রাজধানীর প্রবাসী ভারতীয় কেন্দ্রে তরুণ সিইও’দের নিয়ে নীতি আয়োগ আয়োজিত একঅনুষ্ঠানে মঙ্গলবার ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। “পরিবর্তনের দিশারী – জি-টু-বি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ভারতের রূপান্তর” বিষয়টির ওপর তিনিআলোচনা ও মতবিনিময় করেন তরুণ সিইও’দের সঙ্গে। তরুণ শিল্পোদ্যোগীদের নিয়ে আয়োজিত গতসপ্তাহের এক অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সিইও’দের ছটি দল এদিন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘কৃষকদের আয় ও উপার্জন দ্বিগুণ করেতোলা’, ‘বিশ্বমানের পরিকাঠামো’, ‘আগামী দিনের নগরী’, ‘আর্থিক ক্ষেত্রের সংস্কার’এবং ‘আগামী ২০২২ সালের মধ্যে এক নতুন ভারত গঠন’-এর মতো বিষয়গুলির ওপর তাদেরউপস্থাপনা পেশ করে।
সিইও’দের উপস্থাপনার মধ্যে যে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা এবং উদ্ভাবন প্রবণতালক্ষ্য করা গেছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের কল্যাণে যেভাবেতাঁরা মূল্যবান মতামত ও চিন্তাভাবনার জন্য সময় দিয়েছেন, সেজন্য তিনি ধন্যবাদওজানান তরুণ সিইও’দের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গেযাঁরা বর্তমানে যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা খুব মনোযোগ দিয়ে উপস্থাপনাগুলি লক্ষ্য করেছেন।নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে এই উপস্থাপনাগুলিকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেই মনে করেনতিনি।
শ্রী মোদী বলেন, সরকারি প্রশাসন ও পরিচালনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষেরঅংশগ্রহণ একান্ত জরুরি। সেই কারণে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার যে প্রচেষ্টা সিইও’রাচালিয়ে যাচ্ছেন, তাতে দেশের নাগরিক-সমাজ তথা সমগ্র জাতিই বিশেষভাবে উপকৃত হবে।
স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের অন্যান্যকাজ থাকা সত্ত্বেও সকল ভারতীয়কে স্বাধীনতার যোদ্ধা করে তুলেছিলেন মহাত্মা গান্ধী।আর এইভাবেই স্বাধীনতা সংগ্রামকে জনসাধারণের এক আন্দোলন রূপে গড়ে তোলার কাজে তিনিবিশেষভাবে সাহায্য করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, উন্নয়ন প্রচেষ্টাকেও জনসাধারণের এক আন্দোলনের রূপদেওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, এমন এক শক্তি ও আগ্রহ সকলের মধ্যে জাগিয়ে তোলা দরকার,যাতে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে নতুন ভারত গঠনের লক্ষ্যে আমরা কোনও না কোনোভাবেনিজেদের অবদান সৃষ্টি করতে পারি। তরুণ সিইও’দের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদেরসকলকে নিয়েই গড়ে উঠেছে আমাদের কর্মীদল। আর এইভাবে সকলকে সঙ্গে নিয়েই ভারত’কে আমরাঅনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।
কৃষি ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজনের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন,কৃষকদের আয় ও উপার্জন দ্বিগুণ করে তোলার মতো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে বিভিন্নপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ওপরবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, পরিকাঠামোর ঘাটতি কৃষি ক্ষেত্রে প্রভূতক্ষতিসাধন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে। ইউরিয়ার যোগান ও উৎপাদন সহজও সুলভ করে তুলতে যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তারও উল্লেখ করেন তিনি।অতিরিক্ত উৎপাদনের জন্য বিশেষ পারিশ্রমিক, সার উৎপাদনে গ্যাসের মূল্য স্থির করেদেওয়া সহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও তিনি প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন। এরফলে, দেশেবর্তমানে যে অতিরিক্ত ২০ লক্ষ টন ইউরিয়া উৎপাদিত হচ্ছে, সেকথারও উল্লেখ ছিল এদিনপ্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। তিনি বলেন, অকৃষি ক্ষেত্রে ইউরিয়া ব্যবহারের প্রবণতা বন্ধকরা সম্ভব হয়েছে ঐ সারটির উৎপাদনে নিম কোটিং যুক্ত করার ফলে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নগদ অর্থে লেনদেনের পথ থেকে দেশকে সরিয়ে আনতে আগ্রহীকেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়টির প্রসারে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য তিনিআহ্বান জানান তরুণ সিইও’দের।
শ্রী মোদী বলেন, উৎসবের মরশুমে একটি উপহার সামগ্রী হিসাবে খাদির ব্যবহারকেজনপ্রিয় করে তোলা সম্ভব। এরফলে, দরিদ্র মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। জীবনেরপ্রতিটি ক্ষেত্রে দরিদ্র সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলার মতো পরিবেশ সৃষ্টির ওপরবিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি।
সরকারি বাজার বা বিপণন ব্যবস্থার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন যে,ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সরকারি বাজারে পণ্যসামগ্রীর যোগান দিয়ে নানাভাবে উপকৃত হচ্ছেন।এই বিপণন ব্যবস্থায় এ পর্যন্ত ১ হাজার কোটি টাকার মতো লেনদেন হয়েছে বলে তিনিউল্লেখ করেন। সরকারি বিপণন ব্যবস্থার মঞ্চ ব্যবহার করে লাভবান হয়েছেন ২৮ হাজারপণ্য সরবরাহকারী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জন্য প্রত্যেক ভারতবাসীরই গর্ববোধ করা উচিৎ।পর্যটন কেন্দ্রগুলির বিকাশে সকলকেই উৎসাহিত হতে হবে এবং উৎসাহিত করতে হবেঅন্যদেরও।
‘বর্জ্য থেকে সম্পদ’ উৎপাদনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে যে সমস্তশিল্পোদ্যোগী যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, স্বচ্ছ ভারতএবং দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাঁরা প্রভূত সাহায্য করে চলেছেন।প্রধানমন্ত্রীর মতে, শিল্পোদ্যোগ এবং বাণিজ্যিক প্রচেষ্টার লক্ষ্য হওয়া উচিৎ দেশেরসাধারণ মানুষের সমস্যা নিরসনে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং পদস্থ সরকারিআধিকারিকরা।
In Government, the welfare of the people and the happiness of citizens is supreme: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 22, 2017
We are always thinking about where the nation will reach through our work: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 22, 2017
Every citizen must have a feeling that this country is mine & I have to work for the country, I want to add something towards its growth: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 22, 2017
Every person wanted India to be free but Gandhi ji did something unique- he made every person feel he or she is working for the nation: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 22, 2017
Mahatma Gandhi turned the freedom struggle into a mass movement and we saw the results: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 22, 2017
In the same spirit as what Mahatma Gandhi did for the freedom struggle, we need to make India's development a mass movement: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 22, 2017
When we work together, we can solve several problems the country faces: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 22, 2017
As industry leaders, think about what more you can do for the poorest of the poor: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 22, 2017
There is no question of compromising on the quality of your product: PM @narendramodi to industry leaders
— PMO India (@PMOIndia) August 22, 2017