুযায়ী প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বের ১০টি শীর্ষ কেন্দ্রের মধ্যেভারতের স্থান এখন তৃতীয়। ভারতের বৃহত্তম কর সংস্কার কর্মসূচি জিএসটি-র সূচনা হয়েছেঅতি সম্প্রতি। আর এর সঙ্গেই আমরা প্রবেশ করতে চলেছি কর সংস্কার প্রচেষ্টার একআধুনিক যুগে। এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র যে স্বচ্ছতর তাই নয়, একইসঙ্গে তা স্থিতিশীলএবং সহজেই অনুমানযোগ্য। বিশ্বের উদার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতির দেশগুলিরমধ্যে অন্যতম হল ভারত। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত অনুমোদনের ৯০ শতাংশপ্রক্রিয়াই এখন সম্ভব করে তোলা হয়েছে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায়। অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছেবিদেশি বিনিয়োগ বিকাশ পর্ষদেরও। আমাদের এই সমস্ত উদার নীতি গ্রহণের ফলেগত আর্থিকবছরে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের মাত্রা উন্নীত হয়েছে ৬০ বিলিয়ন মার্কিনডলারে। জাপান থেকে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ গত তিন বছরে বৃদ্ধি পেয়েছেপ্রায় তিনগুণ। নতুন দেউলিয়া এবং ঋণ খেলাপি বিধির মাধ্যমে বিনিয়োগের পথ থেকে সরেযাওয়ার পথকেও সুগম করে তোলা হয়েছে বিনিয়োগকারীদের জন্য। বাণিজ্যিক বিষয়গুলির দ্রুতফয়সালায় আমরা স্থাপন করেছি বাণিজ্যিক আদালত এবং বাণিজ্যিক বিভাগ। মধ্যস্থতা আইনসংশোধনের ফলে মধ্যস্থতার কাজকর্ম এখন দ্রুততর হয়ে উঠবে। আমরা ঘোষণা করেছি এক নতুনমেধাসম্পদ অধিকার নীতিরও। আমরা কোন পথে এগিয়ে চলেছি তা ব্যাখ্যা করার জন্য এগুলিহল কয়েকটি উদাহরণ মাত্র। আমরা এইভাবেই এগিয়ে যাব আরও অনেক অনেক কাজ নিয়ে। কারণ,আমাদের লক্ষ্য হল দ্রুততার সঙ্গে উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে সম্ভব করে তোলা।
বন্ধুগণ!
ভারত ও জাপান হল শুধুমাত্র প্রাচীন সভ্যতামাত্রনয়, একইসঙ্গে উজ্জ্বল ও প্রাণচঞ্চল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও। প্রগতি ও সমৃদ্ধির সুফলকিভাবে সাধারণ মানুষের কাছে আরও ভালোভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়, সে সম্পর্কে সম্যকজ্ঞান ও ধারণা রয়েছে আমাদের দুটি দেশেরই। ভারতের প্রয়োজন এমন কিছু সুলভ সমাধান ওপ্রক্রিয়া যা সরকারের নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজকে সহজতর করে তুলতে পারে।আবার জাপানের প্রয়োজন এমন কিছু সুযোগ-সুবিধা যাতে শ্রমার্জিত জ্ঞান ও প্রযুক্তিরপ্রয়োগ সম্ভব হয়ে ওঠে। একুশের শতক যে এশিয়ারই শতক, একথা আমি বারবার উচ্চারণ করেএসেছি। এশিয়ার এই নতুন অভ্যুদয়ে ভারত ও জাপান যে এক প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারেএকথাও আমি বলে এসেছি। কৌশলগত এবং অর্থনীতির দিক থেকে তাৎপর্যময় বিষয়গুলিতে ভারত ওজাপানের যুক্ত প্রচেষ্টা বিশ্ব অর্থনীতিকে আরও গতিময় করে তুলতে পারে। এশিয়া তথাসমগ্র বিশ্বের পক্ষে এক শক্তিশালী ভারত এবং বলিষ্ঠ জাপান যে স্থিতিশীল ব্যবস্থারসূচক হয়ে উঠবে, এ সম্পর্কে আমি দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী। আমাদের এই পারস্পরিক তথা বিশ্বপ্রচেষ্টায় আমাদের যোগ্য অংশীদার হয়ে ওঠার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীআবে এবং জাপানকে। আমাদের মৈত্রী এবং পারস্পরিক আস্থার শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আমিআমন্ত্রণ জানাই আরও বেশি সংখ্যক জাপানি নাগরিক এবং শিল্প সংস্থাকে এ দেশে থেকে বাণিজ্যিকপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে। আপনাদের এই প্রচেষ্টা সফল হয়ে উঠুক, এইপ্রার্থনা জানাই। প্রয়োজনে যে কোন ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস রইল আমার পক্ষথেকে।
ধন্যবাদ! আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।
When I first visited Japan as CM of Gujarat, I had said that I want to see a mini Japan in Gujarat. Today that dream has come true: PM Modi
— PMO India (@PMOIndia) September 14, 2017
Gujarat’s Industry and Government still cherish the fact that Japan became the first partner country in Vibrant Gujarat event: PM Modi
— PMO India (@PMOIndia) September 14, 2017
4 locations have been finalized for development of Japanese Industrial Townships in Gujarat, Rajasthan, Andhra Pradesh & Tamil Nadu: PM
— PMO India (@PMOIndia) September 14, 2017
As another novel initiative, the foundation has been laid for production of Lithium batteries for electric mobility: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) September 14, 2017
A series of administrative reforms have significantly improved the business sentiment in the country: PM Modi
— PMO India (@PMOIndia) September 14, 2017
Japan can benefit tremendously with the size and scale of our potential & skilled hands that India offers: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) September 14, 2017
Japan can benefit tremendously with the size and scale of our potential & skilled hands that India offers: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) September 14, 2017
The growing convergence between Japan and India on strategic and economic issues has capacity to stimulate the global economy: PM Modi
— PMO India (@PMOIndia) September 14, 2017
With the strength of our friendship & trust, I invite more and more Japanese people and companies to come, live and work in India: PM Modi
— PMO India (@PMOIndia) September 14, 2017