Quoteপ্রধানমন্ত্রী মোদী পাটনা মেট্রো রেল প্রকল্প ও বারাউনির অ্যামোনিয়া-ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কমপ্লেক্স এবং মুজফফরপুর এবং পাটনা পর্যন্ত এলপিজি পাইপলাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন
Quoteপুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশ জুড়ে শোক, দুঃখ এবং ক্রোধের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের ভেতরে যে আগুন জ্বলছে, সেই আগুন আমিও অনুভব করছি
Quoteআমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা, যাঁরা ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধার জন্য লড়াই করে আসছেন: প্রধানমন্ত্রী

বিহারের পরিকাঠামো, যোগাযোগ, শক্তি নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিকাশের জন্য এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (১৭ই ফেব্রুয়ারি) বারাউনিতে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের সূচনা করেন। বিহারের রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন, মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী এবং কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পগুলির উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী এক জনসভায় ভাষণ দেন।

|

প্রধানমন্ত্রী একটি বোতাম টিপে ডিজিটাল মাধ্যমে পাটনা মেট্রো রেল প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ১৩,৩৬৫ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের দুটি করিডর থাকবে। একটি দানাপুর থেকে মিঠাপুর এবং অপরটি হবে পাটনা রেলস্টেশন থেকে নতুন আইএসবিটি পর্যন্ত। দুটি প্রকল্পের কাজ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, পাটনা ও নিকটবর্তী এলাকার মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।

|

প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে জগদীশপুর-বারাণসী প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের অন্তর্গত ফুলপুর থেকে পাটনা পর্যন্ত অংশের উদ্বোধনও করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তিনিই এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। তিনি আরও স্মরণ করেন, এটি এমনই একটি প্রকল্প যেটির শিলান্যাসও তিনি করেছিলেন এবং সূচনাও তিনিই করছেন।তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের ফলে পাটনার বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহের পাশাপাশি বারাউনি সার কারখানা এবং স্থানীয় অন্যান্য কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করার বিষয়টি সুনিশ্চিত হবে।” গাস-ভিত্তিক এই প্রকল্পের ফলে স্থানীয় এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এই অঞ্চলের ওপর অগ্রাধিকারের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পূর্ব ভারত এবং বিহারের সার্বিক উন্নয়নের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা প্রকল্পের আওতায় বারাণসী, ভুবনেশ্বর, কটক, পাটনা, রাঁচি এবং জামশেদপুরকে গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হচ্ছে। পাটনায় প্রধানমন্ত্রী পাটনা সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন প্রকল্পেরও সূচনা করেন। এর মাধ্যমে পাটনা শহর ও সংলগ্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করা হবে।

|

এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে বিশেষ করে, পাটনা এবং নিকটবর্তী এলাকায় শক্তির সরবরাহ সুনিশ্চিত হবে।

দরিদ্রদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এনডিএ সরকারের দ্বিমুখী উন্নয়নমূলক কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, যাঁরা বিগত ৭০ বছর ধরে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধার জন্য লড়াই করে আসছেন।”

বিহারে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামো সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে দিনটি ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে। ছাপড়া এবং পুর্নিয়াতে নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলা হবে। গয়া এবং ভাগলপুরের মেডিকেল কলেজগুলিকে আরও উন্নীত করা হবে। তিনি আরও বলেন, পাটনায় এইম্‌স স্থাপন করা হয়েছে। মানুষের চাহিদা মেটাতে রাজ্যে আরও একটি এইম্‌স গড়ে তোলা হবে।

|

প্রধানমন্ত্রী পাটনায় নদী বিকাশ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করেন। তিনি ৯৬.৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ করমালিচক নিকাশি ব্যবস্থারও শিলান্যাস করেন। এই নিকাশি ব্যবস্থার আওতাধীন বাঢ়, সুলতানগঞ্জ এবং নওগাছিয়ায় প্রকল্পের তিনি সূচনা করেন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ২২টি অম্রুত প্রকল্পেরও তিনি শিলান্যাস করেন।

পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশ জুড়ে শোক, দুঃখ এবং ক্রোধের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের ভেতরে যে আগুন জ্বলছে, সেই আগুন আমিও অনুভব করছি। পুলওয়ামায় বিস্ফোরণে বিহারের পাটনার শহীদ হওয়া কনস্টেবল সঞ্জয় কুমার সিনহা এবং ভাগলপুরের শহীদ রতন কুমার ঠাকুরের স্মৃতির প্রতি প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানান।

প্রধানমন্ত্রী ৯ এমএমটি ক্ষমতাসম্পন্ন বারাউনি শোধনাগার সম্প্রসারণ প্রকল্পেরও শিলান্যাস করেন। এছাড়া, দুর্গাপুর থেকে মুজফফরপুর এবং পাটনা পর্যন্ত পারাদ্বীপ-হলদিয়া-দুর্গাপুর এলপিজি পাইপলাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পেরও তিনি শিলান্যাস করেন। বারাউনি শোধনাগারের এটিএফ জলশোধন প্রকল্পেরও তিনি শিলান্যাস করেন। এইসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পাটনা সহ সমগ্র এলাকায় শক্তির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

বারাউনির অ্যামোনিয়া-ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কমপ্লেক্সেরও শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের দ্বারা রাজ্যে সার উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

প্রধানমন্ত্রী, বারাউনি-কুমেদপুর, মুজফফরপুর-রক্সৌল, ফাতুহা-ইসলামপুর, বিহার শরিফ-দানিয়াওয়ান রেললাইনের বিদ্যুতিকরণ প্রকল্পের সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে, রাঁচি-পাটনা এসি সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস ট্রেনটিরও যাত্রার সূচনা করা হয়।

বারাউনির পর প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী গন্তব্য ঝাড়খণ্ড। সেখানে তিনি হাজারিবাগ এবং রাঁচি সফর করবেন। শ্রী মোদী, হাজারিবাগ, দুমকা এবং পালামৌতে হাসপাতালের শিলান্যাস করবেন। অন্যান্য একাধিক প্রকল্পেরও তিনি সূচনা করবেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Click here to read full text speech

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
PM Modi urges states to unite as ‘Team India’ for growth and development by 2047

Media Coverage

PM Modi urges states to unite as ‘Team India’ for growth and development by 2047
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM chairs the NDA Chief Ministers' Conclave in Delhi
May 25, 2025

The Prime Minister Shri Narendra Modi chaired the NDA Chief Ministers' Conclave in Delhi today. He emphasised the need to add momentum to our development trajectories and ensure the benefits of a double-engine government reach the people in an effective manner.

In a thread post on X, he wrote:

“Participated in the NDA Chief Ministers' Conclave in Delhi. We had extensive deliberations about various issues. Various states showcased their best practices in diverse areas including water conservation, grievance redressal, strengthening administrative frameworks, education, women empowerment, sports and more. It was wonderful to hear these experiences.”

“I emphasised the need to add momentum to our development trajectories and ensure the benefits of a double-engine government reach the people in an effective manner. Spoke about building stronger synergies in key areas be it cleanliness, sanitation, healthcare, youth empowerment, agriculture, technology and more.”