Metro will further strengthen the connectivity in Ahmedabad and Surat - what are two major business centres of the country: PM Modi
Rapid expansion of metro network in India in recent years shows the gulf between the work done by our government and the previous ones: PM Modi
Before 2014, only 225 km of metro line were operational while over 450 km became operational in the last six years: PM Modi

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমেদাবাদ মেট্রো রেল প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় এবং সুরাট মেট্রো রেল প্রকল্পের ভূমিপুজো করেছেন। এই অনুষ্ঠানে গুজরাটের রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন ও আবাসন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আমেদাবাদ এবং সুরাট শহরের নাগরিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্রে মেট্রো পরিষেবার মাধ্যমে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। তিনি কেভাডিয়ার জন্য নতুন ট্রেন ও রেল লাইন চালু হওয়ায় গুজরাটের জনসাধারণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর মধ্যে আমেদাবাদ থেকে কেভাডিয়া পর্যন্ত অত্যাধুনিক জনশতাব্দী এক্সপ্রেস রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন আজ ১৭ হাজার কোটি টাকার পরিকাঠামো প্রকল্পের কাজ শুরু হল। এর মধ্য দিয়ে এটি প্রতিফলিত যে কোভিডের সময়েও পরিকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং তা গতি পেয়েছে। সম্প্রতি হাজার হাজার কোটি টাকার পরিকাঠামোগত প্রকল্পগুলির কাজ শেষ হয়েছে, নয়তো কাজ চলছে।

আত্মনির্ভরতার জন্য আমেদাবাদ এবং সুরাট শহরের অবদানের কথা উল্লেখ করে আমেদাবাদে যখন মেট্রো রেল চালু হয়েছিল সেই সময়ের উৎসাহ উদ্দীপনার কথা প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেছেন। কিভাবে আমেদাবাদ তার স্বপ্ন পূরণ করেছে এবং মেট্রো পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী সেকথাও জানিয়েছেন। আমেদাবাদের দ্বিতীয় পর্বের মেট্রো প্রকল্প শহরের নতুন নতুন এলাকার সঙ্গে যুক্ত হবে। মানুষ এর থেকে উপকৃত হবেন, কারণ আরামপ্রদ গণ-পরিবহণের সুযোগ তারা বেশি করে পাবেন। একইভাবে সুরাট শহরও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা পাবে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের সঙ্গে পূর্বতন সরকারের মানসিকতার পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের কথা জানিয়েছেন। ২০১৪ সালের আগে ১০-১২ বছরে দেশে মাত্র ২০০ কিলোমিটার পথে মেট্রো রেল চলাচল করতো। গত ৬ বছরে এই পরিমাণ ৪০০ কিলোমিটারে পৌঁছেছে। সরকার ২৭টি শহরে মোট ১ হাজার কিলোমিটার মেট্রো লাইনের কাজ করছে। এর আগে সুসংহত আধুনিক চিন্তাধারার অভাবের বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মেট্রো নিয়ে তখন কোনও জাতীয় নীতি ছিলনা। তার ফলে বিভিন্ন শহরে মেট্রো পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি এবং ব্যবস্থাপনায় কোনও মিল ছিলনা। আর একটি বড় সমস্যা ছিল ওই শহরগুলির ভিন্ন পরিবহণ ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল। আজ এইসব শহরে সুসংহতভাবে পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে; যেখানে মেট্রো পরিষেবা আলাদাভাবে নয়, অন্যান্য পরিবহণের সঙ্গেই সক্রিয় রয়েছে। সম্প্রতি ন্যাশনাল কমন মোবিলিটি কার্ডের সূচনা করা হয়েছে౼ যার মাধ্যমে এই সমন্বয় আরও বৃদ্ধি পাবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।

সুরাট এবং গান্ধীনগরের উদাহরণ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেছেন, ভবিষ্যতের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকার এখানে নগরায়ণের কাজ সক্রিয়ভাবে করছে। একটা সময় সুরাট প্লেগের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হত- উন্নয়নের জন্য নয়। সরকার শিল্পোদ্যোগের উৎসাহকে এখন কাজে লাগিয়েছে। আর তাই আজ এই শহর জনসংখ্যার নিরিখে ভারতের অষ্টম বৃহত্তম শহর এবং বিশ্বে চতুর্থ দ্রুত বিকাশশীল শহর। ১০টি হীরে কাটা হলে তার মধ্যে ৯-টিই সুরাটে কেটে পালিশ করা হয়। একইভাবে দেশের ৪০ শতাংশ হস্তচালিত বস্ত্র বয়ন শিল্পের কাজ সুরাটেই হয় এবং ৩০ শতাংশ হাতে তৈরি সুতোও এখানেই উৎপাদিত হয়। প্রধানমন্ত্রী দরিদ্রদের জন্য আবাসন, যানজটের ব্যবস্থাপনা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং হাসপাতালের পরিকাঠামো বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বলেছেন এগুলির মধ্যে দিয়ে শহরের জীবনযাত্রা সহজ হবে। উন্নত পরিকল্পনা এবং সর্বাঙ্গীন ভাবনার কারণে এগুলি সম্ভব হয়েছে, আর সুরাট ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতে’র আদর্শ উদাহরণ হয়ে উঠেছে౼ কারণ সুরাট দেশের সব অংশের শিল্পোদ্যোগী ও শ্রমিকদের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

একইভাবে প্রধানমন্ত্রী গান্ধীনগরের কথা উল্লেখ করেন। এক সময়ের সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের শহরের তকমা সরিয়ে আজ এই শহর তরুণ প্রাণবন্ত শহরে পরিণত হয়েছে। আইআইটি, ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, এনআইএফটি, ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, পন্ডিত দীনদয়াল পেট্রোলিয়াম ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টিচার এডুকেশন, ধীরুভাই আম্বানী ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ডিজাইন, রক্ষা শক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলি এই শহরে গড়ে উঠেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলি শুধু এই শহরের শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তনই আনেনি, বড় বড় সংস্থাগুলি এখানে আরও সংস্থাকে নিয়ে এসেছে। যার ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে।

শ্রী মোদী মহাত্মা মন্দিরের কথা উল্লেখ করেছেন, যেটি সম্মেলন পর্যটনের প্রসার ঘটাবে। অত্যাধুনিক রেল স্টেশন, গিফ্ট সিটি, সবরমতী নদী তীরের সৌন্দর্য্যায়ন, কাকারিয়া হ্রদের সৌন্দর্য্যায়ন, দ্রুত পরিবহণের জন্য ওয়াটার অ্যারোড্রাম, মোতেরায় বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়াম এবং ৬ লেনের গান্ধীনগর মহাসড়কের মতো প্রকল্পগুলি আমেদাবাদের পরিচিতির নিদর্শন হয়ে উঠছে। এই শহর তার পুরনো বৈশিষ্টগুলি বজায় রেখে আধুনিক হয়ে উঠছে।

শ্রী মোদী আমেদাবাদকে বিশ্ব ঐতিহ্যশালী শহরের তকমা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ধোলেরায় নতুন বিমান বন্দর তৈরি করা হবে। এই বিমান বন্দরের সঙ্গে আমেদাবাদ শহরকে যুক্ত করার জন্য মনো রেল প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। আমেদাবাদ এবং সুরাটের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বাইকে যুক্ত করার জন্য বুলেট ট্রেন চালানোর কাজ চলছে।

প্রধানমন্ত্রী গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেছেন। গত ২ দশকে গুজরাটে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ সহজে পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আদিবাসীদের গ্রামগুলিতেও ভালো রাস্তা বানানো হয়েছে। আজ জল জীবন মিশনের আওতায় এই রাজ্যে ৮০ শতাংশ বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়া গেছে। ১০ লক্ষ জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই গুজরাটের প্রতিটি বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হবে।

সর্দার সরোবর সৌনি প্রকল্পের আওতায় সেচের কাজে গতি এসেছে। শুখা অঞ্চলে সেচের জল গ্রীডের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। নর্মদার জল কচ্ছে পৌঁছেছে। সেখানে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের কাজ হয়েছে। গুজরাটে বিদ্যুৎ আর একটি সফল উদ্যোগ। সৌরশক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে রাজ্য প্রথম সারিতে রয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বের বৃহত্তম সৌরশক্তি উৎপাদন কেন্দ্র কচ্ছতে গড়ে তোলার জন্য কাজ চলছে। সর্বোদয় যোজনায় সেচের কাজে আলাদা বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্যে গুজরাট দেশের মধ্যে প্রথম পৃথক ব্যবস্থা নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যে ২১ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। ৫০০টি জনৌষধি কেন্দ্রের সাহায্যে স্থানীয় মানুষ ১০০ কোটি টাকা বাঁচাতে পেরেছেন। পিএম আবাস-গ্রামীণের আওতায় ২.৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত মিশনে রাজ্যে ৩৫ লক্ষ শৌচাগার নির্মিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং সেগুলি দ্রুত বাস্তবায়িত করছে। ভারত বৃহৎ প্রকল্পের পরিকল্পনাই করছেনা সেগুলি সুন্দরভাবে সম্পাদনা করছে। বিশ্বের উচ্চতম মূর্তি, বিশ্বে বৃহত্তম ব্যয় সাশ্রয়ী আবাসন প্রকল্প, স্বাস্থ্য পরিষেবা, ৬ লক্ষ গ্রামে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া এবং সম্প্রতি পৃথিবীর বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচির মতো বিভিন্ন বিষয়ের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন।

শ্রী মোদী, হাজিরা এবং ঘোঘার মধ্যে রো-প্যাক্স ফেরি পরিষেবা এবং গিরনারে রোপওয়ে প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলির মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। ঘোঘা এবং হাজিরার মধ্যে দূরত্ব ফেরি পরিষেবার কারণে ৩৭৫ কিলোমিটার থেকে কমে হয়েছে ৯০ কিলোমিটার। এই প্রকল্পগুলি জ্বালানী এবং সময় দুয়েরই সাশ্রয় করছে। গত ২ মাসে ৫০ হাজার মানুষ এবং ১৪ হাজার যানবাহন এই ফেরি পরিষেবা ব্যবহার করেছে। এর ফলে এই অঞ্চলের কৃষিকাজ এবং পশুপালনের ক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে। একইভাবে গত আড়াই মাসে ২ লক্ষ মানুষ গিরনার রোপওয়ে ব্যবহার করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুন ভারতের লক্ষ্য হল মানুষের চাহিদা এবং উচ্চাকাঙ্খা উপলব্ধি করে দ্রুত কাজ শেষ করা। এই প্রসঙ্গে তিনি ‘প্রগতি’ ব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করেছেন। দেশে বিভিন্ন কাজ দ্রুত করার ক্ষেত্রে প্রগতি নতুন গতির সঞ্চার করেছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রগতির বৈঠকে পৌরহিত্য করেন। বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা হয়। গত ৫ বছরে ১৩ লক্ষ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের পর্যালোচনা করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।

সুরাটের মতো শহরগুলিতে নতুন উদ্যোগ সঞ্চারের জন্য দীর্ঘদিনের বকেয়া প্রকল্পগুলি শেষ করার বিষয়ে উদ্ভুত সমস্যার সমাধানের ওপর তিনি জোর দিয়েছেন। অতিক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ (এমএসএমই)সহ আমাদের শিল্পসংস্থাগুলি এখন আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে। তারা যখন আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতায় নামবে তখন উন্নত পরিকাঠামোর সহায়তা পাবে সেই বিশ্বাস তাদের এসেছে। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন ছোট ছোট শিল্পগুলিকে সাহায্যের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংকটের থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তাদের হাজার হাজার কোটি টাকার সহজে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমএসএমই-র সংজ্ঞার পরিবর্তন ঘটানোয় এই প্রতিষ্ঠানগুলি নতুন নতুন সুযোগ পাচ্ছে। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীরা এমএসএমই-র সুযোগ হারানোর ভয় থেকে চিন্তামুক্ত হচ্ছেন। সরকার তাদের জন্য বিভিন্ন বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার ফলে এই সংস্থাগুলি নতুন নতুন সুযোগ পাচ্ছে। নতুনভাবে সংজ্ঞা নির্ধারিত হওয়ায় উৎপাদন ক্ষেত্র ও পরিষেবা ক্ষেত্রের মধ্যে ব্যবধান দূর করা গেছে। পরিষেবা ক্ষেত্রে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। সরকার এমএসএমই-গুলি থেকে বেশি করে পণ্য সংগ্রহ করছে। ছোট ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে আরও বেশি সুযোগ পায় সরকার সে বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই প্রতিষ্ঠানগুলি আরও ভালো সুযোগ পেলে এখানে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনযাত্রা উন্নত হবে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন।

 

Click here to read full text speech

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Economic Survey: India leads in mobile data consumption/sub, offers world’s most affordable data rates

Media Coverage

Economic Survey: India leads in mobile data consumption/sub, offers world’s most affordable data rates
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Viksit Bharat Budget 2025-26 is a force multiplier: PM Modi
February 01, 2025
Viksit Bharat Budget 2025-26 will fulfill the aspirations of 140 crore Indians: PM
Viksit Bharat Budget 2025-26 is a force multiplier: PM
Viksit Bharat Budget 2025-26 empowers every citizen: PM
Viksit Bharat Budget 2025-26 will empower the agriculture sector and give boost to rural economy: PM
Viksit Bharat Budget 2025-26 greatly benefits the middle class of our country: PM
Viksit Bharat Budget 2025-26 has a 360-degree focus on manufacturing to empower entrepreneurs, MSMEs and small businesses: PM

आज भारत की विकास यात्रा का एक महत्त्वपूर्ण पड़ाव है! ये 140 करोड़ भारतीयों की आकांक्षाओं का बजट है, ये हर भारतीय के सपनों को पूरा करने वाला बजट है। हमने कई सेक्टर्स युवाओ के लिए खोल दिए हैं। सामान्य नागरिक, विकसित भारत के मिशन को ड्राइव करने वाला है। यह बजट एक फ़ोर्स मल्टीप्लायर है। यह बजट सेविंग्स को बढ़ाएगा, इन्वेस्टमेंट को बढ़ाएगा, कंजम्पशन को बढ़ाएगा और ग्रोथ को भी तेज़ी से बढ़ाएगा। मैं वित्तमंत्री निर्मला सीतारमण जी और उनकी पूरी टीम को इस जनता जर्नादन का बजट, पीपल्स का बजट, इसके लिए बहुत-बहुत बधाई देता हूँ।

साथियों,

आमतौर पर बजट का फोकस इस बात पर रहता है कि सरकार का खजाना कैसे भरेगा, लेकिन ये बजट उससे बिल्कुल उल्टा है। लेकिन ये बजट देश के नागरिकों की जेब कैसे भरेगी, देश के नागरिकों की बचत कैसे बढेगी और देश के नागरिक विकास के भागीदार कैसे बनेंगे, ये बजट इसकी एक बहुत मजबूत नींव रखता है।

साथियों,

इस बजट में रीफॉर्म की दिशा में महत्वपूर्ण कदम उठाये गए हैं। न्यूक्लियर एनर्जी में प्राइवेट सेक्टर को बढ़ावा देने का निर्णय बहुत ही ऐतिहासिक है। ये आने वाले समय में सिविल न्यूक्लियर एनर्जी का बड़ा योगदान देश के विकास में सुनिश्चित करेगा। बजट में रोजगार के सभी क्षेत्रों को हर प्रकार से प्राथमिकता दी गई है। लेकिन मैं दो चीजों पर ध्यान आकर्षित कराना चाहूंगा, उन रीफॉर्म्स की मैं चर्चा करना चाहूँगा, जो आने वाले समय में बहुत बड़ा परिवर्तन लाने वाले हैं। एक- इंफ्रास्ट्रक्चर स्टेटस देने के कारण भारत में बड़े शिप्स के निर्माण को बढ़ावा मिलेगा, आत्मनिर्भर भारत अभियान को गति मिलेगी और हम सब जानते हैं कि शिप बिल्डिंग सर्वाधिक रोजगार देने वाल क्षेत्र है। उसी प्रकार से देश में टूरिज्म के लिए बहुत संभावना है। महत्वपूर्ण 50 टूरिस्ट डेस्टिनेशन्स, वहां पर जो होटल्स बनाएंगे, उस होटल को पहली बार इंफ्रास्ट्रक्चर के दायरे में लाकर टूरिज्म पर बहुत बल दिया है। इससे होस्पिटैलिटी सेक्टर को जो रोजगार का बहुत बड़ा क्षेत्र है और टूरिज्म जो रोजगार का सबसे बड़ा क्षेत्र है, एक प्रकार से चारों तरफ रोजगार के अवसर पैदा करने करने वाला ये क्षेत्र को ऊर्जा देने वाला काम करेगा। आज देश, विकास भी, विरासत भी इस मंत्र को लेकर चल रहा है। इस बजट में भी इसके लिए भी बहुत महत्वपूर्ण और ठोस कदम उठाए गए हैं। एक करोड़ पांडुलिपियों के संरक्षण के लिए, manuscript के लिए ज्ञान भारतम मिशन लॉन्च किया गया है। साथ ही, भारतीय ज्ञान परंपरा से प्रेरित एक नेशनल डिजिटल रिपॉजटरी बनाई जाएगी। यानी टेक्नोलॉजी का भरपूर उपयोग किया जाएगा और हमारा जो परंपरागत ज्ञान है, उसमें से अमृत निचोड़ने का भी काम होगा।

साथियों,

बजट में किसानों के लिए जो घोषणा हुई है वो कृषिक्षेत्र और समूची ग्रामीण अर्थव्यवस्था में नई क्रांति का आधार बनेगी। पीएम धन-धान्य कृषि योजना के तहत 100 जिलों में सिंचाई और इनफ्रास्ट्रक्चर का development होगा, किसान क्रेडिट कार्ड की लिमिट 5 लाख तक होने से उन्हें ज्यादा मदद मिलेगी।

साथियों,

अब इस बजट में 12 लाख रुपए तक की आय को टैक्स से मुक्त कर दिया गया है। सभी आय वर्ग के लोगों के लिए टैक्स में भी कमी की गई है। इसका बहुत बड़ा फायदा हमारे मिडिल क्लास को, नौकरी पेशे करने वाले जिनकी आय बंधी हुई है, ऐसे लोगों को मिडिल क्लास को इससे बहुत बड़ा लाभ होने वाला है। उसी प्रकार से जो नए-नए प्रोफेशन में आए हैं, जिनको नए नए जॉब मिले हैं, इनकम टैक्स की ये मुक्ति उनके लिए एक बहुत बड़ा अवसर बन जाएगी।

साथियों,

इस बजट में मैन्युफैक्चरिंग पर 360 डिग्री फोकस है, ताकि Entrepreneurs को, MSMEs को, छोटे उद्यमियों को मजबूती मिले और नई Jobs पैदा हों। नेशनल मैन्युफैक्चरिंग मिशन से लेकर क्लीनटेक, लेदर, फुटवियर, टॉय इंडस्ट्री जैसे अनेक सेक्टर्स को विशेष समर्थन दिया गया है। लक्ष्य साफ है कि भारतीय प्रोडक्ट्स, ग्लोबल मार्केट में अपनी चमक बिखेर सकें।

साथियों,

राज्यों में इन्वेस्टमेंट का एक वाइब्रेंट कंपटीटिव माहौल बने, इस पर बजट में विशेष जोर दिया गया है। MSMEs और स्टार्टअप्स के लिए क्रेडिट गारंटी को दोगुना करने की घोषणा भी हुई है। देश के SC, ST और महिला उद्यमी, जो नए उद्यमी बनना चाहते हैं, उनको 2 करोड़ रुपए तक के लोन की योजना भी लाई गई है और वो भी बिना गारंटी। इस बजट में, new age इकॉनॉमी को ध्यान में रखते हुए gig workers के लिए बहुत बड़ी घोषणा की गई है। पहली बार gig workers, का ई-श्रम पोर्टल पर रजिस्ट्रेशन किया जाएगा। इसके बाद इन साथियों को स्वास्थ्य सेवा और दूसरी सोशल सिक्योरिटी स्कीम्स का लाभ मिलेगा। ये डिग्निटी ऑफ लेबर इसके प्रति, श्रमेव जयते के प्रति सरकार के कमिटमेंट को दर्शाता है। रेगुलेटरी रिफॉर्म्स से लेकर फाइनांशियल रिफॉर्म्स जन विश्वास 2.0 जैसे कदमों से मिनिमम गवर्नमेंट और ट्रस्ट बेस्ड गवर्नेंस के हमारे कमिटमेंट को और बल मिलेगा।

साथियों,

ये बजट न केवल देश की वर्तमान आवश्यकताओं को ध्यान में रखता है, बल्कि हमें भविष्य की तैयारी करने में भी मदद करता है। स्टार्टअप के लिए डीप टेक फंड, जियोस्पेशियल मिशन और न्यूक्लियर एनर्जी मिशन ऐसे ही महत्वपूर्ण कदम हैं। मैं सभी देशवासियों को एक बार फिर इस ऐतिहासिक पीपल्स बजट की बधाई देता हूँ और फिर एक बार वित्त मंत्री जी को भी बहुत-बहुत बधाई देता हूं। बहुत-बहुत धन्यवाद!