প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগ সফর করেন। তিনি রাজ্যের জন্য একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেছেন। এই উপলক্ষে ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল শ্রীমতী দ্রৌপদী মূর্মু, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী রঘুবর দাস ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী জয়ন্ত সিনহা সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এক জনসভায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ঝাড়খন্ডের বীরপুত্র শ্রী বিজয় সোরেঙ্গ-কে শ্রদ্ধা জানাই, যিনি দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা শহীদ পরিবারগুলির দায়িত্ব বহন করব’।
প্রধানমন্ত্রী এরপর হাজারিবাগ, দুমকা ও পালামৌ-তে মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন করেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৭-তে তিনি এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলির শিলান্যাস করেছিলেন। এই মেডিকেল কলেজগুলি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা। প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস দিব্যাঙ্গ-বান্ধব হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলি চালু হওয়ার ফলে ঝাড়খন্ডের ১১টি জেলার দেড় কোটিরও বেশি মানুষ আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পাবেন। শ্রী মোদী বলেন, ‘এই ঝাড়খন্ডের মাটিতেই আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির সূচনা হয়েছিল। এই রাজ্যে হাজার হাজার মানুষ সহ দেশের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচির মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন। রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে নিরন্তর প্রয়াস চালানো হচ্ছে’। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী হাজারিবাগ, দুমকা, পালামৌ ও জামশেদপুরে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট ৪টি হাসপাতালের শিলান্যাস করেন।
শ্রী মোদী বলেন, স্বাস্থ্য ও নিরাপদ পানীয় জল একে অপরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। ঝাড়খন্ডে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যে যে প্রকল্পগুলির সূচনা হয়েছে, তা থেকে রাজ্যের অসংখ্য মানুষ উপকৃত হবেন এবং তাঁদের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে। রামগড় ও হাজারিবাগ জেলার গ্রামীণ এলাকায় জল সরবরাহের লক্ষ্যে ৪টি প্রকল্পেরও সূচনা করেন। এছাড়াও, তিনি ঐ দুই জেলায় আরও ৬টি গ্রামীণ জল সরবরাহ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এই জল সরবরাহ প্রকল্পগুলির ফলে, বিশেষভাবে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর আদিবাসী মানুষজন উপকৃত হবেন। হাজারিবাগের জন্যও তিনি একটি শহরাঞ্চলীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এই প্রকল্পের দরুণ হাজারিবাগের ৫৬ হাজার পরিবার পরিশ্রুত পানীয় জল পাবেন। প্রকল্পটি রূপায়ণে খরচ ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী সাহেবগঞ্জে একটি নিকাশি বর্জ্য পরিচালন কেন্দ্র এবং নমামি গঙ্গে উদ্যোগের আওতায় সৌন্দর্যায়িত মধুসূদন ঘাটের সূচনা করেন।
ই-ন্যাম বা জাতীয় বৈদ্যুতিন কৃষি বাজার উদ্যোগের আওতায় কৃষকদেরকে মোবাইল ফোন কেনার জন্য প্রত্যক্ষ হস্তান্তর কর্মসূচির সূচনা উপলক্ষে নির্দিষ্ট কিছু সুফলভোগীর হাতে তিনি চেক তুলে দেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই কর্মসূচির ফলে রাজ্যের ২৭ লক্ষ কৃষক লাভবান হবেন। এই স্মার্টফোনগুলির মাধ্যমে কৃষকরা কেবলমাত্র আবহাওয়া সংক্রান্ত পূর্বাভাষই পাবেন না, সেই সঙ্গে ফসলের দাম, সরকারি প্রকল্প এবং নতুন চাষাবাদ পদ্ধতি সংক্রান্ত তথ্যও পাবেন”।
এরপর, প্রধানমন্ত্রী রামগড়ে মহিলাদের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্বোধন করেন। এটি পূর্ব ভারতের প্রথম কলেজই নয়, সেই সঙ্গে দেশের তৃতীয় কলেজ, যেখানে কেবল মহিলারাই ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনো করতে পারবেন। হাজারিবাগের আচার্য বিনোবা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আদিবাসী অধ্যয়ন কেন্দ্রেরও তিনি শিলান্যাস করেন। তিনি বলেন, এই কেন্দ্রটি আদিবাসী পন্থা-পদ্ধতি ও সংস্কৃতি মেনে জ্ঞানের প্রসারে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। তাঁর সরকারের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ কর্মসূচির উদ্দেশ্যই হ’ল, দরিদ্র, মহিলা, যুব ও আদিবাসী মানুষ সহ সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের ক্ষমতায়ন। এই লক্ষ্যেই মহিলা ও আদিবাসীদের জন্য ঐ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট কিছু পড়ুয়াদের মধ্যে প্যাকেটজাত গুড়ো দুধ বন্টন করেন। কান্হা দুগ্ধ প্রকল্পের সূচনা উপলক্ষে পড়ুয়াদের মধ্যে প্যাকেটজাত দুগ্ধ বন্টনের এই উদ্যোগ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পড়ুয়াদের রোজ ২০০ মিলিলিটার করে দুগ্ধ সরবরাহ করা হবে, যা তাদের অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আশা করি, এই প্রকল্প প্রত্যেক পড়ুয়ার পূর্ণ সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করবে এবং সমগ্র দেশকে গর্বিত করবে”।
“আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসী বীর ব্যক্তিত্বদের যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের লক্ষ্যে সংগ্রহালয় ও স্মারক গড়ে তুলতে আমার সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস নিচ্ছে” বলে পুনরায় উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, বীরসা মুন্ডা সংগ্রহালয় এর উজ্জ্বল একটি দৃষ্টান্ত।
जो काम किया जा रहा है उसको और गति देने के लिए आया हूं।
— PMO India (@PMOIndia) February 17, 2019
मेडिकल कालेज बिल्डिंग, अस्पताल,
इंजीनिरयिंग कालेज,
पानी की समस्या से मुक्ति दिलाने वाली पाइप-लाइन,
नमामि गंगे के प्रोजेक्ट्स के शिलान्यास और लोकार्पण से यहां मूलभूत सुविधाओं के इंफ्रास्ट्रक्चर को ताकत मिलने वाली है: PM
देवघर में एम्स के बाद आज दुमका, हजारीबाग और पलामू में मेडिकल कालेज का उद्घाटन इन्हीं प्रयासों
— PMO India (@PMOIndia) February 17, 2019
का विस्तार है।
सिर्फ तीन साल पहले की स्थिति ये थी कि झारखंड में 3 मेडिकल कॉलेज थे।
अब आज देखिए, एक ही दिन में 3 मेडिकल कॉलेज खुल रहे हैं: PM
स्कूली शिक्षा हो या फिर उच्च शिक्षा आदिवासी समाज के युवा साथियों को हर प्रकार की सहायता दी जा रही है।
— PMO India (@PMOIndia) February 17, 2019
आचार्य विनोबा भावे विश्व-विद्यालय में सेंटर फॉर ट्राइबल स्टडीज बनने से यहां के समाज और संस्कृति को जानने और आने वाली पीढ़ियों तक समाज के संस्कारों को पहुंचाने में मदद मिलेगी:PM
झारखंड सहित देश के तमाम आदिवासी क्षेत्रों में एकलव्य मॉडल स्कूल खोले जा रहे हैं।
— PMO India (@PMOIndia) February 17, 2019
झारखंड में ऐसे करीब दो दर्जन स्कूल शुरु हो चुके हैं और 70 नए स्कूल खोलने पर काम चल रहा है: PM
झारखंड में बन रहा बिरसा मुंडा संग्रहालय महान स्वतंत्रता सेनानी बिरसा मुंडा की पहचान को समृद्ध करेगा।
— PMO India (@PMOIndia) February 17, 2019
ऐसे संग्राहालय देश के कई राज्यों में बनाए जा रहे हैं, जिसमें केंद्र सरकार मदद दे रही है।
ये म्यूजियम आदिवासी नायकों की याद तो दिलाएंगे ही, साथ में पर्यटन के केंद्र बनेंगे: PM