পরিবহণ ব্যবস্থা যে কোনও শহর, গ্রাম তথা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারত বিশ্বের সেই দেশগুলির অন্যতম, যেখানে দ্রুতগতিতে নগরায়ন বাড়ছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০২২ সালের মধ্যে ‘সকলের জন্য গৃহ’-এর লক্ষ্য পূরণে কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেন, যখন আমরা স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি পালন করব
২০১৪ সালের পর আমরা মেট্রো লাইনগুলির শিলান্যাসের গতি ও পরিসর বৃদ্ধি করে ইতিমধ্যেই অনেকটা কাজ এগোতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
দেশের গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য আমাদের সরকার ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়নের লক্ষ্যে এমনভাবে কাজ করছে, যাতে দেশের কোনও প্রান্ত, কোনও গ্রাম কিংবা শহর উন্নয়নের ক্ষেত্রে অস্পৃশ্য না থাকে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
আমরা দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য প্রকল্প গড়ে তুলছি এবং পরিচালনা করছি: প্রধানমন্ত্রী মোদী
বিগত চার বছরে মুম্বাই এবং থানে সহ পার্শ্ববর্তী সকল অঞ্চলে পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য অনেক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী

বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

মুম্বাই এবং থানে দেশের এমন অংশ, যা দেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এখানকার ছোট ছোট গ্রাম ও মফঃস্বল শহরের মানুষেরাও দেশকে নানা সমইয়ে গৌরবান্বিত করেছেন। এখানকার মানুষের হৃদয় এত বিশাল যে, তাঁরা সবাইকে নিজেদের হৃদয়ে স্থান দিতে পারেন। সেজন্য এখানে দাঁড়ালে এক জায়গাতেই গোটা ভারতের চিত্র দেখা যায়। আর যাঁরাই এখানে আসেন, তাঁরা মুম্বাইয়া রঙে রাঙিয়ে যান; মারাঠী ঐতিহ্যের অংশ হয়ে পড়েন।

ভাই ও বোনেরা, আজ মুম্বাই চারদিকে বিকশিত হচ্ছে। বিকাশের পাশাপাশি, সম্পদের উৎসে চাপ বৃদ্ধি হচ্ছে। বিশেষ করে, এখানকার পরিবহণ ব্যবস্থা, সড়ক ও রেল ব্যবস্থা এর দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত। এসব কথা মাথায় রেখে বিগত চার – সাড়ে চার বছরে মুম্বাই এবং থানে সহ পার্শ্ববর্তী সকল অঞ্চলে পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য অনেক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।

আজও এখানে যে ৩৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রকল্পগুলির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হ’ল, তার মধ্যে রয়েছে – দুটি মেট্রো লাইন এবং থানে শহরে ৯০ হাজার গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য নিজস্ব বাড়ি নির্মাণের প্রকল্প।

বন্ধুগণ, পরিবহণ ব্যবস্থা যে কোনও শহর, গ্রাম তথা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারত বিশ্বের সেই দেশগুলির অন্যতম, যেখানে দ্রুতগতিতে নগরায়ন বাড়ছে। একটি গবেষণালব্ধ অনুমান, আগামী দশকে বিশ্বের সর্বাধিক দ্রুততম উন্নয়নশীল শহরগুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠ ১০টি ভারতীয় শহর স্থান পাবে।

মুম্বাই আগে থেকেই দেশের আর্থিক গতিবিধির কেন্দ্র। আগামী দিনে এই গতিবিধি আরও বিস্তারিত হবে, সেজন্য ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কেন্দ্রের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা এখানকার পরিকাঠামো উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। এখানকার পুরনো রেল সেতুগুলি নবিকৃত করা হয়েছে। মুম্বাই লোকালের কয়েক হাজার কোটি টাকার পরিবহণ পরিকাঠামো নির্মিত হয়েছে। মেট্রো সিস্টেম ইতিমধ্যেই সর্বাধিক জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আজ থানে শহরে যে মেট্রোর বিস্তার হ’ল, তা মুম্বাই ও থানের মধ্যে এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুন গতি প্রদান করবে। বন্ধুগণ, ২০০৬ সালে মুম্বাই শহরে প্রথম মেট্রো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী ৮ বছর ধরে কী হয়েছিল, তা বলা অত্যন্ত কঠিন। মাত্র ১১ কিলোমিটার মেট্রো লাইনের উদ্বোধন হয়েছিল ২০১৪ সালে। ৮ বছরে মাত্র ১১ কিলোমিটার। ২০১৪ সালের পর আমরা সেই কাজের গতি ও পরিসর বৃদ্ধি করে ইতিমধ্যেই অনেকটা কাজ এগোতে পেরেছি এবং আজ যে মেট্রো লাইনগুলির শিলান্যাস হ’ল, সেগুলি সম্পন্ন হলে আগামী তিন বছরে আরও ৩৫ কিলোমিটার মেট্রো পরিষেবা যুক্ত হবে। আর ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ২৭৫ কিলোমিটারেরও বেশি মেট্রো লাইন পাতা হবে। আজকে যে লাইনের শিলান্যাস করা হ’ল, তার দ্বারা থানে থেকে ভিওন্ডি, কল্যাণ, দোহিসর থেকে মীরা – ভায়ন্দর পর্যন্ত অঞ্চলের জনগণ উপকৃত হবেন। এতে, সমগ্র মুম্বাই শহর যানজট মুক্ত হবে।

বন্ধুগণ, এই পরিষেবাগুলি শুধুই আজকের প্রয়োজন ভেবে গড়ে তোলা হচ্ছে না, ২০৩৫ সালে প্রয়োজনের হিসাবে বিকশিত করা হচ্ছে।

বন্ধুগণ, আপনাদের যাতায়াত ব্যবস্থা সরল ও সুগম করার পাশাপাশি দেশের গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা যাতে গৃহহীন না থাকেন, তা সুনিশ্চিত করার জন্য আমরা ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ২০২২ সালে যখন দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করবে, তখন দেশের প্রত্যেক পরিবারের মাথার ওপর যেন পাকা ছাদ থাকে, সেই লক্ষ্য মাথায় রেখে আমরা এখানে ৯০ হাজার নতুন গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। আমাকে বলা হয়েছে যে, তিন বছরের মধ্যে এই বাড়িগুলি নির্মিত হয়ে যাবে।

বন্ধুগণ, পূর্ববর্তী সরকার থেকে আমাদের সংস্কার, কাজ করার পদ্ধতি ও গতি ভিন্ন। বিগত সরকার তার শেষ চার বছরে মাত্র ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার গৃহহীনের জন্য বাড়ি বানিয়েছিল। আর আমরা বিগত চার বছরে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি বাড়ি নির্মাণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী শহরী আবাস যোজনার মাধ্যমে সমগ্র মহারাষ্ট্রে আমরা ৮ লক্ষ গৃহ নির্মাণ করছি। আর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে গৃহহীনদের জন্য আদর্শ সোসাইটি গড়ে তুলে সাধারণ পরিবারগুলির ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস জাগানো হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে আমাদের সরকার ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা সরাসরি সুবিধাভোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করে দিচ্ছি।, যাতে তাঁদের ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কম ঋণ নিতে হয়। এছাড়া, আগের তুলনায় গৃহ ঋণে সুদের হার অনেক হ্রাস পেয়েছে। সরকার দ্বারা এই প্রকল্প অনুযায়ী দুর্বল ও নিম্নবর্গের মানুষদের ৬.৫ শতাংশ সুদে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

মধ্যবিত্তদের ৩ – ৪ শতাংশ সুদে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এই প্রচেষ্টাগুলির ফলে কেউ যদি ২০ বছরের জন্য ২০ লক্ষ টাকা গৃহ ঋণ নেন, তা হলে তাঁকে সেই সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।

বন্ধুগণ, সরকারের এই সৎ প্রচেষ্টার ফলে বিগত এক – দেড় বছরে এই প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁদের প্রথম নতুন বাড়িতে পা রাখার সুযোগ পেয়েছেন, কিনতে পেরেছেন কিংবা বায়না করতে পেরেছেন। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী বিগত ৭ – ৮ মাসে নতুন বাড়ি কেনার গতি বিগত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি সাহায্য পেয়েছেন। বন্ধুগণ, আমরা শুধু মধ্যবিত্তদের নিজস্ব বাড়ির স্বপ্ন সাকার করতে সাহায্য করছি না, এর সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সমস্যাও দূর করার চেষ্টা করছি। চার বছর আগে পর্যন্ত আপনাদের সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে বায়না করা বাড়ি দখল পেতে কি ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হ’ত সে সম্পর্কে আপনারা ভালোভাবেই অভিহিত। অনেকেই প্রতিশ্রুতি মতো সঠিক মানের বাড়ি পেতেন না। আমাদের সরকার এই প্রবৃত্তিকে শুধরানোর জন্য দেশের অধিকাংশ রাজ্যে রিয়েল এস্টেট রেগুলারিটি অথরিটি বা রেরা চালু করেছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সারা দেশে ৩৫ হাজার রিয়েল এস্টেট প্রকল্প এবং ২৭ হাজার রিয়েল এস্টেট এজেন্ট নথিভুক্ত হয়েছে। ২১টি রাজ্যে ট্রাইব্যুনালও কাজ করছে।

আমি ফড়নবিশজি-কে অভিনন্দন জানাই, কারণ, মহারাষ্ট্র সেই রাজ্যগুলির অন্যতম, যেগুলিতে রেরা চালু হয়েছে। আমাদের দেশে রেরার নথিভুক্তিকৃত প্রকল্পগুলির মধ্যে সর্বাধিক হ’ল এই মহারাষ্ট্রের।

বন্ধুগণ, একবার ভাবুন, ৭০ বছর ধরে কোনও কঠিন ও স্পষ্ট আইন ছাড়াই রিয়েল এস্টেট সেক্টর চলছিল। এই ধরণের আইন আগে প্রণয়ন করলে কোটি কোটি মানুষ প্রতারিত হতেন না। রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্র এতদিনে সততার সঙ্গে অনেক বিকশিত হ’ত।

ভাই ও বোনেরা, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের বিদ্যুতের বিল কম করার জন্য সরকার উজালা যোজনার মাধ্যমে ৩০ কোটিরও বেশি এলইডি বাল্ব বিতরণ করেছে। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২৫ লক্ষ বাল্ব মহারাষ্ট্রে বিতরণ করা হয়েছে। আগে ৬০ ওয়াটের বাল্বে যে কাজ চলত, তা আজ ৭ কিংবা ৮ ওয়াটের বাল্ব দিয়ে হচ্ছে। শুধুমাত্র এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সমস্ত পরিবারের সাশ্রয় বছরে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। শুধু মহারাষ্ট্রে প্রত্যেক বছর প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিদ্যুতের বিলে সাশ্রয় হয়েছে।

আমরা এলইডি বাল্ব বিতরণের অভিযানে জোর দেওয়ার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। প্রতিযোগিতার আবহ গড়ে তুলে ব্যবস্থা থেকে দালালদের সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সেজন্য আগে যে বাল্ব ২৫০ – ৩০০ টাকায় কিনতে হ’ত, সেগুলি আজ ৫০ টাকায় কেনা যাচ্ছে।

বন্ধুগণ, কেন্দ্রীয় সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্র নিয়ে এমনভাবে কাজ করছে, যাতে দেশের কোনও প্রান্ত, কোনও গ্রাম কিংবা শহর উন্নয়নের ক্ষেত্রে অস্পৃশ্য না থাকে! দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য প্রকল্প গড়ে তোলা এবং পরিচালনা করা হচ্ছে। উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে সারা দেশে গরিব বোনেদের জীবন ধোঁয়ামুক্ত করা এবং তাঁদের সময় সাশ্রয় করার জন্য বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে।

বন্ধুগণ, যে বোনেরা ছোট ছোট ব্যবসা করেন, যেমন – সেলুন, টেলারিং, বুনন শিল্প, চরকা শিল্প, হস্ত চালিত তাঁতে কাজ করতে চান, তাঁদের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া সহজ করা হয়েছে। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষকে ঋণ প্রদান করা হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছেন ১ কোটি মহিলা।

ভাই ও বোনেরা, গরিবদের জীবনকে গৌরবময় করে তুলতে মহিলাদের আত্মসম্মান বৃদ্ধিতে আমরা সদা সচেষ্ট। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, যুবকদের কর্মসংস্থান, বয়স্কদের ওষুধপত্র, কৃষকদের সেচের জল, প্রত্যেক ব্যক্তির বক্তব্য শোনা; উন্নয়নের এই পঞ্চধারার প্রতি আমাদের সরকার সমর্পিতপ্রাণ।

অবশেষে, আরেকবার আপনাদের সবাইকে এই নতুন উন্নয়ন প্রকল্পগুলির জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আপনারা এত বিপুল সংখ্যায় এখানে এসে আমাকে আশীর্বাদ জানিয়েছেন, সেজন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

এখান থেকে আমি পুণে যাব, সেখানেও কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস কিংবা উদ্বোধন হতে চলেছে। আপনারা এখানে বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হয়ে যে শক্তি প্রদর্শন করেছেন, সেজন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the Odisha Parba
November 24, 2024
Delighted to take part in the Odisha Parba in Delhi, the state plays a pivotal role in India's growth and is blessed with cultural heritage admired across the country and the world: PM
The culture of Odisha has greatly strengthened the spirit of 'Ek Bharat Shreshtha Bharat', in which the sons and daughters of the state have made huge contributions: PM
We can see many examples of the contribution of Oriya literature to the cultural prosperity of India: PM
Odisha's cultural richness, architecture and science have always been special, We have to constantly take innovative steps to take every identity of this place to the world: PM
We are working fast in every sector for the development of Odisha,it has immense possibilities of port based industrial development: PM
Odisha is India's mining and metal powerhouse making it’s position very strong in the steel, aluminium and energy sectors: PM
Our government is committed to promote ease of doing business in Odisha: PM
Today Odisha has its own vision and roadmap, now investment will be encouraged and new employment opportunities will be created: PM

जय जगन्नाथ!

जय जगन्नाथ!

केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी श्रीमान धर्मेन्द्र प्रधान जी, अश्विनी वैष्णव जी, उड़िया समाज संस्था के अध्यक्ष श्री सिद्धार्थ प्रधान जी, उड़िया समाज के अन्य अधिकारी, ओडिशा के सभी कलाकार, अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों।

ओडिशा र सबू भाईओ भउणी मानंकु मोर नमस्कार, एबंग जुहार। ओड़िया संस्कृति के महाकुंभ ‘ओड़िशा पर्व 2024’ कू आसी मँ गर्बित। आपण मानंकु भेटी मूं बहुत आनंदित।

मैं आप सबको और ओडिशा के सभी लोगों को ओडिशा पर्व की बहुत-बहुत बधाई देता हूँ। इस साल स्वभाव कवि गंगाधर मेहेर की पुण्यतिथि का शताब्दी वर्ष भी है। मैं इस अवसर पर उनका पुण्य स्मरण करता हूं, उन्हें श्रद्धांजलि देता हूँ। मैं भक्त दासिआ बाउरी जी, भक्त सालबेग जी, उड़िया भागवत की रचना करने वाले श्री जगन्नाथ दास जी को भी आदरपूर्वक नमन करता हूं।

ओडिशा निजर सांस्कृतिक विविधता द्वारा भारतकु जीबन्त रखिबारे बहुत बड़ भूमिका प्रतिपादन करिछि।

साथियों,

ओडिशा हमेशा से संतों और विद्वानों की धरती रही है। सरल महाभारत, उड़िया भागवत...हमारे धर्मग्रन्थों को जिस तरह यहाँ के विद्वानों ने लोकभाषा में घर-घर पहुंचाया, जिस तरह ऋषियों के विचारों से जन-जन को जोड़ा....उसने भारत की सांस्कृतिक समृद्धि में बहुत बड़ी भूमिका निभाई है। उड़िया भाषा में महाप्रभु जगन्नाथ जी से जुड़ा कितना बड़ा साहित्य है। मुझे भी उनकी एक गाथा हमेशा याद रहती है। महाप्रभु अपने श्री मंदिर से बाहर आए थे और उन्होंने स्वयं युद्ध का नेतृत्व किया था। तब युद्धभूमि की ओर जाते समय महाप्रभु श्री जगन्नाथ ने अपनी भक्त ‘माणिका गौउडुणी’ के हाथों से दही खाई थी। ये गाथा हमें बहुत कुछ सिखाती है। ये हमें सिखाती है कि हम नेक नीयत से काम करें, तो उस काम का नेतृत्व खुद ईश्वर करते हैं। हमेशा, हर समय, हर हालात में ये सोचने की जरूरत नहीं है कि हम अकेले हैं, हम हमेशा ‘प्लस वन’ होते हैं, प्रभु हमारे साथ होते हैं, ईश्वर हमेशा हमारे साथ होते हैं।

साथियों,

ओडिशा के संत कवि भीम भोई ने कहा था- मो जीवन पछे नर्के पडिथाउ जगत उद्धार हेउ। भाव ये कि मुझे चाहे जितने ही दुख क्यों ना उठाने पड़ें...लेकिन जगत का उद्धार हो। यही ओडिशा की संस्कृति भी है। ओडिशा सबु जुगरे समग्र राष्ट्र एबं पूरा मानब समाज र सेबा करिछी। यहाँ पुरी धाम ने ‘एक भारत श्रेष्ठ भारत’ की भावना को मजबूत बनाया। ओडिशा की वीर संतानों ने आज़ादी की लड़ाई में भी बढ़-चढ़कर देश को दिशा दिखाई थी। पाइका क्रांति के शहीदों का ऋण, हम कभी नहीं चुका सकते। ये मेरी सरकार का सौभाग्य है कि उसे पाइका क्रांति पर स्मारक डाक टिकट और सिक्का जारी करने का अवसर मिला था।

साथियों,

उत्कल केशरी हरे कृष्ण मेहताब जी के योगदान को भी इस समय पूरा देश याद कर रहा है। हम व्यापक स्तर पर उनकी 125वीं जयंती मना रहे हैं। अतीत से लेकर आज तक, ओडिशा ने देश को कितना सक्षम नेतृत्व दिया है, ये भी हमारे सामने है। आज ओडिशा की बेटी...आदिवासी समुदाय की द्रौपदी मुर्मू जी भारत की राष्ट्रपति हैं। ये हम सभी के लिए बहुत ही गर्व की बात है। उनकी प्रेरणा से आज भारत में आदिवासी कल्याण की हजारों करोड़ रुपए की योजनाएं शुरू हुई हैं, और ये योजनाएं सिर्फ ओडिशा के ही नहीं बल्कि पूरे भारत के आदिवासी समाज का हित कर रही हैं।

साथियों,

ओडिशा, माता सुभद्रा के रूप में नारीशक्ति और उसके सामर्थ्य की धरती है। ओडिशा तभी आगे बढ़ेगा, जब ओडिशा की महिलाएं आगे बढ़ेंगी। इसीलिए, कुछ ही दिन पहले मैंने ओडिशा की अपनी माताओं-बहनों के लिए सुभद्रा योजना का शुभारंभ किया था। इसका बहुत बड़ा लाभ ओडिशा की महिलाओं को मिलेगा। उत्कलर एही महान सुपुत्र मानंकर बिसयरे देश जाणू, एबं सेमानंक जीबन रु प्रेरणा नेउ, एथी निमन्ते एपरी आयौजनर बहुत अधिक गुरुत्व रहिछि ।

साथियों,

इसी उत्कल ने भारत के समुद्री सामर्थ्य को नया विस्तार दिया था। कल ही ओडिशा में बाली जात्रा का समापन हुआ है। इस बार भी 15 नवंबर को कार्तिक पूर्णिमा के दिन से कटक में महानदी के तट पर इसका भव्य आयोजन हो रहा था। बाली जात्रा प्रतीक है कि भारत का, ओडिशा का सामुद्रिक सामर्थ्य क्या था। सैकड़ों वर्ष पहले जब आज जैसी टेक्नोलॉजी नहीं थी, तब भी यहां के नाविकों ने समुद्र को पार करने का साहस दिखाया। हमारे यहां के व्यापारी जहाजों से इंडोनेशिया के बाली, सुमात्रा, जावा जैसे स्थानो की यात्राएं करते थे। इन यात्राओं के माध्यम से व्यापार भी हुआ और संस्कृति भी एक जगह से दूसरी जगह पहुंची। आजी विकसित भारतर संकल्पर सिद्धि निमन्ते ओडिशार सामुद्रिक शक्तिर महत्वपूर्ण भूमिका अछि।

साथियों,

ओडिशा को नई ऊंचाई तक ले जाने के लिए 10 साल से चल रहे अनवरत प्रयास....आज ओडिशा के लिए नए भविष्य की उम्मीद बन रहे हैं। 2024 में ओडिशावासियों के अभूतपूर्व आशीर्वाद ने इस उम्मीद को नया हौसला दिया है। हमने बड़े सपने देखे हैं, बड़े लक्ष्य तय किए हैं। 2036 में ओडिशा, राज्य-स्थापना का शताब्दी वर्ष मनाएगा। हमारा प्रयास है कि ओडिशा की गिनती देश के सशक्त, समृद्ध और तेजी से आगे बढ़ने वाले राज्यों में हो।

साथियों,

एक समय था, जब भारत के पूर्वी हिस्से को...ओडिशा जैसे राज्यों को पिछड़ा कहा जाता था। लेकिन मैं भारत के पूर्वी हिस्से को देश के विकास का ग्रोथ इंजन मानता हूं। इसलिए हमने पूर्वी भारत के विकास को अपनी प्राथमिकता बनाया है। आज पूरे पूर्वी भारत में कनेक्टिविटी के काम हों, स्वास्थ्य के काम हों, शिक्षा के काम हों, सभी में तेजी लाई गई है। 10 साल पहले ओडिशा को केंद्र सरकार जितना बजट देती थी, आज ओडिशा को तीन गुना ज्यादा बजट मिल रहा है। इस साल ओडिशा के विकास के लिए पिछले साल की तुलना में 30 प्रतिशत ज्यादा बजट दिया गया है। हम ओडिशा के विकास के लिए हर सेक्टर में तेजी से काम कर रहे हैं।

साथियों,

ओडिशा में पोर्ट आधारित औद्योगिक विकास की अपार संभावनाएं हैं। इसलिए धामरा, गोपालपुर, अस्तारंगा, पलुर, और सुवर्णरेखा पोर्ट्स का विकास करके यहां व्यापार को बढ़ावा दिया जाएगा। ओडिशा भारत का mining और metal powerhouse भी है। इससे स्टील, एल्युमिनियम और एनर्जी सेक्टर में ओडिशा की स्थिति काफी मजबूत हो जाती है। इन सेक्टरों पर फोकस करके ओडिशा में समृद्धि के नए दरवाजे खोले जा सकते हैं।

साथियों,

ओडिशा की धरती पर काजू, जूट, कपास, हल्दी और तिलहन की पैदावार बहुतायत में होती है। हमारा प्रयास है कि इन उत्पादों की पहुंच बड़े बाजारों तक हो और उसका फायदा हमारे किसान भाई-बहनों को मिले। ओडिशा की सी-फूड प्रोसेसिंग इंडस्ट्री में भी विस्तार की काफी संभावनाएं हैं। हमारा प्रयास है कि ओडिशा सी-फूड एक ऐसा ब्रांड बने, जिसकी मांग ग्लोबल मार्केट में हो।

साथियों,

हमारा प्रयास है कि ओडिशा निवेश करने वालों की पसंदीदा जगहों में से एक हो। हमारी सरकार ओडिशा में इज ऑफ डूइंग बिजनेस को बढ़ावा देने के लिए प्रतिबद्ध है। उत्कर्ष उत्कल के माध्यम से निवेश को बढ़ाया जा रहा है। ओडिशा में नई सरकार बनते ही, पहले 100 दिनों के भीतर-भीतर, 45 हजार करोड़ रुपए के निवेश को मंजूरी मिली है। आज ओडिशा के पास अपना विज़न भी है, और रोडमैप भी है। अब यहाँ निवेश को भी बढ़ावा मिलेगा, और रोजगार के नए अवसर भी पैदा होंगे। मैं इन प्रयासों के लिए मुख्यमंत्री श्रीमान मोहन चरण मांझी जी और उनकी टीम को बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

साथियों,

ओडिशा के सामर्थ्य का सही दिशा में उपयोग करके उसे विकास की नई ऊंचाइयों पर पहुंचाया जा सकता है। मैं मानता हूं, ओडिशा को उसकी strategic location का बहुत बड़ा फायदा मिल सकता है। यहां से घरेलू और अंतर्राष्ट्रीय बाजार तक पहुंचना आसान है। पूर्व और दक्षिण-पूर्व एशिया के लिए ओडिशा व्यापार का एक महत्वपूर्ण हब है। Global value chains में ओडिशा की अहमियत आने वाले समय में और बढ़ेगी। हमारी सरकार राज्य से export बढ़ाने के लक्ष्य पर भी काम कर रही है।

साथियों,

ओडिशा में urbanization को बढ़ावा देने की अपार संभावनाएं हैं। हमारी सरकार इस दिशा में ठोस कदम उठा रही है। हम ज्यादा संख्या में dynamic और well-connected cities के निर्माण के लिए प्रतिबद्ध हैं। हम ओडिशा के टियर टू शहरों में भी नई संभावनाएं बनाने का भरपूर हम प्रयास कर रहे हैं। खासतौर पर पश्चिम ओडिशा के इलाकों में जो जिले हैं, वहाँ नए इंफ्रास्ट्रक्चर से नए अवसर पैदा होंगे।

साथियों,

हायर एजुकेशन के क्षेत्र में ओडिशा देशभर के छात्रों के लिए एक नई उम्मीद की तरह है। यहां कई राष्ट्रीय और अंतर्राष्ट्रीय इंस्टीट्यूट हैं, जो राज्य को एजुकेशन सेक्टर में लीड लेने के लिए प्रेरित करते हैं। इन कोशिशों से राज्य में स्टार्टअप्स इकोसिस्टम को भी बढ़ावा मिल रहा है।

साथियों,

ओडिशा अपनी सांस्कृतिक समृद्धि के कारण हमेशा से ख़ास रहा है। ओडिशा की विधाएँ हर किसी को सम्मोहित करती है, हर किसी को प्रेरित करती हैं। यहाँ का ओड़िशी नृत्य हो...ओडिशा की पेंटिंग्स हों...यहाँ जितनी जीवंतता पट्टचित्रों में देखने को मिलती है...उतनी ही बेमिसाल हमारे आदिवासी कला की प्रतीक सौरा चित्रकारी भी होती है। संबलपुरी, बोमकाई और कोटपाद बुनकरों की कारीगरी भी हमें ओडिशा में देखने को मिलती है। हम इस कला और कारीगरी का जितना प्रसार करेंगे, उतना ही इस कला को संरक्षित करने वाले उड़िया लोगों को सम्मान मिलेगा।

साथियों,

हमारे ओडिशा के पास वास्तु और विज्ञान की भी इतनी बड़ी धरोहर है। कोणार्क का सूर्य मंदिर… इसकी विशालता, इसका विज्ञान...लिंगराज और मुक्तेश्वर जैसे पुरातन मंदिरों का वास्तु.....ये हर किसी को आश्चर्यचकित करता है। आज लोग जब इन्हें देखते हैं...तो सोचने पर मजबूर हो जाते हैं कि सैकड़ों साल पहले भी ओडिशा के लोग विज्ञान में इतने आगे थे।

साथियों,

ओडिशा, पर्यटन की दृष्टि से अपार संभावनाओं की धरती है। हमें इन संभावनाओं को धरातल पर उतारने के लिए कई आयामों में काम करना है। आप देख रहे हैं, आज ओडिशा के साथ-साथ देश में भी ऐसी सरकार है जो ओडिशा की धरोहरों का, उसकी पहचान का सम्मान करती है। आपने देखा होगा, पिछले साल हमारे यहाँ G-20 का सम्मेलन हुआ था। हमने G-20 के दौरान इतने सारे देशों के राष्ट्राध्यक्षों और राजनयिकों के सामने...सूर्यमंदिर की ही भव्य तस्वीर को प्रस्तुत किया था। मुझे खुशी है कि महाप्रभु जगन्नाथ मंदिर परिसर के सभी चार द्वार खुल चुके हैं। मंदिर का रत्न भंडार भी खोल दिया गया है।

साथियों,

हमें ओडिशा की हर पहचान को दुनिया को बताने के लिए भी और भी इनोवेटिव कदम उठाने हैं। जैसे....हम बाली जात्रा को और पॉपुलर बनाने के लिए बाली जात्रा दिवस घोषित कर सकते हैं, उसका अंतरराष्ट्रीय मंच पर प्रचार कर सकते हैं। हम ओडिशी नृत्य जैसी कलाओं के लिए ओडिशी दिवस मनाने की शुरुआत कर सकते हैं। विभिन्न आदिवासी धरोहरों को सेलिब्रेट करने के लिए भी नई परम्पराएँ शुरू की जा सकती हैं। इसके लिए स्कूल और कॉलेजों में विशेष आयोजन किए जा सकते हैं। इससे लोगों में जागरूकता आएगी, यहाँ पर्यटन और लघु उद्योगों से जुड़े अवसर बढ़ेंगे। कुछ ही दिनों बाद प्रवासी भारतीय सम्मेलन भी, विश्व भर के लोग इस बार ओडिशा में, भुवनेश्वर में आने वाले हैं। प्रवासी भारतीय दिवस पहली बार ओडिशा में हो रहा है। ये सम्मेलन भी ओडिशा के लिए बहुत बड़ा अवसर बनने वाला है।

साथियों,

कई जगह देखा गया है बदलते समय के साथ, लोग अपनी मातृभाषा और संस्कृति को भी भूल जाते हैं। लेकिन मैंने देखा है...उड़िया समाज, चाहे जहां भी रहे, अपनी संस्कृति, अपनी भाषा...अपने पर्व-त्योहारों को लेकर हमेशा से बहुत उत्साहित रहा है। मातृभाषा और संस्कृति की शक्ति कैसे हमें अपनी जमीन से जोड़े रखती है...ये मैंने कुछ दिन पहले ही दक्षिण अमेरिका के देश गयाना में भी देखा। करीब दो सौ साल पहले भारत से सैकड़ों मजदूर गए...लेकिन वो अपने साथ रामचरित मानस ले गए...राम का नाम ले गए...इससे आज भी उनका नाता भारत भूमि से जुड़ा हुआ है। अपनी विरासत को इसी तरह सहेज कर रखते हुए जब विकास होता है...तो उसका लाभ हर किसी तक पहुंचता है। इसी तरह हम ओडिशा को भी नई ऊचाई पर पहुंचा सकते हैं।

साथियों,

आज के आधुनिक युग में हमें आधुनिक बदलावों को आत्मसात भी करना है, और अपनी जड़ों को भी मजबूत बनाना है। ओडिशा पर्व जैसे आयोजन इसका एक माध्यम बन सकते हैं। मैं चाहूँगा, आने वाले वर्षों में इस आयोजन का और ज्यादा विस्तार हो, ये पर्व केवल दिल्ली तक सीमित न रहे। ज्यादा से ज्यादा लोग इससे जुड़ें, स्कूल कॉलेजों का participation भी बढ़े, हमें इसके लिए प्रयास करने चाहिए। दिल्ली में बाकी राज्यों के लोग भी यहाँ आयें, ओडिशा को और करीबी से जानें, ये भी जरूरी है। मुझे भरोसा है, आने वाले समय में इस पर्व के रंग ओडिशा और देश के कोने-कोने तक पहुंचेंगे, ये जनभागीदारी का एक बहुत बड़ा प्रभावी मंच बनेगा। इसी भावना के साथ, मैं एक बार फिर आप सभी को बधाई देता हूं।

आप सबका बहुत-बहुत धन्यवाद।

जय जगन्नाथ!