We will strengthen the existing pillars of cooperation in areas that touch the lives of our peoples. These are agriculture, science and technology, and security: PM Modi
PM Modi invites Israeli companies to take advantage of the liberalized FDI regime to make more in India with Indian companies
We are working with Israel to make it easier for our people to work and visit each other’s countries, says PM Modi
Thriving two-way trade and investment is an integral part of our vision for a strong partnership, says PM Modi during Joint press Statement with Israeli PM
In Prime Minister Netanyahu, I have a counter-part who is equally committed to taking the India-Israel relationship to soaring new heights: PM Modi

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু,   

সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ,   

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু’র প্রথম ভারত সফরউপলক্ষে তাঁকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত।  

(হে সুহৃদ, আপনাকে ভারতে স্বাগত!)   

প্রধানমন্ত্রী, আপনার এই সফর ভারত-ইজরায়েল মৈত্রীসম্পর্কের যাত্রাপথে এক বহু প্রতীক্ষিত মুহূর্ত।    

ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ২৫তম বর্ষেরএকটি স্মারক হিসাবে আপনার এই সফর সূচি যথার্থ বলেই আমরা মনে করি।   
২০১৮’তে আমাদের প্রথম সম্মানিত অতিথি হিসাবে আপনার এইসফর আমাদের নতুন বছরের বর্ষপঞ্জিতে এক উপলক্ষ বিশেষ। এটি আয়োজিত হয়েছে এমন একশুভক্ষণে, যখন সকল ভারতবাসী বসন্তের আগমন, পুনরুজ্জীবন, আশা এবং ফসল তোলার উৎসবকেআনন্দের সঙ্গে বরণ করে নিয়েছে। লোহরি, বিহু, মকর সংক্রান্তি এবং পোঙ্গল উদযাপনভারতের ঐক্য ও বৈচিত্র্যের এক উজ্জ্বল বহিঃপ্রকাশ।    

  • বন্ধুগণ,    

    গত বছর জুলাই মাসে আমি ১২৫ কোটি ভারতবাসীর মৈত্রী ওঅভিনন্দন বার্তা বহন করে নিয়ে গিয়েছিলাম আমার বিশেষ তাৎপর্যময় ইজরায়েল সফরকালে।বিনিময়ে আমার বন্ধু বিবির নেতৃত্বে ইজরায়েলের জনগণের কাছ থেকে যে উদার উষ্ণতা ওভালোবাসা আমি লাভ করেছিলাম, তাতে আমি অভিভূত।  

    সেই সফরকালে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং আমি পরস্পরেরপ্রতি এবং দু’দেশের জনসাধারণের কাছেও এক কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিদিয়েছিলাম। এই প্রতিশ্রুতি ছিল আশা ও আস্থার, বহুধা প্রসারিত অগ্রগতি ও ঘনিষ্ঠসহযোগিতার এবং যৌথ উদ্যোগ ও মিলিত সাফল্যের। বহু শতাব্দী ধরেই যে স্বাভাবিকভালোবাসা ও বন্ধুত্বের বন্ধনে আমরা আবদ্ধ ছিলাম, তা থেকেই আমাদের এই প্রতিশ্রুতিবা অঙ্গীকার জন্ম নিয়েছিল। প্রায় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই পরস্পরের পাশে উপস্থিতথাকার বাধ্যবাধকতা থেকে বিভিন্ন প্রচেষ্টায় নিয়োজিত থেকেছি আমরা।     

    সেই সফরকালের ছ’মাসের এক সংক্ষিপ্ত মুহূর্তের শেষেওআমাদের এই মিলিত উচ্চাশা ও অঙ্গীকার অমলিন থেকে গেছে। আপনার এই অনন্য সাধারণ ভারতসফর তারই পরিচয় বহন করে।  

    আজ ও গতকাল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং আমি দু’দেশেরসম্পর্কের বিকাশ ও অগ্রগতির বিষয়গুলি পর্যালোচনা করেছি। আমাদের সামনে যে সমস্তসুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে, তার সদ্ব্যবহারের লক্ষ্যে পুনরায় আলাপ-আলোচনার কাজও আমরাশুরু করে দিয়েছি।    

    আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল ব্যাপক ও বহুধা প্রসারিত, যারমধ্যে আরও নতুন কিছু করার ইচ্ছাই প্রতিফলিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, কাঙ্খিত ফললাভের জন্য আমি যে খুবই অধৈর্য্য, এই দুর্নাম বোধ হয় আমার রয়েছে।   

    আমি যদি খোলাখুলিভাবেই একটি গোপন কথা আজ আপনার সামনেপ্রকাশ করি, তা হলে আমি জানি, আপনিও তাতে সায় দেবেন।     

    গত বছর তেল আভিভে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘ সূত্রিতা কমিয়েআনার ইচ্ছা আপনি প্রকাশ করেছিলেন।    

    প্রধানমন্ত্র্‌ আমি আপনাকে একথা জানাতে পেরে খুবইআনন্দিত, যে ঠিক ঐ কাজটি আমরা ভারতে করতে চলেছি। পূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলিরবাস্তবায়নের জন্য আমরা দু’জনেই যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি – একথাও আমরা ব্যক্তকরেছি পরস্পরের কাছে।    

    বাস্তবের জমিতে এর সুফলও আমরা লক্ষ্য করেছি। আজ আমাদেরআলোচনা ও মতবিনিময়ের উল্লেখযোগ্য দিকটি হ’ল, আমাদের যৌথ কর্মপ্রচেষ্টায় আরও গতিসঞ্চার এবং অংশীদারিত্বের সম্পর্কের উন্নয়ন প্রচেষ্টা।     

    তিনটি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে এই পথ অনুসরণের সিদ্ধান্তনিয়েছি আমরা  :  

    প্রথমত, আমাদের দু’দেশের জনসাধরণের জীবনকে স্পর্শ করেযায়, এ ধরণের ক্ষেত্রগুলিতে আমাদের সহযোগিতার স্তম্ভগুলিকে আরও শক্তিশালী করেতুলব। এই ক্ষেত্রগুলি হ’ল – কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা।  

    কৃষি সহযোগিতার মূল ভিত্তি হিসাবে চিহ্নিত উৎকর্ষকেন্দ্রগুলিকে আরও উন্নত করে তুলতে আমরা পরস্পরের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। এই লক্ষ্যপূরণে ইজরায়েলের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও পন্থাপদ্ধতিকে আমরা অনুসরণ করে যাব।   

    প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিকাশের লক্ষ্যে ইজরায়েলিসংস্থাগুলিকে আমি আমন্ত্রণ জানিয়েছি, আমাদের উদার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিরসুযোগ গ্রহণ করে ভারতের সংস্থাগুলির সঙ্গে আরও বেশি করে সহযোগিতাবদ্ধ হওয়ার জন্য।     

    দ্বিতীয়ত,   

    তেল ও গ্যাস, সাইবার নিরাপত্তা, চলচ্চিত্র এবং স্টার্টআপ-এর মতো অপেক্ষাকৃত কম আবিষ্কৃত ক্ষেত্রগুলিতে আরও বেশি মাত্রায় যৌথ প্রচেষ্টাগড়ে তুলতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। যে চুক্তি বিনিময় পর্ব কিছুক্ষণ আগেই সম্পন্নহয়েছে, তার মধ্যেই আমাদের এই প্রচেষ্টার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাবে। বিভিন্নক্ষেত্রে বহুধা প্রসারিত কর্মপ্রচেষ্টা গড়ে তুলতে আমরা যে বিশেষভাবে আগ্রহী তারপরিচয় পাওয়া যাবে এর অনেকগুলি ক্ষেত্রেই।    

    এবং তৃতীয়ত,    

    আমাদের এই ভৌগোলিক অবস্থানের মধ্যে সাধারণ মানুষ এবংতাঁদের চিন্তাভাবনা বিনিময়ের লক্ষ্যেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য প্রয়োজন নীতিগতসুযোগ-সুবিধা, পরিকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সরকারি সাহায্য ও সমর্থনের বাইরেওঅন্যান্য ক্ষেত্রগুলিকে উৎসাহদান।    

    দু’দেশের জনসাধারণ যাতে একে অপরের দেশে কাজের সূত্রে সফরকরতে পারেন, তা আরও সহজ করে তুলতেও ইজরায়েলের সঙ্গে আমরা ব্যবস্থাগত এক প্রক্রিয়ারসঙ্গে যুক্ত রয়েছি। প্রয়োজনে দীর্ঘকালের জন্য কাজের সুবাদে সফর করা প্রয়োজন হতেপারে। দু’দেশের জনসাধারণকে পরস্পরের আরও কাছে নিয়ে আসার জন্য ভারতীয় সাংস্কৃতিককেন্দ্র খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করতে চলেছে ইজরায়েলে।   

    বিজ্ঞান শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ১০০ জনেরও বেশিতরুণ-তরুণীদের দ্বিপাক্ষিক বিনিময় সফর শুরু করারও আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।  

বন্ধুগণ,    

এক বলিষ্ঠ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিকবাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রসার একটি অবশ্য পালনীয় শর্ত। এই লক্ষ্যে আরও বেশি করে কাজকরে যেতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং আমি সহমত প্রকাশ করেছি। গত বছর তেল আভিভবৈঠকের পর দ্বিপাক্ষিক মঞ্চের আওতায় দু’দেশের সিইও-দের সঙ্গে আমরা দ্বিতীয়বার এবিষয়ে কথা বলব।    

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু’র সঙ্গে যে এক বিরাটপ্রতিনিধিদল এদেশে এসেছেন আমি তাঁদেরও স্বাগত জানাই। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবংআমি আঞ্চলিক তথা বিশ্ব পরিস্থিতির বিভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে পরস্পরের মধ্যেমতবিনিময়ও করেছি।    

বন্ধুগণ,    

গতকাল ভারতের মাটি স্পর্শ করার পরপরই প্রধানমন্ত্রীনেতানিয়াহু আমার সঙ্গে গিয়েছিলেন নতুন নামাঙ্কিত তিন মূর্তি হাইফা চক-এ ভারতীয় বীরসেনানীদের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। ইজরায়েলের শতাব্দী প্রাচীনহাইফা যুদ্ধে তাঁরা তাঁদের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন।     

ইতিহাস তথা বীর সেনানীদের কথা কখনই বিস্মৃত হয়নি আমাদেরএই দুটি দেশ। এই ক্ষেত্রটিতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এই বিশেষ মানসিকতা ওদৃষ্টিভঙ্গীর আমি বিশেষ অনুরাগী।   

ইজরায়েলের সঙ্গে আমাদের বর্তমান অংশীদারিত্বের ভবিষ্যতেরদিকে দৃষ্টিপাত করলে আশা ও আশাবাদ আমাকে উদ্বেলিত করে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুরমধ্যে আমি খুঁজে পেয়েছি এমনই এক ব্যক্তিত্বকে, যিনি ভারত-ইজরায়েল সম্পর্কেক্রমান্বয়ে নতুন নতুন মাত্রা এনে দিতে আমার মতোই অঙ্গীকারবদ্ধ।    

পরিশেষে, প্রধানমন্ত্রী, একদিন পরই আমার নিজের রাজ্যগুজরাটে আবার আপনার সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাব – একথা চিন্তা করে আমি বিশেষভাবেআনন্দিত।    

সেখানে প্রতিশ্রুতি পূরণের আরও একটি সুযোগ অপেক্ষা করেরয়েছে আমাদের জন্য। কৃষি, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের মতো ক্ষেত্রগুলিতে আমাদেরপারস্পরিক সম্পর্কের সেখানে প্রসার ঘটতে চলেছে।     

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, শ্রীমতী নেতানিয়াহু এবং আগতপ্রতিনিধিদলের ভারতে অবস্থানকাল স্মরণীয় হয়ে থাকুক – এই প্রার্থনা জানাই।    

আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তোড়া রাবা!  

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the Odisha Parba
November 24, 2024
Delighted to take part in the Odisha Parba in Delhi, the state plays a pivotal role in India's growth and is blessed with cultural heritage admired across the country and the world: PM
The culture of Odisha has greatly strengthened the spirit of 'Ek Bharat Shreshtha Bharat', in which the sons and daughters of the state have made huge contributions: PM
We can see many examples of the contribution of Oriya literature to the cultural prosperity of India: PM
Odisha's cultural richness, architecture and science have always been special, We have to constantly take innovative steps to take every identity of this place to the world: PM
We are working fast in every sector for the development of Odisha,it has immense possibilities of port based industrial development: PM
Odisha is India's mining and metal powerhouse making it’s position very strong in the steel, aluminium and energy sectors: PM
Our government is committed to promote ease of doing business in Odisha: PM
Today Odisha has its own vision and roadmap, now investment will be encouraged and new employment opportunities will be created: PM

जय जगन्नाथ!

जय जगन्नाथ!

केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी श्रीमान धर्मेन्द्र प्रधान जी, अश्विनी वैष्णव जी, उड़िया समाज संस्था के अध्यक्ष श्री सिद्धार्थ प्रधान जी, उड़िया समाज के अन्य अधिकारी, ओडिशा के सभी कलाकार, अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों।

ओडिशा र सबू भाईओ भउणी मानंकु मोर नमस्कार, एबंग जुहार। ओड़िया संस्कृति के महाकुंभ ‘ओड़िशा पर्व 2024’ कू आसी मँ गर्बित। आपण मानंकु भेटी मूं बहुत आनंदित।

मैं आप सबको और ओडिशा के सभी लोगों को ओडिशा पर्व की बहुत-बहुत बधाई देता हूँ। इस साल स्वभाव कवि गंगाधर मेहेर की पुण्यतिथि का शताब्दी वर्ष भी है। मैं इस अवसर पर उनका पुण्य स्मरण करता हूं, उन्हें श्रद्धांजलि देता हूँ। मैं भक्त दासिआ बाउरी जी, भक्त सालबेग जी, उड़िया भागवत की रचना करने वाले श्री जगन्नाथ दास जी को भी आदरपूर्वक नमन करता हूं।

ओडिशा निजर सांस्कृतिक विविधता द्वारा भारतकु जीबन्त रखिबारे बहुत बड़ भूमिका प्रतिपादन करिछि।

साथियों,

ओडिशा हमेशा से संतों और विद्वानों की धरती रही है। सरल महाभारत, उड़िया भागवत...हमारे धर्मग्रन्थों को जिस तरह यहाँ के विद्वानों ने लोकभाषा में घर-घर पहुंचाया, जिस तरह ऋषियों के विचारों से जन-जन को जोड़ा....उसने भारत की सांस्कृतिक समृद्धि में बहुत बड़ी भूमिका निभाई है। उड़िया भाषा में महाप्रभु जगन्नाथ जी से जुड़ा कितना बड़ा साहित्य है। मुझे भी उनकी एक गाथा हमेशा याद रहती है। महाप्रभु अपने श्री मंदिर से बाहर आए थे और उन्होंने स्वयं युद्ध का नेतृत्व किया था। तब युद्धभूमि की ओर जाते समय महाप्रभु श्री जगन्नाथ ने अपनी भक्त ‘माणिका गौउडुणी’ के हाथों से दही खाई थी। ये गाथा हमें बहुत कुछ सिखाती है। ये हमें सिखाती है कि हम नेक नीयत से काम करें, तो उस काम का नेतृत्व खुद ईश्वर करते हैं। हमेशा, हर समय, हर हालात में ये सोचने की जरूरत नहीं है कि हम अकेले हैं, हम हमेशा ‘प्लस वन’ होते हैं, प्रभु हमारे साथ होते हैं, ईश्वर हमेशा हमारे साथ होते हैं।

साथियों,

ओडिशा के संत कवि भीम भोई ने कहा था- मो जीवन पछे नर्के पडिथाउ जगत उद्धार हेउ। भाव ये कि मुझे चाहे जितने ही दुख क्यों ना उठाने पड़ें...लेकिन जगत का उद्धार हो। यही ओडिशा की संस्कृति भी है। ओडिशा सबु जुगरे समग्र राष्ट्र एबं पूरा मानब समाज र सेबा करिछी। यहाँ पुरी धाम ने ‘एक भारत श्रेष्ठ भारत’ की भावना को मजबूत बनाया। ओडिशा की वीर संतानों ने आज़ादी की लड़ाई में भी बढ़-चढ़कर देश को दिशा दिखाई थी। पाइका क्रांति के शहीदों का ऋण, हम कभी नहीं चुका सकते। ये मेरी सरकार का सौभाग्य है कि उसे पाइका क्रांति पर स्मारक डाक टिकट और सिक्का जारी करने का अवसर मिला था।

साथियों,

उत्कल केशरी हरे कृष्ण मेहताब जी के योगदान को भी इस समय पूरा देश याद कर रहा है। हम व्यापक स्तर पर उनकी 125वीं जयंती मना रहे हैं। अतीत से लेकर आज तक, ओडिशा ने देश को कितना सक्षम नेतृत्व दिया है, ये भी हमारे सामने है। आज ओडिशा की बेटी...आदिवासी समुदाय की द्रौपदी मुर्मू जी भारत की राष्ट्रपति हैं। ये हम सभी के लिए बहुत ही गर्व की बात है। उनकी प्रेरणा से आज भारत में आदिवासी कल्याण की हजारों करोड़ रुपए की योजनाएं शुरू हुई हैं, और ये योजनाएं सिर्फ ओडिशा के ही नहीं बल्कि पूरे भारत के आदिवासी समाज का हित कर रही हैं।

साथियों,

ओडिशा, माता सुभद्रा के रूप में नारीशक्ति और उसके सामर्थ्य की धरती है। ओडिशा तभी आगे बढ़ेगा, जब ओडिशा की महिलाएं आगे बढ़ेंगी। इसीलिए, कुछ ही दिन पहले मैंने ओडिशा की अपनी माताओं-बहनों के लिए सुभद्रा योजना का शुभारंभ किया था। इसका बहुत बड़ा लाभ ओडिशा की महिलाओं को मिलेगा। उत्कलर एही महान सुपुत्र मानंकर बिसयरे देश जाणू, एबं सेमानंक जीबन रु प्रेरणा नेउ, एथी निमन्ते एपरी आयौजनर बहुत अधिक गुरुत्व रहिछि ।

साथियों,

इसी उत्कल ने भारत के समुद्री सामर्थ्य को नया विस्तार दिया था। कल ही ओडिशा में बाली जात्रा का समापन हुआ है। इस बार भी 15 नवंबर को कार्तिक पूर्णिमा के दिन से कटक में महानदी के तट पर इसका भव्य आयोजन हो रहा था। बाली जात्रा प्रतीक है कि भारत का, ओडिशा का सामुद्रिक सामर्थ्य क्या था। सैकड़ों वर्ष पहले जब आज जैसी टेक्नोलॉजी नहीं थी, तब भी यहां के नाविकों ने समुद्र को पार करने का साहस दिखाया। हमारे यहां के व्यापारी जहाजों से इंडोनेशिया के बाली, सुमात्रा, जावा जैसे स्थानो की यात्राएं करते थे। इन यात्राओं के माध्यम से व्यापार भी हुआ और संस्कृति भी एक जगह से दूसरी जगह पहुंची। आजी विकसित भारतर संकल्पर सिद्धि निमन्ते ओडिशार सामुद्रिक शक्तिर महत्वपूर्ण भूमिका अछि।

साथियों,

ओडिशा को नई ऊंचाई तक ले जाने के लिए 10 साल से चल रहे अनवरत प्रयास....आज ओडिशा के लिए नए भविष्य की उम्मीद बन रहे हैं। 2024 में ओडिशावासियों के अभूतपूर्व आशीर्वाद ने इस उम्मीद को नया हौसला दिया है। हमने बड़े सपने देखे हैं, बड़े लक्ष्य तय किए हैं। 2036 में ओडिशा, राज्य-स्थापना का शताब्दी वर्ष मनाएगा। हमारा प्रयास है कि ओडिशा की गिनती देश के सशक्त, समृद्ध और तेजी से आगे बढ़ने वाले राज्यों में हो।

साथियों,

एक समय था, जब भारत के पूर्वी हिस्से को...ओडिशा जैसे राज्यों को पिछड़ा कहा जाता था। लेकिन मैं भारत के पूर्वी हिस्से को देश के विकास का ग्रोथ इंजन मानता हूं। इसलिए हमने पूर्वी भारत के विकास को अपनी प्राथमिकता बनाया है। आज पूरे पूर्वी भारत में कनेक्टिविटी के काम हों, स्वास्थ्य के काम हों, शिक्षा के काम हों, सभी में तेजी लाई गई है। 10 साल पहले ओडिशा को केंद्र सरकार जितना बजट देती थी, आज ओडिशा को तीन गुना ज्यादा बजट मिल रहा है। इस साल ओडिशा के विकास के लिए पिछले साल की तुलना में 30 प्रतिशत ज्यादा बजट दिया गया है। हम ओडिशा के विकास के लिए हर सेक्टर में तेजी से काम कर रहे हैं।

साथियों,

ओडिशा में पोर्ट आधारित औद्योगिक विकास की अपार संभावनाएं हैं। इसलिए धामरा, गोपालपुर, अस्तारंगा, पलुर, और सुवर्णरेखा पोर्ट्स का विकास करके यहां व्यापार को बढ़ावा दिया जाएगा। ओडिशा भारत का mining और metal powerhouse भी है। इससे स्टील, एल्युमिनियम और एनर्जी सेक्टर में ओडिशा की स्थिति काफी मजबूत हो जाती है। इन सेक्टरों पर फोकस करके ओडिशा में समृद्धि के नए दरवाजे खोले जा सकते हैं।

साथियों,

ओडिशा की धरती पर काजू, जूट, कपास, हल्दी और तिलहन की पैदावार बहुतायत में होती है। हमारा प्रयास है कि इन उत्पादों की पहुंच बड़े बाजारों तक हो और उसका फायदा हमारे किसान भाई-बहनों को मिले। ओडिशा की सी-फूड प्रोसेसिंग इंडस्ट्री में भी विस्तार की काफी संभावनाएं हैं। हमारा प्रयास है कि ओडिशा सी-फूड एक ऐसा ब्रांड बने, जिसकी मांग ग्लोबल मार्केट में हो।

साथियों,

हमारा प्रयास है कि ओडिशा निवेश करने वालों की पसंदीदा जगहों में से एक हो। हमारी सरकार ओडिशा में इज ऑफ डूइंग बिजनेस को बढ़ावा देने के लिए प्रतिबद्ध है। उत्कर्ष उत्कल के माध्यम से निवेश को बढ़ाया जा रहा है। ओडिशा में नई सरकार बनते ही, पहले 100 दिनों के भीतर-भीतर, 45 हजार करोड़ रुपए के निवेश को मंजूरी मिली है। आज ओडिशा के पास अपना विज़न भी है, और रोडमैप भी है। अब यहाँ निवेश को भी बढ़ावा मिलेगा, और रोजगार के नए अवसर भी पैदा होंगे। मैं इन प्रयासों के लिए मुख्यमंत्री श्रीमान मोहन चरण मांझी जी और उनकी टीम को बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

साथियों,

ओडिशा के सामर्थ्य का सही दिशा में उपयोग करके उसे विकास की नई ऊंचाइयों पर पहुंचाया जा सकता है। मैं मानता हूं, ओडिशा को उसकी strategic location का बहुत बड़ा फायदा मिल सकता है। यहां से घरेलू और अंतर्राष्ट्रीय बाजार तक पहुंचना आसान है। पूर्व और दक्षिण-पूर्व एशिया के लिए ओडिशा व्यापार का एक महत्वपूर्ण हब है। Global value chains में ओडिशा की अहमियत आने वाले समय में और बढ़ेगी। हमारी सरकार राज्य से export बढ़ाने के लक्ष्य पर भी काम कर रही है।

साथियों,

ओडिशा में urbanization को बढ़ावा देने की अपार संभावनाएं हैं। हमारी सरकार इस दिशा में ठोस कदम उठा रही है। हम ज्यादा संख्या में dynamic और well-connected cities के निर्माण के लिए प्रतिबद्ध हैं। हम ओडिशा के टियर टू शहरों में भी नई संभावनाएं बनाने का भरपूर हम प्रयास कर रहे हैं। खासतौर पर पश्चिम ओडिशा के इलाकों में जो जिले हैं, वहाँ नए इंफ्रास्ट्रक्चर से नए अवसर पैदा होंगे।

साथियों,

हायर एजुकेशन के क्षेत्र में ओडिशा देशभर के छात्रों के लिए एक नई उम्मीद की तरह है। यहां कई राष्ट्रीय और अंतर्राष्ट्रीय इंस्टीट्यूट हैं, जो राज्य को एजुकेशन सेक्टर में लीड लेने के लिए प्रेरित करते हैं। इन कोशिशों से राज्य में स्टार्टअप्स इकोसिस्टम को भी बढ़ावा मिल रहा है।

साथियों,

ओडिशा अपनी सांस्कृतिक समृद्धि के कारण हमेशा से ख़ास रहा है। ओडिशा की विधाएँ हर किसी को सम्मोहित करती है, हर किसी को प्रेरित करती हैं। यहाँ का ओड़िशी नृत्य हो...ओडिशा की पेंटिंग्स हों...यहाँ जितनी जीवंतता पट्टचित्रों में देखने को मिलती है...उतनी ही बेमिसाल हमारे आदिवासी कला की प्रतीक सौरा चित्रकारी भी होती है। संबलपुरी, बोमकाई और कोटपाद बुनकरों की कारीगरी भी हमें ओडिशा में देखने को मिलती है। हम इस कला और कारीगरी का जितना प्रसार करेंगे, उतना ही इस कला को संरक्षित करने वाले उड़िया लोगों को सम्मान मिलेगा।

साथियों,

हमारे ओडिशा के पास वास्तु और विज्ञान की भी इतनी बड़ी धरोहर है। कोणार्क का सूर्य मंदिर… इसकी विशालता, इसका विज्ञान...लिंगराज और मुक्तेश्वर जैसे पुरातन मंदिरों का वास्तु.....ये हर किसी को आश्चर्यचकित करता है। आज लोग जब इन्हें देखते हैं...तो सोचने पर मजबूर हो जाते हैं कि सैकड़ों साल पहले भी ओडिशा के लोग विज्ञान में इतने आगे थे।

साथियों,

ओडिशा, पर्यटन की दृष्टि से अपार संभावनाओं की धरती है। हमें इन संभावनाओं को धरातल पर उतारने के लिए कई आयामों में काम करना है। आप देख रहे हैं, आज ओडिशा के साथ-साथ देश में भी ऐसी सरकार है जो ओडिशा की धरोहरों का, उसकी पहचान का सम्मान करती है। आपने देखा होगा, पिछले साल हमारे यहाँ G-20 का सम्मेलन हुआ था। हमने G-20 के दौरान इतने सारे देशों के राष्ट्राध्यक्षों और राजनयिकों के सामने...सूर्यमंदिर की ही भव्य तस्वीर को प्रस्तुत किया था। मुझे खुशी है कि महाप्रभु जगन्नाथ मंदिर परिसर के सभी चार द्वार खुल चुके हैं। मंदिर का रत्न भंडार भी खोल दिया गया है।

साथियों,

हमें ओडिशा की हर पहचान को दुनिया को बताने के लिए भी और भी इनोवेटिव कदम उठाने हैं। जैसे....हम बाली जात्रा को और पॉपुलर बनाने के लिए बाली जात्रा दिवस घोषित कर सकते हैं, उसका अंतरराष्ट्रीय मंच पर प्रचार कर सकते हैं। हम ओडिशी नृत्य जैसी कलाओं के लिए ओडिशी दिवस मनाने की शुरुआत कर सकते हैं। विभिन्न आदिवासी धरोहरों को सेलिब्रेट करने के लिए भी नई परम्पराएँ शुरू की जा सकती हैं। इसके लिए स्कूल और कॉलेजों में विशेष आयोजन किए जा सकते हैं। इससे लोगों में जागरूकता आएगी, यहाँ पर्यटन और लघु उद्योगों से जुड़े अवसर बढ़ेंगे। कुछ ही दिनों बाद प्रवासी भारतीय सम्मेलन भी, विश्व भर के लोग इस बार ओडिशा में, भुवनेश्वर में आने वाले हैं। प्रवासी भारतीय दिवस पहली बार ओडिशा में हो रहा है। ये सम्मेलन भी ओडिशा के लिए बहुत बड़ा अवसर बनने वाला है।

साथियों,

कई जगह देखा गया है बदलते समय के साथ, लोग अपनी मातृभाषा और संस्कृति को भी भूल जाते हैं। लेकिन मैंने देखा है...उड़िया समाज, चाहे जहां भी रहे, अपनी संस्कृति, अपनी भाषा...अपने पर्व-त्योहारों को लेकर हमेशा से बहुत उत्साहित रहा है। मातृभाषा और संस्कृति की शक्ति कैसे हमें अपनी जमीन से जोड़े रखती है...ये मैंने कुछ दिन पहले ही दक्षिण अमेरिका के देश गयाना में भी देखा। करीब दो सौ साल पहले भारत से सैकड़ों मजदूर गए...लेकिन वो अपने साथ रामचरित मानस ले गए...राम का नाम ले गए...इससे आज भी उनका नाता भारत भूमि से जुड़ा हुआ है। अपनी विरासत को इसी तरह सहेज कर रखते हुए जब विकास होता है...तो उसका लाभ हर किसी तक पहुंचता है। इसी तरह हम ओडिशा को भी नई ऊचाई पर पहुंचा सकते हैं।

साथियों,

आज के आधुनिक युग में हमें आधुनिक बदलावों को आत्मसात भी करना है, और अपनी जड़ों को भी मजबूत बनाना है। ओडिशा पर्व जैसे आयोजन इसका एक माध्यम बन सकते हैं। मैं चाहूँगा, आने वाले वर्षों में इस आयोजन का और ज्यादा विस्तार हो, ये पर्व केवल दिल्ली तक सीमित न रहे। ज्यादा से ज्यादा लोग इससे जुड़ें, स्कूल कॉलेजों का participation भी बढ़े, हमें इसके लिए प्रयास करने चाहिए। दिल्ली में बाकी राज्यों के लोग भी यहाँ आयें, ओडिशा को और करीबी से जानें, ये भी जरूरी है। मुझे भरोसा है, आने वाले समय में इस पर्व के रंग ओडिशा और देश के कोने-कोने तक पहुंचेंगे, ये जनभागीदारी का एक बहुत बड़ा प्रभावी मंच बनेगा। इसी भावना के साथ, मैं एक बार फिर आप सभी को बधाई देता हूं।

आप सबका बहुत-बहुत धन्यवाद।

जय जगन्नाथ!