আজগুজরাটের গান্ধীধামে কান্দলা পোর্ট ট্রাস্টের কয়েকটি প্রকল্পের সূচনা করেনপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
ডঃবাবাসাহেব আম্বেদকর সম্মেলন কেন্দ্রের শিলান্যাস উপলক্ষে একটি ফলকের আবরণ উন্মোচনকরেন তিনি । চতুর্দশ এবং ষোড়শজেনারেল কার্গো বার্থ গড়ে তোলার কর্মসূচিরও তিনি সূচনা করেন এদিন ।
কচ্ছ-এরসল্ট জাংশনে ইন্টারচেঞ্জ কাম আরওবি, দুটি মোবাইল হারবার ক্রেনের সংস্থাপন এবংকান্দলা বন্দরে সার ওঠানো-নামানোর বিশেষ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বরাতপত্র এদিনতিনি তুলে দেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প নির্মাণ কর্তাদের হাতে।
হেলিপ্যাডথেকে শুরু করে অনুষ্ঠানস্থল পর্যন্ত সাধারণ মানুষ যেভাবে তাঁকে সাদর অভ্যর্থনাজানিয়েছেন সেজন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনিবলেন, কচ্ছ-এর অধিবাসীরা জলের গুরুত্ব সম্পর্কে যথেষ্ট মাত্রায় সচেতন। কচ্ছ এলাকারগৌরবময় ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির বিভিন্ন দিক প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন তাঁরভাষণে।
শ্রীমোদী বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে একটি বিশেষ স্থান অধিকারের লক্ষ্যে শ্রেষ্ঠ বন্দরব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে ভারতকে। বন্দরের বিকাশ ও উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণবিষয়টি হল দক্ষতা ও পরিকাঠামোর সমন্বয়। কান্দলা বন্দর যে এশিয়ার একটি অন্যতমশ্রেষ্ঠ বন্দর হয়ে উঠতে চলেছে একথারও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীবলেন, ভারতের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় গড়ে তোলা হচ্ছে ইরানের চাবাহার বন্দর যাকান্দলা বন্দরের প্রসার ও উন্নয়নকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করবে। ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরসম্মেলন কেন্দ্র সম্পর্কেও এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করেন তিনি।
আগামীপাঁচ বছর জাতির সেবায় যথাসাধ্য অবদানের জন্য সঙ্কল্পবদ্ধ হওয়ার ডাক দেনপ্রধানমন্ত্রী।
পণ্ডিতদীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্ম শতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে সারা দেশে – এর উল্লেখ করে কান্দলাপোর্ট ট্রাস্টের নাম “দীনদয়াল পোর্ট ট্রাস্ট – কান্দলা” রাখার প্রস্তাব দেনপ্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানেবক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীবিজয় রুপানিও।